বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শিক্ষক গড়ার কারিগর কে?

সাইফুল ইসলাম তালুকদার রনি

আজ ৫ অক্টোবর, বিশ্ব শিক্ষক দিবস। উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষকদের প্রস্তুত করতে ১৯৬৬ এবং ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কোর আয়োজনে দুইটি বড় সম্মেলন হয়েছিল । সেই সম্মেলনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ১৯৯৫ সাল থেকে ইউনেস্কোর নেতৃত্বে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক শিক্ষা (আইই)’র সহযোগিতায় সারা বিশ্বের ১শ টি দেশে ‘আন্তজাতিক শিক্ষক দিবস’ উদযাপন হচ্ছে।

শিক্ষকতা সমাজের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পেশা। সমাজের অন্য সব পেশার মানুষদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতেও শিক্ষকতার বিকল্প নেই। ইউনেস্কো মনে করে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস হল, এমন একটি দিবস-যা শিক্ষকরা কীভাবে যুগের সাথে এই পেশার পরিবর্তন হচ্ছে, আগামীর পরিবর্তনের সাথে সহজে তাল মিলিয়ে নিতে ও শিক্ষকদের জন্য চারপাশের যেমন দেশ এবং জনসাধারণের যে সমর্থন প্রয়োজন তা ব্যক্ত করার জন্য উদযাপন। তারা আরও মনে করেন, এই দিবসের মাধ্যমে শিক্ষকদের অধিকার ও দায়িত্ব এবং তাদের প্রাথমিক প্রস্তুতি, পরবর্তী শিক্ষা, নিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং শিক্ষণ ও শেখার শর্তের মানদন্ড নির্ধারণ করার একটি উপলক্ষ্য।

ইউনেস্কো প্রতি বছর দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি শ্লোগান নির্ধারণ করে থাকে। এবারের-‘শিক্ষার পরিবর্তন শুরু হয় শিক্ষকদের মাধ্যমে।’ তার মানে, শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হলে আগে শিক্ষকদের পরিবর্তন করতে হবে। সমাজে একটি প্রচলিত কথা রয়েছে, মানুষ গড়ার কারিগর হলেন শিক্ষকরা। তবে যারা সমাজ ও দেশের আগামীর ভবিষ্যৎ গড়বেন তাদের গড়বেন কে? ফলে শিক্ষক হলেন সমাজের সবচেয়ে বিশ্বস্ত, সকল প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান উৎপাদনকারী, সমাজে যেকোনো সমস্যার পরামর্শকারী ও দেশের যেকোন উন্নয়নের নীতিগত অংশীদার।

কিন্তু দুঃখের বিষয় সাম্প্রতিক কালের দৈনিক পত্রিকা পড়লে শিক্ষকদের ইতিবাচক দিকের চেয়ে নেতিবাচক দিকগুলো বেশি পড়তে হয়। চলতি বছরের জুনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের একটি প্রতিবেদনে আছে, ১ হাজার ১শ ৮ জন শিক্ষক পাওয়া গেছে, যারা জাল সনদে চাকরি করছেন বছরের পর বছর। ১০ বছরে ২৪ হাজার ১শ ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে জাল সনদধারী এই শিক্ষকদের সনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রায় দুই লাখের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সবগুলো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সনদ যাছাই করলে জাল সনদধারী শিক্ষকের সংখ্যা কমবে না বরং বাড়বে। তাহলে এই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কী শিক্ষা দেবেন? সমাজের আগামী প্রজন্ম গড়ার কারিগরদের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ কীভাবে বিনির্মান করা যাবে? আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম, বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুন নিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কিছু শিক্ষক ঘুষের মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন। এই উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে সব সময় প্রশ্ন ওঠে এবং তাদের সবচেয়ে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে তার সমাধান ঘটে। তবে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা অনেক বেশি রয়েছে। ভেতরে অনেক গলদ। ঢাকার আরেকটি নামকরা বেসরকারী উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অবৈধভাবে নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেই যাচ্ছেন। আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের র্দুনামের শেষ নেই। আবার সুনামও অশেষ। তবে এমনদের কারণ হলো প্রতিষ্ঠানগুলোকে সৎভাবে চালু রাখতে না পারা।

শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আন্ত:বিভাগীয় মামলার কারণে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষক ও যোগ্যকর্মীর অভাব প্রবল। দেশের অসংখ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকবিহীন চলছে। অধ্যক্ষ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলছে, তার সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন। আর সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে তো দলীয় লোক ছাড়া শিক্ষক বাদে আর কোনো পদে নিয়োগ হয় না এবং তারা কেউ মনোযোগ দিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করেন না। ফলে সরকারের ভর্তুকি নয়, তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও সুষ্ঠু কর্মক্ষেত্রের ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রত্যেকটি উপজেলায় অন্তত একটি কলেজকে সরকারি করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে জাতীয়করণে সম্মতি প্রদান করেছেন শেখ হাসিনা। এখন পর্যন্ত ৩শ ২৪টি কলেজকে জাতীয়করণ করার গেজেট জারি হয়েছে ও সেগুলো জাতীয়করণ হয়েছে এবং হচ্ছে। তবে গত ৬ বছরে মাত্র ১০টি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি সরকারি হয়েছে। এর কারণও তাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অযোগ্যতা। এক্ষেত্রে ঢাকাসহ সারা দেশের আইইআর এমএডধারীদের প্রাতিষ্ঠানিক পদে চাকরি প্রদান ভালো সমাধান।
পত্রিকার মাধ্যমে আমরা আরো জানতে পারলাম, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যাপক বেশি, প্রভাষক কম! শিক্ষকরা প্রভাষক হয়েই চেষ্টায় থাকেন কখন অধ্যাপক তকমা নেওয়া যায়। কারণ সুযোগ, সুবিধা, আরাম, আয়েশ হাজার গুণ বেশি। সবাই পদোন্নতির পেছনে দৌড়াতে, দৌড়াতে ক্লাসে পড়ানো ও গবেষণা ভুলে গিয়েছেন। অথচ শিক্ষকতা আরাধনা। সময়ের শ্রেষ্ঠ তপস্যাটি অধ্যাপনায় নিযুক্ত হবার দিনটি থেকে তারা ভুলে যেতে থাকেন। এই সত্য যেকোনো নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে চরম বাস্তবতা।

এই ভুলের যাওয়ার কারণগুলো শিক্ষাবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে এবং নিজেও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে কর্মের সুবাদে এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষকতার ফলে তুলে ধরছি।

শিক্ষায় পর্যাপ্ত বিনিয়োগ নেই : আমাদের দেশে শিক্ষায় পর্যাপ্ত বিনিয়োগ নেই। যা আছে তারও সুষম বন্টন হয় না। সুষ্ঠুভাবে ও দুর্নীতিমুক্ত বরাদ্ধ করা অর্থও কাজে লাগালে শিক্ষকতার বেহাল দশা তৈরি কখনো হয় না। ভারতের নোবেলজয়ী শিক্ষাবিদ কৈলাশ সত্যার্থী বলেন, শিক্ষায় ১ ডলার বিনিয়োগ করলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে ১৫ গুণ ফেরত পাওয়া যায়। এছাড়াও যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভালো ছাত্র ও ভালো মানুষ তৈরি করে বলে এই সত্যটি যথার্থ। ফলে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে শিক্ষকতা পেশায় মেধাবীদের আগ্রহ বাড়াতে হবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ও যুগোপযোগী মূল্যায়নের মাধ্যমে এই পেশায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে।

মানসম্মত নিয়মিত প্রশিক্ষণের অভাবঃ পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে শিক্ষক হওয়ার জন্য ব্যাচেলর ইন এডুকেশন ও মাস্টার্স অব এডুকেশন ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। তিনি যে পর্যায়ের, যে বিষয়ের শিক্ষকই হতে চান না কেন, তার নিজস্ব বিষয়ে ডিগ্রির পাশাপাশি ব্যাচেলর ইন এডুকেশন ডিগ্রি থাকতেই হবে। বাংলাদেশে প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। আইইআর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। আবার আমাদের দেশে এমন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যাদের এই ডিগ্রি লাগে না। ফলে এই বিষয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ তেমন নেই বললেই চলে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের জন্য সারা বাংলাদেশে মাত্র ৬৭টি পিটিআই রয়েছে। এই পিটিআইগুলো চরম শিক্ষক সংকটে রয়েছে। এগুলো তো উন্নত প্রতিষ্ঠান। তাহলে অবহেলা কার? ২০১৯ সালের পর থেকে পিটিআইগুলোতে নতুন করে কোন প্রশিক্ষক নিয়োগই হচ্ছে না মামলা জটিলতায়। শিক্ষক দলাদলি প্রাথমিক শিক্ষাকেও গিলে খাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর)। তাদের কার্যক্রমকে মূল্যায়ন করতে হবে। কোনোভাবেই তারা মূল্যায়িত হন না। এই ইনস্টিটিউটগুলোর মান ও স্বকীয়তা আরও বৃদ্ধি প্রয়োজন। ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের জাতীয় পাঠ্যপুস্তক প্রনয়ণসহ নানান নীতিমালা তৈরিতে যথাযথ ব্যবহারে রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা পরিলক্ষিত হয়েছে।

শিক্ষকতা আকর্ষনীয় পেশা নয় : বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় বাদে এবং নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদে এখনো শিক্ষকতা বাংলাদেশে টিউশনি ও কোচিং নির্ভর। ফলে আকর্ষনীয় পেশা নয়। বেতন যার যা খুশি দেন। কোনো নজরদারি নেই। ঘুষ পিয়ন, দারোয়ান, অফিস স্টাফকে বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিলে ছাত্র মানবিক ও ভালো মানুষ কীভাবে হবে? ফলে এখনো নিরুপায় হয়ে বা পিছনে থেকে শিক্ষকতায় আসতে হয়। সবাই বিসিএস অ্যাডমিন বা পুলিশ ক্যাডার হতে চায়। ছোট বেলায় সবাই শিক্ষক হতে চাইলে অন্যরকম দেশ হতো। স্বেচ্ছায় ও লক্ষ্য সামনে রেখে আসার সুযোগ নেই।

শিক্ষকদের পর্যাপ্ত স্বীকৃতি নেই : সরকারীভাবে শিক্ষকদের কাজের স্বীকৃতি পর্যাপ্ত নয়। বেসরকারীভাবে নেই। দেশে প্রথম আলো সীমিত পর্যায়ে ‘সেরা শিক্ষক সম্মাননা’ চালু করেছে। আলোকিত টিচার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের ‘আইডিয়া চ্যালেঞ্জ’ নামে প্রতি বছর স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করে। সরকারী স্বীকৃতি উপজেলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু আছে। তবে যেহেতু রাজনীতির চাষাবাদ হয় প্রতিটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে এবং সরকার তরফে ফলে এই ধরনের বেসরকারি উদ্যোগ আরও বাড়াতে হবে।

এই দিবস উপলক্ষ্যে শিক্ষকদের জন্য কিছু দাবি : প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত সংখ্যার যোগ্য ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক থাকা উচিত। বাংলাদেশে এই অভাব খুব। যারা সত্যিকারের শিক্ষক হতে চায় তাদের সুযোগ দেওয়া হোক। ছাত্র শিক্ষকের ক্লাসরুমের অনুপাত কোথাও ঠিক নেই। যারা ভালো তাদের বেশি, যারা খারাপ তাদের ছাত্র, ছাত্রী নেই। অথচ খারাপ ছাত্রকে ভালো করে তোলাই শিক্ষকের কাজ। কোন উপায় না পেয়ে আমাদের দেশের চাকরিপ্রার্থীরা এই পেশায় আসেন। ফলে কাংখিত ফল লাভে ব্যর্থ হন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আরো পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে। সমাজে নেতৃত্ব দানেও শিক্ষকদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে দুইজন মন্ত্রীই অশিক্ষক! প্রাথমিক ও গণ-শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও তাই। ধর্ম, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের মত এই মন্ত্রনালয়গুলোর মন্ত্রীরা শিক্ষক হলে দেশ আরো অনেক বেশি উপকৃত হয় বলে দৃঢ় বিশ্বাস। ফলে সমাজের প্রতিটি স্তরে শিক্ষকদের নেতৃত্ব দানের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। তাদেরকে রাজনীতি এগিয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে বাংলাদেশে আলাদা রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে। সামাজিক ও নীতি-সংলাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে হবে। সমাজের সৃষ্ট সমস্যা সমাধানেও শিক্ষকদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সামাজিক ও নীতি-সংলাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে হবে। সমাজের সৃষ্ট সমস্যা সমাধানেও শিক্ষকদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সমাজের সৃষ্ট সমস্যা সমাধানেও শিক্ষকদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। শিক্ষকদের জন্য আলাদা বৃত্তি ও কাজের স্বীকৃতস্বিরূপ তাদের বই প্রকাশ করে দিতে হবে সরকারী ও বেসরকারীভাবে। তাদের বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার তৈরি করে দিতে হবে। তাদেরকে নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিদ্যালয় উন্নত করে দেওয়াও পুরষ্কার হতে পারে।

বাংলাদেশে হাতেগোনা যেকটি প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে তাদের মধ্যে ‘আলোকিত টিচার্স’ নামের একটি অত্যাধুনিক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। ২১ শতকের আধুনিক ও যুগোপযুগী শিক্ষক গঠনে প্রতিষ্ঠানটি নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এই পর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজারের মত সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে প্রায় ২২টির মতো কোর্স, যেগুলো সামাজিক, দক্ষ ও আধুনিক শিক্ষক তৈরিতে ভূমিকা পালন করে চলছে। একজন শিক্ষক হলে অথবা শিক্ষকতা যদি স্বপ্ন হয় তাহলে সেই প্ল্যাটর্ফমে যেতে পারেন এক ক্লিকে। ইন্টারনেটে ইংরেজিতে আলোকিত টিচার্স সার্চ দিলেই হাতের মুঠোয় পেয়ে যাবেন শিক্ষক প্রশিক্ষিত হওয়ার পথ।

পরিশেষে নোবেল জয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের চমৎকার উক্তি দিয়ে শেষ করছি। মালালা বলেছিলেন, একটি বই, একটি কলম, একটি শিশু ও একজন শিক্ষক বিশ্বকে পরিবর্তন করে দেয়। সত্যিই একজন শিক্ষক চাইলেই গোটা বিশ্বকে পরিবর্তন করে দিতে পারেন। তবে বিশ্ব পরিবর্তন করতে চাইলে, শিক্ষকেই পিরিবর্তিত হতে হবে যুগ, সময় এবং বিশ্বের একধাপ আগে। বাংলাদেশে এই চর্চা তিন চারজন শিক্ষক ছাড়া আর কারো নেই। একজন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, আরেকজন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। অন্যদের খুঁজে বের করতে হবে।

লেখক : জনসংযোগ কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি), সাবেক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মকর্তা, আলোকিত টিচার্স।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানিদের জন্য ‘সার্ক ভিসা ছাড়’ সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। সেই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দেশটির মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত:

সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত ঘোষণা। ভারত বলছে, পাকিস্তান যতদিন সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ না করবে এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন ত্যাগ না করবে ততদিন এটি স্থগিত থাকবে। ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর করাচিতে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খান সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় বহুল আলোচিত এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

২. অবিলম্বে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাদের বৈধ নথি রয়েছে তারা ১ মে এর আগে সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবেন।

৩. সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম (এসভিইএস) এর আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না। পাকিস্তানি নাগরিকদের অতীতে জারি করা যেকোনো এসভিইএস ভিসা বাতিল বলে গণ্য হবে। এসভিইএস ভিসায় বর্তমানে ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদেরও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।

৪. নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সামরিক, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত ছাড়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবেন তারা। ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভারত। সংশ্লিষ্ট হাইকমিশনের এই পদগুলো বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় হাইকমিশন থেকে সার্ভিস অ্যাডভাইজারের পাঁচজন সাপোর্ট স্টাফকেও প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

৫. হাইকমিশনের সামগ্রিক জনশক্তি ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা ১ মে এর মধ্যে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার বিকালে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অস্ত্রধারীরা জঙ্গল থেকে বের হয়ে পর্যটকদের ওপর গুলি চালাতে থাকেন। হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা অন্তত ২৬।

পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর–ই–তৈয়েবার সহযোগী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) মঙ্গলবার বিকালের হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এদিকে এ ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীর’র পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান উদ্বিগ্ন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পাকিস্তান নিন্দা প্রকাশ করছে। নিহতের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করছে পাকিস্তান।

এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বার্তায় তিনি বলেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন। আমরা এ জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আবারও নিশ্চিত করছি যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময় দৃঢ়।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশে সরকার পরিবর্তন হলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জানিয়েছেন, সরকার গঠনের পর যারা চাকরি খুঁজেও পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এক বছরের ‘শিক্ষিত বেকার ভাতা’ চালু করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই তাদের কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে সরকার।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুর জেলা বিএনপির নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত পরিকল্পনা নিয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা একটি পরিকল্পনা করছি—যাতে যারা এখনো চাকরি পাননি, তারা যেন সরকারের সহযোগিতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সহায়তা পান। এই সময়টিতে সরকার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে উভয়ের উদ্যোগেই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে ব্যাপক দলীয়করণ হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক তরুণ নেতাকর্মী, যাঁরা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তারা বয়স পার করে ফেললেও কোনো চাকরি পাননি। “শুধু ছাত্রদল নয়, আরও অনেক সাধারণ মানুষ আছেন যারা সরকারের অনুগত না হওয়ায় চাকরির সুযোগ হারিয়েছেন। এ বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে,” বলেন তারেক।

বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যবিমা চালু করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারেক রহমান বলেন, “২০ কোটির বেশি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা বিশাল বাজেট ও কাঠামোগত পরিকল্পনা দাবি করে। এটা অব্যবস্থাপনার জায়গা নয়, এটা করতে হলে বাস্তবতা মাথায় রেখে ধাপে ধাপে এগোতে হবে।”

তিস্তা নদী ঘিরে রংপুর অঞ্চলের মানুষদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “তিস্তা শুধু নদী নয়, রংপুর বিভাগের অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতীতে তিস্তাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি হয়েছে, কিন্তু মানুষের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিএনপি সরকারে গেলে তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাস্তব ভিত্তিক ও জনগণকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণ করবে।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু এবং উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

Header Ad
Header Ad

এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জমিগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ৪০৭ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব জমি ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে আবেদন করেন উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে চলমান তদন্তে দেখা যায়, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল পরিমাণ জমি ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদ তারা অন্যত্র বিক্রি বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। ফলে তদন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় এসব জমি ক্রোকের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

জমিগুলো যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ট্রেড লিংক, ইভেন্ট টাইটান ইন্টারন্যাশনাল, পাইথন ট্রেডিং কর্নার, ইসলাম ট্রেডার্স, ডায়মন্ড বিজনেস হাউস, এএইচ সেন্টারসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের সরাসরি আর্থিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।

এর আগেও এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক দফায় আদালত সম্পদ ও শেয়ার অবরুদ্ধ এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তার ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা শেয়ার, জমি ও ব্যাংক হিসাব পর্যায়ক্রমে অবরুদ্ধ ও ক্রোক করে আদালত।

এস আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে এখন পর্যন্ত ১৩০০-এর বেশি ব্যাংক হিসাব, হাজার একরের বেশি জমি এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার শেয়ার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুদক জানিয়েছে, তদন্তে আরও নতুন সম্পদের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

দুদক বলছে, মানি লন্ডারিং ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান
এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ
সীমান্তের সব ভিডিও সত্য নয়, আবার সবটা যে মিথ্যা তাও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির
টাঙ্গাইলে বেড়েছে গরমের তীব্রতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
সরকার সরিয়ে না দিলে পদত্যাগ করব না: কুয়েট ভিসি
বিরামপুরে ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে 'ভুয়া সেনাসদস্য' আটক
হাসিনাকে যারা খুনি হতে সাহায্য করেছে, তাদেরও বিচার করতে হবে: সারজিস আলম
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুললো আবাসিক হল
কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, মসজিদে ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু
ইতিহাস গড়ল জিম্বাবুয়ে, ঘরের মাঠে লজ্জার হার বাংলাদেশের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটে প্রথম আব্দুল্লাহ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যা: প্রধান আসামি মেহরাজ গ্রেপ্তার
তুরস্কের ইস্তানবুলে একের পর এক ভূমিকম্প
এবার সেই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন পরীমণি
দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা
আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই: মির্জা আব্বাস
কাশ্মীরের হামলা ‘সাজানো’ দাবি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের
ভাইরাল ভিডিও সমন্বয়ক রুবাইয়ার নয়, দাবি এনসিপি নেতার