শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মেয়াদ শেষ হলেও ১৪ চিনিকলে স্থাপন হয়নি ইটিপি

চিনিকল। ফাইল ফটো

দেশের ১৪ চিনিকলে বর্জ্য পরিশোধণাগার (ইটিপি) স্থাপনের কাজে ভ্রমণ ভাতা বাবদ ১৪ লাখ টাকা, সম্মানী ভাতা ২৬ লাখ, প্রশিক্ষণে ২৭ লাখ, বিনোদনে ১০ লাখ, মোটরযান কিনতে ৭৫ লাখ, কাজের সাইট তৈরি করতে ৩৯ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ ছাড়া আসবাবপত্র কেনা পাঁচ লাখ, অফিস ও ল্যাব স্থাপনে এক কোটি ১০ লাখ টাকাসহ বিভিন্নখাতে ৮৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। যার মধ্যে ভ্রমণ, প্রশিক্ষণ, আসবাবপত্র ক্রয় ও ল্যাব স্থাপনে ইতোমধ্যেই প্রায় এক কোটি ২৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ইটিপি স্থাপন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫৯ ভাগ।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে চিনিকলে ইটিপি স্থাপন সংক্রান্ত এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইএমইডি এই মনিটরিং করে এবং গত জুন মাসে তা প্রকাশ করে।

দেশের প্রতিটি শিল্প কারখানায় বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থা্পনের জন্য ২০০৯ সালের ১২ এপ্রিল নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বছরের ২৩ জুন হাইকোর্টও ইটিপি স্থাপনের বিষয়ে আদেশ দেন। যাতে নির্দশনা ছিল এক বছরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হয়। কিন্তু এসব আদেশ-নির্দেশের কোনোটিই দেশের চিনিকল কারখানার ক্ষেত্রে মান্য হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও আদালতের আদেশের পর শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় সরকার ১৪টি চিনিকলে বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত এসব ইটিপি বাস্তবায়নে প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। কিন্তু নির্ধারিত সময় দূরের কথা ডিপিপি দুই দফা সংশোধন করে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তবু শেষ হয়নি ইটিপি স্থাপন প্রকল্পের কাজ। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৫৯ শতাংশ। আর পাঁচটি চিনিকল বন্ধ থাকায় আখের বর্জ্যের অভাবে কাজেই আসছে না এই প্রকল্প।

প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা জানতে রবিবার (১৭ জুলাই) প্রকল্প পরিচালক এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল করীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি তথ্য কমিশনের ফরম পূরণ করে আবেদন করতে পরামর্শ দেন।

আইএমইডির প্রতিবেদন সম্পর্কে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবেদনে যা পেয়েছেন লিখে দেন। এ ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

আইএমইডি’র প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ছয়টি চিনিকল বন্ধ ঘোষণা করায় আখ মাড়াই কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। এই সব মিলে ইটিপি নির্মাণ কাজ শেষ হলেও মিলে আখ মাড়াই স্থগিত করায় ট্রায়াল রান করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া অন্যান্য মিলে আখ মাড়াই মৌসুম সংক্ষিপ্ত হওয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ বর্জ্যের অভাবে ইটিপির কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। আবার যে সব মিলে ইটিপি নির্মাণ করা হয়েছে তা পরিচালনার জন্য লোকবলও নেই। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সঠিকভাবে চাহিদা নিরূপণের ভিত্তিতে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকায় ঠিকমতো কাজ হয়নি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কাজ সম্পন্ন না হলেও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ভ্রমণ ভাতা বাবদ ১৪ লাখ টাকা, সম্মানী ভাতা ২৬ লাখ, প্রশিক্ষণে ২৭ লাখ, বিনোদনে ১০ লাখ,মোটরযান কিনতে ৭৫ লাখ, কাজের সাইট তৈরি করতে ৩৯ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ ছাড়া অসবাবপত্র কেনা, অফিস ও ল্যাব স্থাপনে ১১০ লাখ টাকাসহ বিভিন্নখাতে ৮৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রতি অর্থবছরে অর্থ বরাদ্দও রাখা হয়। মাঝপথে দুই সংশোধন করে সময় বাড়ানো হয়েছে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত। ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫১ কোটি টাকা। কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫৯ শতাংশ।

১৪টি ইটিপির মধ্যে ৯টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তবে এগুলোতে ট্রায়াল রান হয়নি। দুটির কাজ চলামান আছে। বাতিল করা হয়েছে তিনটির কাজ। আবার ২০২১ সালের ২২ মার্চ প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় পাবনা, শ্যামপুর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর ও রাজশাহী চিনিকলে ইটিপি প্ল্যান্টের স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে বাতিল করা হয়। পরে ২০২২ সালের ২২ মার্চ প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটির সভায় রাজশাহী ও ফরিদপুর সুগারমিলে ইটিপির কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু মিল বন্ধ থাকায় আখের বর্জ্যের অভাবে তা কাজে আসবে না।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে— প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও বৈদ্যুতিক সংযোগ, ট্রান্সফরমার ক্রয় না করা এবং আখের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বর্জ্যের অভাবে ইটিপিগুলোতে ট্রায়াল করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া ১৪টি চিনিকলে ল্যাব তৈরি হলেও ডিপিপিতে সরঞ্জাম কেনার কোনো খাত নেই। এতে ল্যাব ভবন কার্যকর হবে না। বর্জ্যর পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ থাকবে না। প্রকল্পের মধ্যে বাতিল করা শ্যামপুর সুগারমিলে কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৩০ শতাংশ, কুষ্টিয়ায় ৪০, ফরিদপুরে ৭৫, রাজশাহী ৪৫ ও পাবনা সুগারমিলে ৪০ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। সার্বিকভাবে ইটিপি স্থাপনের অগ্রগতি হয়েছে ৮০ শতাংশ।

প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে। তারপরও বড় ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। কারণ চিনিকলে ১২০ দিনের মাড়াই এর জন্য পর্যাপ্ত আখ পাওয়া না গেলে ও বর্জ্য পানি তৈরি না হলে ইটিপি চালানো যাবে না। ইটিপি পরিচালনায় জনবল নিয়োগ না করলে যন্ত্রপাতি ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হবে না। এ ছাড়া কোনো কোনো মিলে বাউন্ডারির বাইরে ইটিপি করা হয়েছে। নিরাপত্তার অভাবে এসব চুরি হয়ে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, চিনিকল এলাকায় কৃষিকাজ, জলাশয় ও সেচের পানিকে কারখানার বর্জ্য থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি) ১৪ চিনিকলে বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, সেতাবগঞ্জ (রংপুর), শ্যামপুর (রংপুর), জয়পুরহাট, রাজশাহী, নর্থবেঙ্গল, পাবনা, কুষ্টিয়া, কেরু অ্যান্ড কোং (চুয়াডাঙ্গা), মোবারকগঞ্জ (ঝিনাইদহ), ফরিদপুর, ঝিলবাংলা (জামালপুর) ও রংপুর সুগার মিলে বর্জ্য পরিশোধনাগারগুলো স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

জেডএ/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত