মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শ্রমিক ছাড়া অর্থনীতির চাকা অচল

আমরা জানি উনিশ শতাব্দীর আগে কারখানার শ্রমিকদের দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করানোর প্রচলন ছিল। কিন্তু সেই তুলনায় তাদের বেতন ছিল সামান্য। যা তাদের জীবন ধারণের জন্যে যথাযথ ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে এই অতিরিক্ত শ্রমের বিনিময়ে অল্প পারিশ্রমিকে খাটিয়ে নেওয়া মালিক শ্রেণির এই ভাবধারা ভেঙে চূড়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল মে দিবস । আমেরিকা থেকে ধীরে ধীরে চীন, রাশিয়া, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে মে দিবসের তাৎপর্য ছড়িয়ে পড়ে।

বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠা পায় শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা কাজ করার দাবি। সেখানেই ১৮৯০ সাল থেকে শিকাগো শ্রমিক আন্দোলনের দিনটিকে বার্ষিক দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও ভারতে এই দিনটি পালিত হচ্ছে ১৯২৩ সাল থেকে। ভারতসহ মোট ৮০ টি দেশে পালিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে মে দিবসের অসীম গুরুত্ব রয়েছে।

আমার জানামতে, এই আন্দোলন অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হয়েছিল সবার আগে। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শ্রমিকদের নানা রকম প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য যেটি প্রযোজ্য কথা তা হলো,আমাদের শ্রমিকদের ছাড়া অর্থনীতির চাকা কিন্তু অচল। এখন শ্রমিক বলতে আমি যেটি বুঝি, আমাদের একদলকে কায়িক শ্রম দিতে হয় অন্যদলকে মেধার শ্রম দিতে হয়। সেক্ষেত্রে শ্রমিক আসলে আমরা সবাই। তবে যারা শারিরীক শ্রম দিয়ে থাকেন আমরা সাধারণত তাদেরকেই শ্রমিক বলে থাকি। যারা বিদ্যার আলোকে কাজ করি তাদেরকে আমরা সাধারণত শ্রমিক বলতে চাই না এবং বিপ্লবটা শুরু হয়েছিল তাদের দিয়েই যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন।

আমি যেটুকু বুঝি, শ্রমিক ও মালিকদের সংগঠনকে গড়তে হলে যেটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় সেটি হলো, শ্রমিক মালিক মধুর সম্পর্ক। শ্রমিকদের অনুভূতি মালিকদের যেমন বুঝতে হবে তেমনি মালিকদেরও বুঝতে হবে। যখন একটি প্রতিষ্ঠানকে আমাদের মনে করবে তখন তারা মন প্রাণ দিয়েই তাদের সর্বোচ্চ পরিশ্রম দিতে চেষ্টা করবে। প্রতিষ্ঠানের আয় উন্নতি কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় তারা সেই চেষ্টাটুকু করবে। মালিকদেরও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে ইনটেন্সিভ ব্যবস্থা করতে হবে। লভ্যাংশের একটা অংশ শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ করতে হবে। কাজেই তখন তারা আন্তরিক বেশি হবে এবং নিজেদের শ্রমটা নিবিড়ভাবে দিবে। প্রতিষ্ঠানগুলো যদি বিষয়গুলো নিষ্ঠার সঙ্গে করে তাহলে তাদের লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না। আমি মনে করি, এটি করা গেলে আমাদের শিল্প কারখানার প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো সুন্দর শান্তিপূর্ণ থাকবে এবং পরিবেশ ভাল থাকবে।

আমাদের দেশের মালিকপক্ষ যারা আছেন, যারা পরিবারে শ্রম দিচ্ছেন, পরিবারের ভরণপোষণ সেখান থেকে আসে, একটি পরিবারকে তারা বাঁচিয়ে রাখছে, তাদেরও ভালবাসতে শিখতে হবে। উভয়পক্ষ যখন সেই বোধ থেকে পরিচালিত হবেন ,এগিয়ে আসবেন সেখানে শৃঙ্খখলা বজায় থাকবে। যারা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় থাকবেন তাদের জন্যও সহজ হবে। আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেটি হয় তা হলো, মালিকপক্ষ কোট প্যান্ট পরে বাবু সেজে থাকেন আর শ্রমিকেরা খেটে মরে। এই বিষয়গুলো আমাদের মনে রাখতে হবে। কারণ, প্রকৃতপক্ষে উন্নয়নের জন্য এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শ্রমিকদের যেমন শতভাগ সৎ থাকতে হবে ঠিক একইভাবে মালিকদেরও ভালো-মন্দ দেখার দরকার আছে। একটি প্রতিষ্ঠানে সবাই মালিক সবাই অংশীদার এবং এক পরিবারের সদস্য এমন মনোভাবই হতে হবে। এভাবে গলায় গলায় ও কাঁধে কাঁধ রেখে যদি কাজ করা যায়, তাহলে সে প্রতিষ্ঠান উন্নতি করবে। তাহলেই কেবল মে দিবস পালনের যে প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশে সেটি অর্জিত হবে।

একেএম আতিকুর রহমান: সাবেক রাষ্ট্রদূত

 

Header Ad
Header Ad

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা উচিত নয়। তিনি সোমবার রাজধানীর মগবাজারে দৈনিক সংগ্রামের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।

তিনি অভিযোগ করেন যে, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অনেকেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। প্রকৃত সত্য প্রকাশ পায়নি এবং এখনো কিছু ক্ষেত্রে সেই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে জামায়াত নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ শহীদের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছিল। তাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী, যে কারো শহীদ হওয়ার স্বীকৃতি নির্ধারিত হতো। তিনি দাবি করেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের সময়ে জাতি এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর তাণ্ডব চালানো হয়েছে। যদি সাংবাদিকরা তাদের প্রকৃত দায়িত্ব পালন করতেন, তাহলে ফ্যাসিবাদী শাসন জাতির ওপর এত শক্তভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারতো না।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের কাজ সত্য প্রকাশ করা। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলাই সাংবাদিকতার মূল নীতি। কিন্তু ফ্যাসিবাদী শাসন এই নীতিকে ব্যাহত করেছিল, যার কিছু প্রভাব এখনো বিদ্যমান।

Header Ad
Header Ad

রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়

ছবি: সংগৃহীত

চিটাগং কিংসের জন্য আজকের জয় ছিল স্বস্তির। তারা রাজশাহীকে ১১১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পঞ্চম জয় নিশ্চিত করেছে। চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেলেও পরবর্তীতে দুইটি হারে জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল তারা।

আজকের ম্যাচে তাদের বোলার এবং ফিল্ডারদের কৃতিত্বের পাশাপাশি, রাজশাহীর ফিল্ডারদের দুর্বলতা ম্যাচের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে। চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানদের একাধিক সহজ ক্যাচ রাজশাহী ফিল্ডাররা ফেলে দেন, যার মধ্যে তাসকিন আহমেদের বলেই দুটি ক্যাচ পড়েছে।

রাজশাহী আজ অধিনায়ক পরিবর্তন করে খেলেছিল, কিন্তু দলের ফিল্ডিংয়ের অবস্থা তাদের জন্য বিপদজনক ছিল। সানজামুল ইসলাম ও রায়ান বার্ল ইনিংসের প্রথম ও ১৯তম ওভারে সহজ ক্যাচ ফেলেন, এবং বার্ল হাঁটুর চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। এর ফলে রাজশাহীকে আরও বিপদে ফেলেছিল।

চিটাগংয়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের জন্যও ছিল কিছুটা ভাগ্য, কারণ তিনি দুটি জীবন পেয়েছেন। তাসকিন ও বার্লের ক্যাচ ফেলায় মিঠুন তার ইনিংসে ২০ বল খেলে ৩২ রান করেন। অপরদিকে, চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যান নাঈম উদযাপন করেছেন নিজের ফিফটিতে, যার মধ্যে তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চার ছিল।

বিপরীতে, রাজশাহীর ব্যাটিং খুবই ধীর গতিতে চলছিল এবং তারা ১৯১ রানের টার্গেট তাড়ায় মাত্র ৮০ রানে অল আউট হয়ে যায়। চিটাগংয়ের বোলাররা বিশেষ করে শরীফুল ইসলাম ও নাঈম দুর্দান্ত বোলিং করেন এবং রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের চাপের মধ্যে ফেলেন।

এই জয়ে চিটাগং কিংস দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে, যেখানে রাজশাহী ষষ্ঠ হার তুলে নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, মাটিরাঙা, রামগড়, এবং দীঘিনালা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এই অভিযানে দুটি ইট ভাটা বন্ধ করা হয়, যেগুলোর অনুমোদন ছিল না। এর মধ্যে দীঘিনালায় দুটি ভাটাকে বন্ধ করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়। কর্ণফুলী ব্রিকস ও ফোর বি ভাটাকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়, এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত থেকে আগুন নিভিয়ে দেন।

রামগড় উপজেলায়, অনুমোদনহীন ৫টি ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতিটি ভাটাকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এসব ভাটার চিমনি ও কাঠ জব্দ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জানায়, এ অভিযানটি একদিনেই ১৬টি অবৈধ ভাটা বন্ধ এবং প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ১৫টি ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিল, কিন্তু কিছু ভাটা মালিক এসব ভাটা পুনরায় চালু করে। সোমবারের অভিযানে তাদের বন্ধ করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী এসব ভাটাগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশিদের বের করে দিন, হাসিনাকে দিয়ে শুরু করুন: শিবসেনা নেতা
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে চিঠি লিখলেন দীপু মনি
সিলেটকে ৬ রানে হারিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের রোমাঞ্চকর জয়
সমস্যা পোশাকে নয়, সিস্টেমে: সারজিস আলম
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করতে পারে রাষ্ট্র, মন্ত্রণালয় নয়’
মেজর ডালিমের পর এবার সাংবাদিক ইলিয়াসের টকশোতে আসছে কর্নেল রাশেদ চৌধুরী