ফ্রি ফায়ার গেম: সিঙ্গাপুরের গ্যারিনার আবেদন শুনবে হাইকোর্ট
ফ্রি ফায়ার ও পাবজিসহ ক্ষতিকর গেম অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে বন্ধ করতে করা রিটে ফ্রি ফায়ার গেমসের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের গ্যারিনার আবেদন গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। আইনজীবীরা বলছেন, এই মামলায় প্রতিষ্ঠনটির বক্তব্য শুনবে আদালত।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) এই আবেদন গ্রহণ করেন। গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী ও তানভীর কাদের।
এই মামলায় পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। আবেদন গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের আদালতে ফ্রি ফায়ার গেমের পক্ষে গ্যারিনার আইনি লড়াই করতে কোনো বাধা থাকল না।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম বন্ধের রিটে পক্ষভুক্ত হতে ফ্রি ফায়ার গেমসের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেডের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল।
গত ৩১ আগস্ট ফ্রি ফায়ার গেমসের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম বন্ধের রিটে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করে। ওই আবেদনে বলা হয়, ফ্রি ফায়ার গেমের অসংখ্য প্লেয়ার বাংলাদেশে রয়েছে। আদালতের আদেশে ফ্রি ফায়ার গেমসের লিংক ব্লক করে দেওয়ার কারণে গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড ব্যবসায়িকভাবে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই রিট মামলায় গ্যারিনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড পক্ষভুক্ত হতে চায়।
সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অবিলম্বে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম বন্ধে গত ১৬ আগস্ট নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদেশে তিন মাসের জন্য এসব গেম অনলাইনে বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। আদেশে অনলাইন প্লাটফর্মে টিকটক, লাইকি, বিগো লাইভসহ ক্ষতিকর অ্যাপ এবং পাবজি ও ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকর গেম বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এমএ/এএস