‘ডাক্তার খেতে না বললে ডাব খায় না গরিবরা’
পুরান ঢাকার সুমনা হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত সন্তানকে ভর্তি করেছেন কেরানীগঞ্জের আজমেরী জাহান। ডেঙ্গুর জন্য প্রচুর পানীয় ও ফলের জুস খেতে বলেছেন ডাক্তার। তাই বাহাদুর শাহ পার্কে ডাব কিনতে এসেছেন তিনি। তবে ডাবের দাম সাধ্যের বাইরে। তবুও বাধ্য হয়েই ডাব কিনতে হচ্ছে তাকে। একটি ডাব কিনেছেন ৯০ টাকায়, তবু জুতসই নয়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাবে দাম বেড়েছে সব কিছুর। অন্য সব কিছুর সঙ্গে তাল মেলাতেই বেড়েছে এই পানীয়র দাম। ডাবের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ ডাবের সংকট ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট।
খুচরা ক্রেতাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে পাইকারি বিক্রেতাদের নামে। অন্যদিকে, ডাবের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ চাঁদাবাজি। ভ্যানে করে ডাব বিক্রি করলেও চাঁদা দিতে হয় স্থানীয় প্রভাবশালীদের। আগে প্রতি ১০০ ডাবের দাম ছিল ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা বর্তমানে সেটি বেড়ে হয়েছে ৯ থেকে ১১ হাজার টাকা।
পুরান ঢাকায় ৫ বছর ধরে ডাব বিক্রি করে বরিশালের সিদ্দিক আমিন। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আগের চেয়ে দাম অনেক বেড়েছ, এখন আগের মতো ডাব আসে না। ডাব না আসলে দাম বেড়ে যায়। বিক্রিও আগের মতো নেই। ডাক্তার রোগীকে খাইতে না বললে গরিবরা এসব কিনে খায় না।’
আরেক বিক্রেতা সুমন বলেন, ‘ডাব বেইচ্চা কয় টাকা লাভ হয় মামা। সবার এখন হাত ছ্যাঁচড়া। এরে ১০ টাকা ওরে ২০ টাকা দেওয়া লাগে। বেইচা আর কয় টাকা লাভ থাকে। এহন সব কিছুর দাম বাড়ছে। ডাব কিনতে গেলে যদি কই, এত দাম কেন? কয় নিলে নেন নইলে বাদ দেন। আমরা কই যামু?’
ডাব কিনতে এসে দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। তাদের সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশ-এর। তারা জানান, ডাবেরর অনেক দাম, তাই কেনা সম্ভব হচ্ছে না। আগে ৬০-৭০ টাকা ছিল বর্তমানে সেটি প্রায় ১০০ টাকা। ‘গরমে ডাব খেলে ভালো লাগে সবাই জানি, কিন্ত দামের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছি না। সবকিছুর এত দাম, কীভাবে কিনব’।
এমএমএ/