রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১০ ডিসেম্বর কি কথার কথা

ফাইল ফটো

আগামী ১০ ডিসেম্বর দেশে কি হতে যাচ্ছে— এ নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ঘোষণা দিয়েছেন আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ পরিচালিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে।

গত ৮ অক্টোবর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় আমান উল্লাহ আমান বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায়। এর বাইরে কারো কথায় দেশ চলবে না।

গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের সমাবেশে বিএনিপর ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে খালেদা জিয়ার সরকার চলবে। যারা খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানোর হুমকি দিচ্ছেন ১০ ডিসেম্বরের পর তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।

কিন্তু বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই বলছেন, এই বক্তব্য বিএনপির নয়। এটা তাদের ব্যক্তিগত বক্তব্য।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে চলমান আন্দোলনকে একটি চূড়ান্ত রূপ দিতে চায় বিএনপি। এজন্য ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণজমায়েত করবে। সেখানে কয়েক লাখ লোক জড়ো করে ঢাকায় শো-ডাউনের মধ্যে দিয়ে নিজেদের সক্ষমতা জানান দেওয়াই হচ্ছে এখন বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী এই গণজমায়েত কর্মসূচিতে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দেওয়ার পাশাপাশি ঢাকার রাজপথ দখলে নেওয়া। তারা বলেন, যদি ঢাকার রাজপথ দখলে নেওয়া সম্ভব হয় তাহলে শিগগিরই সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হবে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকার পতনে আল্টিমেটাম নয় বরং ১০ ডিসেম্বরে বিএনপির প্রথম এবং প্রাথমিক লক্ষ্য গণজমায়েত।

কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় বড় ধরনের শো-ডাউনের মধ্য দিয়ে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চায় বিএনপি। সেক্ষেত্রে ১২ অক্টোবর থেকে বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করেছে দলটি। দলটির নেতা-কর্মীদের বক্তব্যের মধ্যেও এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। নেতারা বলছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ কে ঘিরে সারাদেশ থেকে ঢাকামুখী অভিযাত্রা হবে। সেই মহা-সমাবেশের মধ্য দিয়ে সরকার পতনে এক দফায় পরবর্তী আন্দোলনের শুরু ঘটবে। এরমধ্যে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ ভাবে আন্দোলনে যাওয়ার ধরন-কৌশল নির্ধারণ করবে বিএনপি। আগামী ১০ ডিসেম্বর সরকার পতনে বিশেষ কোনো দিনতারিখ নয়; ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেই সমাবেশ থেকে বেশকিছু দাবি উত্থাপন করা হবে।

১০ ডিসেম্বর সম্পর্কে গত ৮ অক্টোবর দেওয়া নিজের বক্তব্যের একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন আমান উল্লাহ আমান। ১০ অক্টোবর রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে শহীদ জেহাদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১০ তারিখ নয়। যখনি এই সরকার অবৈধভাবে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে, তখন থেকে দেশের জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চায়নি যে এই সরকার ক্ষমতায় থাকুক। জনগণ এই সরকারকে আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাদের দাবি অনুযায়ী আমরাও মাঠে নেমেছি।

অবশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘মাঠের কর্মসূচিতে জনগণের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বিএনপিকে আত্মবিশ্বাসী করেছে। আত্মবিশ্বাস ভালো, তবে অতি আত্মবিশ্বাস বিপজ্জনক হতে পারে সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। তড়িগড়ি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। ফাইনাল খেলায় জিততে হলে শেষ মিনিট পর্যন্ত রাজনীতির মাঠে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে সক্ষমতার জানান দিতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া হবে না, মানে হচ্ছে যাওয়া হবে না— এই মর্মে অটুট থাকতে হবে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশ থেকে কী বার্তা দেওয়া হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।’

অবশ্য আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের এমন বক্তব্য নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। তাদের অনেকেই জানিয়েছেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ চালানোর নির্দেশ দেওয়ার মতো অবস্থায় এখনো পৌঁছাতে পারেনি বিএনপি। পৌঁছাতে চেষ্টা অব্যাহত আছে। তাদের মতো এই বক্তব্য আমান উল্লাহ আমানের ব্যক্তিগত, বিএনপির নয়।

তবে ১০ ডিসেম্বরের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমানের বক্তব্যে সরকার ভয় পেয়েছে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচির বিষয়টি জানিয়েছেন অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য জানান।

হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, প্রিয় চট্টগ্রামবাসী! আগামীকাল (রোববার) ৮ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর। এ সফরের অংশ হিসেবে আমাদের একটি সমন্বয়ক টিম প্রত্যেকটি জেলার অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবে।

স্ট্যাটাসে তিনি জানান, সফরের প্রথম জেলা হিসেবে আগামীকাল চট্টগ্রামে দুটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় নিয়ে প্রথম সভাটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।

একইদিনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় নিয়ে দ্বিতীয় সভাটি চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘির ময়দানে বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও লেখেন, রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ ছাত্র-জনতার সঙ্গে আগামীকাল দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।

ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা থাক‌ছে না, রোববার থেকেই কার্যকর

ছবি: সংগৃহীত

নগদ টাকা উত্তোল‌নে বেঁধে দেওয়া সীমা প্রত্যাহার করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থে‌কে গ্রাহ‌ক তার প্রয়োজন মতো ব্যাংক থে‌কে নগদ টাকা তুলতে পারবেন। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকগুলোয় পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ব্যাংক হিসাবের টাকা তোলার কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। যে কোনো পরিমাণ টাকা গ্রাহক তার নিজ হিসাব থেকে তুলতে পারবেন।

এর আগের সপ্তাহে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ তোলার সুযোগ ছিল। তার আগের সপ্তাহগুলোতে ছিলে সর্বোচ্চ চার লাখ, এরপর তিন লাখ এবং প্রথমে ছিল দুই লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ।

অভিযোগ ছিল বিদায়ী সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা বেশি বেশি টাকা তুলে নিচ্ছেন। অবৈধভাবে অর্জিত টাকা যেন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহার না হতে পরে, সে কারণে টাকা তোলার সীমা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর প্রতি সপ্তাহে নগদ উত্তোলনের সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য জানানো হয়।

তাজুল ইসলাম ছাড়াও ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম, বিএম সুলতান মাহমুদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন।

বাকি চার প্রসিকিউটরের মধ্যে মিজানুল ইসলাম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম ও বিএম সুলতান মাহমুদ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও আব্দুল্লাহ আল নোমান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা পাবেন।

এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা থাক‌ছে না, রোববার থেকেই কার্যকর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম
আমিরাত থেকে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি, স্বাগত জানালেন সমন্বয়ক সারজিস ও হাসনাত
ভারতে গিয়ে পানি ছেড়ে দিয়েছে শেখ হাসিনা, বন্যার জন্য তিনি দায়ী: জয়নুল আবেদিন
বিএনপির ৮ নেতাকে অর্থপাচার মামলা থেকে অব্যাহতি
হত্যা মামলায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক কারাগারে
সাবেক ৩১ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপির পাচার করা ১ লাখ কোটি টাকার খোঁজে দুদক
পাঁজরের দুটো হাড় ভেঙে গেছে সালমান খানের
বিটিএসের টানে মাদ্রাসা থেকে পালানো ৫ ছাত্রীকে বগুড়া থেকে উদ্ধার
বিশাল শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নিয়েছো: সালমান শাহকে শাবনূর
সন্ধ্যায় দেশে ফিরবেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি
দুই নভোচারীকে না নিয়েই পৃথিবীতে ফিরে এলো বোয়িং স্টারলাইনার
রংপুরে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ছাত্রদলের
আগামী ৫ দিন বাড়তে পারে বৃষ্টিপাত, কমতে পারে তাপমাত্রা
সীমান্তে ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড আর দেখতে চাই না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কলেজছাত্র ইমন হত্যা মামলায় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার
দেশে রিজার্ভ ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর
সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
জাতিসংঘের অধিবেশনে ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা