বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাৎকার : পর্ব -১

অচিরেই তরুণ নেতৃত্বের উত্থান ঘটবে: নুর

কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে রাজপথে আসেন নুরুল হক নুর। সেই থেকে শুরু হয় রাজনৈতিক সংগ্রাম। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সভাপতি নির্বাচিত হন। এভাবে ধীরে ধীরে মূল রাজনীতিতে নাম লেখান ভিপি নুর। এখন বাঘা বাঘা রাজনৈতিক দলকে হুংকার দিয়ে কথা বলছেন। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাদের নতুন দল গণ অধিকার পরিষদ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে। তার বিশ্বাস অচিরেই তরুণ নেতৃত্বের উত্থান ঘটবে। রাজনীতির মাঠে নতুন এই দল কেমন করবে কি তাদের পরিকল্পনা এসব বিষয় নিয়ে ঢাকাপ্রকাশের মুখোমুখি হয়েছেন নুরুল হক নুর।

ঢাকাপ্রকাশ: দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে পার্থক্য কী?

নুরুল হক নুর: বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক দলগুলো আছে, বিশেষ করে বড় রাজনীতির দলগুলোর দিকে যদি তাকাই তাদের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা নাই। বিশেষ করে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব রাজনীতিতে অনেক ক্ষেত্রেই আসতে পারে না। সামনে আসতে পারে না। তাদের যে একটা আকাঙ্ক্ষা থাকে জনগণের জন্য কাজ করা জনপ্রতিনিধি হয়ে যেন সুযোগ পান না। সেটা বলতে গেলে বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র নেতৃত্ব যদি দেখেন দেখবেন দুটো পরিবারের মধ্যেই তাদের নেতৃত্ব ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা বলেছিল গণ অধিকার পরিষদ গণ-মানুষের একটা সংগঠন হবে। অন্যান্য দলের থেকে এর পার্থক্য হবে কাজে কর্মে বিশেষ করে এই সংগঠনের এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব নির্বাচনে আমরা গণতান্ত্রিক পন্থাকে গুরুত্ব দেই এবং দেব। সেটা ইতোমধ্যেই ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃত্ব নির্বাচন এবং যুব অধিকার পরিষদের নেতৃত্ব নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটার প্রমাণিত হয়েছে। দুটো সংগঠনেরই কমিটি রয়েছে একেবারে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে। এমনকি গণ অধিকার পরিষদের একটি আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে আমাদের সকলের সম্মতির ভিত্তিতে আমাদের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে। আমরাও চেষ্টা করছি ছয় মাসের মধ্যে একটা কাউন্সিল করে বিশেষ করে বিভিন্ন জেলায় কমিটিগুলো দেওয়ার পর সেই কান্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে আগামীতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটা নেতৃত্ব নির্বাচন হবে। আর একটা জায়গায় পার্থক্য বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোতে মাফিয়া কর্পোরেট গোষ্ঠী থাকে যারা ডোনার সে সমস্ত দলগুলো পরিচালনার করার জন্য সেখানে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি জনগণকে আমাদের রাজনীতি দলে এবং অর্থনৈতিক ভাবেই সংযুক্ত করা। সেক্ষত্রে আমার ইতোমধ্যেই বিভিন্ন কার্যক্রমে বিশেষ করে গণ-ফাণ্ড গঠন করেছি। সেখানে আমরা দেখেছি অনেক মানুষ আমাদের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না কিন্তু আমাদেরই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছে। অর্থাৎ দলের যে অর্থনৈতিক সংস্থান সেক্ষেত্রে আমার আমাদের অভ্যন্তরীণ নেতৃবৃন্দের অনুদানের তো একটা বিষয় থাকবে পাশাপাশি আম জনতার অংশ গ্রহণের ব্যবস্থা থাকবে। এই অর্থের মধ্যে দিয়েই আমরা দলকে পরিচালনা করতে চাই যেটা অন্য দলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় না।

ঢাকাপ্রকাশ: গণ অধিকার পরিষদ কি রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারবে?

নুরুল হক নুর: পরিবর্তনের জন্যই তো আমরা কাজ করছি। আমার বাবা কিংবা আমার পরিবারের কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েননি কিন্তু আমি তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছি এবং ২৮ বছর পর ডাকসুর ভিপিও নির্বাচিত হয়েছি কাজেই অন্যরা পারেনি বলে যে আমরাও পারব না বিষয়টি এমন না। দেশে একটা সংকট আছে রাজনীতিতে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আস্থাহীনতার ঘাটতি আছে। সেক্ষেত্রে গণ অধিকার পরিষদ আমরা ইতোমধ্যে যে কাজগুলো করছি সেক্ষেত্রে জনগণ আমাদের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। কাজেই আমাদের এই অবস্থানটা যদি ধরে রাখতে পারি এবং এই সংকট-কালীন সময়ে আমরা যদি সামনে থেকে কাজ করতে পারি নেতৃত্ব দিতে পারি আমার বিশ্বাস আমরা আগামীতে যে পরিবর্তন সূচিতে হবে সেই পরিবর্তনের ধারক বাহক হিসেবে আমরা কাজ করতে পারব।

ঢাকাপ্রকাশ: তরুণ নেতৃত্বকে কিভাবে দেখছেন?

নুরুল হক নুর: বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তরুণ নেতৃত্বের একটা উত্থান আছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ফিনল্যান্ডের মন্ত্রীসভা তারপর চিলিসহ বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিউ জিল্যান্ডের এই সমস্ত জায়গায় দেখা গেছে তরুণদের একটা প্রাধান্য এমনকি আমেরিকার পার্লামেন্টগুলোতেও তরুণ নেতৃত্ব বড় একটা অংশ জুড়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে তার ব্যতিক্রম। বাংলাদেশে সাধারণত দাড়ি চুল পাকা ৬০ পর তারাই বাংলাদেশে এমপি মন্ত্রি হয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেয়। পুলিশ প্রধান অবসরের পর জনপ্রতিনিধি হচ্ছেন কিংবা আর্মি থেকে অবসরে যাওয়ার পর রাজনীতিতে যাচ্ছেন। এ কারণে রাজনীতিতে তরুণদের জায়গা কমে যাচ্ছে তরুণরা জায়গা পাচ্ছে না। সেদিক থেকে আমরা তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়ে তারুণ্য নির্ভর একটা রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমি মনে করে এইরকম বাস্তবতায় তরুণরাই একমাত্র পরিবর্তন আনতে পারে। সেক্ষেত্রে তরুণদের নিয়ে আশাবাদী।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি ভিপি থাকাকালীন বিভিন্ন সময় আক্রমণের শিকার হয়েছেন, বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন তো জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করছেন, আপনি জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত কি-না?

নুরুল হক নুর: যেখানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো তথ্য দিয়েছে যে ১২ বছরের শাসনে ৬০১ জনকে গুম করা হয়েছে যাদের মধ্যে ৮৬ জন এখনও নিখোঁজ। ৩ হাজার মানুষকে বিচারবর্হিভুতভাবে হত্যা করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা। বেশি কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবের উপরে এবং র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি দেশ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের তো কর্তৃত্ববাদী শাসনের মধ্যে নির্যাতন নিপীড়ন গুম খুনের আশঙ্কা থাকেই। তারপরেও আমরা হতাশ নই। আমরা ভিত নই। আমরা মনে করি এই রকম অন্ধকারের ভেতরে যারা আলো জ্বালাতে চেষ্টা করবে তারাই আলোকিত করতে পারবে। আমরা চেষ্টাটি করে যাচ্ছি সেক্ষেত্রে আমাদের ভাগ্যে যা লেখা আছে তা হবে। মুসলমান হিসেবে তজদিরে বিশ্বাস করি। 

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার জীবন নিয়ে শঙ্কিত বোধ করছেন কি-না?

নুরুল হক নুর: শঙ্কা বলতে একটা আশঙ্কা থাকেই যে একটা দুর্ঘটনা যে কোন সময় ঘটতে পারে। এটা তো শুধু আমার না বাংলাদেশে যারা বিরোধী যারা ভিন্ন মতের রাজনীতি করে তাদের বেশিরভাগ নেতৃত্বের ক্ষেত্রেই এই শঙ্কাটা আছেই।

ঢাকাপ্রকাশ: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা আছে কি-না?

নুরুল হক নুর: আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্যই এই রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিয়েছি। বিশেষ করে একটা সংকট-কালীন সময়ে যেখানে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিরা রাজনীতি বিমুখ হয়ে যাচ্ছে দুর্বিতায়নের কারণে। প্রশাসন এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের দমন পীড়নের কারণে অনেকে রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা মানুষকে স্বপ্ন দেখাচ্ছি যে একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার একটা সহনশীল সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তলব সে কারণেই আমরা রাজনীতিতে এই পরিবর্তনটা করতে চাই। পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নির্বাচনে যেতে হবে। আমরা তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি যেটা হয়তো চেষ্টা করছি সেই পলিসি নিয়ে আগাচ্ছি। তবে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমাদের অবস্থান হচ্ছে এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না এবং আমরাও সেই নির্বাচনে যাব না। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও না যাওয়ার জন্য নিরুৎসাহিত করব। আমাদের যৌক্তিক এবং ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলব। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরে আনব। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করব এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করব।

ঢাকাপ্রকাশ: তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো সংবিধানে নেই? সেটা কিভাবে ফিরে আনবে?

নুরুল হক নুর: সংবিধান তো ধর্মীয়গ্রন্থ না যে সেটা পরিবর্তন করা যাবে না। সংবিধান মানুষের জন্য এবং সময়ের প্রয়োজনে এই সংবিধানই বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়েছে। এবং জনগণ যদি চায় অবশ্যই সংবিধান পরিবর্তন করতে সরকারকে বাধ্য হবে। সরকার যে দাম্ভিকতার সঙ্গে কথা বলছে সেটা হচ্ছে বিনা-ভোটে তাদের যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য। এবং তারা রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন সংগ্রাম আমলে নিচ্ছে না। কিন্তু আমার মনে রাজনৈতিক দলগুলো যদি নামার মতো রাজপথে নামতে পারে এই সরকার শুধু দাবি মানবে না, জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিদায় নেবে সেক্ষেত্রে জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্দোলন করতে হবে রাজপথে নামতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বৈরাচার শাসক ছিল কেউ স্বেচ্ছায় যায়নি। জনগণের আন্দোলনের মুখে তারা বিদায় নিয়েছে। সুতরাং যদি আন্দোলন রাস্তায় না থাকে শুধু বক্তব্য বিবৃতিতে বললে তো আর সরকার যাবে না। সরকার জনগণের দাবি এবং রাজনীতি দলগুলো দাবি মানবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কি আওয়ামী লীগ সরকারকে স্বৈরাচার শাসক বলছেন?

নুরুল হক নুর: স্বৈরাচারি বৈশিষ্ট্যে থেকে তারা উত্তরণ করে ফ্যাসিস্ট সরকারে পরিণত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার বিভিন্ন দেশে ছিল, সেসব দেশে ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনের পর সেই সমস্ত দলগুলো নিষিদ্ধ হয়েছে। আওয়ামী লীগের আজকের যে অবস্থা এটা স্বৈরাচার লেবেল অতিক্রম করে ফ্যাসিস্ট সরকারে পরিণত হয়েছে। বিনা ভোটের ফ্যাসিস্ট সরকারের করুন পরিণতির পর হয়তো আওয়ামী লীগকে অন্য নাম নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। কারণ ফ্যাসিবাদ কোথাও সমর্থন পায়নি। ফ্যাসিবাদের ধরণ হচ্ছে তারা শ্রমিকদের একটা অংশকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকে। তবে এরা (আওয়ামী লীগ) শ্রমিকদের ব্যবহার করেনি, তারা রাষ্ট্র-যন্ত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আছে। এরা একটা ভিন্ন ধরণের ফ্যাসিস্ট সরকার। এদের পতন হবে এবং সেটা নির্মম নিষ্ঠুর পতন হবে, পতনের পর এই নাম নিয়েও রাজনীতি করবে না। নিজেদের তাগিদেই তারা পরিবর্তন করবে। 

 

চলবে....

 

Header Ad

বেঁকে যাওয়া রেললাইনে কচুরিপানা থেরাপি

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র তাপদাহে গাজীপুরে বেঁকে যাওয়া রেলপথ মেরামতে কচুরিপানা, কাঁদা ও পানি থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ইস্ট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু জাফর বলেছেন, সোমবার দুপুরে তীব্র তাপদাহে গাজীপুরের কালীগঞ্জে আড়িখোলা এলাকায় প্রায় ১৫ফুট পরিমাণ রেলপথ বেঁকে যায়।

এতে ওই পথে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। পরে মেরামত করে প্রায় এক ঘন্টা পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু করে।

তিনি বলেন, রেলপথে তাপমাত্রা ৫০ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা তার উপরে উঠলে রেলপথ বেঁকে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়। সেদিন সেখানকার রেললাইনে তাপমাত্রা ৫৫ডিগ্রি'র মতো ছিল। তাই ঢাকা-নরসিংদী রেলরুটের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়িখোলা এলাকায় রেল লাইন বেঁকে যায়।

এ ধরনের বেঁকে যাওয়া রেলপথ ঠিক করতে প্রথমেই রেলপথ ঠান্ডা করা দরকার হয়। একাজে ব্যবহারে সেখানে বরফ না পাওয়ায় বিকল্প হিসেবে জলাশয় থেকে কচুরিপানা, কাঁদা ও ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ কচুরিপানা বা কাঁদা দীর্ঘ সময় পানি/ঠান্ডা অবস্থা ধারণ করে রাখতে পারে। গাজীপুরেও ওইসব প্রয়োগ করে সুফল পাওয়া গেছে।

উচ্চতাপ থাকা অবস্থায় রেললাইন চাপ প্রয়োগ করলে তা আরো বেঁকে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। আর রেল লাইন ঠান্ডা হলে তা অনেকটাই আগের অবস্থায় চলে যায়। পরে প্রয়োজন হলে চাপ প্রয়োগ করে বাকি অংশ ঠিক করা সম্ভব হয়। উচ্চ তাপমাত্রা থেকে তাপমাত্রা ৩০/৩২ ডিগ্রিতে নেমে আসার পর চাপ প্রয়োগ করা হয়। গাজীপুরেও এ থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানের রেললাইন বেঁকে যায়। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাস।

স্টেশন মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাস বলেন, তীব্র গরমে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে অন্তত ১৫ ফুট রেললাইন বেঁকে যায়।

বিষয়টি জানার পর রেলওয়ে প্রকৌশলীদের পরামর্শে রেলপথে পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তা মেরামত করা হয়। মেরামতের পর দুটি ট্রেন ঘটনাস্থল দিয়ে ধীর গতিতে গন্তব্যে চলে গেছে। ডাবল লাইনের অন্য লাইন দিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের অধীনে কর্মরত কি-ম্যান (দড়িপাড়া-বড়নগর) মো. বাদশা মিয়া বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে। পরে আড়িখোলা-পূবাইল স্টেশনের মাঝখানে চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে টহলরত রেলওয়ে কর্মচারীরা রেলপথ বাঁকা দেখতে পান। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে, তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। এসময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্ট্রেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।

তিনি আরও বলেন, পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর এক ঘণ্টা পর ওই ট্রেনটি ধীর গতিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিকেল ৪টার দিকে তিতাস কমিউটার নামের আরও একটি ট্রেন ধীর গতিতে বেঁকে যাওয়া স্থান অতিক্রম করে।

এবারের আইপিএলে কি আউট হবেন না ধোনি?

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন সেই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলেই। বয়সটাও এখন ৪৩ ছুঁই ছুঁই। ব্যাট হাতে দেখা যায় শুধু আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। প্রতিবার দলের নেতৃত্বে থাকলেও এবার চেন্নাইকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন না, দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাতে। ব্যাটসম্যান হিসেবেও নিজের ভূমিকা বদলেছেন। উইকেটে আসেন হাতে গোনা কিছু বল বাকি থাকতে। এসেই ঝড় তোলেন।

যখনই ক্রিজে আসেন, চার-ছক্কা মেরে রানের গতি বাড়িয়ে দেন। এই নতুন ভূমিকাতেও মহেন্দ্র সিং ধোনি পুরোপুরি সফল। মজার ব্যাপার হলো, এমন ‘হাইরিস্ক গেম’ খেলেও ধোনি এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত আউট হননি।

ধোনি এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ৯টি, ব্যাটিং করেছেন ৭ ইনিংসে। ৭ ইনিংস ব্যাট করে খুব বেশি বল খেলেননি—৩৭টি। এই ৩৭ বলে রান করেছেন ৯৬, স্ট্রাইকরেট—২৫৯.৪৫। ছক্কা মেরেছেন ৮টি, চার ৯টি। বল খেলার সংখ্যাটা অবশ্যই খুব বেশি নয়। তবে মনে রাখতে হবে ধোনি এই ৩৭ বলের প্রায় প্রতিটিতেই খেলেছেন বাউন্ডারির জন্য। সে ক্ষেত্রে আউট হওয়ার ঝুঁকি থাকে আরও বেশি।

ধোনি কয়েকটি বলের জন্য ক্রিজে এসে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন, এমন উদাহরণও আছে। এই যেমন গত ১৪ এপ্রিল ‘আইপিএল ক্লাসিকো’য় মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে।

ইনিংসের ২০তম ওভারে উইকেট এসে ৪ বলে ৩ ছক্কায় করেন ২০ রান। সেই ম্যাচটি চেন্নাই শেষ পর্যন্ত ২০ রানেই জেতে। এরপরের ম্যাচেই লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে করেন ৯ বলে ২৮ রান।

সেদিন অবশ্য ম্যাচটি জিততে পারেনি চেন্নাই। তবে ম্যাচের শেষ ওভারে যেভাবে ১০১ মিটারের ছক্কা মেরেছিলেন ধোনি, তাতে তাঁর বয়সটা আসলেই ৪২ কি না, তা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ জেগেছিল! ধোনি এরপর আরও দুই ম্যাচে ব্যাটিং করেছেন। এই ২ ম্যাচ মিলিয়ে খেলার সুযোগ হয়েছে মাত্র ৩ বল, তাতেই দুটি চার মেরেছেন।

গত মৌসুম থেকেই মূলত ধোনি চেন্নাইয়ের ইনিংসের একদম শেষভাগে ব্যাটিংয়ে নামতে শুরু করেন। গত আইপিএলে ১২ ইনিংসে বল খেলেছিলেন মাত্র ৫৭টি, রান করেছিলেন ১০৪। এবারও নিশ্চয় আরও কিছু বল খেলবেন ধোনি।

ফিনিশার হিসেবে ধোনি এমনিতেই কিংবদন্তি। তবে তাঁর ম্যাচ শেষ করার নিজস্ব একটা ধরন ছিল। শুরুতে কিছু সময় নিতে পছন্দ করতেন। এরপর শেষে গিয়ে সেটা পুষিয়ে দিতেন। তবে এখন ধোনি জানেন, সেই সুযোগটা তিনি পাবেন না। শরীরটাও হয়তো সায় দেবে না। তাই নতুন ভূমিকা বেছে নিয়েছেন। আর কীভাবে সেই ভূমিকায় সফল হতে হয়, সেটার প্রমাণ তো ম্যাচের পর ম্যাচ করেই যাচ্ছেন।

 

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান পাঁচ ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতার পাশাপাশি এর বাইরে কোনো বিষয়ে আগ্রহী কিনা-মতামত জানতে চেয়েছে ওয়াশিংটন।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকায় অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব (দ্বিপাক্ষিক-পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণে দুই দেশের চলমান অংশীদারিত্বের আরও ব্যাপ্ত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি ক্ষেত্র এবং এর বাইরে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে মতামত জানতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অনুরোধ করেছে।

ঢাকার এক দায়িত্বশীল কূটনীতিক বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে বলা আছে, দেশটির কোন কোন খাতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতাম, সেগুলোর ব্যাপ্তি আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা আলোচনা হয়েছে। এটা আসলে নতুন কিছু না। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব এনগেজমেন্ট আছে সেগুলো কোন পর্যায়ে রয়েছে বা নতুন করে কোনো বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা—সেগুলো আমরা আলোচনা করি বা কোনো কনসার্ন থাকলে সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো।

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি খাত সম্পর্কে এ কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে, তার মধ্যে একটি অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানো, পরিবেশগত সুরক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন; এক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর বা বিনিয়োগের বিষয় রয়েছে। তৃতীয়ত, নিরাপত্তা সহযোগিতা—এটার মধ্যে এন্টি টেরোরিজম অ্যাসিসটেন্ট রয়েছে; পুলিশ-র‌্যাবের তহবিল রয়েছে, সমুদ্র নিরাপত্তার সংক্রান্ত অংশীদারত্ব ইস্যু রয়েছে। তারপর মানবিক সহায়তা বিষয় রয়েছে, যা মধ্যে রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয় যুক্ত। এছাড়া রাইটস ইস্যুস আছে; এর মধ্যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র বা লেবার রাইটস ইস্যু আছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব অবস্থানে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভোট শেষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ওয়াশিংটন জানায়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। পরবর্তী সময়ে ভোট নিয়ে নিজেদের অনঢ় অবস্থানের জানান দিলেও বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশের কথা জানান খোদ ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ‘আলোচিত’ রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রও বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলনে একই বার্তা দেন।

তবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিতে। চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তার সরকার।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে বাইডেনের চিঠির পর ওই মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করেন তার (মার্কিন প্রেসিডেন্টের) বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। ওই প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ছিলেন। আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল।

ওই সফরে এইলিন লাউবাখেরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠক শেষে ড. হাছান জানিয়েছিলেন, তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় এবং আমরাও চাই একটি নতুন সম্পর্ক। যেহেতু দুদেশেরই সদিচ্ছা আছে, সুতরাং এই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, গভীরতর ও উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের উভয় দেশ উপকৃত হবে।

অন্যদিকে, বাইডেনের বিশেষ সহকারী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করছেন।

বাইডেনের সেই চিঠির প্রতিউত্তরের একটি কপি এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এছাড়া ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান হোয়াইট হাউজে ওই চিঠির মূল কপি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্ব এবং দুই দেশের নাগরিকদের সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা করে।

সবশেষ, চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চের নেতৃত্ব এক‌টি প্রতি‌নি‌ধিদল নিয়ে ঢাকা সফর করে গেছেন।

মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মো শহীদুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবাস্তয়নে যে সব রাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন সেসব রাষ্ট্রসমূহের সমর্থন আদায়ে কাজ করছে তারা। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই সিরিয়াস বিষয়। এই কৌশলে এবং একইসঙ্গে চীনকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের (২০২৩) মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে দেশটির অব্যাহত নজরদারির কথা বলা হয়। পরবর্তী সময়ে অব্যাহতভাবে দেশটি নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।

৭ জানুয়ারির ভোটে ২২৩টি আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।

গত ১৭ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে আগামী মাসগুলোতে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি।

সর্বশেষ সংবাদ

বেঁকে যাওয়া রেললাইনে কচুরিপানা থেরাপি
এবারের আইপিএলে কি আউট হবেন না ধোনি?
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল
মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
নওগাঁয় মাঠে ধান কাটতে গিয়ে গরমে কৃষকের মৃত্যু
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী
মে দিবসের কর্মসূচিতে এসে গরমে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু
টাঙ্গাইলে সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা
ভারতের নির্বাচনি প্রস্তুতি দেখার আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা: খাদ্যমন্ত্রী
পুলিশ হেফাজতে সালমান খানের বাড়িতে হামলার অস্ত্রদাতার আত্মহত্যা
দুই মাস পর ইলিশ ধরতে নেমেছেন জেলেরা
গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাচ্ছেন? হতে পারে বড় বিপদ
নিজ এলাকায় জানাজায় গিয়ে মোবাইল হারালেন ধর্মমন্ত্রী
মানুষের মস্তিষ্কের আকার বড় হচ্ছে!
শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা
বিমানের খাবার নিয়ে অসন্তোষ প্রধানমন্ত্রী, দুইদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে
শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: রিজভী