শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ সাক্ষাৎকার : শেষ পর্ব

রাষ্ট্রপতির সংলাপকে ইতিবাচকভাবে দেখি: নুর

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে হুংকার দিয়ে লাইম লাইটে আসা ছাত্রনেতা থেকে জাতীয় নেতা হয়ে উঠা নুরুল হক নুরের লক্ষ্য এবার ছাত্রলীগ-যুবলীগ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী এই সংগঠন দুটির কর্মকাণ্ডের ব্যাপক সমালোচনা করেন তিনি। সারা দেশে ছাত্রলীগ যুবলীগের কোন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চোখে পড়লেই তাদের নেতা-কর্মীরা সেগুলোর ভিডিও অথবা স্থিরচিত্র সংগ্রহ করছেন বলেও জানান তিনি। সেইসঙ্গে নির্বাচন ও দলীয় নবন্ধন প্রশ্নেও ঢাকাপ্রকাশের সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনারা যে নতুন দল গঠন করেছেন গণ অধিকার পরিষদ, ঢাকার বাইরে গণ অধিকার পরিষদ কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

নুরুল হক নুর: একটা রেসপন্স আছে; কিন্তু আমরা সেটা দেখাতে পারছি না। কারণ আমরা ঢাকার বাইরে গেলেই আমাদের উপর হামলা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুন্ডাপান্ডা হামলা করছে। আমাদের দল ঘোষণার পর ১৭ নভেম্বর মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে গিয়েছিলাম সেখানে আমাদের উপর হামরা করেছিল। এই হামলা-মামলার পরও চেষ্টা করছি ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার। একটা জায়গায় আমরা আশাবাদী। যেহেতু বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে র‍্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনে বর্তমান পুলিশ প্রধান, র‍্যাব প্রধানসহ অনেকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, কাজেই আমরা যদি এই হামলা মামলার তথ্য প্রমাণগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে পারি তাহলে তো ছাত্রলীগ-যুবলীগকেও নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে আন্তর্জাতিক মহল ঘোষণা করবে। আমরা সেই তথ্য সংগ্রহের কাজ করছি এবং আমরা মানবাধিকার সংগঠনসহ সবাইকে বলব যারা এই ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে, তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে নিষেধাজ্ঞা আনয়নের জন্য সকলের কাজ করা উচিত। এ ধরণের সহিংস কর্মকাণ্ডকে কারও সমর্থন দেওয়া উচিত না।

ঢাকাপ্রকাশ: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে যদি আপনার নিকট জোট গঠনের প্রস্তাব আসে তাহলে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?

নুরুল হক নুর: আমরা ক্ষমতায় যেতে বা ভোটের মাঠে জোট করতে আগ্রহী না। এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমাদের সিদ্ধান্ত–আমাদের রাজনীতির স্বতন্ত্রতা তুলে ধরতে হবে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দল আছে। যখন ১৪ দলের ছোটখাটো দল বলে তখন মানুষ যদি ছোটখাটো দলে থাকে, তার মধ্যে একটা বিষয় কাজ করে–আমি এই ছোট খাটো দল না করে মূল দল আওয়ামী লীগ করব। ঠিক একইভাবে বিএনপির সঙ্গে যারা জোট করে সেই দলগুলোর ওইভাবে মাঠে খুব একটা অবস্থান নাই। তারা মনে করে লিয়াজু দল করব কেন, আমি মূল দল করব। সেই ক্ষেত্রে আমরা জোটের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত অনাগ্রহী। জোট করার ব্যাপারে নীতিগত কোন সিদ্ধান্ত নেই। তবে নির্বাচনের মাঠে জোট না করলেও দেশে গণতন্ত্র ফিরে আনার জন্য ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা জোট করতে পারি বা যুগপতভাবে, জোটগতভাবে আন্দোলন করতে পারি। এই বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে দেখি।

ঢাকাপ্রকাশ: কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে ভিপি নুর এখন জাতীয় নেতা। শাসন ক্ষমতায় নিজেকে মেলে ধরতে কতটুকু প্রস্তুত?

নুরুল হক নুর: সবাই তো নিজেকে আত্মবিশ্বাসী ভাবে। সবাই নিজেকে পারফেক্ট মনে করে; কিন্তু আমি নিজেকে পারফেক্টও মনে করি না, আবার নিজেকে ওভার কনফিডেন্টও মনে করি না। তবে এখন পর্যন্ত এই প্রতিকূলতার মধ্যে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চার করেছি, বিভিন্ন রুঢ বাস্তবতাকে কাছ থেকে দেখেছি এবং সেখানে এটুকু বলতে পারি–যদি কোনো পদ-পদবীতে থাকি, তার সর্বোচ্চ সৎ ব্যবহার করব। অসৎ ব্যবহার না। আমার প্রতিজ্ঞা কিছুটা হলেও কোটাবিরোধী আন্দোলনে দেখিয়েছি। নিজে নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েও অধিকার আদায়ের জন্য আট মাস আন্দোলন করেছি এবং সেই দাবি আদায় করে ছেড়েছি। ডাকসুর ভিপি হয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলে চাঁদাবাজি করিনি। কারও কাছ থেকে দুই পয়সা নেইনি, কোনো টেন্ডারবাজি করিনি। কোনো নিয়োগ বাণিজ্যে জড়াইনি। এ রকম একটি পদে থাকা অবস্থায় যেটা ছাত্র নেতাদের কাছ থেকে অহরহ হয়। রাজনীতিতে বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলে সেটার সৎব্যবহার করতে পারব। মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। সকল প্রকার অর্থ বিত্তের মোহের ঊর্ধ্বে থেকেই নিজেকে মেলে ধরতে চেষ্টা করব।

ঢাকাপ্রকাশ: গণ অধিকার পরিষদের নিবন্ধন বিষয়ে কি ভাবছেন?

নুরুল হক নুর: আমরা ভাবছি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে তাদের কাছে একটা ফরমাল আবেদন করব। এই নির্বাচন কমিশন, সরকারের দলদাস। এই নির্বাচন কমিশনের কাছে যাব না। নতুন নির্বাচন কমিশন সেরকম নাও হতে পারে। কারণ বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে এখন এই সরকারের পতনের ঘণ্টা ধ্বনি বাজছে। আগামীতে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সুতরাং যারা প্রশাসনে আছেন, নির্বাচন কমিশনে থাকবেন, তাদের মধ্যে এরইমধ্যে একটা মিথস্ক্রিয়া লক্ষ্য করতে পারছি। সে কারণেই আমরা নির্বাচন কমিশনের যে শর্ত–২২টা জেলা কমিটি করা, ১০০ উপজেলা কমিটি করা–আমরা এসব প্রস্তুত করে নতুন নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধনের জন্য আবেদন দেব। নিবন্ধন পেলে ভালো, না পেলে গণতান্ত্রিক দাবি আদায়ের জন্য যেসব শান্তিপূর্ণ পথ আছে, সেই আন্দোলন সংগ্রাম বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা আমরা সেইভাবে করব।

ঢাকাপ্রকাশ: নিবন্ধন না পেলে কিভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন?

নুরুল হক নুর: মই দিয়ে কাউকে গাছে উঠিয়েছেন। মইটা সরালে সে আর নামতে পারবে না। সরকারকে কিছু সুবিধাভোগী মানুষ তাদের বিনা-ভোটে তাদের ক্ষমতায় রেখেছে, তারা সরে যাচ্ছে। এখন সরে যাওয়ার নিরাপদ রাস্তা পাচ্ছে না। তার জন্য তারা রাস্তাও খুঁজছে। আমি বিশ্বাস করি, এ ক্ষেত্রে তারা আর কোনো রাজনৈতিক জটিলতায় যাবে না। সে ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সকল শর্ত মেনে নেবে এবং সবাইকে নিবন্ধনসহ যে ধরনের জটিলতা রয়েছে সেগুলো সমাধান করবে এটা করতে হবে। বাস্তব কথা–এটা সমাধান না করে আগামীতে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না। আমরা হতে দেব না।

ঢাকাপ্রকাশ: রাষ্ট্রপতির সংলাপ কীভাবে দেখছেন?

নুরুল হক নুর: রাষ্ট্রপতির এ ধরণের উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখি। অন্তত যে কোনো একটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে হলেও রাজনীতি দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় হয়। আপনার যে বিষয়ের উপরে আলোচনা হোক না কেন, যখন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বসার সুযোগ হয়, তখন রাজনৈতিক দলগুলো দেশের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ পায়। দাবি জানানোর সুযোগ পায়। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি, যেসব দল আমন্ত্রণ পাচ্ছে, তাদের যাওয়া উচিত এবং রাষ্ট্রপতিরও নিবন্ধিত, অ-নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত। কারণ এখন দেশ একটা গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতিকে রাজনৈতিক দলগুলোর টিউন বুঝতে পারেন। সবার বিষয়টি বুঝে যদি নিরপেক্ষ লোকদের নিয়ে সমন্বয় একটা নির্বাচন কমিশন করেন সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য পাবে। কিন্তু রকিব উদ্দীন এবং হুদা কমিশনের মতো যদি কলঙ্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে দলদাস ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন করেন, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। সে ক্ষেত্রে কমিশন গঠন থেকেই আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে রাজনৈতিক দলগুলোর। রাষ্ট্রপতি বিষয়গুলো সর্তকতার সঙ্গেই বিষয়টির সুরাহা করবেন।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

নুরুল হক নুর: আপনাকেও ধন্যবাদ।

বিশেষ সাক্ষাৎকার : পর্ব -১

এসএম/এসএ/

Header Ad

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটারসহ মোট ৯ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অমান্য করায় এই ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটার ও এক ক্লাব কর্তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং সবাইকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। তাই এটিকে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ওই ৮ ক্রিকেটার হলেন, তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়। স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়। আর তেজগাঁও ক্লাবের কর্মকর্তা রবিন।

জানা গেছে, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে হওয়া সুপার লিগের ম্যাচে তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের শাস্তি দেয়।

Header Ad

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের দুর্ভোগের মধ্যে উপদেষ্টাদের অযাচিত কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।

তিনি বলেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উসকানি দিচ্ছে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত ১৫ বছর পুলিশ দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, কারাগারের সালমান এফ রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেখানে সে খুব তৎপরতা চালাচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোলনে ছিল এমন পরিচয়ে কিছু মানুষ সব পদ দখল করে নিচ্ছে।

এ সময় আন্দোলনে হতাহতদের মাসিক ভাতা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ