বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাৎকার : পর্ব -১

অচিরেই তরুণ নেতৃত্বের উত্থান ঘটবে: নুর

কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে রাজপথে আসেন নুরুল হক নুর। সেই থেকে শুরু হয় রাজনৈতিক সংগ্রাম। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সভাপতি নির্বাচিত হন। এভাবে ধীরে ধীরে মূল রাজনীতিতে নাম লেখান ভিপি নুর। এখন বাঘা বাঘা রাজনৈতিক দলকে হুংকার দিয়ে কথা বলছেন। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাদের নতুন দল গণ অধিকার পরিষদ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে। তার বিশ্বাস অচিরেই তরুণ নেতৃত্বের উত্থান ঘটবে। রাজনীতির মাঠে নতুন এই দল কেমন করবে কি তাদের পরিকল্পনা এসব বিষয় নিয়ে ঢাকাপ্রকাশের মুখোমুখি হয়েছেন নুরুল হক নুর।

ঢাকাপ্রকাশ: দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে পার্থক্য কী?

নুরুল হক নুর: বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক দলগুলো আছে, বিশেষ করে বড় রাজনীতির দলগুলোর দিকে যদি তাকাই তাদের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা নাই। বিশেষ করে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব রাজনীতিতে অনেক ক্ষেত্রেই আসতে পারে না। সামনে আসতে পারে না। তাদের যে একটা আকাঙ্ক্ষা থাকে জনগণের জন্য কাজ করা জনপ্রতিনিধি হয়ে যেন সুযোগ পান না। সেটা বলতে গেলে বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র নেতৃত্ব যদি দেখেন দেখবেন দুটো পরিবারের মধ্যেই তাদের নেতৃত্ব ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা বলেছিল গণ অধিকার পরিষদ গণ-মানুষের একটা সংগঠন হবে। অন্যান্য দলের থেকে এর পার্থক্য হবে কাজে কর্মে বিশেষ করে এই সংগঠনের এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব নির্বাচনে আমরা গণতান্ত্রিক পন্থাকে গুরুত্ব দেই এবং দেব। সেটা ইতোমধ্যেই ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃত্ব নির্বাচন এবং যুব অধিকার পরিষদের নেতৃত্ব নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটার প্রমাণিত হয়েছে। দুটো সংগঠনেরই কমিটি রয়েছে একেবারে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে। এমনকি গণ অধিকার পরিষদের একটি আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে আমাদের সকলের সম্মতির ভিত্তিতে আমাদের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে। আমরাও চেষ্টা করছি ছয় মাসের মধ্যে একটা কাউন্সিল করে বিশেষ করে বিভিন্ন জেলায় কমিটিগুলো দেওয়ার পর সেই কান্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে আগামীতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটা নেতৃত্ব নির্বাচন হবে। আর একটা জায়গায় পার্থক্য বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোতে মাফিয়া কর্পোরেট গোষ্ঠী থাকে যারা ডোনার সে সমস্ত দলগুলো পরিচালনার করার জন্য সেখানে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি জনগণকে আমাদের রাজনীতি দলে এবং অর্থনৈতিক ভাবেই সংযুক্ত করা। সেক্ষত্রে আমার ইতোমধ্যেই বিভিন্ন কার্যক্রমে বিশেষ করে গণ-ফাণ্ড গঠন করেছি। সেখানে আমরা দেখেছি অনেক মানুষ আমাদের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না কিন্তু আমাদেরই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছে। অর্থাৎ দলের যে অর্থনৈতিক সংস্থান সেক্ষেত্রে আমার আমাদের অভ্যন্তরীণ নেতৃবৃন্দের অনুদানের তো একটা বিষয় থাকবে পাশাপাশি আম জনতার অংশ গ্রহণের ব্যবস্থা থাকবে। এই অর্থের মধ্যে দিয়েই আমরা দলকে পরিচালনা করতে চাই যেটা অন্য দলে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় না।

ঢাকাপ্রকাশ: গণ অধিকার পরিষদ কি রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারবে?

নুরুল হক নুর: পরিবর্তনের জন্যই তো আমরা কাজ করছি। আমার বাবা কিংবা আমার পরিবারের কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েননি কিন্তু আমি তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছি এবং ২৮ বছর পর ডাকসুর ভিপিও নির্বাচিত হয়েছি কাজেই অন্যরা পারেনি বলে যে আমরাও পারব না বিষয়টি এমন না। দেশে একটা সংকট আছে রাজনীতিতে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আস্থাহীনতার ঘাটতি আছে। সেক্ষেত্রে গণ অধিকার পরিষদ আমরা ইতোমধ্যে যে কাজগুলো করছি সেক্ষেত্রে জনগণ আমাদের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। কাজেই আমাদের এই অবস্থানটা যদি ধরে রাখতে পারি এবং এই সংকট-কালীন সময়ে আমরা যদি সামনে থেকে কাজ করতে পারি নেতৃত্ব দিতে পারি আমার বিশ্বাস আমরা আগামীতে যে পরিবর্তন সূচিতে হবে সেই পরিবর্তনের ধারক বাহক হিসেবে আমরা কাজ করতে পারব।

ঢাকাপ্রকাশ: তরুণ নেতৃত্বকে কিভাবে দেখছেন?

নুরুল হক নুর: বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তরুণ নেতৃত্বের একটা উত্থান আছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ফিনল্যান্ডের মন্ত্রীসভা তারপর চিলিসহ বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিউ জিল্যান্ডের এই সমস্ত জায়গায় দেখা গেছে তরুণদের একটা প্রাধান্য এমনকি আমেরিকার পার্লামেন্টগুলোতেও তরুণ নেতৃত্ব বড় একটা অংশ জুড়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে তার ব্যতিক্রম। বাংলাদেশে সাধারণত দাড়ি চুল পাকা ৬০ পর তারাই বাংলাদেশে এমপি মন্ত্রি হয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেয়। পুলিশ প্রধান অবসরের পর জনপ্রতিনিধি হচ্ছেন কিংবা আর্মি থেকে অবসরে যাওয়ার পর রাজনীতিতে যাচ্ছেন। এ কারণে রাজনীতিতে তরুণদের জায়গা কমে যাচ্ছে তরুণরা জায়গা পাচ্ছে না। সেদিক থেকে আমরা তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়ে তারুণ্য নির্ভর একটা রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমি মনে করে এইরকম বাস্তবতায় তরুণরাই একমাত্র পরিবর্তন আনতে পারে। সেক্ষেত্রে তরুণদের নিয়ে আশাবাদী।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি ভিপি থাকাকালীন বিভিন্ন সময় আক্রমণের শিকার হয়েছেন, বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন তো জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করছেন, আপনি জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত কি-না?

নুরুল হক নুর: যেখানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো তথ্য দিয়েছে যে ১২ বছরের শাসনে ৬০১ জনকে গুম করা হয়েছে যাদের মধ্যে ৮৬ জন এখনও নিখোঁজ। ৩ হাজার মানুষকে বিচারবর্হিভুতভাবে হত্যা করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা। বেশি কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবের উপরে এবং র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি দেশ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের তো কর্তৃত্ববাদী শাসনের মধ্যে নির্যাতন নিপীড়ন গুম খুনের আশঙ্কা থাকেই। তারপরেও আমরা হতাশ নই। আমরা ভিত নই। আমরা মনে করি এই রকম অন্ধকারের ভেতরে যারা আলো জ্বালাতে চেষ্টা করবে তারাই আলোকিত করতে পারবে। আমরা চেষ্টাটি করে যাচ্ছি সেক্ষেত্রে আমাদের ভাগ্যে যা লেখা আছে তা হবে। মুসলমান হিসেবে তজদিরে বিশ্বাস করি। 

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার জীবন নিয়ে শঙ্কিত বোধ করছেন কি-না?

নুরুল হক নুর: শঙ্কা বলতে একটা আশঙ্কা থাকেই যে একটা দুর্ঘটনা যে কোন সময় ঘটতে পারে। এটা তো শুধু আমার না বাংলাদেশে যারা বিরোধী যারা ভিন্ন মতের রাজনীতি করে তাদের বেশিরভাগ নেতৃত্বের ক্ষেত্রেই এই শঙ্কাটা আছেই।

ঢাকাপ্রকাশ: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা আছে কি-না?

নুরুল হক নুর: আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্যই এই রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিয়েছি। বিশেষ করে একটা সংকট-কালীন সময়ে যেখানে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিরা রাজনীতি বিমুখ হয়ে যাচ্ছে দুর্বিতায়নের কারণে। প্রশাসন এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের দমন পীড়নের কারণে অনেকে রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা মানুষকে স্বপ্ন দেখাচ্ছি যে একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার একটা সহনশীল সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তলব সে কারণেই আমরা রাজনীতিতে এই পরিবর্তনটা করতে চাই। পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নির্বাচনে যেতে হবে। আমরা তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি যেটা হয়তো চেষ্টা করছি সেই পলিসি নিয়ে আগাচ্ছি। তবে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমাদের অবস্থান হচ্ছে এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না এবং আমরাও সেই নির্বাচনে যাব না। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও না যাওয়ার জন্য নিরুৎসাহিত করব। আমাদের যৌক্তিক এবং ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলব। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরে আনব। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করব এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করব।

ঢাকাপ্রকাশ: তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো সংবিধানে নেই? সেটা কিভাবে ফিরে আনবে?

নুরুল হক নুর: সংবিধান তো ধর্মীয়গ্রন্থ না যে সেটা পরিবর্তন করা যাবে না। সংবিধান মানুষের জন্য এবং সময়ের প্রয়োজনে এই সংবিধানই বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়েছে। এবং জনগণ যদি চায় অবশ্যই সংবিধান পরিবর্তন করতে সরকারকে বাধ্য হবে। সরকার যে দাম্ভিকতার সঙ্গে কথা বলছে সেটা হচ্ছে বিনা-ভোটে তাদের যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য। এবং তারা রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন সংগ্রাম আমলে নিচ্ছে না। কিন্তু আমার মনে রাজনৈতিক দলগুলো যদি নামার মতো রাজপথে নামতে পারে এই সরকার শুধু দাবি মানবে না, জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিদায় নেবে সেক্ষেত্রে জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্দোলন করতে হবে রাজপথে নামতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বৈরাচার শাসক ছিল কেউ স্বেচ্ছায় যায়নি। জনগণের আন্দোলনের মুখে তারা বিদায় নিয়েছে। সুতরাং যদি আন্দোলন রাস্তায় না থাকে শুধু বক্তব্য বিবৃতিতে বললে তো আর সরকার যাবে না। সরকার জনগণের দাবি এবং রাজনীতি দলগুলো দাবি মানবে না।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কি আওয়ামী লীগ সরকারকে স্বৈরাচার শাসক বলছেন?

নুরুল হক নুর: স্বৈরাচারি বৈশিষ্ট্যে থেকে তারা উত্তরণ করে ফ্যাসিস্ট সরকারে পরিণত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার বিভিন্ন দেশে ছিল, সেসব দেশে ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনের পর সেই সমস্ত দলগুলো নিষিদ্ধ হয়েছে। আওয়ামী লীগের আজকের যে অবস্থা এটা স্বৈরাচার লেবেল অতিক্রম করে ফ্যাসিস্ট সরকারে পরিণত হয়েছে। বিনা ভোটের ফ্যাসিস্ট সরকারের করুন পরিণতির পর হয়তো আওয়ামী লীগকে অন্য নাম নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। কারণ ফ্যাসিবাদ কোথাও সমর্থন পায়নি। ফ্যাসিবাদের ধরণ হচ্ছে তারা শ্রমিকদের একটা অংশকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকে। তবে এরা (আওয়ামী লীগ) শ্রমিকদের ব্যবহার করেনি, তারা রাষ্ট্র-যন্ত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আছে। এরা একটা ভিন্ন ধরণের ফ্যাসিস্ট সরকার। এদের পতন হবে এবং সেটা নির্মম নিষ্ঠুর পতন হবে, পতনের পর এই নাম নিয়েও রাজনীতি করবে না। নিজেদের তাগিদেই তারা পরিবর্তন করবে। 

 

চলবে....

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি

আহম্মদ হোসেন মাসুম (বামে) এবং মো. আসাদুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের প্রশাসন-৫ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন উপসচিব কামরুল হাসান।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) আহম্মদ হোসেন মাসুমকে পদায়ন করা হয়েছে রেলওয়ে (পশ্চিম)-এর প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে। অন্যদিকে প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম) মো. আসাদুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্ম-মহাপরিচালক (প্রকৌশল) হিসেবে।

এছাড়া প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, আহম্মদ হোসেন মাসুম রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন-২ শাখার ২০ নভেম্বর ২০২৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী খুলনা থেকে মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে যেভাবে নিযুক্ত ছিলেন, সেই দায়িত্ব আগের মতোই বহাল থাকবে।

একইভাবে, মো. আসাদুল হকও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পূর্ববর্তী ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, সেটিও বহাল থাকবে।

জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

Header Ad
Header Ad

২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি

ড. মুমতাজুর রহমান দাউদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে বিশাল বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাংলা ইউএস এলএলসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ড. মুমতাজুর রহমান দাউদ জানিয়েছেন, ২০ হাজার কোটি টাকা (প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার) ব্যয়ে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।

রাজধানী ঢাকায় ৪ দিনের বিনিয়োগ সম্মেলনে এই যুগান্তকারী বিনিয়োগ পরিকল্পনার ঘোষণা দেন তিনি।

মুমতাজুর রহমান দাউদ বলেন, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পকারখানা স্থাপন। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্প খাতে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে বছরে ৫ হাজার প্রশিক্ষিত নার্স রপ্তানি এবং চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলকে আঞ্চলিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমাদের নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সদের যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে, যেখানে দক্ষ নার্সদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

সরকারের পূর্ণ সমর্থনের কথা উল্লেখ করে ড. দাউদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের এই উদ্যোগে পূর্ণ সহযোগিতা করছে। আমরা মনে করি, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে এই প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চট্টগ্রামে ৬০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে একটি সার কারখানা নির্মাণের কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকান বিনিয়োগকারী গ্রুপ ডিপি ওয়ার্ল্ডের সাথে যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। বিনিয়োগকারী গ্রুপে রয়েছেন চেয়ারম্যান মিস্টার ফ্র্যাঙ্ক জাও, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা হিসেবে সুপরিচিত। এ ছাড়াও দলটিতে আছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. স্যাম বেটেটা, যিনি ফিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গণিত বিভাগীয় প্রধান।

Header Ad
Header Ad

কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১০ জন রাজনীতিক ও সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই রেড নোটিশ জারির অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তাজুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের একাধিক অভিযোগ আছে।

এই তালিকায় থাকা অন্যরা হলেন—সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক; সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ; আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক; সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. আরাফাত (এ. আরাফাত); ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক; সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু; এবং সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।​

ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারির অর্থ হল- ওই ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার ও বিচার বিভাগ বিচারের মুখোমুখি করতে অথবা দণ্ড কার্যকর করার জন্য খুঁজছে।

সদস্য দেশগুলো ইন্টারপোলের মাধ্যমে পলাতক আসামির সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করতে পারে। বাংলাদেশ সরকারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এবং সে দেশের সরকার তা খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট হলে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু
ভারতের মত অন্য কোনও দেশ বাংলাদেশের এতটা মঙ্গল চায় না: জয়শঙ্কর
মেসির জোড়া গোলে সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আজ বিএনপির র‌্যালি, রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি
ইয়েমেন থেকে ছোড়া ব্যালিস্টিক মিসাইল সৌদি আরবে পড়েছে, লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল
সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় ২০৯ জন উদ্ধার, আটক ১২ পাচারকারী