শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

লাইসেন্সহীন চালকের হাতে আব্দুল্লাহপুর-টঙ্গীর মানুষের প্রাণ!

আশুলিয়া থেকে ধউর বেড়িবাঁধ ক্রসিং। সেখান থেকে কামারপাড়া হয়ে আব্দুল্লাহপুর ও টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় দিব্যি চলছে রুট পারমিটবিহীন বাস, মিনিবাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা। শুধু তাই নয়, এসব যানবাহনের চালকদের বেশিরভাগেরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। ফলে নিয়মিতই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাওয়ার পর গাড়ির নাম পরিবর্তন করেও চলছে যানবাহন।

অভিযোগ উঠেছে, ট্রাফিক পুলিশ, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতাকর্মী এবং ওই এলাকার পরিবহন নেতাদের নিয়মিত খুশি করেই এ সব অবৈধ পরিবহন চলছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন সূত্র জানা গেছে, আশুলিয়া থেকে আব্দুল্লাহপুর, ধউর বেরিবাঁধ ক্রসিং দিয়ে অবাধে চলছে শতাধিক যানবাহন। পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনে এ সব অবৈধ যানবাহন চললেও কখনও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না।

স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশকে ম্যানেজ করেই সবকিছু চলছে। দুর্ঘটনা ঘটলেও নেওয়া হয় না আইনগত কোনো পদক্ষেপ।

অবশ্যই ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের কাছে সুনির্দষ্ট অভিযোগ এলে তারা সংশ্লিষ্ট যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।

আব্দুল্লাহপুরের মামুন নামের এক ব্যক্তি ঢাকাপ্রকাশ’এর কাছে অভিযোগ করে বলেন, এই রাস্তায় চলে পুলিশের নৈরাজ্য। ট্রাফিক পুলিশ ও আশুলিয়া এলাকায় ডিউটিরত পুলিশকে ম্যানেজ করে তারা এ সব অবৈধ যানবাহন রাস্তায় নামায়। এ সব যানবাহনের পেছনে শুধু পুলিশ নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরাও জড়িত রয়েছেন।

জানা গেছে, রাজধানীর প্রবেশদ্বার ধউর বেড়িবাঁধ ক্রসিং দিয়ে আশুলিয়া এক্সপ্রেস, আশুলিয়া হাইওয়ে মিনিবাস ও আলহামদুলিল্লাহ পরিবহন নামে রুট পারমিট ফিটনেসবিহীন এসব গাড়ি আবধে চলছে। এদের মধ্যে আলহামদুলিল্লাহ পরিবহনের নাম আগে ছিল বন্ধন পরিবহন। কিন্তু গত ২৭ জুন কামারপাড়ায় এক দুর্ঘটনায় বন্ধন পরিবহনের দুই যাত্রী মারা যাওয়ার পর নাম পাল্টে হয়ে যায় আলহামদুলিল্লাহ পরিবহন।

এ সব পরিবহন ছাড়াও গাজীপুর ও ঢাকা জেলার সিএনজি চালিত অটোরিকশাও কামারপাড়া ও ধউর বেরিবাঁধ ক্রসিং দিয়ে অবাধে রাজধানীতে ঢুকছে।

অভিযোগ উঠেছে, এই সড়কে প্রায় প্রতিদিনই অভিযানের নামে বিভিন্ন আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক থামিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করা হয়। চাঁদা না দিলে গাড়িতে রেকার লাগানো হয়, মামলা দেওয়া হয়। ট্রাফিক বক্সে ডেকে নিয়ে মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

রুট পারমিট ও ফিটনেস ছাড়া কিভাবে আশুলিয়া-বেরিবাঁধ রুটে এসব গাড়ি চলছে জানতে চাইলে আশুলিয়া এক্সপ্রেসের ম্যানেজার মোহাম্মদ হাশেম বলেন, ‘আমাদের আশুলিয়া পর্যন্ত রুট পারমিট নেওয়া আছে। আর আশুলিয়া থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত যাওয়ার রুট পারমিটের জন্য আবেদন করা হয়েছে, এখনো অনুমতি পায়নি। তবে গাড়ি চালাতে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

আশুলিয়া থানা পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তায় রুট পারমিটবিহীন গাড়ি, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচলে থানা পুলিশের কোনো সংশ্লিষ্ট্রতা নেই। তারা বলছেন, এর সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ বা অত্র এলাকার যানবাহনের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক নেতারা জড়িতে থাকতে পারে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এসব অবৈধ যানবাহন চলাচলের জন্য মাসিক চুক্তিতে ও এককালিন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার টিআই এবং সার্জেন্টকে ম্যানেজ করা হয়। যদিও ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এসব বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

শুধু রুটপারমিটবিহীন অবৈধ পরিবহনই নয়, বেশিরভাগ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে ধরা পড়লেও উৎকোচের বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে যান। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিনা লাইসেন্সের গাড়ি চালককে আটক করে কারাগারে পাঠায়। কিন্তু এক-দুই মাস পর জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও একই কাজ করছে। আর লাইসেন্সবিহীন এসব চালকের হাতেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এরা বেশিরভাগ সময় পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালায়। তাতে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।

এদিকে আন্তঃজেলা রুটে আব্দুল্লাহপুর কাউন্টার এলাকায় চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের ম্যানেজারা আব্দুল্লাহপুর ট্রাফিক বক্সের টিআই আরাফাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলছেন, রুটপারমিট থাকা সত্ত্বেও এই টিআই গত কয়েকদিন ধরে গাড়ি আটকিয়ে ট্রাফিক বক্সে যোগাযোগ করতে বলেন।

আজমপুরে একটি বাস কাউন্টারের ম্যানেজার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, কয়েকদিন আগে ধউর ক্রসিং এলাকায় আমার একটি গাড়ি আটক হলে ড্রাইভার আমাকে খবর দেয়। আমি আজমপুর কাউন্টার থেকে যেতে দেরি হওয়ায় টিআই আরাফাত আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এরপর তাকে মাসিক দুই হাজার টাকা চুক্তিতে গাড়ি ছাড়িয়ে আনি। এটা কাউকে জানালে পরবর্তীতে সমস্যা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ার করে দেন।

এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ধউর বেড়িবাঁধ ক্রসিং এলাকায় ডিউটিরত টিআই আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমি এখানে কয়েক মাস হল যোগদান করেছি। আমার বিষয়ে কিছু শুনতে হলে বা বলতে হলে আপনি সরাসরি আমার এখানে চলে আসেন সাক্ষাতে কথা হবে।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল হক ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। প্রতিনিয়তই আমরা অভিযান পরিচালনা করে আসছি। তারপরও যদি সুনির্দিষ্ট কোনো গাড়ি থাকে (যাদের রুট পারমিট নেই) আপনারা যদি আইডেন্টিফাই করতে পারেন, তাহলে আমাদের জানাবেন। আমরা ঘটনাস্থলে থেকেই ব্যবস্থা নিব।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচলে এখনো অনেক বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। চাঁদাবাজি ,লাইসেন্সবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন ও রুটপারমিট ছাড়া গাড়ি রাস্তায় চলাচল করে থাকে। একটি বাস রাস্তায় চালাতে গেলে দিনে গড়ে বিভিন্ন সেক্টরে এক হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। এখানে বাস মালিকরা তাদের দায়িত্ব পালন করেন না। আবার চালকের লাইসেন্স আছে কি না, রুট পারমিট, ফিটনেস যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব বিআরটিএ ও পুলিশের। এ দুই সংস্থা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না বলেও অভিযোগ তার।

এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমানেসর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, যে কোনো ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের অভিযোগ বা ঘুষের কোনো ঘটনা জানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আমরা আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আপনার কথা যদি সত্য হয় বা এর সঙ্গে যদি ট্রাফিক পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত