বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশের ৬ হাজার ৭শ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ানের ছয় ভাগের একভাগ নারী

বাংলাদেশের একমাত্র উচ্চতম শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাহস করে গণ বিশ্ববিদ্যালয় ভেটেরিনারিতে অনার্স ও মাস্টার্স চালু করেছে। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ডা. সাবরিনা ফেরদৌস পড়ালেখা করেছেন এই খাতে দেশের একমাত্র সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটিতে। তিনি এমএস করেছেন ভেটেরিনারি মেডিসিনে। মেধা ও দক্ষতার গুণে অধ্যাপনা জীবনে আছেন সাভারের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদে, মিডিসিক বিভাগে। ক্লিনিক্যাল কোর্সগুলো পড়ান। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ছাত্র-ঢাকা প্রকাশের সাংবাদিক ইহসানুল কবীর আনিন

একজন মেয়ের ভেটেরিনারি বা পশু চিকিৎসা বিষয়ে পড়ালেখা কতোটা যৌক্তিক বলে মনে হয়?
আমাদের মধ্যে কেউ-ই হয়তো কখনো খেয়াল করিনি, এই ভেটেরিনারি শব্দটির মধ্যেই ‘নারী’ শব্দটি আছে। শব্দটি ভাঙলে হয় ‘ভেটেরি’ ও ‘নারি’। ফলে শব্দবন্ধ অনুসারেও ভেটেরিনারি পড়ছে এবং ভবিষ্যতে চাওয়া মেয়েদের জন্য যথোপযুক্ত এবং যুগোপোগী সিদ্ধান্ত। পশু-পাখি পালন, তাদের চিকিৎসা সেবাদানের জন্য ধৈর্য্য ও মমতা প্রয়োজন। নারী মমতা ও সহিষ্ণুতার অপর নাম।

এই বিষয়ে পড়তে গেলে পরিবার ও সমাজের আচরণ, ভাবনা কেমন দেখেছেন?
নিজের কথা বললে, বলাবাহুল্য হবে-আমি আমার পরিবারের কাছে শতভাগ সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছি। কিন্তু এখনো অনেক পরিবার, সমাজ মনে করে, ভেটেরিনারি শিক্ষা মেয়েদের জন্য উপযুক্ত নয়। কোনো, কোনো ক্ষেত্রে শারীরিক সামর্থ্যকে এই পড়ালেখায় যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মেধাহীন কাজ মনে করে এই খাতকে। তবে সময়ের সঙ্গে, মেধাবী ছাত্র, ছাত্রী এবং শিক্ষকরা চলে আসায় এই শিক্ষা ক্ষেত্রেও চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গির অনেক পরিবর্তন হয়েছে, আরো হচ্ছে। হবেও।

নারীদের কর্মক্ষেত্র?
তুলনামূলকভাবে অনেক কম নারী ভেটেরিনারিয়ান আছেন। আমাদের বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল (বিভিসি)’র ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে মোট ৬ হাজার ৭শ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ানের মোটে একভাগ নারী। এই চিকিৎসকদের মোট সংখ্যা ১ হাজার ৫শ ৪ জন। তবে তারপরও সব বাধা ডিঙিয়ে তারা ভালো, ভালো পদে কাজ করছেন। প্রাণীসম্পদ অধিদফতর, সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানা ফ্যাকাল্টি হিসেবে, একমাত্র বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা, ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালসহ নানা কাজে যুক্ত আছেন। এসিআই, কাজী ফার্মস, বেঙ্গল মিট, নীলসাগর গ্রুপসহ বাংলাদেশের বড় বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করছেন। অন্যান্য বেসরকারী অ্যাগ্রি বিজনেস, ফার্ম, এনজিও, বেসরকারী ভেটেরিনারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি (ভিডাএস)তে চকরিরত আছেন। তারা সরকারী-বেসরকারী সব প্রতিযোগিতামূলক চাকরি, ব্যাংক, বিশ্বখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি করে চলেছেন। সারা দুনিয়াতেই দিনে, দিনে তাদের ও ভেটেরিনারিয়ানদের কর্মক্ষেত্র বেড়ে যাবে। বলব, আমাদের নারী ভেটেরিনারিয়ানদের সংখ্যা যত বাড়বে, কর্মক্ষেত্রের নতুন দিগন্তও তৈরি হবে। তারা টিকাও তৈরি করছেন।

কর্মক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো?
নারী দিবসের এই ক্ষণে জানাব, নারীদের জন্য প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই নানা ধরণের প্রতিবন্ধকতা আছে। নারী নিজেই প্রাকৃতিকভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। কেননা তারা মা হন ও সন্তানের জন্মদান করেন। সেই সন্তানকে ফেলে রেখে কাজে চলে যান। সারাক্ষণ তার জন্য মন কাঁদে। পশুপাখির মায়ের সঙ্গে এখানেই তাদের মিল। তারা যেমন বলতে পারে না, আমরা নারী মায়েরাও অনেক ব্যথা, দুঃখ বলতে পারি না কারো কাছেই। তবে আমাদের ভেটেরিনারি শিল্পখাতে প্রতিবন্ধকতাগুলো অন্যান্য খাতের চেয়ে বেশি-ই। অনেক পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাঠে, ঘাটে কাজ করতে হয়। পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে সমভাবে এগিয়ে যেতে হয়। মাঠ বা দুর্গম এলাকায়ও পশু চিকিৎসাসেবা দিতে হয়। ইত্যাদি কাজগুলো একসময় অনেক বেশি কঠিন ছিল। এখন অনেকটাই সহজ। সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এগুতে নারী ভেটেরিনারিয়ানদের প্রত্যেকের মেধা, ইচ্ছাশক্তি, সাহস ও দক্ষতা প্রধান নিয়ামক হিসাবে সবসময়ের মতো, সব কর্মক্ষেত্রের হিসাবে কাজ করে।

ভেটেরিনারির সাধারণ কর্মক্ষেত্রে সারা দেশে নারী-পুরুষের বৈষম্য নিয়ে অভিমত?
আমাদের বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভেটেরিনারি ও সংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রগুলোতে উচ্চ পদগুলো বাদে নারীরা পুরুষের চেয়ে অনেক গুণ বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কর্মক্ষেত্রে আমাদের ওপর আচরণগত বৈষম্য খুব সাধারণ ব্যাপার হয়েছে। মৌলিক সুযোগ-সুবিধাগুলো না পাওয়া ছাড়াও বন্ধুত্বপূর্ণ কাজের পরিবেশটুকু লাভেও আমরা বঞ্চিত হই। ভেটেরিনারি খাতে বাংলাদেশে নারীরা পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করেন। কবে তারা যথাযথ মর্যাদা লাভ করেছেন? তাদের মর্যাদা প্রদান করা হয় না। কাজে আমাদের পুরুষদের স্বভাবগত প্রাচীন গেঁড়ে বসা ধারণা-মেয়েরা কম কাজ করেন, কাজে ফাঁকি দেন ও অনীহা প্রকাশ করেন। এসব গুরুতর প্রতিবন্ধকতা এবং বৈষম্যের শিকার হয়েও বাংলাদেশের নারী ভেটেরিনারিয়ানরা সবাই সফলভাবে পশুসম্পদের চিকিৎসাসেবা ও প্রাণীদের কল্যাণে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন বলে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।

ব্যক্তিগতভাবে সংসার, কর্মক্ষেত্র সামাল দেন কেমন করে?
কথায় বলে-যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। আমারও প্রথম দিকে একটু সমস্যা হয়েছে। তবে খুব ভালো ফলাফল করেছি বলে অনেকটা সহজে এগিয়ে যেতে পেরেছি। কর্মক্ষেত্র, ঘরে এখন আর কোনো সমস্যা মনে হয় না। আমার মতে, ঘরের কাজ বা বাইরের কাজ-দক্ষতা, মেধার যথাযথ সমন্বয় করে করলে যেকোনো কাজে সফল হওয়া সম্ভব।

নতুন নারী ভেটেরিনারিয়াদের জন্য উপদেশ?
যেহেতু আমরা কৃষিপ্রধান দেশ, তাই বাংলাদেশে ভেটেরিনারি এডুকেশনের গুরত্ব অপরিসীম। আবহমান কাল ধরে, শত, শত বছরে বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জের মেয়েরা আমাদের গৃহপালিত ও গবাদিপশুগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ ও লালন পালন করে চলেছেন। এখনো এই দেশের মেয়েরা প্রাণীসম্পদের প্রধান সহায়। তাদের ঐতিহ্য অনুসারে আগামী দিনের ও বতমানের তরুণী ভেটেরিনারিয়ান চিকিৎসক ও কর্মী প্রজন্ম বাংলাদেশের প্রাণীসম্পদ উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তবে ভেটেরিনারি এডুকেশনে তাদের আরো কর্মসুযোগ করে দিতে হবে। তাদের জন্য ‘কোটা’ চালু করা প্রয়োজন। তাহলে দেশ ও দশের ভালো হবে। নতুন যে নারীরা খুব আগ্রহ ও ভালোবাসা নিয়ে ক্যারিয়ার হিসেবে ভেটেরিনারি পেশা বেছে নিয়েছেন, নিচ্ছেন, নেবেন-তাদের বলব, আপনার পরিস্থিতিগুলোকে নিজ মনোবল, বিশ্বাস ও কাজের প্রবল আগ্রহে ভালো এবং উন্নত করে তুলুন। নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

(৮ মার্চ, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা)

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত