বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৪ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিশুদের বিকাশে পথ দেখাবে ‘শৈশব’

‘শৈশব’ মানেই দুরন্তপনা। এই পাড়া, ওই পাড়া ঘুরে বেড়ানো। এই মহল্লা থেকে ওই মহল্লায় ছুটে চলা। বাড়ির পাশে খালি জমিনে বসে ঘুড়ি উড়ানো কিংবা হাতের কাছে যা পাই তা নিয়েই খেলাধুলা করা। কাদা-পানিতে মাখামাখি করা। নানা খেলায় মেতে উঠা। গ্রামাঞ্চলে এমন শৈশব এখনো দেখা যায়। কিন্তু শহরে ‘শৈশব’ বন্দি চার দেয়ালের মধ্যে।

খেলার মাঠ থাকলেও পরিবেশ নেই। খেলার সঙ্গী পাওয়া বেশ মুশকিল। বিদ্যালয়গুলোতেও মাঠের অভাব। পিতা-মাতারা ব্যস্ত চাকরি-সংসারসহ নিজস্ব কাজে। শিশু তখন একাকিত্বে ভুগে। তার উপর গত দুই বছরে কোভিড-১৯ নামের মহামারি এসে এই পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর মত বাংলদেশেও আঘাত করেছে সব শ্রেণির মানুষের উপর। শিশুরাও বাদ যায়নি। এমনিতেই চার দেয়ালে বন্দি শিশুদের শৈশব তখন আরও সংকীর্ণ হয়ে আসে। তাদের মধ্যেও বিষণ্নতা চলে আসে।

কিন্তু ব্যস্ত এই শহরে শিশুদের কথা কয়জনই বা ভাবেন, শিশুর মনোজগত নিয়ে কাজ করেন। শিশু কি চায়? কি করলে শিশুর মন চাঙ্গা থাকবে? শিশুদের শৈশব হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত।

শিশুদের কথা মাথায় নিয়েই কাজ করছেন একজন ফারহানা মান্নান। নিজের দুই শিশু কন্যা চিনি আর মধুর সঙ্গে খেলাধুলা করতে করতেই তাদের নানা প্রশ্ন আর কৌতুহল তার ভাবনায় ঢুকিয়ে দেয় শিশুদের মনোজগত। তাদের শৈশবকে কীভাবে আরও সুন্দর ও বর্ণিল করে তোলায় যায় তা নিয়ে নিজেই গবেষণা শুরু করেন। এরই এক পর্যায়ে তার মাথায় যায় শিশুদের শৈশব নিয়ে কাজ করার বিষয়টি। তখনই গড়ে তুলেন ‘শৈশব’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

প্রায় তিন বছর আগে একেবারেই ব্যক্তি উদ্যোগে ‘শৈশব’ গড়ে তুললেও এগুচ্ছিলেন একটু একটু করে। কিন্তু কোভিড এসে সেই উদ্যোগে একটা ধাক্কা দেয়। তাতে থেমে থাকেননি পেশায় শিশু বিষয়ক গবেষক ও লেখক উদ্যোক্তা ফারহানা। শুরু করেন ভার্চুয়ালি কার্যক্রম। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শৈশবকে তুলে ধরেছেন বিভিন্ন সময়ে। অতি সম্প্রতি তিনি তার সেই উদ্যোগকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডের ই-ব্লকের একটি বাসায় শুরু করেছেন ‘শৈশব’ এর কার্যক্রম।

চলুন আমরা এখন ‘শৈশব’ এর কার্যক্রমের সঙ্গে একটু পরিচিত হয়ে আসি। জেনে আসি কীভাবে শিশুদের মনোজগত তৈরিতে ভূমিকা রাখবে শৈশব।

জাকির হোসেন রোডের যে ভবনটিতে ‘শৈশব’ এর কার্যক্রম চলছে সেই বাড়ির প্রথম তলা থেকে সিড়ি ধরে উঠতেই চোখে পড়বে শিশুদের দৃষ্টি আকর্ষণে অনেকগুলো চিত্র। কোনোটাতে খেলাধুলার সামগ্রি, কোনোটাতে বিজ্ঞান বিষয়ক নানা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আছে রিকশার চেইন, বিয়ারিংয়ের ছবিও। দোতলায় শৈশবের রিসিপশন কক্ষে ঢুকলেই চোখ আটকে যাবে ঘুড়ি উড়ানো একটি স্থিরচিত্রে। আছে দোলনায় চড়ার চিত্রও। লাল-সবুজের পতাকাকে শিশুদের সামনে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চমৎকারভাবে।

রিসিপশন থেকে হাতের বামের কক্ষের ভিতরে প্রবেশ করলেই দেখা মিলবে সব ধরনের খেলার সামগ্রির। বিশেষ করে বিজ্ঞান বিষয়ক সামগ্রিই বেশি। এটিকে মূলত বলা হচ্ছে স্ট্রিম রুম। একটি সুউচ্চ ভবন কীভাবে তৈরি হয়, তার ভিত্তিটা কীভাবে করতে হয়? এ সব শিশুরা শিখবে খেলতে খেলতে। বিজ্ঞানের আরও নানা বিষয় শিখতে পারবে শিশুরা। কম্পিউটার সম্পর্কে পাবে ধারণা।

এই কক্ষ থেকে বের হয়ে হাতের ডান দিকের কক্ষটিতে গেলে শিশুরা দেখতে পাবে অনেকগুলো বাঁধাই করা ছবি। যেগুলোতে তুলে আনা হয়েছে গ্রামবাংলার শৈশবের চিত্র। এই কক্ষে প্রাণভরে খেলাধুলাও করতে পারবে।

পাশের কক্ষে ঢুকার আগেই করিডোরের দেওয়ালে চোখে পড়বে বাঙালির সাত বীরশ্রেষ্ঠকে। ছবিতে বাঁধাই করে তাদেরকে আগামীর প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। আর সড়কের পাশের বারান্দা সাজানো হয়েছে শিশুদের খেলাধুলার জন্য।

শৈশব সম্পর্কে জানতে চাইলে এর উদ্যোক্তা ফারহানা মান্নান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, স্ট্রেম সম্পর্কে অনেকেই জানেন, যারা শিক্ষা নিয়ে গবেষণা করেন বা ভাবেন। আমি এটাকে স্ট্রিম বলছি। সায়েন্স, টেকনোলজি, আর্ট, ম্যাথমেটিকস। আমরা শিশুদের নিয়ে কাজ করি যাদের বয়স দুই থেকে আট বছর তাদের জন্য আর্টসটা খুব দরকার। আমরা স্ট্রিম অ্যাপ্রোচ নিয়ে কাজ করি। এটার মাধ্যমে বাচ্চারা খেলবে এবং শিখবে। এটাই হচ্ছে আমার মূল বিষয়।

আমরা স্কুলে স্কুলে গিয়েছি। স্কুলে দুই ঘণ্টার ওয়ার্কশপ করেছি। শিক্ষক, অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করে আমরা ওয়ার্কশপ করেছি। আমরা বেশ সাড়া পেয়েছি।

ফারহানা মান্নান বলেন, শৈশবের পুরো পরিবেশটা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সাজানো। শিশুদের চাইল্ড এরিয়াগুলোকে ডেভলপ করার চেষ্টা করেছি। শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে মনোযোগ দিতে হয়। যেমন ল্যাঙ্গুয়েজ, ইমোশনাল, স্যোশাল এবং ফিজিক্যাল ডেভলপমেন্ট নিয়ে। আমরা সেন্টারটা সাজানোর ক্ষেত্রে এগুলো নিয়েও ভেবেছি।

আমরা দুটি প্রোগ্রাম করছি। একটি হচ্ছে শিশুদের ছয় মাসের একটা প্রোগ্রাম। তারা ভর্তি হবে ছয় মাসের জন্য। সপ্তাহে দুদিন দুই ঘণ্টা আমাদের সঙ্গে কাটাবে। ছয় মাসে মোট ৪৮টি ক্লাস পাবে। সেখানে আমরা তাদের গাইড করে খেলতে শিখাব। একদম সিলেবাস ধরে। সেখানে সায়েন্সের ১০টা, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১০টা, আর্টসের আটটা,ম্যাথমেটিকসের ১০টা, টেকনোলজির ১০টা।

আরেকটা হচ্ছে মুক্তভাবে খেলার একটা সময়। অভিভাকরা তাদের সন্তান নিয়ে আসবেন। বাচ্চারা খেলবে, অভিভাকরাও তাদের সঙ্গে খেলবে। তাদের বাড়িতে হয়ত এতো খেলনার উপাদান নাই। আমরা চাই, তারা এখানে আসুক, সব রকমের খেলনা নিয়ে খেলুক। বিশেষ করে কোভিড সময়ে জন্ম নেওয়া শিশুরা বেড়ে উঠছে একাকীত্বে। তারা সহজে মিশতে পারছে না। তাদের বিকাশের জন্য শৈশব ভূমিকা রাখবে।

একটা বিষয় দেখা যায় শিশুদের মধ্যে। তারা কোনো খেলা শুরু করলে শেষ করতে চায় না। নাড়াছাড়া করে একটা ছেড়ে আরেকটায় চলে যায়। একটা অস্থিরতা দেখা যায়। এই বিষয়গুলোতে আমরা মনোযোগ দেব।

ফারহানা মান্নান জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এখানে সায়েন্স, আর্টস, টেকনোলজি, কম্পিউটার, ম্যাথমেটিকস, ইঞ্জিনিয়ারিং এ শিশুদের জন্য আলাদা আলাদা খেলনা থাকবে। শিশুদের জন্য বুকস কর্নার, ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি রুম, কমিউনিটি জোন, সেন্ট প্লে, ওয়াটার প্লে কর্নার থাকবে, তারা খেলাধুলা করবে। ‘শৈশব’ এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে যে, একটা শিশু ঢুকে দুই ঘণ্টা সময় অনায়াসে খেলতে পারবে।

দুই থেকে আট বছর বয়সের শিশুরা এখানে ভর্তি হতে পারবে। এখানে এই বয়সী শিশুদের জন্যে খেলনা আছে।

ব্যক্তি উদ্যোগে ‘শৈশব’ শিশু সেন্টার করতে গিয়ে নানামুখি প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়েছে। একটা বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থ। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে এই সংকট কাটিয়ে শৈশবকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে, যোগ করেন ফারহানা মান্নান।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা রেলের আন্দোলনে: নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বানির শ্বশুর

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের বিশেষ সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতির ফলে সারাদেশে রেল চলাচল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। রানিং স্টাফদের মধ্যে ট্রেনচালক, গার্ড, সহকারী চালক এবং টিটিই অন্তর্ভুক্ত, যারা ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এই কর্মীদের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। তাদের দাবি, ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা মাইলেজসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো পুনরায় কার্যকর করতে হবে।

এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা এবিএম শফিকুল আলম ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানির শ্বশুর। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ তিনি আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ২০২১ সালে তিনি তার ফেসবুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন। এছাড়া তার সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতেও আওয়ামী লীগ সমর্থনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

আন্দোলনের পেছনে রানিং স্টাফদের দাবি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে তাদের অনেক সুবিধা বাতিল করা হলেও কিছু সুবিধা পুনর্বহাল করা হয়েছিল। তবে এখন তারা দাবি করছেন, এসব সুবিধা পুরোপুরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ২০২২ সালে এমনই এক কর্মবিরতির মাধ্যমে তাদের কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমানে তারা পূর্বের সুবিধাগুলো সম্পূর্ণভাবে কার্যকরের বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছেন।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয় অন্য কোনো সরকারি কর্মচারীদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা অনুমোদন করেনি। তাই রানিং স্টাফদের জন্য এটি চালু রাখার বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এমন আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

এদিকে, এই আন্দোলনের ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের পরিবহন খাতেও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে, তবে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। রানিং স্টাফ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, তারা গত ১৭ বছর ধরে এই দাবিতে আন্দোলন করছেন এবং বর্তমান আন্দোলন তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

Header Ad
Header Ad

বেরোবিতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করেছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের গ্যালারিরুমে “দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা: কী চাই এবং কেনো-কর্তৃত্ববাদ, ফ্যাসিবাদ না গণতন্ত্র” শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সমাজ-রাজনীতি বিশ্লেষক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। সেমিনারের সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী গোলাম মোস্তফা কামাল।

কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান দক্ষিণ এশিয়ার গণতান্ত্রিক অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, “মালদ্বীপ, পাকিস্তান এবং ভারতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা বিফল হয়েছে। মালদ্বীপ রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়েছে। তবে ভারতবর্ষের মানুষ শাসনকে ভয় পায়, যা ফ্যাসিবাদের জন্ম দেয়।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে শিক্ষক, ছাত্র, গণমাধ্যমসহ অনেকে সরকারের তোষামোদ করেছেন। এতে শাসকের কার্যক্রমের সমালোচনা কম হয়েছে, যা ফ্যাসিবাদের বিকাশে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশে গত তিনটি নির্বাচন জনগণের মূল্যায়ন ছিল না।”

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী রেজুয়ান হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মোছা. রাজিয়া সুলতানা ও মো. সাইফুল ইসলাম, প্রভাষক মুনমুন আক্তার এবং জামিলুর রহমান।

এ সেমিনারটি দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।

Header Ad
Header Ad

ভারতে গোমূত্রের পর এবার চীনে বিক্রি হচ্ছে বাঘমূত্র!

ছবি: সংগৃহীত

ভারতে গোমূত্র নিয়ে ব্যাপক চর্চার পর এবার চীনে শুরু হয়েছে বাঘমূত্র বিক্রি। বাঘমূত্রকে বাতজনিত রোগের কার্যকরী ওষুধ হিসেবে দাবি করছে চীনের সিচুয়ানের একটি চিড়িয়াখানা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

চীনের সিচুয়ান প্রদেশের ইয়ান বিফেংশিয়া ওয়াইল্ডলাইফ জু নামে একটি চিড়িয়াখানা বোতলজাত বাঘমূত্র বিক্রি করছে। ২৫০ মিলিলিটারের প্রতিটি বোতলের দাম ধরা হয়েছে ৫০ ইউয়ান (প্রায় ৮৪৭ টাকা)।

ওই চিড়িয়াখানা দাবি করেছে, বাঘমূত্র বাতজনিত রোগ বা রিউম্যাটিজম সারাতে সহায়ক। ব্যবহারের জন্য মূত্রের সঙ্গে সামান্য হোয়াইট ওয়াইন এবং আদাকুচি মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কেউ চাইলে মূত্র পান করেও ব্যথা কমাতে পারেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে বাঘমূত্র সেবনের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চিড়িয়াখানার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাঘেরা যে বেসিনে প্রস্রাব করে, সেখান থেকে মূত্র সংগ্রহ করা হয়। তবে এটি খুব সীমিত পরিমাণে বিক্রি হয়। প্রতিদিন মাত্র দুই বোতল বাঘমূত্র বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ভারতের মতো চীনের এই ঘটনা নিয়েও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষত, বাঘমূত্রের ওষুধ হিসেবে কার্যকারিতা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি এবং কৌতূহল দুটোই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা রেলের আন্দোলনে: নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাব্বানির শ্বশুর
বেরোবিতে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধাঁধা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
ভারতে গোমূত্রের পর এবার চীনে বিক্রি হচ্ছে বাঘমূত্র!
ব্রাজিল বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চায়: আমীর খসরু
ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
আইনি লড়াইয়ে নয়নতারার বিপক্ষে ধানুশের বড় জয়
দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে চলছে: রিজভী
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে: তারেক রহমান
ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসকে রক্ষা করতে চান? জেনে নিন উপায়
৩৩৭ জনকে নিয়োগ দেবে বন অধিদপ্তর, আবেদন অনলাইনে
নবাবগঞ্জে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১
সব ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত
টাঙ্গাইলে দুই গ্রামের বিরোধের জেরে হামলা, বাবা-ছেলেসহ আহত ৩
ট্রেন ধর্মঘটে বেনাপোল স্টেশন ফাঁকা
দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার সাদ্দাম হোসেন
বিএনপির সাবেক এমপি আব্দুল মোমেন তালুকদার মারা গেছেন
ভারতে লাড্ডু বিতরণের সময় ভেঙে পড়ল ৬৫ ফুট উঁচু মঞ্চ, নিহত ৭
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনে লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি!
‘জবাই করা লাশ উদ্ধারসহ দাফন কাফন কাজে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছে আসামিরা’
প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে