বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এবার তৃণমূলে নজর আওয়ামী লীগের

আগামী সংসদ নির্বাচন ও দলের কাউন্সিলকে সামনে রেখে তৃণমূলের দিকে নজর আওয়ামী লীগের। সংসদ নির্বাচনে দলের যোগ্য প্রার্থী বাছাই তৃণমূলে যোগ্যদের নেতৃত্বে আনাই এবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্যে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় সফর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। যেসকল সাংগঠনিক জেলায় এখনও কমিটি হয়নি সেগুলোতে নতুন করে কমিটি গঠন এবং উপজেলা, থানা, ওয়ার্ড পর্যায়ে কিভাবে যোগ্যদের নেতৃত্বে আনা যায় তা মাথায় রেখে কাজ করছেন নেতারা।

আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা দু:সময়ে যারা দলকে আকড়ে ধরে রেখেছে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। দলে কোন ভাবেই বিতর্কিতদের জায়গা দেওয়া যাবে না। এছাড়া আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যারা সম্ভাব্য প্রার্থী তাদের একটা খসড়া তালিকা করে রাখার চিন্তা দলের। এবার অনেক সংসদ সদস্যই বাদের তালিকায় যেতে পারেন। বিশেষ করে বয়সজনিত কারণে যারা অসুস্থ বা যেসকল সংসদ সদস্য নিজ কর্মে এলাকায় বিতর্কিত তাদেরকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত দলের। আর বিতর্কিত কাজ করে যারা দলকে বিব্রত করেছে তাদের কোনো ভাবেই আগামী নির্বাচনে বিবেচনা করা হবে না বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি তিন বছর অন্তর:জেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন মহানগর আওয়ামী লীগ দ্বারা নির্বাচিত সংখ্যক কাউন্সিলার সমবায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল গঠিত হবে। জেলা আওয়ামী লীগসমূহ-ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ মহানগর। ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সব শেষ কাউন্সিল হয়। সেই কাউন্সিলে সভাপতি পদে নবমবারের মতো শেখ হাসিনা সঙ্গে দ্বিতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের নির্বাচিত হন।

আগামী বছর ডিসেম্বর বা পরের বছর জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হতে পারে। সেই নির্বাচনের আগেই এবছর ডিসেম্বরের আগেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। আগামী নেতৃত্বে কারা আসতে পারেন কারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন সব বিষয় মাথায় রেখে কমিটি গঠনের পক্ষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৮ ফেব্রুয়ারি দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমন্ডলীর সভায় দল গোছানোর জন্য নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় নেতাদের। সেই সভায় দলের শীর্ষ নেতাদের কাজে মনোযোগী হওয়ারও নির্দেশনা দেন। যেহেতু করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আরোপিত বিধিনিষেধ উঠে গেছে তাই পুরোদমে মাঠে নেমে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

দলীয় প্রধানের নির্দেশনায় পাবনা ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিকী সম্মেলন শুরু হয়েছে। এরপর অন্যান্য জেলা আওয়ামী লীগেও সম্মেলন হবে। শুধু জেলা নয় থানা ওয়ার্ডেও কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ত্যাগী, নিবেদিত, নীতি আদর্শ ধারণ করে এমন লোক। তবে কোনো ভাবেই দলের নীতি আদর্শের বাইরে কাউকে ঠাই দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। স্বার্থন্বেষী সুবিধাভোগী মহল যেন দলের কোন পর্যায়ে ঠাই না পায় সেজন্য কেন্দ্র থেকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই না যেসকল সংসদ সদস্য নিজ এলাকায় মাই ম্যান কমিটি করবে তাদের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে আওয়ামী লীগ। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে যেসকল সংসদীয় আসনে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন তাতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ইন্ধন রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কোনো সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয় যে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থী বা অন্য কারো সমর্থন করেছেন তাহলে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তার কপাল পুড়বে। সে যত বড় মাপের নেতাই হোক বিশ্বাস ঘাতকদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

আওয়ামী লীগের কাউন্সিলল ও তৃণমূল গোছানোর বিষয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, করোনা মহামারি কেটে গেছে আশাকরি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড গুলো শুরু করতে পারব। একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে গোছানোর কাজ শুরু হবে যে জেলাগুলো বাকি আছে সেগুলো সম্পন্ন করার কাজ শুরু করছি। তৃণমূলকে গুছিয়েই আমরা সম্মেলন গুলো করব। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন নির্ধারিত সময়ে হওয়ার কথা। তার আগে তৃণমূল গোছানো হবে।

দলে কারা ঠাই পাবে এবিষয়ে তিনি বলেন, আগামী নেতৃত্বে তরুন প্রজন্মকে সংযুক্ত করা। নবীন প্রবীণের সমন্বয় করে কমিটি করা। যারা দু:সময়ে দলের নীতি আদর্শকে আকড়ে ধরে কাজ করেছে তাদের বিষয় বিবেচনা করা হবে। যারা দুর্দিনের সহযোদ্ধা, যারা দুর্দিনে জাতির পিতার আদর্শকে টিকিয়ে রাখতে লড়াই করেছে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। তাদের মূল্যায়ন করে যথাযথ জায়গায় স্থান করে দেওয়াই আওয়ামী লীগের কাজ। নীতিহীন আদর্শহীন সুবিধাবাদি স্বার্থন্বেষী মহল প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য আওয়ামী লীগ সব সময় সজাগ। দেশ বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি তথাকথিত স্বার্থন্বেষী মহল যাতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষ্নু করতে না পারে সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সব সময় সতর্ক। আওয়ামী লীগ সভাপতি আমাদের নেত্রী কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন নীতি আদর্শহীন সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি বা খুনের রাজনীতি যারা করেছে তারা যেন দলের কোনো পর্যায়ে ঠাই না পায়।

দল গোছানোর বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নেত্রী দেবেন। তবে আমরা সাংগঠনিক কাজগুলো করোনার মধ্যেই চালিয়েছি। হয়তো পুরোদমে সম্ভব হয়নি। এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে দেওয়া বিধিনিষেধ উঠে গেলে যেসকল জেলা উপজেলায় কমিটি হয়নি সেগুলো করা হবে। আশাকরছি আগামী মে মাসের মধ্যে সমস্ত কমিটি গঠন সম্পন্ন হবে। এবারের কমিটিতে একটা বিষয় পরিস্কার যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে প্রার্থী হয়েছেন তারা কোনো পর্যায়ে দলের কমিতে আসতে পারবেন না। এটা তৃণমূলে যেমন তেমনি জাতীয় পর্যায়ের কমিটিতেও। আর যেসকল সংসদ সদস্যরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে অন্য কোনো প্রার্থীর সমর্থন করেছেন তাদেরও কপাল পুড়বে।

 

এসএম/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত