শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ সাক্ষাৎকার : পর্ব -১

অচিরেই তরুণ নেতৃত্বের উত্থান ঘটবে: নুর

কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে রাজপথে আসেন নুরুল হক নুর। সেই থেকে শুরু হয় রাজনৈতিক সংগ্রাম। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সভাপতি নির্বাচিত হন। এভাবে ধীরে ধীরে মূল রাজনীতিতে নাম লেখান ভিপি নুর। এখন বাঘা বাঘা রাজনৈতিক দলকে হুংকার দিয়ে কথা বলছেন। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাদের নতুন দল গণ অধিকার পরিষদ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে। তার বিশ্বাস অচিরেই তরুণ নেতৃত্বের উত্থান ঘটবে। রাজনীতির মাঠে নতুন এই দল কেমন করবে কি তাদের পরিকল্পনা এসব বিষয় নিয়ে ঢাকাপ্রকাশের মুখোমুখি হয়েছেন নুরুল হক নুর।

ঢাকাপ্রকাশ: দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে পার্থক্য কী?

নুরুল হক নুর: বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক দলগুলো আছে, বিশেষ করে বড় রাজনীতির দলগুলোর দিকে যদি তাকাই তাদের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা নাই। বিশেষ করে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব রাজনীতিতে অনেক ক্ষেত্রেই আসতে পারে না। সামনে আসতে পারে না। তাদের যে একটা আকাঙ্ক্ষা থাকে জনগণের জন্য কাজ করা জনপ্রতিনিধি হয়ে যেন সুযোগ পান না। সেটা বলতে গেলে বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র নেতৃত্ব যদি দেখেন দেখবেন দুটো পরিবারের মধ্যেই তাদের নেতৃত্ব ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা বলেছিল গণ অধিকার পরিষদ গণ-মানুষের একটা সংগঠন হবে। অন্যান্য দলের থেকে এর পার্থক্য হবে কাজে কর্মে বিশেষ করে এই সংগঠনের এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব নির্বাচনে আমরা গণতান্ত্রিক পন্থাকে গুরুত্ব দেই এবং দেব। সেটা ইতোমধ্যেই ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃত্ব নির্বাচন এবং যুব অধিকার পরিষদের নেতৃত্ব নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটার প্রমাণিত হয়েছে। দুটো সংগঠনেরই কমিটি রয়েছে একেবারে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে। এমনকি গণ অধিকার পরিষদের একটি আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে আমাদের সকলের সম্মতির ভিত্তিতে আমাদের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে। আমরাও চেষ্টা করছি ছয় মাসের মধ্যে একটা কাউন্সিল করে বিশেষ করে বিভিন্ন জেলায় কমিটিগুলো দেওয়ার পর সেই কান্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে আগামীতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটা নেতৃত্ব নির্বাচন হবে। আর একটা জায়গায় পার্থক্য বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোতে মাফিয়া কর্পোরেট গোষ্ঠী থাকে যারা ডোনার সে সমস্ত দলগুলো পরিচালনার করার জন্য সেখানে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি জনগণকে আমাদের রাজনীতি দলে এবং অর্থনৈতিক ভাবেই সংযুক্ত করা। সেক্ষত্রে আমার ইতোমধ্যেই বিভিন্ন কার্যক্রমে বিশেষ করে গণ-ফাণ্ড গঠন করেছি। সেখানে আমরা দেখেছি অনেক মানুষ আমাদের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না কিন্তু আমাদেরই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছে। অর্থাৎ দলের যে অর্থনৈতিক সংস্থান সেক্ষেত্রে আমার আমাদের অভ্যন্তরীণ নেতৃবৃন্দের অনুদানের তো একটা বিষয় থাকবে পাশাপাশি আম জনতার অংশ গ্রহণের ব্যবস্থা থাকবে। এই অর্থের মধ্যে দিয়েই আমরা দলকে পরিচালনা করতে চাই যেটা অন্য দলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় না।

ঢাকাপ্রকাশ: গণ অধিকার পরিষদ কি রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারবে?

নুরুল হক নুর: পরিবর্তনের জন্যই তো আমরা কাজ করছি। আমার বাবা কিংবা আমার পরিবারের কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েননি কিন্তু আমি তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছি এবং ২৮ বছর পর ডাকসুর ভিপিও নির্বাচিত হয়েছি কাজেই অন্যরা পারেনি বলে যে আমরাও পারব না বিষয়টি এমন না। দেশে একটা সংকট আছে রাজনীতিতে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আস্থাহীনতার ঘাটতি আছে। সেক্ষেত্রে গণ অধিকার পরিষদ আমরা ইতোমধ্যে যে কাজগুলো করছি সেক্ষেত্রে জনগণ আমাদের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। কাজেই আমাদের এই অবস্থানটা যদি ধরে রাখতে পারি এবং এই সংকট-কালীন সময়ে আমরা যদি সামনে থেকে কাজ করতে পারি নেতৃত্ব দিতে পারি আমার বিশ্বাস আমরা আগামীতে যে পরিবর্তন সূচিতে হবে সেই পরিবর্তনের ধারক বাহক হিসেবে আমরা কাজ করতে পারব।

ঢাকাপ্রকাশ: তরুণ নেতৃত্বকে কিভাবে দেখছেন?

নুরুল হক নুর: বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তরুণ নেতৃত্বের একটা উত্থান আছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ফিনল্যান্ডের মন্ত্রীসভা তারপর চিলিসহ বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিউ জিল্যান্ডের এই সমস্ত জায়গায় দেখা গেছে তরুণদের একটা প্রাধান্য এমনকি আমেরিকার পার্লামেন্টগুলোতেও তরুণ নেতৃত্ব বড় একটা অংশ জুড়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে তার ব্যতিক্রম। বাংলাদেশে সাধারণত দাড়ি চুল পাকা ৬০ পর তারাই বাংলাদেশে এমপি মন্ত্রি হয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেয়। পুলিশ প্রধান অবসরের পর জনপ্রতিনিধি হচ্ছেন কিংবা আর্মি থেকে অবসরে যাওয়ার পর রাজনীতিতে যাচ্ছেন। এ কারণে রাজনীতিতে তরুণদের জায়গা কমে যাচ্ছে তরুণরা জায়গা পাচ্ছে না। সেদিক থেকে আমরা তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়ে তারুণ্য নির্ভর একটা রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমি মনে করে এইরকম বাস্তবতায় তরুণরাই একমাত্র পরিবর্তন আনতে পারে। সেক্ষেত্রে তরুণদের নিয়ে আশাবাদী।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি ভিপি থাকাকালীন বিভিন্ন সময় আক্রমণের শিকার হয়েছেন, বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন তো জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করছেন, আপনি জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত কি-না?

নুরুল হক নুর: যেখানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো তথ্য দিয়েছে যে ১২ বছরের শাসনে ৬০১ জনকে গুম করা হয়েছে যাদের মধ্যে ৮৬ জন এখনও নিখোঁজ। ৩ হাজার মানুষকে বিচারবর্হিভুতভাবে হত্যা করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা। বেশি কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবের উপরে এবং র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি দেশ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের তো কর্তৃত্ববাদী শাসনের মধ্যে নির্যাতন নিপীড়ন গুম খুনের আশঙ্কা থাকেই। তারপরেও আমরা হতাশ নই। আমরা ভিত নই। আমরা মনে করি এই রকম অন্ধকারের ভেতরে যারা আলো জ্বালাতে চেষ্টা করবে তারাই আলোকিত করতে পারবে। আমরা চেষ্টাটি করে যাচ্ছি সেক্ষেত্রে আমাদের ভাগ্যে যা লেখা আছে তা হবে। মুসলমান হিসেবে তজদিরে বিশ্বাস করি। 

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার জীবন নিয়ে শঙ্কিত বোধ করছেন কি-না?

নুরুল হক নুর: শঙ্কা বলতে একটা আশঙ্কা থাকেই যে একটা দুর্ঘটনা যে কোন সময় ঘটতে পারে। এটা তো শুধু আমার না বাংলাদেশে যারা বিরোধী যারা ভিন্ন মতের রাজনীতি করে তাদের বেশিরভাগ নেতৃত্বের ক্ষেত্রেই এই শঙ্কাটা আছেই।

ঢাকাপ্রকাশ: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা আছে কি-না?

নুরুল হক নুর: আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্যই এই রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিয়েছি। বিশেষ করে একটা সংকট-কালীন সময়ে যেখানে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিরা রাজনীতি বিমুখ হয়ে যাচ্ছে দুর্বিতায়নের কারণে। প্রশাসন এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের দমন পীড়নের কারণে অনেকে রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা মানুষকে স্বপ্ন দেখাচ্ছি যে একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার একটা সহনশীল সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তলব সে কারণেই আমরা রাজনীতিতে এই পরিবর্তনটা করতে চাই। পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নির্বাচনে যেতে হবে। আমরা তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি যেটা হয়তো চেষ্টা করছি সেই পলিসি নিয়ে আগাচ্ছি। তবে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমাদের অবস্থান হচ্ছে এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না এবং আমরাও সেই নির্বাচনে যাব না। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও না যাওয়ার জন্য নিরুৎসাহিত করব। আমাদের যৌক্তিক এবং ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলব। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরে আনব। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করব এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করব।

ঢাকাপ্রকাশ: তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো সংবিধানে নেই? সেটা কিভাবে ফিরে আনবে?

নুরুল হক নুর: সংবিধান তো ধর্মীয়গ্রন্থ না যে সেটা পরিবর্তন করা যাবে না। সংবিধান মানুষের জন্য এবং সময়ের প্রয়োজনে এই সংবিধানই বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়েছে। এবং জনগণ যদি চায় অবশ্যই সংবিধান পরিবর্তন করতে সরকারকে বাধ্য হবে। সরকার যে দাম্ভিকতার সঙ্গে কথা বলছে সেটা হচ্ছে বিনা-ভোটে তাদের যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য। এবং তারা রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন সংগ্রাম আমলে নিচ্ছে না। কিন্তু আমার মনে রাজনৈতিক দলগুলো যদি নামার মতো রাজপথে নামতে পারে এই সরকার শুধু দাবি মানবে না, জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিদায় নেবে সেক্ষেত্রে জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্দোলন করতে হবে রাজপথে নামতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বৈরাচার শাসক ছিল কেউ স্বেচ্ছায় যায়নি। জনগণের আন্দোলনের মুখে তারা বিদায় নিয়েছে। সুতরাং যদি আন্দোলন রাস্তায় না থাকে শুধু বক্তব্য বিবৃতিতে বললে তো আর সরকার যাবে না। সরকার জনগণের দাবি এবং রাজনীতি দলগুলো দাবি মানবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কি আওয়ামী লীগ সরকারকে স্বৈরাচার শাসক বলছেন?

নুরুল হক নুর: স্বৈরাচারি বৈশিষ্ট্যে থেকে তারা উত্তরণ করে ফ্যাসিস্ট সরকারে পরিণত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার বিভিন্ন দেশে ছিল, সেসব দেশে ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনের পর সেই সমস্ত দলগুলো নিষিদ্ধ হয়েছে। আওয়ামী লীগের আজকের যে অবস্থা এটা স্বৈরাচার লেবেল অতিক্রম করে ফ্যাসিস্ট সরকারে পরিণত হয়েছে। বিনা ভোটের ফ্যাসিস্ট সরকারের করুন পরিণতির পর হয়তো আওয়ামী লীগকে অন্য নাম নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। কারণ ফ্যাসিবাদ কোথাও সমর্থন পায়নি। ফ্যাসিবাদের ধরণ হচ্ছে তারা শ্রমিকদের একটা অংশকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকে। তবে এরা (আওয়ামী লীগ) শ্রমিকদের ব্যবহার করেনি, তারা রাষ্ট্র-যন্ত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আছে। এরা একটা ভিন্ন ধরণের ফ্যাসিস্ট সরকার। এদের পতন হবে এবং সেটা নির্মম নিষ্ঠুর পতন হবে, পতনের পর এই নাম নিয়েও রাজনীতি করবে না। নিজেদের তাগিদেই তারা পরিবর্তন করবে। 

 

চলবে....

 

Header Ad

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটারসহ মোট ৯ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অমান্য করায় এই ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটার ও এক ক্লাব কর্তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং সবাইকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। তাই এটিকে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ওই ৮ ক্রিকেটার হলেন, তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়। স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়। আর তেজগাঁও ক্লাবের কর্মকর্তা রবিন।

জানা গেছে, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে হওয়া সুপার লিগের ম্যাচে তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের শাস্তি দেয়।

Header Ad

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের দুর্ভোগের মধ্যে উপদেষ্টাদের অযাচিত কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।

তিনি বলেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উসকানি দিচ্ছে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত ১৫ বছর পুলিশ দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, কারাগারের সালমান এফ রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেখানে সে খুব তৎপরতা চালাচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোলনে ছিল এমন পরিচয়ে কিছু মানুষ সব পদ দখল করে নিচ্ছে।

এ সময় আন্দোলনে হতাহতদের মাসিক ভাতা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ