বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘এডিটর’স টক’ অনুষ্ঠানে ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন (১ম পর্ব)

অযোগ্যদের উপাচার্য বানানোর ফলে ক্যাম্পাস আক্রান্ত হচ্ছে

ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ। জন্ম বগুড়া জেলার সূত্রাপুরে ১৯৪৭ এর ৫ নভেম্বর। বগুড়া জেলা স্কুল থেকে ৬৩-তে এসএসসি এবং বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। কলেজ জীবন থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন  বাংলা একাডেমির সবেক মহাপরিচালক ছিলেন। শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। ২০১৮ সালের ১ মার্চ থেকে তিনি বিইউপিতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকাপ্রকাশ-এর এডিটর’স টক অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছেন ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামালের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে আসে তার ছেলেবেলা থেকে জীবনে এগিয়ে চলার কথা। আজ প্রকাশিত হচ্ছে আলাপচারিতার প্রথম পর্ব।

 

মোস্তফা কামাল: আমাদের অনুষ্ঠানে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এ অনুষ্ঠানে যারা অতিথি হয়ে আসেন, আমরা তাদের প্রোফাইল নিয়ে অর্থাৎ শৈশব, কৈশোর শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আপনি এ দেশের একজন সুপরিচিত মানুষ। আপনি একজন শিক্ষাবিদ, ইতিহাসবিদ, লেখক, বিশ্লেষক; আপনি সম্পাদকও ছিলেন একটি জাতীয় দৈনিকের। অনেক গুণের অধিকারী আপনি। এই প্রজন্ম হয়তো আপনার সম্পর্কে তেমন জানে না। তাদের জন্যই আজকে আমরা জানব আপনার ছেলেবেলা, শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবন সম্পর্কে।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: ধন্যবাদ। আমি কোনো বিদও নই, কোনো গুণের অধিকারীও নই। আমি একজন নগণ্য বাঙালি এবং ইতিহাসের মানুষ। আমার জীবনটা প্রায় সাড়ে সাত দশকের জীবন। ৭৫-এ পা দিয়েছি। আমার জন্ম হয়েছিল বগুড়া জেলার সূত্রাপুরের পৈত্রিক বাড়িতে ১৯৪৭ এর ৫ই নভেম্বর। তবে জন্মক্ষণটি বেশ চমকপ্রদ। রাত ২টায় আমার জন্ম এবং অমাবশ্যার রাতে। পরিবারের লোকজন বলেছিল, এই ছেলের ভবিষ্যত অমাবশ্যার মতোই অন্ধকার। এখনো হয়তো অন্ধকারেই আছি তবে আলোর প্রত্যাশী।

 

ছোটবেলায় স্কুলে কয়েক ক্লাস পড়া হয়নি। বাবার বদলির চাকরির সুবাদে গাইবান্ধায় আমাদের ভাড়াবাড়ির পাশেই ছিল জমিদার বাড়ি। তিনি প্রয়াত এবং তার স্ত্রী জমিজমা সব দেখাশোনা করতেন। আমি তাকে মাসিমা ডাকতাম। তার প্রতি আমার খুব আকর্ষণ ছিল কারণ, ছোটবেলায় তিনি আমাকে মিষ্টি দিতেন। তিনটি খাবার আমার তখন খুব প্রিয় ছিল। ফল, মিষ্টি, আচার। এখন মধুরোগে আক্রান্ত, তাই মিষ্টি খেতে পারি না। তবে ফল এবং আচার এই দুটি টিকিয়ে রেখেছি। যা-ই হোক, একদিন মা অভিযোগ করলেন, আপনি ওকে এত আদর করেন, কিন্তু ওতো দূরন্ত, লেখাপড়া করে না। তারপর দুই পয়সা দামের শিশু শিক্ষা দিয়ে আমার শিক্ষাজীবন শুরু। বগুড়া জেলা স্কুল থেকে ৬৩-তে এসএসসি পাস করি। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করি বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে। এই কলেজ আমাকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রেখেছিল, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা পাস করি।

মোস্তফা কামাল: আপনি কি ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হলেন?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: হ্যাঁ। কারণ ইতিহাসকে আমার কাছে মনে হয়েছে সব শাস্ত্রের জননী। সবচেয়ে ভালো লেগেছে আমার কাছে যে, ইতিহাস সত্যলগ্ন। অর্থনীতিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকলেও ইতিহাস বেছে নিলাম। আজকে মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগ যেটি সেখানেই আমাদের কলা বিভাগ ছিল। আমার প্রথম ক্লাসের অভিজ্ঞতাও বেশ রোমাঞ্চকর। যা-ই হোক, প্রথম বিভাগে স্নাতক পাস করলাম।

মোস্তফা কামাল: শিক্ষক কেন হলেন?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: বগুড়া আজিজুল হক কলেজে পৌরনীতি পড়াতেন আমাদের এক শিক্ষক। তাকে দেখেই আমার আকর্ষণ জমে গেল এবং মনে হলো–আমাকে তো শিক্ষক হতে হবে। স্যার খুব পছন্দ করতেন আমাকে।

অনার্স পরীক্ষা দেওয়ার আগেই একটি ঘটনা ঘটল। সুর্যসেন হল থেকে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গেল। পরে জামিন নিয়ে পরীক্ষা দিই। বাংলা একাডেমিও আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো–বিধাতা কত রসিক! সেই বাংলা একাডেমিতে আমি মহাপরিচালক হলাম। যা-ই হোক, জামিন নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। ফলাফল ভালোই হলো। প্রথম শ্রেণিতে প্রথম। স্নাতক পর্যায়ে গিয়ে আধুনিক ইতিহাস পড়লাম। আজও মনে করি যে, একটি সমৃদ্ধ সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। তখন আমাদের উপাচার্য ছিলেন বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী। অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয় মানুষ। জ্ঞান ও পাণ্ডিত্যে অতুলনীয়। চাকরির ভাইভায় আমি বললাম, আমি যদি এই চাকরিটি পাই, অবশ্যই করব। ফিরে এসে দেখলাম, আমার চাকরি হয়ে গেছে। বেতনের চেয়ে ছয়টি ইনক্রিমেন্ট বেশি পেয়েছি বলে দু-দুটি মিষ্টি খেতে হয়েছিল। একটি চাকরির জন্য অন্যটি ইনক্রিমেন্টের জন্য। সে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা ছিল আমার জন্য।

 

মোস্তফা কামাল: শিক্ষাজীবনের দীর্ঘ সময়ে মজার কোন অভিজ্ঞতা কি মনে পড়ে?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: আমার সবচেয়ে সমৃদ্ধ সময় কেটেছে ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন থেকে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত। পরে যখন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে আমি রেস্টুরেন্টে কাজ করতাম। এক আমেরিকান ছেলে বেড়াতে এসেছে। আমি তাকে খাওয়ালাম। যাওয়ার সময় সে ভুল করে তার পার্সটা রেখে গেছে। তারপর অনেক খুঁজে তার পার্স ফেরত দিয়েছি। বললাম, আমি তোমার মতোই একজন ছাত্র। টাকা সে নিতে চায়নি। সেসময় আমি শুধু সময় কাটাচ্ছি কবে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব। আরেকদিন বিকালে আমার শেফ খুব মনমরা হয়ে বলল, স্যার, আমাদের যে বিড়াল ছিল পেছনের বাগানে, সেটা মরে গেছে। আমি গিয়ে দেখলাম সত্যিই নড়ে না চড়ে না। খেয়ে দেয়ে বেশ তরতাজা হয়েছে। বিলেতি বিড়াল আর কি। রাত এগারোটার সময় যখন আমি খাবার দিচ্ছি আমার কাস্টোমারদের, সে তখন দৌড়ে এসে বলল, স্যার! বিড়াল! ইটস লাইফ। তারমানে বিড়াল, ইটস অ্যালাইভ! এ রকম অনেক মজার ঘটনা আছে বিদেশ বিভূঁইয়ের।

মোস্তফা কামাল: আপনার এই যে দীর্ঘ শিক্ষকজীবন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা কি আমাদের শিক্ষাবিমুখ করে? চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে না। আপনার কী মনে হয়?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: বাংলাদেশের বয়স পঞ্চাশ পেরুল। আমার শিক্ষকতার বয়স বায়ান্ন পেরুল। আমি এখনও খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। শিক্ষার সমস্যাটি হচ্ছে আমাদের তো পথ বাতলে দিয়েছিল কুদরত-ই-খুদা-কমিশন। বঙ্গবন্ধু সময় পাননি কুদরত-ই-খুদাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে। তারপর থেকে তো সামরিক শাসন। আর এখন তো হ-য-ব-র-ল অবস্থা। আপনি যেটি বলছেন, তার সঙ্গে আমি একমত। শিক্ষকতা কিন্তু চাকরি নয়। বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের ১৭ ধারায় বলা আছে, একমুখি শিক্ষা। যেটি কুদরত-ই- খুদা-কমিশনে স্পষ্ট করে বলা আছে। কিন্তু আমরা তো দেখি বহুমুখী শিক্ষা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। আমিতো দেখি এডভোকেট মঞ্জুর মোরশেদ জনগুরুত্বপুর্ণ অনেক বিষয় রিট করলেও এটি কেন করেন নি জানা নেই। রিট করলে সরকার কিন্তু আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যাবে। কারণ পরিপুর্ণভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করছে। শিক্ষার সর্ব সাম্প্রতিক যে অবস্থা, উপচার্য কেন্দ্রিক বিতর্ক চলছে। সেখানে বলা হচ্ছে অনুপযুক্ত অযোগ্য ব্যক্তিদেরকে উপাচার্য বানানোর ফলে অধিকাংশ ক্যাম্পাস অশান্ত হয়ে উঠেছে। আমাদের ৬ জন উপাচার্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এটি কিন্তু সরকারের জন্য ভালো হচ্ছে না। শিক্ষাব্যবস্থা কীভাবে চলবে বঙ্গবন্ধু কিন্তু সেটি দেখিয়ে গেছেন। কবির চৌধুরী যখন শিক্ষাসচিব হলেন, তখন একদল আমলা গিয়ে বলল, আমরা কোথায় যাব? বঙ্গবন্ধু বললেন, শিক্ষিত মানুষকে শিক্ষার দায়িত্ব দিয়েছি। তোমরা কেরানি, কেরানিই থাকো।

মোস্তফা কামাল: বঙ্গবন্ধু কন্যা বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করছেন কি না।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: আমি তা মনে করি না।

মোস্তফা কামাল: শাহজালাল ইউনিভার্সিটিতে এখন যে চলমান সংকট এটি নিয়ে কি বলবেন? এ থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনীতি না হওয়াই ভালো। তখন সৎ যোগ্য দক্ষ ব্যক্তিদের উপাচার্য বানিয়েছেন। এখনকার বিবেচনায় অযোগ্য অসৎ অদক্ষ ব্যক্তিদের উপাচার্য বানাচ্ছে। বেরিয়ে আসার একটি পথ হলো, যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করতে হবে। যোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতাকে মূল্যায়ন করতে হবে। একটি বিষয় আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, যেসব উপাচার্য নিয়ে সমস্যা, তাদের প্রত্যেকেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

মোস্তফা কামাল: শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী এ নিয়েও নানাবিধ সমালোচনা হচ্ছে। কি বলবেন?

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: দলবদলের রাজনীতি আগেও ছিল, এখনো আছে; কিন্তু কথা হচ্ছে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ঠিকঠাক মতো আছে কি না। সরকার তাকে কেন উপাচার্য বানাল? আমার এটি প্রশ্ন। এজন্যই যোগ্য মানুষকে ঠিক জায়গায় বসান। সব ঠিক হয়ে যাবে।

মোস্তফা কামাল: আপনি তো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমাদের দেশে সরকারি অর্থাৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগেও নানা অনিয়ম দেখা যায়।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন: এগুলোতে নিয়ম নীতিমালা থাকা দরকার। উপাচার্য নিয়োগের কোনো নীতিমালা নেই।

 

 

 

(চলবে)

 

 

এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত