শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিদেশিদের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ, সন্দিহান আওয়ামী লীগ

আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশের বিশেষ সুবিধা পাওয়া বিএনপিতে এখন আগের পরিস্থিতি নেই। নানান কারণে বন্ধুসুলভ দেশগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সেটি এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে বিএনপি নেতারা সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এ ছাড়া বিএনপি নেতারা ঢাকা নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও বৈঠকে করছেন।

অন্যদিকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে দলটির সংশ্লিষ্ট উইংগুলোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে। তারা সরকারের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, গুম-খুন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, মিটিং-মিছিল করতে না দেওয়া, ইভিএমের কারচুপি, দিনের ভোট রাতে হওয়া, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের নেতিবাচক দিক, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ‘যৌক্তিকতা’- এসব বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছেন।

বিষয়টাকে নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিকে বিদেশিদের পেছনে দৌড়ঝাঁপ না করে জনগণের কাছে যাওয়া উচিত।

আর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এবং ভোটে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রাজনৈতিক বিশ্বাস-আস্থার সম্পর্ক স্থাপনে কার্যত কোনো উদ্যোগই অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিতে হচ্ছে বলে দলটির ভিতর থেকেই অভিযোগ উঠেছে। অথচ জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের বিরোধীতার খাতিরে বিরোধীতা করতে গিয়ে দেশীয় রাজনৈতিক সমীকরণে আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক শক্তিকে পাশে পেয়েছিল বিএনপি।

বিএনপি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে দলটি। তা নিয়ে দলটির নেতা–কর্মীদের মধ্যে দ্বিমত নেই। তবে তারা বলছেন, নীতি–কৌশল নির্ধারণে নেতৃত্বের মধ্যে যে ঐক্য, সংহতি দরকার, সেখানে ঘাটতি আছে দীর্ঘ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। যদিও অসুস্থতার কারণে সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে রয়েছেন। তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তার অবর্তমানে লন্ডনে নির্বাসিত বড় ছেলে তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দল পরিচালনা করছেন। কাজেই বলতে গেলে দলের একক ক্ষমতার অধিকারী এখন তারেক রহমান। নিজেই দলের সব বিষয়ে তদারকি করছেন। কোথাও সফল হচ্ছেন, কোথাও ব্যর্থ হচ্ছেন। আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপি রাজনীতি নিয়ে কাজ করছেন এমন কয়েকজন নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে এসব কথা জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি অনেক কিছুতেই সিদ্ধান্তহীন। আন্দোলন নাকি নির্বাচনের প্রস্তুতি-এ বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতার দুই ছকে আটকে গেছে দলটির বৈদেশিক রাজনৈতিক দৌড়ঝাঁপ। নীতি-কৌশলসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও এই বিষয়ে দলটির নেতাদের অভিযোগ-সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আটকে আছে খালেদা জিয়ার রাজনীতি। এই অবস্থায় সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপে অনেকটাই ঘুরে দাড়ানোর পথ খুঁজছে বিএনপি। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলে দলটির পক্ষ থেকে জোরালো যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছে দলটির দায়িত্বশীল নেতারা। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ অংশ নেন। বৈঠক সূত্রের দাবি, আগামী নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা হয়েছে।

কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে কাজ করছেন বিএনপির এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিগত দিনে কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল, তাই এখন এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলার সময় না। তবে এতটুকু বলতে পারি কূটনৈতিক অঙ্গনে বিএনপি তার অবস্থান গুরুত্ব তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বার বার বলে আসছে-শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই নয়, পৃথিবীর সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সংস্থা চায় বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় নির্দলীয় সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচন গ্রহণেযাগ্য হবে না।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে শুধু আন্দোলনেই সীমিত থাকছে না। মাঠের আন্দোলনের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক তৎপরতা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি পুনর্গঠন করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেক্ষেত্রে বিগত নির্বাচনি ইতিহাস, দলীয় সরকার এবং নির্দলীয় সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হবে। এ লক্ষ্যে বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির নেতারা কাজ করে যাচ্ছেন।

বিদেশীদের কাছে বিএনপির এই দৌড়ঝাঁপকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন না আওয়ামী লীগ নেতারা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি সব সময় বিদেশিদের কাছে ছুটে যায়। তাদের দৌড়-ঝাঁপ সব সময় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে, বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কাছে। অথচ এদেশের মালিক হচ্ছে এদেশের জনগণ। জনগণই হচ্ছেন ক্ষমতার মালিক। তারাই প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। এদেশে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রদূত বা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি কাউকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসানোর অধিকার রাখে না। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের নাক গলানো সমীচীন নয়। বিএনপির উচিত বিদেশিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ না করে জনগণের কাছে যাওয়া। এটা বিএনপির জন্য মঙ্গল হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচন করবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতসহ যত ক্ষমতাশালী দেশের হোক না কেন তারা বাংলাদেশের নির্বাচনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। পুরো পৃথিবী একটা গ্লোবাল ভিলেজ। বিএনপি তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারে। তবে আমরা চাই গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হোক। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

অবশ্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি একটা বড় রাজনৈতিক দল, তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনায় ছিল। স্বাভাবিকভাবেই দলটির সঙ্গে দেশি বিদেশি ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থার যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। ফলে বিদেশি যারাই দেশে নতুন আসেন, তারাই দেখা করতে আসেন।নর্মাল কার্টেসি কল। আমরা মিটিং করি। এটা সাধারণ
কূটনৈতিক রীতি।

 এমএইচ/এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত