রবিবার, ১২ মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

তৃণমূলের অংশগ্রহণ দেখে উজ্জীবিত কেন্দ্র

আন্দোলনে কৌশল পরিবর্তন ভাবনায় বিএনপি

বিএনপির সমাবেশ

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সমাবেশ কর্মসূচিতে তৃণমূল-পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ দেখে উজ্জীবিত বিএনপি নেতারা। কোনো কোনো সমাবেশের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যেভাবে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে তাতে দলের নেতারা আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ ধারণা পাওয়া গেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে সারাদেশের বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩২টি স্থানে সমাবেশ করার কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩০টি স্থানে কর্মসূচি পালন করে দলটি। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় নওগাঁ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমাবেশ স্থগিত রাখা হয়েছে। ২০টি জেলায় কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, ফেনী, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী ক্ষমতাসীন দল ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও শেষ পর্যন্ত সমাবেশ করেছে নেতা-কর্মীরা। হবিগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারির কারণে সমাবেশ হতে পারেনি। যশোর, ফেনী, কক্সবাজারে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে সমাবেশ করা হয়েছে। এর বাইরে গাজীপুর, সিলেট ও টাঙ্গাইলে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এসব সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারা যোগ দেন। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিপুল এই অংশগ্রহণ বিগত কয়েক বছরে দেখা যায়নি। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি আর এ রকম কর্মসূচি করতে পারেনি।

২ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দাবি আদায়ের যে প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি এতে ভীত হয়ে আওয়ামী লীগ এবং এই অনির্বাচিত সরকার গণতান্ত্রিক শক্তির উপরে আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, হামলা করছে, গুলিবর্ষণ করছে, গায়েবি মামলা দিচ্ছে।’

তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও লড়াকু মনোভাব দেখে উজ্জীবিত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘নির্যাতন নিপীড়নের মুখে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দলীয় কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, তারা এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসা ও সরকার পতনে জোরালো আন্দোলনে যেতে চায়।’

যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘হামলা-মামলা, গুম, খুন, গ্রেপ্তার নির্যাতন উপেক্ষা করে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়ে আবারও প্রমাণ করেছে তারা দল, দলের নেতৃত্ব ও দলীয় কর্মসূচির প্রতি কতটা কমিটেড। ক্ষমতাসীন সরকার ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী সমাবেশকে কেন্দ্র করে মনপুরা থেকে ভোলাকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কিন্তু নেতা-কর্মীরা এতটাই উজ্জীবিত ছিল যে, তারা থাকা-খাওয়ার অনিশ্চিয়তা ভুলে গিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে এক-দুই দিন পূর্বেই ভোলায় চলে আসেন।’

তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সব সময় অগ্রগামী। চাওয়া পাওয়ার ঊর্ধ্বে তাদের রাজনীতি। তাদের ত্যাগের কোনো কিছুর বিনিময় হবে না। বরং তারা নিজ ঘরে নিজ দেশে পরাধীনতায় বাঁচতে চায় না। চায় সরকার পতনে এক দফা আন্দোলন। তারা বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়ার মুক্তি আসবে না, গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না।’

বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) ওবায়দুর রহমান চন্দন ঢাকাপ্রকাশকে জানান, ‘প্রয়োজনে জীবন বাজি রেখে দলীয় কর্মসূচিতে জয়পুরহাটে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ত্যাগ স্বীকার করার মানসিকতায় অভিভূত। সরকারের দমন-পীড়ন তারপরও তৃণমূল নেতা-কর্মীরা যে এত দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে তা কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল।’

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা যারা তৃণমূলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা সবাই চাই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন। সেই লক্ষ্যে আন্দোলন কখন কোন দিকে যায় সেটা সময় বলে দিবে।’

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘শত বাধা অতিক্রম করে নরসিংদীতে সমাবেশ সফল করেছি। শুধু তৃণমূল নয় দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ। সরকার পতন ও খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আন্দোলনের বিকল্প কোনো ভাবনা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নেই। তাদের চোখে মুখে সরকারবিরোধী প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। যেকোনো মূল্যে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে ঐক্যবদ্ধ। শুধু তাই নয় তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনে যে কোনো দিক নির্দেশনা পালনে জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।’

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকারের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর (পুলিশ) নির্যাতন সহ্য করে তৃণমূল কোনো রকমে বেঁচে আছে। আগে একটু ভীত থাকত, কর্মসূচিতে খুব একটা বের হতো না। তবে এখন সেই ভয় নেই। তারা এখন বাঁচার মতো বাঁচতে চায়, দেশের জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার কারামুক্তি, বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে সরকার পতনের আন্দোলন চায়।’

তৃণমূলের সমাবেশের সাফল্য দেখে দলের নেতাদের আন্দোলনের ক্ষেত্রে এত দিনের ‘ধীরে চলা নীতি’ থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে চলমান সমাবেশ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সাংগঠনিক পুনর্গঠনের দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য দলের পুনর্গঠন কাজের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে বিশেষ বার্তা পাঠানো হচ্ছে। পুনর্গঠন কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। নেতাদের লক্ষ্য, চলমান আন্দোলনকে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের দিকে নিয়ে যাওয়া।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে কর্মসূচিতে আমরা জনমত আদায়ে চেষ্টা করছি। অনেক ক্ষেত্রে সফল হচ্ছি। ফলে এখন শুধু বিএনপি নয় দেশের অর্ধেকের বেশি জনগণ চায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হোক। আমরা দাবি আদায়ে আন্দোলনে আছি এবং দাবি আদায়ে রাজপথই ফয়সালা করবে আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি ও ধরণ।’

পরবর্তী আন্দোলন-কৌশল কী হতে পারে, এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমরা জেলাগুলোতে সমাবেশ করছি। ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধেক জেলায় সমাবেশ শেষ হয়েছে। আরও অর্ধেক জেলায় সমাবেশের পরিকল্পনা কর্মসূচি রয়েছে। জেলা পর্যায়ের সমাবেশ শেষ হলে দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের ধরণ কৌশল চূড়ান্ত করা হবে।’

এপি/টিটি

Header Ad

আজ বিশ্ব মা দিবস

ফাইল ছবি

মা ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এই ছোট্ট শব্দটিই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা- প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মা নামের ওই মমতাময়ী নারীর আঁচল। আজ পৃথিবীর সেই সকল মমতাময়ীর সম্মানে বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী বিশেষ মর্যাদায় পালিত হয় দিনটি।

আসলে মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি মায়েরই সন্তানের ভালোবাসা প্রাপ্য প্রতিদিনই। তবুও দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, নিজের সব স্বাদ-আহ্লাদ সন্তানের নামে করে দেন যে মা, তার সম্মানে আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই আজকের দিনটি।

মায়ের সঙ্গে সন্তানের আত্মিক বন্ধন জন্ম-জন্মান্তরের। অটুট এ বন্ধনের প্রাগাঢ় আবেগে তাড়িত হয়ে যুগে যুগে রচিত হয়েছে বহু গান, কবিতা, গল্প, আর উপন্যাস। সৃষ্টি হয়েছে বহু কালজয়ী শিল্পকর্ম। বাংলা সাহিত্যেও মাকে নিয়ে অসংখ্য কবিতা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মনে পড়া’, শামসুর রাহমানের ‘কখনো আমার মাকে’, হুমায়ুন আজাদের ‘আমাদের মা’, আল মাহমুদের ‘নোলক’, কালিদাসের ‘মাতৃভক্তি’ এমনই কিছু কালজয়ী বন্দনা।

পৃথিবীর সকল যুগের সকল ধর্মে মা সম্মান রাখা হয়েছে সবচেয়ে উঁচুতে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভধারণ করে। তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার শোকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শোকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৪)।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষায় ‘মা’ ডাকের শব্দগুলোর মধ্যেও আছে উচ্চারণগত অদ্ভূত এক মিল। সবগুলো শব্দের শুরুই ‘এম’ অথবা ‘ম’বর্ণটি দিয়ে। জার্মান ভাষায় ‘মাট্টার’, ওলন্দাজ ভাষায় ‘ময়েদার’, ইতালিয়ান ভাষায় ‘মাদর’, চীনা ভাষায় ‘মামা’, প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় ‘মাত’, সোয়াহিলি ভাষায় ‘মামা’ এবং আফ্রিকান, হিন্দি ও বাংলা ভাষায় ‘মা’।

কীভাবে এই সাদৃশ্য ঘটল তা আজও এক বিরাট রহস্য। তবে ভাষাবিদ রোমান জ্যাকবসন এর পেছনে যুক্তি দেখিয়েছেন যে, শিশুরা যখন তার মায়ের দুধ পান করে, তখন তারা তাদের মুখভর্তি অবস্থায় কিছু শব্দ করে। সেই শব্দগুলো নাক দিয়ে বের হয় বলে উচ্চারণগুলো অনেকটা ‘ম’-এর মতো শোনা যায়। তাই প্রায় সব ভাষায়ই ‘মা’ ডাকে ব্যবহৃত শব্দগুলো ‘ম’ বা ‘এম’ দিয়ে শুরু হয়।

‘মা’ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘মম’, যা পূর্বে ব্যবহৃত শব্দ ‘মাম্মা’র পরিবর্তিত রূপ। ধারণা করা হয়, ইংরেজি শব্দ মাম্মা এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘মাম্মা’ থেকে। যা ‘স্তন’ বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। এই শব্দ থেকে ‘ম্যামেল’ উত্পত্তি। যা কিনা স্তন্যপায়ী প্রাণীর ইংরেজি প্রতিশব্দ।

জানা যায়, মা দিবসের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন গ্রীসে। সেখানে প্রচলিত ছিল মাতৃরূপী দেবী সিবেল ও দেবী জুনোর আরাধনা। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে প্রচলিত ছিল মাদারিং সানডের মতো বেশ কয়েকটি আচার-অনুষ্ঠান। সবসময় মায়েদের সম্মানে মাদারিং সানডে পালিত হতো নির্দিষ্ট একটি রোববার।

তবে বর্তমানে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। গত শতাব্দীর শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবলেন। নিজের সেই মহৎ ভাবনা বাস্তবায়নের আগেই ১৯০৫ সালের ৯ মে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মায়েদের জন্য উত্সর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।

এরপর থেকেই মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আন্তর্জাতিক মা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো এবার রোববার (১২ মে) আমাদের দেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকেও বিশ্ব মা দিবস ২০২৪ উদযাপন করতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এতে জেলা পর্যায়ে উপপরিচালকদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, আবাসিক বা অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ডে-কেয়ার কর্মকর্তাদেরও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি উদযাপন করতে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দিবসটি উদযাপন করতে জেলা, উপজেলা, আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ডে-কেয়ার সেন্টারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বাজেট পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

 

বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ

ফাইল ছবি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ের ৪ মাসেই ১০ মাসের সন্তান প্রসব করেলেন এক নববধূ। শনিবার (১১ মে) এ সংবাদ প্রকাশ্যে আসে। উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের শাকছিপাড়া নাজিম উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামের জনৈক যুবকের ওই বাড়ির যুবতীর সাথে ৪ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর ওই নববধূ স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে যায়। সেখানে গেল ৩০ এপ্রিল তার পেট ব্যথা দেখা দিলে হাজীগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১ লা মে কন্যাসন্তান প্রসব করেন তিনি। পরে সন্তান প্রসবের খবর স্বামীর বাড়িতে পৌঁছায়।

ওই নববধূর বোন জানান, আমার স্বামী নওহাটা ফকির বাড়ির ফারুকের ছেলে কাউসার যৌতুকের দাবিতে তাকে অত্যাচার করত। এ ঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে। আর এই সুযোগে তার আপন ছোট বোনের সঙ্গে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় কাউসার।

এ বিষয়ে ওই নববধূ বলেন, “বিভিন্ন সময়ে তার বড় বোনের স্বামী কাউসার সুযোগ বুঝে মুখ চাপা দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো। এখন এ ঘটনার কারণে যদি স্বামী তাকে না নেয়, তাহলে সে ছাড়াছাড়ি মেনে নেবেন।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কাউসারের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের শাকছিপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য এম এ খালেক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নববধূর স্বামী এসে বিষয়টি আমাকে জানিয়ে গেছে।

রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, রাতভর উত্তেজনার পর শান্ত

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে এ সংঘর্ষ চলে রাত ৩টা পর্যন্ত। অবশেষে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এসেছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান পরিচালনা করে। তবে সেখান থেকে কোনো ধরনের অস্ত্র পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধক্ষ্য ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

তিনি বলেন, আমরা হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে হলে প্রবেশ করেছিলাম। আমরা চেষ্টা করেছি সবার রুমে তল্লাশি করার। এছাড়াও আমরা যে রুমগুলোতে সন্দেহ করেছিলাম অস্ত্র থাকতে পারে সেগুলোতে তল্লাশি করি কিন্তু কোনো অস্ত্র পাইনি। ভাঙা ইট বা চেয়ারের ভাঙা হাতল পেয়েছি। কিছু শিক্ষার্থীর রুমে তালা লাগানো ছিল, আমরা ধারণা করছি তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ডাইনিংয়ের ছাদ দিয়ে তারা হল ত্যাগ করেছে। হলে বর্তমানে কোনো বহিরাগত নেই। আমরা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আজ রাতে হলেই অবস্থান করব।

এদিকে পরিস্থিতি পরবর্তীতে যেন খারাপ না হয় সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করছি। যদি মনে হয় পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে তাহলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, এমন ঘটনা দুঃখজনক। দুই গ্রুপের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি বিষয়টি সমাধান করার। আমরা দুই পক্ষেরই সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে সব সময় সতর্ক। তারপরেও একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিছু ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া হয়েছে। তবে হলের মধ্যে যখন আমরা গেলাম তখন এ ধরনের কোনো নমুনা পাইনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

পরবর্তীতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরবর্তীতে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেব। অভিযোগটি যে কেউ করতে পারে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রদের জন্য যেটা ভালো হয় সেটা করব।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ডিসি মধুসূদন রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন স্বাভাবিক এবং পড়াশোনার পরিবেশ বজায় থাকে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন নির্ভয়ে পড়াশোনা করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ চাইলেই সহজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি কোনো সহযোগিতা লাগে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। আজকের ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

আজ বিশ্ব মা দিবস
বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ
রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, রাতভর উত্তেজনার পর শান্ত
এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, যেভাবে জানবেন
ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি মিলবে যে কয়দিন
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, একদিনে দুই শতাধিক মৃত্যু
রংপুর মেডিকেলের আইসিইউ ইউনিটে আগুন
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল
পতঞ্জলি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতের যোগগুরু বাবা রামদেব
রাত ১টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের ‍পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা আগামীকাল
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন 'অড সিগনেচার'-এর পিয়াল
অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষ বৈধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে ‘বিসিএস প্রস্তুতি’ বন্ধ হচ্ছে
বিদেশিদের এনআইডি করতে লাগবে না দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ