নিপুণ-জায়েদ বিরোধ: রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণ বা জায়েদের কেউই আপাতত বসতে না পারার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রয়েছে। এই পদ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এই সিদ্ধান্ত দেয়। আদেশে সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থাও বহাল রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে জারি করা রুল হাইকোর্টকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খান। আর জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথি।
এর আগে গতকাল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নিপুণ আক্তারের লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে আদালত। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নিপুণ।
জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত। আগামীকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি রুল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়া জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন। গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন।
এমএ/টিটি