‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা আছেন, যারা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা যেন আগের (বৃদ্ধদের) অবদানের কথা ভুলে না যাই। কারণ এদের কাজের ওপরই কিন্তু আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আজ আমরা আশাবাদী, ফ্যাসিবাদের পরিবর্তন হয়েছে। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে পালিয়ে গেছে।
ঐক্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশকে আমরা নতুন করে গড়ে তুলবো। সবাই এই কথাটা বলছে। সবার এ কথাটায় আরও বেশি আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। সত্যিকার অর্থেই আমরা যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ তৈরি করতে পারি। তখনই তার প্রতি সম্মান দেখানো সফল হবে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর (মরণোত্তর) একুশে পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মাহফুজ উল্লাহর কিছুই ছিল না। তার চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে বন্ধুদের কাছে হাত পাততে হয়েছে। অথচ এখন, নিজেদের আখের গোছানোর জন্য দালালি করেন সাংবাদিকরা। অনেক সাংবাদিক, সবার কথা বলি না। কথাটা ভালো না হলেও বলতে হলো। বাড়িঘর, প্লট সব জোগাড় করে।
স্মৃতিচারণ করে বলেন, ২০১৪ এর নির্বাচনের পরে, ২০১৮ নির্বাচনের আগের সময়টায় সে অনেক কাজ করেছে। তখন সব দলকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য মাহফুজ উল্লাহ, মাহবুব উল্লাহ ও জাফরউল্লাহ ভাইয়ের অসাধারণ প্রচেষ্টা ছিল। তারা ছিলেন বলেই ডান, বাম সবাই মিলে একটা জায়গায় আসা সম্ভব হয়েছিল। একেবারেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ ছিলেন, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন।
ফখরুল বলেন, জীবনে আমরা বেশিরভাগই বিপ্লবী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম, আমরা সেদিন শ্রেণি শত্রু খতম করার স্লোগানও দিয়েছি। সেই ব্যাপারটা যে সঠিক ছিল, এরপরে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার যে পরিবর্তন এসেছে, সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ শুরু করেছিলাম।
একই অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, মাহফুজ উল্লাহ বাংলাদেশের সাংবাদিকতা অনন্য। মাহফুজ উল্লাহ ভাই যে শ্রম দিয়েছেন, যেই সময়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছাপার কারণে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্টদের অ্যারেস্ট করা হয়েছে। উনি খালেদা জিয়ার জীবনের সেই সময়ে লিখেছেন। খালেদা জিয়া আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার সেই দূরদর্শিতা ছিল। তবে তিনি সেটা দেখে যেতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আমরা ফলস হিরোদের ওয়ার্কশপ করি, ফলস হিরো খুঁজি। প্রকৃতপক্ষে মাহফুজ উল্লাহ ভাইরা হিরো। ওনাদের লেখা আমাদের সারাজীবন পথনির্দেশনা দেবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, প্রয়াত মাহফুজ উল্লাহর ভাই মাহবুব উল্লাহ, সাবেক সচিব ইসামাইল জবিউল্লাহ, সাংবাদিক গোলাম মর্তুজা, চিত্রশিল্পী রোকেয়া সুলতানা, দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমসহ অনেকে।
