দেশের হোস্টিং ইন্ডাস্ট্রির সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আগামী বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ৭ম বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে হোস্টিং সামিট - ২০২৫। প্রতিবছর দেশের ওয়েব হোস্টিং এর সার্বিক উন্নতি, সম্ভাবনা এবং বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও তার সমাধান নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই সামিট।
দেশের অন্যতম হোস্টিং প্রতিষ্ঠান আলফা নেটের উদ্যোগে এবছর ঢাকার উল্লেখযোগ্য ৫ তারকা হোটেল রিজেন্সি অ্যান্ড রিসোর্টে এই সামিটের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য অতিথিবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন- বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, BTRC, BTCL, BASIS, e-CAB, SISPAB, BACCO, iSPAB প্রতিনিধি বৃন্দ। সামিটে আরও উপস্থিত থাকবেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রযুক্তিবিদ এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জনাব, আবু সুফিয়ান হায়দার।
এছাড়া বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৩০টিরও বেশী হোস্টিং কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ও প্রযুক্তি কর্মকর্তাগণ উক্ত সামিটটিতে অংশগ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে সামিটটির আহ্বায়ক মো. একরামুল হায়দার বলেন, এই বছরে সামিটে অবকাঠামো, AI, সাইবার নিরাপত্তা এবং কর্মশক্তি উন্নয়নের উপর বিশদ আলোচনা করা হবে। এছাড়াও এই সেক্টরের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ বৃন্দ ওয়েব হোস্টিং কোম্পানিগুলোর বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, এবং অন্তরায় গুলি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং হোস্টিং শিল্পের জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন।
আলোচনা পর্ব শেষে মধ্যাহ্ন ভোজ এর মাধ্যমে ২০২৫ সালের ওয়েব হোস্টিং সামিটের সমাপ্তি হবে। সামিটের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
চিকিৎসকদের সময়মতো না আসা, রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসক-নার্সদের দুর্ব্যবহার, দালালের দৌরাত্ম, ওষুধ কালোবাজারে বিক্রি, চিকিৎসা সেবায় অব্যবস্থাপনাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে তালা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। হাসপাতালের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে তালাবদ্ধ রাখার ঘোষণা দেন তাঁরা।
মঙ্গলবার(১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ২৫০ শয্যবিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। পরে তাঁরা হাসপাতালের তত্ত্ববধায়কের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় তত্ত্ববধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী তাঁর কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পর হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, বহির্বিভাগের চিকিৎসকদের চেম্বার, মেডিসিন স্টোরসহ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
হাসপাতাল পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জেরা করেন এবং সংশোধন হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁর ছাত্র প্রতিনিধি ফজলে রাব্বী, মেহেদী হাসান, রাফী বিন রেজওয়ান, সাদমান সাকিব, রিয়াল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁর ছাত্র প্রতিনিধি ফজলে রাব্বী বলেন, নওগাঁ সদর হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরে চরম অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। এই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকেরা সময়মতো ডিউটিতে আসেন না। আবার ডিউটি সময়ে হাসপাতালে দায়িত্ব পালন না করে অনেক চিকিৎসক বাইরে ব্যক্তিগত চেম্বারে কিংবা ক্লিনিকে গিয়ে রোগী দেখেন। হাসপাতালে রোগীদের জন্য খাবার দেওয়া হয় সেটাও অত্যন্ত নিন্ম মানের। এছাড়া হাসপাতাল থেকে ওষুধ বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের রয়েছে। এখানে দালালের দৌরাত্ম ব্যাপক। দালালদের কারণে রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় এসব অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য ৫ আগস্টের পর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ প্রশাসনিক বিভাগের কর্মকর্তাদের একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কোনো উদ্যোগ নেননি। দ্বায়িত্বে অবহেলার জন্য আজকে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে তালা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসার পরিবেশ ফিরে না আসা পর্যন্ত তাঁকে তাঁর কক্ষে বসতে দেওয়া হবে না।
হাসপাতালের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে সে বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আবু জার গাফফার শিক্ষার্থীদের সামনে হাজির হয়ে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সব দাবি করেছে তাঁর সবই যৌক্তিক। ইতোমধ্যে তাঁদের অনেক দাবি পূরণ করা হয়েছে। বাকি যে সব অনিয়ম-অসঙ্গগতির কথা বলা হচ্ছে, আরএমও হিসেবে আমার জায়গা থেকে সেসব দাবি পূরণের চেষ্টা করব। তবে আমি এই হাসপাতালের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ নই। আমার ওপরেও কর্তৃপক্ষ আছেন। সবার সঙ্গে আলোচনা করে দাবিগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তা রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে ৪ দিনব্যাপী ২৬-তম বিরামপুর উপজেলা স্কাউটস সমাবেশ-২০২৫ইং এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা স্কাউট এর সভাপতি নুজহাত তাসনীম আওন ৪ দিনব্যাপী স্কাউটস সমাবেশের উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপজেলা স্কাউট এর সাধারণ সম্পাদক (সেক্রেটারি) ও মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়নুল ইসলাম, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শমসের আলী মন্ডল, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লাইলা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী,একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও একর মঙ্গলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক-ই আজম ফারুক, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন, বিরামপুর প্রেসক্লাবের আহবায়ক শাহ্ আলম মন্ডল, উপজেলা স্কাউটস এর নতুন কমিটির সদস্যবৃন্দসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্কাউট এর সাধারণ সম্পাদক ও মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়নুল ইসলাম জানান, ১১ ফেব্রুয়ারী থেকে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী-২৫ইং ৪ দিনব্যাপী ২৬-তম বিরামপুর উপজেলা স্কাউটস সমাবেশ চলবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নাম দিয়ে রাজনীতি করার কোনো অধিকার রাখে না।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মুগদা থানা বিএনপি আয়োজিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির এই তরুণ নেতা বলেন, "গণহত্যা করেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। উল্টো বিদেশে বসে শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করতে আবারও মানুষ হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সেই নির্দেশ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।"
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এছাড়া মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।