প্রশংসায় ভাসছেন জয়
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই প্রশংসায় ভাসছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। নিউ জিল্যান্ডের বিরূপ কন্ডিশনে চার পেস অ্যাটাক সাউদি-বোল্ট-ওয়েগনার-জেমিসনের এক একটি গোলা সামনে বুক চেতিয়ে ব্যাট করে গেছেন। দ্বিতীয় দিন শেষে অপরাজিত ৭০ রানে। এই ৭০ রান করার পথে তিনি দিয়েছেন অসীম ধৈর্য্যের পরিচয়। খেলেছেন ২১১ বল। ফিফট করতে বল খেলেন ১৬৬। সচরাচর এমন ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং টেস্ট ক্রিকেটে বাংলার ক্রিকেটারদের কাছ থেকে পাওয়া যায় খুবই কম। টেস্ট ক্রিকেটকে তারা লিমিটেড ওভারের ম্যাচ মনে করে খেলে থাকেন। সেখানে ব্যতিক্রম অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ী এই সদস্য।
জয় যেভাবে খেলছেন তাতে করে তার ইনিংস তিন অংকের ঘরে দেখা যাওয়াটাই মানানসই। যদিও ক্রিকেট এক বলের খেলা। এমনও হতে পারে কাল প্রথম বলেই ফিরে গেছেন। আবার অনেক লম্বাও করেছেন? কাল কি হবে, না হবে তা পরের বিষয়। তার আগে আজকের ইনিংসে তাকে নিয়ে এসেছে আলোচনায়। নিজ দেশ ছাড়াও নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের কাছ থেকেও পেয়েছেন প্রশংসার ছাড়পত্র।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধ হয়ে আসা মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘জয় অনেক ভাল ব্যাট করেছে, ইতিবাচক ছিল। ও যে নতুন এটা ওর ব্যাটিং দেখে মনেই হচ্ছিল না। ও খুব ভাল মানিয়ে নিয়েছে। আমরা জানি জয় খুব ভালো খেলোয়াড়। আন্ডার নাইনটিন চ্যাম্পিয়ন দলের প্লেয়ার। ওখানে ভালো খেলেছে। ঘরোয়াতে ভালো খেলে এসেছে জাতীয় দলে। ওর মাত্রই শুরু। বাংলাদেশকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে। দলের জন্য ভালো হয়েছে। ওর নিজের ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হয়েছে।'
দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের যে দুইটি উইকেট পড়েছে তার দুইটিই নিয়েছেন নেইলওয়েগনার। তার কন্ঠেও ঝরেছে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে প্রশংসা। তিনি বলেন, ‘ তরুণ ব্যাটসম্যান ( মাহমুদুল হাসান জয়)। খুবই চমৎকার খেলেছে আজ। তার ধৈর্য্য ছিল খুব ভালো। খেলেছে ধৈর্য্য নিয়ে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা প্রচুর শট খেলে। উইকেটে গিয়ে তারা মারতে চায়। আর এ কারণে উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয় আমাদের। আজ কিন্তু তারা সে পথে হাঁটেইনি। তাদের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’
কিউইরা মাহমুদুল হাসান জয়কে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংস দেখার পর। কিন্তু দলপতি মুমিনুল হকের অগ্রিম প্রশংসার ছাড়পত্র নিয়েই খেলতে নেমেছিলেন তিনি। টেস্ট শুরুর আগের দিন মুমিনুল তাকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘সে বাংলাদেশের পরবর্তী সুপার স্টার হবে।’
মাহমুদুলকে নিয়ে মুমিনুলের এ রকম ভবিষ্যৎ বাণী করার পেছনে অভিজ্ঞতা ছিল ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলা, যেটিতে হয়েছিল তার অভিষেক। মাহমুদুল তার অভিষেক ভুলেই যেতে চাইবেন। প্রথম ইনিংসে ৭ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৬ রান। বলা যায় জিরো থেকে হিরো।
এমপি/এসআইএইচ