বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

হাতুড়ি-বাটাল-ছুরি-চাকু-প্লায়ার্স দিয়ে করা হয় ময়নাতদন্ত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কাটা-ছেঁড়া করা হয় আদিকালের হাতুড়ি-বাটাল আর ছুরি-চাকু, প্লায়ার্স দিয়ে। মেডিকেল কলেজের অধীন মর্গটিতে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এ পদ্ধতিতেই কাজ চলছে। সনাতনী এই কায়দায় একটি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগে। অনেক ক্ষেত্রে এই সনাতন পদ্ধতিতে ময়নাতদন্তের পর প্রতিবেদনের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

মর্গ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ডিজিটাল যুগে সেকেলে কায়দায় হাতুরি-বাটাল-ছুরি দিয়ে চলছে মৃতদেহ কাটা-ছেঁড়ার কাজ। আমাদের চেয়ে পিছিয়ে থাকা অনেক দেশে মরদেহের শরীরে থাকা কোনো বস্তুকে শনাক্ত করতে ডিজিটাল পোর্টেবল এক্সরে মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দুই মিনিটেই শনাক্ত করা যায় মরদহের ভেতরে থাকা বুলেটের অগ্রভাগ (প্রোজেক্টাইল), ছড়রা গুলির প্যালেট, বোমা বা এ জাতীয় বস্তুর স্প্লিন্টার ইত্যাদি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালে এ ধরনের মেশিন (ডিজিটাল পোর্টেবল এক্সরে মেশিন) নেই। অর্থাৎ গুলিবিদ্ধ, বোমা বিস্ফারণ, ছুরিকাঘাতসহ বিভিন্ন আঘাতজনিত ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটিকে অনিবার্যভাবে শিকার হতে হয় বেহিসাব কাটা-ছেঁড়ার। পাশের দেশ ভারত-নেপাল-শ্রীলংকাসহ আরও অনেক দেশে ফরেনসিক বিভাগ এই মেশিন ছাড়া ময়নাতদন্তের কথা চিন্তাও করতে পারে না।

ঢামেক হাসপাতালের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৫৯৮ জনের ময়নাতদন্ত হয়। এর মধ্যে অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহ ছিলো ৯৫টি। বছর শেষে এই মরদেহগুলো আঞ্জুমান মফিজুল মাধ্যমে দাফন করা হয়।

রুটিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্থানে কাটা-ছেঁড়ার মাধ্যমে একটা ডেডবডির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। অথচ ডিজিটাল পোর্টেবল এক্সরে মেশিনমেশিনটির দামও আহামরি কিছু নয়, পাঁচ-সাত লাখ টাকা মাত্র। কিন্তু এই একটি মেশিনের অভাবেই ঢাকা মেডিকেল মর্গে পুরোনো কায়দায় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হচ্ছে। এতে অন্য লাশগুলোকে অপেক্ষমান রাখতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। ফলে প্রায়ই পঁচন ধরে সেইসব মরদেহে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢামেকের মর্গে ৫টি ফ্রিজ আছে। এর মধ্যে ২টি নষ্ট। ১টি এই চলে তো এই চলে না অবস্থায়। বাকি সচল ২টির মধ্যে ১টিতে মাসের পর মাস জঙ্গি ও বিদেশিদের মরদেহ থাকে। বাকিটিতে ৮-৯টি মরদেহ রাখা যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পাঁচটার মধ্যে ৮-৯টি লাশের ময়নাতদন্ত করা হয় এখানে। যেদিন গুলিবিদ্ধ লাশ আসে, সে দিন পুরো সময় ওই লাশ কাটতে পার হয়ে যায়। ফলে অন্য লাশগুলো ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ফ্রিজ তো মাত্র দুটি! তাই ফ্রিজে জায়গা না হওয়ায় লাশগুলোকে বাধ্য হয়ে মেঝেতে ফেলে রাখতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিগত কারণে মরদেহ সংশ্লিষ্ট আলামতও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। লাশের পচন প্রক্রিয়ার কারণে অনেক সহজলভ্য, সুস্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য আলামতও নষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন।

ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাকসুদুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষকে অনেক বার মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে, যে এখন ডিজিটাল যুগে আদিকালে যন্রপাতি দিয়ে ময়না তদন্ত করা খুবই কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। তাই আধুনিক যন্ত্রপাতি আনার জন্য বলা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকলে তাতে কাজ করার অনেক সুবিধা হবে। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মর্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক সঠিকভাবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে পারছেন না। ফরেনসিক বিভাগ নিশ্চিত হতে পারছে না ঘটনার সঠিক কারণ বিষয়ে এবং একইভাবে সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক পুলিশ কর্মকর্তাও পালন করতে পারছেন না দায়িত্বের পুরোটুকু। ফলশ্রুতিতে ভুক্তভোগী জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়েও প্রশ্নের পর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।

ঢামেক হাসপাতালের মর্গ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত অজ্ঞাতপরিচয় ৭ টি মরদেহ এই হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে। যার মধ্যে রয়েছে খিলক্ষেতের দুটি, শাহবাগের দুটি ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের একটিও কমলাপুরে দুটি । এর মধ্যে খিলক্ষেতের দুটিই অজ্ঞাত মরদেহ ছিল। মরদেহটি থেকে ২৫টি প্যালেট উদ্ধার করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। শাহবাগ থেকে উদ্ধার রাকিবের মরদেহ দেহ থেকে ১৪টি ট্যালেট পায় ফরেনসিক বিভাগ।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো.বাচ্চু মিয়া বলেন, মর্গ আধুনিক না হলে, কম-বেশি ভুল থেকেই যাবে। মর্গে কাটা ছেঁড়ার আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডোম থাকতে হবে। একইসঙ্গে কাজের প্রতি মনোযোগ থাকা দরকার সংশ্লিষ্টদের।

একদিকে লোকবলের তুলনায় অত্যধিক মরদেহ, অন্যদিকে মান্ধাতার আমলের যন্ত্রপাতি এবং দরকারি অনেক অনুষঙ্গের অনুপস্থিতি- এসব বহুমুখী জটিলতার কারণে অনেক সময় সঠিকভাবে ময়নাতদন্ত সম্ভব হয় না। ফলে অনেক প্রতিবেদনেই ভুল রিপোর্ট আসে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফরেনসিক কর্মীরা জানান। সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সংশ্লিষ্ট মামলাও ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে- এমনটা দাবি করছেন পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি ঢামেক হাসপাতালের মর্গ ঘুরে দেখা গেছে পুরানো যন্ত্রপাতি ও জরাজীর্ণ আসবাবপত্র। যেন সাইনবোর্ড হয়ে সেসবই প্রকাশ করছে মর্গটির মুমূর্ষু অবস্থার কথা।

সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, বিশেষজ্ঞ ও উপযুক্ত যন্ত্রপাতি সংকটের কারণে দেশজুড়ে আলোচিত অনেক হত্যাকাণ্ডের পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট নিয়ে জনমনে সন্দেহ, উদ্বেগ ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এমনকি অনেক নির্মম হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্তে পাওয়া ভুল প্রতিবেদনের কারণে তা আত্মহত্যা হিসেবে মেনে নিতে হয় পুলিশ, আদালত ও স্বজনদের। কখনো কখনো মর্গের অবস্থা এর চেয়েও নাজুক অবস্থায় পৌঁছায়। অনেক ক্ষেত্রেই পুরোপুরি মর্গসহকারী বা ডোমের ওপর নির্ভরশীল দেশের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালটির ময়নাতদন্ত বিভাগ। ময়নাতদন্তকে গুরুত্ব না দেওয়ায় ফরেনসিক প্রতিবেদন ভুল আসছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ টিটু মিয়া ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমাদের মর্গে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে। তবে সেই তুলনায় আধুনিক করতে পারিনি। আমাদের যা যা লাগবে আমরা ফরেনসিক বিভাগ দিয়ে সেটার তালিকা করে ফেলেছি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথাও হয়েছে। খুব শিগগিরই আমরা এর ব্যবস্থা করে ফেলবো।

 

এএইচ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত