শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডলার সংকট: ইনভয়েসিং-ওভারভয়েসিংয়ের বিরুদ্ধে অর্থনীতিবিদরা

অস্থির ডলারের বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা বলছেন দেশের অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে তারা বলছেন, ইনভয়েসিং ও ওভারভয়েসিং বন্ধ করতে হবে। তাহলে বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ববোর্ডকে আরও কঠোর মনিটরিং করতে হবে। এই সংকট ও দুঃসময়ে কঠোর মনিটরিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। কোনো প্রকারের শৈথিল্য দেখানো যাবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলারও বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন থেকে ৪০ বিলিয়নের নিচে নেমে গেছে। টাকার মান কমিয়েও স্থিতিশীলতার কোনো কুলকিনারা হচ্ছে না। বছরের ব্যবধানে টাকার মান কমেছে ১০ শতাংশের উপরে। গত বছরের ৮৫ টাকার নিচের ডলার প্রায় ৯৪ টাকায় পৌঁছে গেছে। খোলা বাজারে সেটি ১০০ টাকায় পৌঁছে গেছে। ডলারের লাগামহীন অস্থিরতায় দেশের আমদানিকারক থেকে শুরু করে ভোক্তারাও শঙ্কিত, ভীত। কারণ ভোক্তাকে একই পণ্য বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আর আমদানিকারকরা বেশি ব্যয় করলেও আমদানি করতে পারছেন কম পণ্য।

অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, ‘বৈশ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে দেশেও ডলারের ব্যাপারে একটা সংকট চলছে। এ অবস্থা থেকে যেভাবে হোক সরকারকে বের হতে হবে। বেশি করে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তাহলে দেশে ডলার আসবে। আমদানি ব্যয় খুবই টাইট করতে হবে। মুদ্রানীতিতে তা মানতে হবে। ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেট (সুদ হার) বাড়িয়ে দিতে হবে। আমানত ও ঋণের ক্ষেত্রে ৬-৯ শতাংশ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আগে থেকে প্রস্তাব করে লাভ নেই। কারণ গ্যাস, তেল ও সারের দাম বেড়ে গেছে। তাই বাস্তবতা মানতে হবে। এটা করব না, ওটা করব না। এভাবে সময় পার করে লাভ হবে না। বাস্তবতা না মানলে সরকার দায়ী হবে।

ব্রিটেনে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বাস্তবতা মেনে ব্রিটিশ সরকার কিছু করলে আমাদের সমস্যা কোথায়। তাদের মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়েছে। দুই দিনেই সম্ভব যদি সরকার বাস্তবতা মেনে কিছু করে। তবে এ কাজে কিছু কষ্ট স্বীকার করতে হবে সরকারকে, সঙ্গে জনগণকেও। কারণ গ্যাস ও তেলের আমদানি কমিয়ে বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে। এসির ব্যবহার কমাতে হবে। বর্তমানে যেহেতু সময় ভালো যাচ্ছে না। বিশ্ব বাজারে ওই সব জিনিসের দাম কমলে তখন ভিন্নভাবে ভাবতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদেরও পরামর্শ হচ্ছে যেভাবে হোক আমদানি কমাতে হবে। ঢাকাপ্রকাশ’কে তিনি বলেন, ‘আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলারের চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে। এতে দামও বেড়ে যাচ্ছে। টাকার মান বারবার অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। এটা চিস্তার বিষয়। তবে যেভাবে হোক অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে হবে।

ওভার ভয়েসিং ও ইনভয়েসিং বন্ধ করতে হবে। জাতীয় রাজস্ব রোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংককে এক সঙ্গে এসব দেখতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে মনিটরিং বাড়াতে হবে। সরকারকে পণ্যের বহুমুখীকরণে আরও নজর দিয়ে রফতানি বাড়াতে হবে। যাতে বেশি করে ডলার আসে। একই সঙ্গে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়াতে হবে। এভাবে সরকার কঠোর হলে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।’

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানও বলছেন, আগে থেকে ধীরে ধীরে টাকার অবমূল্যায়ন করা হলে ডলারের বাজারে এতো সংকট হতো না। ঢাকাপ্রকাশ’কে তিনি বলেন, ‘সরকার আমদানি ব্যয় কমাতে ১০০ শতাংশ ঋণ মার্জিনসহ কিছু ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিয়েছে। আরও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। নিত্যপণ্য ছাড়া যাতে কোনোক্রমেই বিলাসী পণ্য আমদানি না হয়। তা স্থগিত রাখতে হবে। সরকারকে আরও দেখতে হবে রফতানি ও রেমিট্যান্স যাতে বাড়ে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট অব ব্যালান্স সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সরকার ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখে। তেল, গ্যাস ও সার সরকারিভাবে আমদানি করতে হয়। তাই এসব পণ্য আমদানি করতে রিজার্ভ কমলেও সেটা নেতিবাচকভাবে দেখার বিষয় না। আবার আমাদের ঋণ পরিশোধও বেশি করে করতে হয় না। তবে যেভাবে হোক ইনভয়েসিং ওভারভয়েসিং বন্ধ করতে হবে এনবিআর ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রকারের শৈথিল্য দেখানো যাবে না। একই সঙ্গে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আরও বাড়াতে হবে। সরকারকে সেদিকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি ব্যয় হয়েছে ৫৩ হাজার ৩৭ মিলিয়ন (৫ হাজার ৩০৩ কোটি) ডলার। যা বিদায়ী অর্থবছরে ব্যয় হয়েছে ৭৬ হাজার ৬৫১ মিলিয়ন (৭ হাজার ৬৬৫ কোটি) ডলার। বছরের ব্যবধানে ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ।

অপরদিকে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত রফতানি আয় হয়েছে ৪৩ হাজার ৩৪৪ মিলিয়ন ডলার। যা বিদায়ী অর্থবছরে আয় হয়েছে ৩২ হাজার ৭২ মিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ শতাংশ। এভাবে প্রতি মাসে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে বাণিজ্য। এর ফলে আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলারের চাহিদা বাড়ছে।

সদ্য বিদায়ী গভর্নর ফজলে কবিরও বলেছেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে রফতানি আয় ও আমদানি ব্যয় উভয়ই বেশি। তবে রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি কম হওয়ায় চলতি হিসাবের ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০ মাসে চলতি হিসাবের ঘাটতির পরিমান ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ছিল মাত্র এক দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। এই ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। বছরের ব্যবধানে ৪৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন থেকে কমে ৪১ দশমিক ৮ বিলিয়নে নেমে গেছে। টাকার বিনিময় হারের উপরও চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ২০২১ সালের জুনে টাকা-ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৪ দশমিক ৮১ টাকা। ২০২২ সালের জুনে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ দশমিক ৯৫ টাকা। তাই চলতি অর্থবছরে মুদ্রানীতির মূল চ্যালেঞ্জ হবে টাকার মানকে স্থিতিশীল রাখা। এ জন্য সর্তকতামূলক মুদ্রানীতি ভঙ্গি অনুসরণ করা হয়েছে। যা কিছুটা সংকোচনমুখী।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে গত বুধবার(১৩ জুলাই) প্রতি ডলার বিক্রি করেছে ৯৩ টাকা ৬২ পয়সা দরে। গত এক বছরের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ। সব মিলিয়ে ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১৩ দিনে (১ থেকে ১৩ জুলাই) ৫৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। তার উপর আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে। ফলে দুই বছর পর গত বুধবার (১৩ জুলাই) দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার।

জেডএ/এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত