ঢামেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক সপ্তাহে ২২ জনের মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনা ইউনিটে করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্হায় গত এক সপ্তাহে ২২ জন মারা গেছেন। অপরদিকে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ১৬৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভর্তিদের মধ্যে পরীক্ষা করে ৩৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের জেলা থেকে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হন।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১৫ থেকে ১৬ জন রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। গত বছর শেষের দিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ায় হাসপাতালের নতুন ভবনে আমরা পুনরায় মেডিসিন রোগী ভর্তি শুরু করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেডিকেল-২ নতুন ভবনের নয় তলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি নেওয়া হতো। যেহেতু এখন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে, তাই আমরা আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়া শুরু করেছি। ৮ তলায় আবারও করোনা আক্রান্তদের ভর্তির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।’
করোনা রোগীদের সংখ্যা যদি আরও বেড়ে যায় তাহলে আগের মতোই পুরো ভবন করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
পরিচালক বলেন, ১ জানুয়ারী থেকে ৭ জানুয়ারী বিকেল পযন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আাসা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত উপসর্গ নিয়ে ২২ জন মারা গেছেন। আমাদের হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্হা রয়েছে। আমাদের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা প্রস্তুত আছে। আল্লাহ রহমতে কোন সমস্যা হবে না।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হাফিজ সরকার বলেন, ‘ঠান্ডা-কাশি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই ১৫/ ১৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তবে এ পর্যন্ত উপসর্গ ও করোনা নিয়ে ১৬৮ জন রোগী ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে ৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও জানান, ২০২১ সালের শেষের দিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। প্রতিদিন রোগী ভর্তি হলেও সে সংখ্যা খুবই কম ছিল। তবে এ বছর প্রথম সপ্তাহে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা আবারও বেড়েছে। আমরা তাদের সুচিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালের মর্গের কর্তব্যরত ওয়ার্ড মাষ্টার আব্দুল গফুর জানান, চলতি বছরে প্রথম সপ্তাহে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় করোনা ভাইরাসে উপসর্গ নিয়ে ২২জন মারা গেছেন। পরে মৃতদেহ তাদের আত্নীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এএইচ/এএস