শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সেতুবন্ধন উন্নয়নের মালা

আবু নাছের ভূঁইয়া
নদীমাতৃক বাংলাদেশ কথার সহজ অর্থ হচ্ছে, নদী আমাদের জীবনব্যবস্থার মা। নদ-নদীর পলি হতেই প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ ব-দ্বীপটির গড়ে উঠা বা জন্ম। দেশকে বাঁচিয়ে রাখতে তাদের কোনো বিকল্প নেই। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা যেমন আমাদের অস্তিত্ব তেমনি এই অঞ্চলগুলোকে আলাদাভাবে সমৃদ্ধ করেছে।
নদ-নদীর সমৃদ্ধি যেমন আমাদের কৃষি অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে আবার তাদের বিশালতা আমাদের একটি অঞ্চল থেকে আরেকটির সড়ক ও নৌ-যোগাযোগের দূরত্ব তৈরি করছে। ফলে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও লেনদেন উন্নয়নের যুগে ব্যহত করছে। এই তথ্য-প্রযুক্তির যুগে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম করিডোর হলো যোগাযোগ বা কানেক্টিভিটি। পদ্মা সেতু যেমন পুরো দক্ষিণাঞ্চলকে রাজধানী ঢাকা এবং এক অর্থে পুরো দেশের সাথে যুক্ত করেছে, তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য।
একসময়ের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন দক্ষিণাঞ্চলের জনগণকে তাদের লালিত স্বপ্ন বা মিথ বাস্তবে ছুঁয়ে দেখার অনুভুতি দিয়েছে। এখন আঞ্চলিক সেতুগুলো অর্থ-বাণিজ্যের সংযোগ হিসেবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে এক সুতোয় যুক্ত করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রার নতুন মাইলফলক হয়েছে।
আমাদের এই পদ্মা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের সক্ষমতা ও সম্ভাবনারও উজ্জ্বল স্বাক্ষর বহন করে যাবে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লাইফ লাইন হয়েছে। অবারিত সম্ভাবনার এ সেতু উদ্বোধনের পর একের পর এক নতুন কানেক্টিভিটি ডানা মেলতে শুরু করেছে।
গোপালগঞ্জ-নড়াইলে ‘মধুমতি সেতু’ এবং নারায়ণগঞ্জ বন্দর-জেলা সদরে নির্মিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান সেতু (তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু)’ আলোচনায় বলছি। এই বছরের ১০ অক্টোবর সেতু দুটি উদ্বোধন দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করছে নিঃসন্দেহে। আঞ্চলিক যোগাযোগ স্থাপনেও।
পদ্মা সেতু হয়ে দেশের বৃহত্তম বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সাথে ও বেনাপোল স্থলবন্দরকে সংযুক্তি আমাদের অর্থনীতিতে নতুন ইতিহাসটি রচনা করেছে।
বাংলাদেশের প্রথম ছয় লেনের দৃষ্টিনন্দন মধুমতি সেতু নড়াইল ও গোপালগঞ্জের সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। মধুমতি পাড়ের সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। স্পষ্টভাবে বোঝা গিয়েছে, নড়াইলবাসীর চোখে, মুখে আবেগ উচ্ছ্বাস এবং আনন্দ দেখে।
বিখ্যাত ‘নদীর নাম মধুমতি’ চলচ্চিত্রে অনেকেই আমরা দেখেছি বা পড়েছিও- সবুজ প্রকৃতির কোল ঘেঁষে বয়ে চলা কোমল ও মিষ্টি মধুমতি নদীর নামটিই সেতু তৈরির সময় নাম দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। নামকরণ স্বার্থক হয়েছে। মধুমতি সেতু আমাদের জীবনের আরেকটি রূপ। তার সরকারের ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়ন ও বাংলাদেশকে আধুনিক, সমৃদ্ধ, উন্নত দেশে পরিণত করতে বহুকালের যে স্বপ্নযাত্রা তারা গ্রহণ করেছেন, অর্থনৈতিক কানেক্টেভিটিগুলো উদ্যোগটিতে অনন্য ভূমিকা পালন করে যাবে।
মধুমতি সেতু এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত হওয়ার ফলে অর্থেনৈতিক গুরুত্ব বেড়ে যাবে। তাই সেতুদ্বয় ছয় লেনের সেতুতে রূপদান করা হয় বাংলাদেশে একমাত্র হিসেবে। আর মধুমতি সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে নড়াইলের দূরত্ব হলো মাত্র ১শ ১৩ কিলোমিটার। সেতুটি চালু হওয়ায় আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলা থেকে বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল ও সাতক্ষীরার ভোমরা সরাসরি সংযুক্ত হলো। কালনা নদীর ওপর মধুমতি সেতু দেশের বণিজ্যিক কার্যক্রমে অত্যন্ত গতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বড় ভূমিকা রেখে যাবে। দেশী-তো বটেই বিদেশী বিনিয়োগ আসবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। জেলা শহরের অদূরেই হতে যাচ্ছে আরেকটি বিসিক শিল্পনগরী। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তনের হাতছানি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নও পূরণ হবে। সেতুর পূর্ব পাড়ে গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী ও পশ্চিম পাড়ে নড়াইল লোহাগড়া উপজেলা। নান্দনিক নির্মাণশৈলী ও অনন্য স্থাপত্য কৌশলটি সেতুকে আকর্ষণীয় করেছে। মাঝখানে বসানো ভিয়েতনামে তৈরি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ১শ ৫০ মিটার দীর্ঘ নেলসন লস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) স্টিলের স্প্যান পর্যটন আকর্ষণ সবসময় বাড়িয়ে যাবে। জাপানের বিখ্যাত নিপ্পন কোম্পানির স্প্যানটি সেতুকে স্থায়ীত্ব দিয়েছে।
৬শ ৯০ মিটার দীর্ঘ ২৭.১ মিটার চওড়া সেতুটিতে চারটি উচ্চগতির লেন, দুটি সার্ভিস লেনে সমৃদ্ধ। আছে ৪.৩০ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোডও। ফলে যোগাযোগ নিরাপদ হলো। সহজ হলো।
একই সময়ে উদ্ধোধন হওয়া নারায়ণগঞ্জ বন্দর-জেলা সদরে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান সেতুটিও খুলে দেওয়ার পর দেশের তিনটি জাতীয় মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-মাওয়া-খুলনা একে-অপরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হলো।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান সেতুটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে পদ্মা সেতুর দূরত্ব কমাবে অন্তত ৯ কিলোমিটার। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের দূরত্ব অন্তত ২০ কিলোমিটার কমবে। এখন থেকে ওই দুই পথের যাত্রীদের ঢাকা হয়ে আর কোনাদিন চলাচল করতে হবে না। সে কারণে অন্তত দুই ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহনে। দক্ষিণের যাত্রীরা পদ্মা সেতু দিয়ে মুন্সীগঞ্জ হয়ে শীতলক্ষ্যা সেতু দিয়ে মদনপুর হয়ে চট্টগ্রাম এবং সিলেট যেতে পারবেন। এই সেতু চালুর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর সাথে সংযোগ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের। যারা খুলনা, যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়ার মানুষ, তারা পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করেই সরাসরি চট্টগ্রাম যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বড় দূরত্ব কমে যাবে। তৈরি হলো অর্থনৈতিক অপার সম্ভাবনা। বৃদ্ধি পেল অর্থ ও বাণিজ্য গুরুত্ব।
১.২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ২২. ১৫ মিটার প্রশস্ত মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান সেতু। বহু শতাব্দী আগে থেকে রাজধানী ঢাকা এবং ঢাকার পাশের বিখ্যাত বন্দরনগরী ও অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে অন্য জেলাগুলোর বাণিজ্যিক সংযোগ ঘটালো সেতু পথে। সেতুটিতে ধীরগতির গাড়ি (রিকশা-সাইকেল) চলাচলের জন্যও আলাদা দুটি লেন রাখা হয়েছে। আছে পায়ে হেঁটে পারাপারের জন্য ফুটপাত। ফলে স্থানীয় জনগণের যোগাযোগ আরো সহজ হলো।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান সেতু নারায়ণগঞ্জবাসীর নিত্য যোগাযোগ সহজ করলো। ঢাকা শহরের যানজট নিরসনেও ভূমিকা রাখতে শুরু করলো। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত এই সেতুটি লক্ষাধিক মানুষ নৌকা ও ট্রলারে খেয়া পারাপারের ভোগান্তির অবসান ঘটালো। সেতুর সঙ্গে নতুন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলো। ফলে আরো কাজ করলে মুন্সীগঞ্জসহ আশেপাশের মানুষ পদ্মা সেতু থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা লাভ করবেন। শেখ হাসিনা সরকারের দূরদর্শীতার অনন্য প্রমাণ বাংলাদেশের এই রূপান্তরগুলো। তার নেতৃত্বের স্বারক সেতুবন্ধন। আগামী প্রজন্মের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন প্রাণসঞ্চার।
লেখক : শিক্ষক ও গবেষক।

ছবি : বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান সেতু, মধুমতি ও পদ্মা সেতু।

ওএফএস।

 

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ