কাশফুলের শুভ্রতায় সেজেছে ধরলার পাড়
সবুজ প্রান্তর, শুভ্র কাশফুল আর শরতের নীল আকাশ। কুড়িগ্রামের ধরলার র্তীর এমন অপরূপ রূপে সেজে উঠেছে। ধরলার তীরে কাশফুলের দোলা লেগেছে। এরইসঙ্গে মেতে উঠেছে প্রকৃতিপ্রেমীরা।
উপজেলার শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর উত্তর পাশে গিয়ে দেখা গেছে, কাশফুলের বাগানে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ কাশবনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাঙালিদের মনে দোলা দিতে বর্ষার পরে শুভ্রতার প্রতীক হয়ে প্রতি বছর ফিরে আসে শরৎকালের এই দিনে। ধরলার জেগে উঠা চরজুড়ে সাদা সাদা কাশফুল। তাই তো বাঙালির হৃদয়ে আনন্দের আশা জাগায় শরতের এই কাশফুল। এ কাশফুল শিশিরভেজা মাঠ জুড়ে সবুজ ঘাস, নীল আকাশ ও সাদা কাশফুল মনের হৃদয়ে শিহরণ জাগে।
সীমান্তবর্তী ফুলবাড়ী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটিরই ধরলা নদীর সঙ্গে সংযোগ। ধরলার র্তীরবর্তী ইউনিয়নগুলো হলো নাওডাঙ্গা, শিমুলবাড়ী, ফুলবাড়ী, বড়ভিটা। এই চারটি ইউনিয়নে ধরলা নদীর তীরে ধূ-ধূ বালুচরের মধ্যে বিভিন্ন বিস্তির্ণ উঁচু জায়গাজুড়ে আপন মনে ফুটেছে শরতের সাদা কাশফুল। বিভিন্ন বয়সী মানুষ স্বজন-বন্ধুদের নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে একটু প্রশান্তির জন্য ছুটে যাচ্ছে কাশফুল দেখতে।
সাদা কাশফুল আর নীল আকাশ দেখে মুগ্ধ দর্শণার্থীরা। সেখানে খুঁজে পায় লাল সবুজের বিজয়ের পতাকা ও আমার হৃদয়ের বাংলাদেশ। বাংলাদেশে সাধারণত তিন ধরনের কাশফুল আছে। সমতলে এক প্রজাতি কাশফুল এবং পাহাড়ে দুই প্রজাতির কাশফুল। বাংলাদেশের সব নদীর র্তীরে প্রাকৃতিক জলাশয়ের ধারে বেশি কাশফুল জন্মে।
লালমনিরহাট কালিবাড়ী থেকে আসা দিপা রানী পাল ও শিল্পী খাতুন জানান, আমাদের পরিবারসহ কাশফুল দেখার জন্য এসেছি। আমরা নৌকা ভাড়া করে সবাই কাশবনে অনেক মজা করলাম। কাশবনে মজা করতে খুবেই ভালো লেগেছে আমাদের। সবাই মিলে ছবি তুললাম।
কাশিপুর এলাকা থেকে হাবিবুর রহমান কুড়িগ্রাম সদর থেকে আসা বেলাল মিয়া বিপুল জানান, তারা দুজনেই প্রায় দিনে শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর উত্তর পাশ্বে বিশাল চর জুড়ে কাশবন যান। যতদিন এই কাশফুল থাকবে, তারা কাশবনে যাবেন। অনেক অনেক মজা করেন।
এসএন