আখের ফলন ও দামে খুশি চাষিরা
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বরগুনার বেতাগীতে চলতি মৌসুমে আখের ভালো ফলন হয়েছে। পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। এবারের দুর্গাপূজা ও লক্ষ্মীপূজায় আখ বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানান চাষিরা।
সরেজমিনে বেতাগী পৌর শহরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রস সুমিষ্ট আখে সয়লাব বাজার। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চাষিদের কাছ থেকে আখ কিনে এনে বিক্রির জন্য সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা জানান, কোজাগরি লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে বাজার আখে সয়লাব। রবিবার পূজা শেষ হলেও পুরো সপ্তাহজুড়ে আখের চাহিদা থাকবে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে বেতাগীতে প্রায় ৭৮ হেক্টর জমিতে ৬টি জাতের আখের আবাদ হয়েছে। সেচ প্রকল্পের উঁচু জমিগুলো পলি ও দোআঁশ মাটির পরিমাণ বেশি থাকায় এখানে আখের ফলন প্রতিবছরই ভালো হয়।
বিবিচিনি ইউনিয়নের রানীপুর গ্রামের কৃষক আ. সত্তার বলেন, ১৬ বছর ধরে আখ চাষ করি। কোনো প্রশিক্ষণ না থাকলেও পূর্ব পুরুষরা যেভাবে আখ চাষ করেছেন সেভাবেই চাষ করে আসছি। এ বছর ৫০ শতাংশ জমিতে নতুন জাতের রঙ্গ বিলাস আখ চাষ করেছি। ফলন অনেক ভালো হয়েছে।
মোকামিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের রতন হাওলাদার বলেন, প্রতিটি রঙ্গ বিলাশ জাতের আখ আকারভেদে খুচরা দাম ৪০-৭০ টাকা আর দেশীয় আখ ২৫-৫০ টাকা।
কুমড়াখালী গ্রামের চাষি আবুল হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে ১০ হাজার টাকা খরচে আখ চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। আখ খেতেই পাইকারিদের কাছে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। মুনাফা হয়েছে ১০ হাজার টাকা।
পাইকারী ক্রেতা সেলিম বলেন, অঞ্চলের আখ খুব মিষ্টি। তাই ঢাকায় এখানকার আখের চাহিদা রয়েছে। প্রতিটি আখ পাইকারি ২৫-৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন চাষিরা। ঢাকায় তা পাইকারি ৪০-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়।
বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইছা বলেন, বেতাগীতে সাধারণত দেশীয় প্রজাতির আখ চাষ হয়। যা এ অঞ্চলে গেন্ডারি নামে পরিচিত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আখের ভালো ফলন হয়েছে। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে চাষিরা যেন তাদের ফসল বাঁচাতে পারে সেজন্য যথাসময়ে কৃষি অফিসের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এসজি