বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাৎকার : শেষ পর্ব

রাষ্ট্রপতির সংলাপকে ইতিবাচকভাবে দেখি: নুর

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে হুংকার দিয়ে লাইম লাইটে আসা ছাত্রনেতা থেকে জাতীয় নেতা হয়ে উঠা নুরুল হক নুরের লক্ষ্য এবার ছাত্রলীগ-যুবলীগ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী এই সংগঠন দুটির কর্মকাণ্ডের ব্যাপক সমালোচনা করেন তিনি। সারা দেশে ছাত্রলীগ যুবলীগের কোন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চোখে পড়লেই তাদের নেতা-কর্মীরা সেগুলোর ভিডিও অথবা স্থিরচিত্র সংগ্রহ করছেন বলেও জানান তিনি। সেইসঙ্গে নির্বাচন ও দলীয় নবন্ধন প্রশ্নেও ঢাকাপ্রকাশের সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনারা যে নতুন দল গঠন করেছেন গণ অধিকার পরিষদ, ঢাকার বাইরে গণ অধিকার পরিষদ কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

নুরুল হক নুর: একটা রেসপন্স আছে; কিন্তু আমরা সেটা দেখাতে পারছি না। কারণ আমরা ঢাকার বাইরে গেলেই আমাদের উপর হামলা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুন্ডাপান্ডা হামলা করছে। আমাদের দল ঘোষণার পর ১৭ নভেম্বর মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে গিয়েছিলাম সেখানে আমাদের উপর হামরা করেছিল। এই হামলা-মামলার পরও চেষ্টা করছি ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার। একটা জায়গায় আমরা আশাবাদী। যেহেতু বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে র‍্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনে বর্তমান পুলিশ প্রধান, র‍্যাব প্রধানসহ অনেকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, কাজেই আমরা যদি এই হামলা মামলার তথ্য প্রমাণগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে পারি তাহলে তো ছাত্রলীগ-যুবলীগকেও নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে আন্তর্জাতিক মহল ঘোষণা করবে। আমরা সেই তথ্য সংগ্রহের কাজ করছি এবং আমরা মানবাধিকার সংগঠনসহ সবাইকে বলব যারা এই ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে, তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে নিষেধাজ্ঞা আনয়নের জন্য সকলের কাজ করা উচিত। এ ধরণের সহিংস কর্মকাণ্ডকে কারও সমর্থন দেওয়া উচিত না।

ঢাকাপ্রকাশ: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে যদি আপনার নিকট জোট গঠনের প্রস্তাব আসে তাহলে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?

নুরুল হক নুর: আমরা ক্ষমতায় যেতে বা ভোটের মাঠে জোট করতে আগ্রহী না। এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমাদের সিদ্ধান্ত–আমাদের রাজনীতির স্বতন্ত্রতা তুলে ধরতে হবে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দল আছে। যখন ১৪ দলের ছোটখাটো দল বলে তখন মানুষ যদি ছোটখাটো দলে থাকে, তার মধ্যে একটা বিষয় কাজ করে–আমি এই ছোট খাটো দল না করে মূল দল আওয়ামী লীগ করব। ঠিক একইভাবে বিএনপির সঙ্গে যারা জোট করে সেই দলগুলোর ওইভাবে মাঠে খুব একটা অবস্থান নাই। তারা মনে করে লিয়াজু দল করব কেন, আমি মূল দল করব। সেই ক্ষেত্রে আমরা জোটের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত অনাগ্রহী। জোট করার ব্যাপারে নীতিগত কোন সিদ্ধান্ত নেই। তবে নির্বাচনের মাঠে জোট না করলেও দেশে গণতন্ত্র ফিরে আনার জন্য ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা জোট করতে পারি বা যুগপতভাবে, জোটগতভাবে আন্দোলন করতে পারি। এই বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে দেখি।

ঢাকাপ্রকাশ: কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে ভিপি নুর এখন জাতীয় নেতা। শাসন ক্ষমতায় নিজেকে মেলে ধরতে কতটুকু প্রস্তুত?

নুরুল হক নুর: সবাই তো নিজেকে আত্মবিশ্বাসী ভাবে। সবাই নিজেকে পারফেক্ট মনে করে; কিন্তু আমি নিজেকে পারফেক্টও মনে করি না, আবার নিজেকে ওভার কনফিডেন্টও মনে করি না। তবে এখন পর্যন্ত এই প্রতিকূলতার মধ্যে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চার করেছি, বিভিন্ন রুঢ বাস্তবতাকে কাছ থেকে দেখেছি এবং সেখানে এটুকু বলতে পারি–যদি কোনো পদ-পদবীতে থাকি, তার সর্বোচ্চ সৎ ব্যবহার করব। অসৎ ব্যবহার না। আমার প্রতিজ্ঞা কিছুটা হলেও কোটাবিরোধী আন্দোলনে দেখিয়েছি। নিজে নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েও অধিকার আদায়ের জন্য আট মাস আন্দোলন করেছি এবং সেই দাবি আদায় করে ছেড়েছি। ডাকসুর ভিপি হয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলে চাঁদাবাজি করিনি। কারও কাছ থেকে দুই পয়সা নেইনি, কোনো টেন্ডারবাজি করিনি। কোনো নিয়োগ বাণিজ্যে জড়াইনি। এ রকম একটি পদে থাকা অবস্থায় যেটা ছাত্র নেতাদের কাছ থেকে অহরহ হয়। রাজনীতিতে বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলে সেটার সৎব্যবহার করতে পারব। মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। সকল প্রকার অর্থ বিত্তের মোহের ঊর্ধ্বে থেকেই নিজেকে মেলে ধরতে চেষ্টা করব।

ঢাকাপ্রকাশ: গণ অধিকার পরিষদের নিবন্ধন বিষয়ে কি ভাবছেন?

নুরুল হক নুর: আমরা ভাবছি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে তাদের কাছে একটা ফরমাল আবেদন করব। এই নির্বাচন কমিশন, সরকারের দলদাস। এই নির্বাচন কমিশনের কাছে যাব না। নতুন নির্বাচন কমিশন সেরকম নাও হতে পারে। কারণ বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে এখন এই সরকারের পতনের ঘণ্টা ধ্বনি বাজছে। আগামীতে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সুতরাং যারা প্রশাসনে আছেন, নির্বাচন কমিশনে থাকবেন, তাদের মধ্যে এরইমধ্যে একটা মিথস্ক্রিয়া লক্ষ্য করতে পারছি। সে কারণেই আমরা নির্বাচন কমিশনের যে শর্ত–২২টা জেলা কমিটি করা, ১০০ উপজেলা কমিটি করা–আমরা এসব প্রস্তুত করে নতুন নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধনের জন্য আবেদন দেব। নিবন্ধন পেলে ভালো, না পেলে গণতান্ত্রিক দাবি আদায়ের জন্য যেসব শান্তিপূর্ণ পথ আছে, সেই আন্দোলন সংগ্রাম বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা আমরা সেইভাবে করব।

ঢাকাপ্রকাশ: নিবন্ধন না পেলে কিভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন?

নুরুল হক নুর: মই দিয়ে কাউকে গাছে উঠিয়েছেন। মইটা সরালে সে আর নামতে পারবে না। সরকারকে কিছু সুবিধাভোগী মানুষ তাদের বিনা-ভোটে তাদের ক্ষমতায় রেখেছে, তারা সরে যাচ্ছে। এখন সরে যাওয়ার নিরাপদ রাস্তা পাচ্ছে না। তার জন্য তারা রাস্তাও খুঁজছে। আমি বিশ্বাস করি, এ ক্ষেত্রে তারা আর কোনো রাজনৈতিক জটিলতায় যাবে না। সে ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সকল শর্ত মেনে নেবে এবং সবাইকে নিবন্ধনসহ যে ধরনের জটিলতা রয়েছে সেগুলো সমাধান করবে এটা করতে হবে। বাস্তব কথা–এটা সমাধান না করে আগামীতে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না। আমরা হতে দেব না।

ঢাকাপ্রকাশ: রাষ্ট্রপতির সংলাপ কীভাবে দেখছেন?

নুরুল হক নুর: রাষ্ট্রপতির এ ধরণের উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখি। অন্তত যে কোনো একটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে হলেও রাজনীতি দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় হয়। আপনার যে বিষয়ের উপরে আলোচনা হোক না কেন, যখন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বসার সুযোগ হয়, তখন রাজনৈতিক দলগুলো দেশের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ পায়। দাবি জানানোর সুযোগ পায়। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি, যেসব দল আমন্ত্রণ পাচ্ছে, তাদের যাওয়া উচিত এবং রাষ্ট্রপতিরও নিবন্ধিত, অ-নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত। কারণ এখন দেশ একটা গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতিকে রাজনৈতিক দলগুলোর টিউন বুঝতে পারেন। সবার বিষয়টি বুঝে যদি নিরপেক্ষ লোকদের নিয়ে সমন্বয় একটা নির্বাচন কমিশন করেন সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য পাবে। কিন্তু রকিব উদ্দীন এবং হুদা কমিশনের মতো যদি কলঙ্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে দলদাস ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন করেন, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। সে ক্ষেত্রে কমিশন গঠন থেকেই আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে রাজনৈতিক দলগুলোর। রাষ্ট্রপতি বিষয়গুলো সর্তকতার সঙ্গেই বিষয়টির সুরাহা করবেন।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

নুরুল হক নুর: আপনাকেও ধন্যবাদ।

বিশেষ সাক্ষাৎকার : পর্ব -১

এসএম/এসএ/

Header Ad
Header Ad

জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার মতো এমন অপকর্মের সাহস পেত না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিএনপির আয়োজিত র‌্যালিতে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ইসরায়েল কেবল ফিলিস্তিন নয়, সারা বিশ্বের মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। একে যদি এখনই প্রতিহত করা না যায়, তাহলে একে একে সব মুসলিম রাষ্ট্রকে তারা ধ্বংস করবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন বাড়ছে, আমরাও তা প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি। এমনকি সুশীল সমাজ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।

তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় মানবতার পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমরা মুসলমান, আমরা মানবিক—এই ন্যূনতম দায়বদ্ধতা থেকেও ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানো উচিত।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপি সবসময় ন্যায়ের পক্ষে, মানবতার পক্ষে। ফিলিস্তিন সম্পর্কে অন্তর্বর্তী সরকারের এখনও আলাপ পাইনি। অনেক সুশীল রয়েছে, তাদের সাড়া মিলছে না।’

মুসলিম বিশ্বের দ্বিধাবিভক্তির কারণে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন চলছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও রয়েছে।’

বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে সবাই ব্যস্ত, কিন্তু ফিলিস্তিনের পক্ষে ব্যস্ত নয় বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চন্দননগর এলাকার বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন - বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত ওছির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫৫) এবং একই এলাকার মৃত আফসের আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫৫)।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম ও লালচানের বুধরিয়া এলাকায় পাশাপাশি জমি রয়েছে। সাইফুল ইসলামের বাবা তাদের জায়গাতে গাছ লাগালে জমিজমা মাপজোক করে গাছটি লালচানদের মধ্যে পড়ে। গাছ সাইফুলের বাবা লাগানোর সুবাদে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সাইফুল গতকাল বুধবার মেহগনি গাছ কাটলে উভয়পক্ষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। আজ সকালে সাইফুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে লালচান তার অংশ বেড়া দিয়ে ঘিরে নিতে বললে সাইফুল ব্যস্ত আছে জানালে লালচান, কাশেম হাজীসহ ২০-২২ জন রামদা, কুড়াল, হাসুয়া দিয়ে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হয় আরও ৮-১০ জন। আহতদের মধ্যে আজিজুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।

নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি

আহম্মদ হোসেন মাসুম (বামে) এবং মো. আসাদুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের প্রশাসন-৫ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন উপসচিব কামরুল হাসান।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) আহম্মদ হোসেন মাসুমকে পদায়ন করা হয়েছে রেলওয়ে (পশ্চিম)-এর প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে। অন্যদিকে প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম) মো. আসাদুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্ম-মহাপরিচালক (প্রকৌশল) হিসেবে।

এছাড়া প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, আহম্মদ হোসেন মাসুম রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন-২ শাখার ২০ নভেম্বর ২০২৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী খুলনা থেকে মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে যেভাবে নিযুক্ত ছিলেন, সেই দায়িত্ব আগের মতোই বহাল থাকবে।

একইভাবে, মো. আসাদুল হকও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পূর্ববর্তী ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, সেটিও বহাল থাকবে।

জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু
ভারতের মত অন্য কোনও দেশ বাংলাদেশের এতটা মঙ্গল চায় না: জয়শঙ্কর
মেসির জোড়া গোলে সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আজ বিএনপির র‌্যালি, রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি