শ্রীলঙ্কাকে ১২ গোলে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ
ভারতের কাছে ১-০ গোলে হেরে নেপাল মাঠের বাইরে বসে বাংলাদেশের হারের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণছিল। বাংলাদেশ হারলেই তারা ফাইনালে খেলবে। কিন্তু বাংলাদেশ নেপালকে খুব বেশি সময় টেনশনে রাখেনি। অপেক্ষা করতে দেয়নি। খেলা শুরু হতে না হতেই স্বাগতিকরা ৩-০ গোলে এগিয়ে গেলে ম্যাচের ফলাফল কি হতে যাচ্ছে নেপালিরা অনুমান করে নেন। পরে সেই ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়, ১২-০ গোল ব্যবধানে।
এই জয়ে সাফ অনুর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের ফুটবলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই বাংলাদেশ ফাইনালে খেলবে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায়। প্রতিপক্ষ ভারত। ৫ দলের রবিন লিগ পদ্ধতিতে ৪ ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১০, ভারতের ৯। বাংলাদেশের হয়ে আফিদা খন্তকার প্রাপ্তি ও শাহেদা আক্তার রিপা হ্যাটট্রিক করেন। দুইটি গোল করেন ঋতুপর্না চাকমা। একটি করে গোল করেন আঁখি খাতুন, উন্নতি খাতুন, স্বপ্না রানী ও আনুচিং মোগিনী।
নেপালের সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে বাংলাদেশ আসর শুরু করেছিল। এই ড্র-ই যেন বাংলার বাঘিনীদের মনের আগুন দাউ দাউ করে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। যে আগুনে পুড়ে ছারখার হয়েছে এক একটি দল। ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয়ার পর ভারতকে হার মানায় ১-০ গোলে। এরপর আজ শ্রীলঙ্কা ধরাশায়ী হলো আরও বড় ব্যবধানে। এবারের আসরে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় জয়।
বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি গুরুত্বপূর্নই ছিল। কিন্তু তারপরও কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন প্রতিপক্ষের দূর্বলতা আঁচ করতে পেরে সেরা একাদশের চারজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মনিকা চাকমা, তহুরা খাতুন, আনাই মোগিনী ও শামসুন্নাহার জুনিয়রকে ছাড়া সেরা একাদশ সাজিয়েছিলেন।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল। গোটা ম্যাচ জুড়েই ছিল লাল-সুবজের প্রতিনিধিদের এক চেটিয়া প্রদশর্নী। বাংলাদশের গোলপোষ্টে বল যায়নি বললেই চলে। সারাক্ষন লঙ্কানদের সীমানায় ছিল বল। সেখানে নিজেদের মধ্যে বল-আদান প্রদান করে নিয়ে আক্রমণে গিয়েছেন। গোল করেছেন। তবে যে ১২ গোল হয়েছে, সেখানে ফুঠে উঠেছিল লঙ্কান গোলরক্ষকেদের দূর্বলতা। আকাশে ভেসে আসা বল যেখানে অনায়েসে গ্রিপে নেয়া যায়, সেখানে বল হাতে ফসকে জালে প্রবেশ করেছে। গোলরক্ষক পরিবর্তন করেও সমস্যা থেকে মুক্তি পায়নি তারা। একই সমস্যা থেকে গিয়েছিল। বাংলাদেশের অর্ধেক গোলই ছিল বাতাসে ভেসে আসা লম্বা শট থেকে। আফিদার হ্যাটট্রিকের সব কটি ছিল লম্বা শট থেকে। আবর কখনো গ্রাউন্ড শটও হাত ফসকে গোল হয়েছে।
এমপি/এমএমএ/