বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

স্বাধীনতাবিরোধীদের হুংকার ও সমাবেশের সহোদর

তানজিব রহমান

‘স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায়? দাসত্ব-শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায়?’ কবি রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়’র এ পঙতিটি স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে স্বাধীনতা সঙ্গীত বা মুক্তির গান বলা চলে। কবির দুটি চরণ থেকেই আমরা স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে পারি। পৃথিবীর কোন জাতি পরাধীন থাকতে চায় না।

স্বাধীনতা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। স্বাধীনতা এবং মুক্তির আকাঙ্খা যুগে যুগে মানুষের মনে ছিল। স্বাধীনতার স্বপ্ন ও মুক্তির চেতনা তাদের মনকে আন্দোলিত করেছিল যুগ, যুগান্তর। কখনো ফরাসি বিপ্লব, কখনো রেঁনেসা, কখনো আবার শিল্পবিপ্লব হয়ে তা আমাদের সামনে উঠে এসেছে। তবে এগুলোর সব কিছুর মূলেই কিন্তু স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাস পরিণতি ও পরিসমাপ্তি আছে।

পৃথিবীর অনেক জাতি আছে যাদের স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের মতো এতোটা গৌরব দীপ্ত নয়। তারা একই সাথে স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য ঝাপিয়ে পড়েনি আমাদের মুক্তির ইতিহাসটা পলাশী থেকে ধানমন্ডি ৩২ পর্যন্ত বিস্তৃত যা এখনও আমরা করে যাচ্ছি। আমাদের স্বাধীনতার একজন মহানায়ক আছেন-যার তর্জনীর ইশারায়, বজ্রকন্ঠের ডাকে সমগ্র বাঙালি জাতি সেদিন জেগে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেছিলেন-‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। আর তাতেই সাড়ে সাত কোটি বাঙালির স্বাধীনতার মুখবন্ধ রচিত হয়ে গেল।

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়ে গেলাম একটা স্বাধীন ভূ-খন্ড সার্বভৌম দেশ। আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এখনো চলছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরাধিকার ও রাজাকার দোসরদের বিরুদ্ধে এ সংগ্রাম নিরন্তর করে যেতেই হবে। তবে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কিন্তু তখন থেকে এখনও তাদের দোসরদের কাঁধে ভর করে রাজনৈতিক শক্তিতে আবির্ভূত হচ্ছে।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিএনপির জনসভায় স্বাধীনতাবিরোধী বিতর্কিত নেতা সা.কা. চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বলে দিতে চাই, ক্ষমতা ছাড়ার পর একা বাড়িতে যেতে পারবেন না। প্রত্যেকটা শহীদের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করব।’

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে হুম্মাম বলেন, ‘যাওয়ার আগে বাবার স্লোগান আপনাদের বলে যেতে চাই। নারায়ে তকবির, নারায়ে তকবির, নারায়ে তকবির। আমরা যখন আবার এই ময়দানে আসব, সরকার গঠন করে আসব।’

একজন যুদ্ধাপরাধী রাজাকার পুত্রের এমন হুংকার, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননা, একটা রাজনৈতিক দলের ব্যানারে! কী প্রমাণ করে? স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের অর্জনকে তারা শুধু বৃদ্ধাঙ্গুলিই দেখাননি, বরং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় এলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির লোকদেরকে একা ঘরে না ফেরার হুমকি দিচ্ছেন প্রকাশ্যে।

বাস্তবে কী হবে তা আমরা তো তাদের পেট্রোল বোমা ও আগুন সন্ত্রাসী দিনগুলোর সময় দেখেছি।এই কালকেউটেদের ফনা বাংলাদেশকে আরো গুরুত্বের সাথে আমলে নেয়ার সময় এসেছে। এদের ফুঁস করে উঠতে দেয়া যাবে কি-না তা বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে যেমনটা নিয়েছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে।

অসাম্প্রদায়িক, শান্তি ও সৌহার্দ্যের বাংলাদেশ, মিলে-মিশে বাংলাদেশ, সবার জন্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের জন্য এরা অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অতীতেও তার দাদা ছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী। তিনি বঙ্গবন্ধুর ছয়দফার বিরোধী ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধী ছিলেন, ১৯৭১ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রায় দেড় মণ সোনা নিয়ে নৌ-যানে করে দেশ থেকে পালানোর সময় আনোয়ারা উপজেলার গহীরা উপকূলে মুক্তিযুদ্ধাদের হাতে ধরা পরেন।

এসব অপশক্তির মূল কত গভীরে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাদের মূল উৎপাটনে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজাকার সাকা পুত্রের বক্তব্যে কপালে ভাঁজ ফেলার মতো আরো একটি বিষয় হলো-তিনি দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে অবমাননা করে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির সাজা হওয়া সব আসামীদেরকে ‘শহীদ’ বলে জনসম্মুখে বক্তব্য প্রদান করেছেন। তা দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার শামিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইন ১৯৭৩’র ক্ষমতা বলে অপরাধীদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত যেখানে তাদের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন, সেখানে অপরাধীদেরকে জনসম্মুখে শহীদ বলে আখ্যায়িত করে সর্বোচ্চ আদালত অবমাননা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত। রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল।

অথচ হুম্মাম বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, হুম্মামের এই বক্তব্যকে আমীর খসরু মাহমুদ বিএনপি’র নয়, হুম্মামের ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করেছেন। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা ছাড়া আর কিছু নয়। ২০১৫ সালে যুদ্ধাপরাধে জড়িত সাকা চৌধুরীর রায় কার্যকর হলে বিএনপি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেনি বরং ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দলের কংগ্রেসে সাকা চৌধুরীর নামে শোক প্রস্তাব করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকে তারা এভাবে লালন করেন!

যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গিতে আমরা কম, বেশী বিচলিত। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় দলনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ যুদ্ধাপরাধী নয়, রাজবন্দী। আর আওয়ামী লীগ স্বাধীনতাবিরোধী। দলের চেয়ারপারসনের এ বক্তব্য আজ ও আগামী দিনের বাংলাদেশ কিভাবে নিবে? সবকিছুকে রাজনীতি আর ক্ষমতার মোড়কে ভাঁজ করে রাখলে দেশটাকে এগিয়ে নেবে কে? শুধু ভোটের রাজনীতির জন্য মাতৃতুল্য স্বদেশ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মর্যাদা বিকিয়ে দিয়ে; জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারলে জনগণের কাছে কী প্রত্যাশা করা যায়?

ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের ফলে চলমান বিশ্বসংকট থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দেশকে আগামীর জন্য স্থিতিশীল রাখা এবং উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভিশনারি নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। একইভাবে আমাদের ভুলে গেলেও চলবে না লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন দেশে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকদের উত্তরসূরীরা এখনো প্রতিশোধের উন্মত্ততায় মরণ কামড় দিতে সুযোগ খুঁজছে। করছে রাষ্ট্রবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র। তাদের হাত থেকে দেশকে ও দেশের স্বাধীনতার মর্যাদাকে বাঁচাতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবেই। তার কোনো বিকল্প নাই।

মেইল : tanzib1971@gmail.com.

লেখক-গবেষক।

ছবি : পাহাড়পুর মহাবিহার।

ওএফএস।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া