শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫ | ২২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিদেশিদের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ, সন্দিহান আওয়ামী লীগ

আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশের বিশেষ সুবিধা পাওয়া বিএনপিতে এখন আগের পরিস্থিতি নেই। নানান কারণে বন্ধুসুলভ দেশগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সেটি এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে বিএনপি নেতারা সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এ ছাড়া বিএনপি নেতারা ঢাকা নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও বৈঠকে করছেন।

অন্যদিকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে দলটির সংশ্লিষ্ট উইংগুলোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে। তারা সরকারের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, গুম-খুন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, মিটিং-মিছিল করতে না দেওয়া, ইভিএমের কারচুপি, দিনের ভোট রাতে হওয়া, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের নেতিবাচক দিক, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ‘যৌক্তিকতা’- এসব বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছেন।

বিষয়টাকে নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিকে বিদেশিদের পেছনে দৌড়ঝাঁপ না করে জনগণের কাছে যাওয়া উচিত।

আর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এবং ভোটে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রাজনৈতিক বিশ্বাস-আস্থার সম্পর্ক স্থাপনে কার্যত কোনো উদ্যোগই অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিতে হচ্ছে বলে দলটির ভিতর থেকেই অভিযোগ উঠেছে। অথচ জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের বিরোধীতার খাতিরে বিরোধীতা করতে গিয়ে দেশীয় রাজনৈতিক সমীকরণে আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক শক্তিকে পাশে পেয়েছিল বিএনপি।

বিএনপি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে দলটি। তা নিয়ে দলটির নেতা–কর্মীদের মধ্যে দ্বিমত নেই। তবে তারা বলছেন, নীতি–কৌশল নির্ধারণে নেতৃত্বের মধ্যে যে ঐক্য, সংহতি দরকার, সেখানে ঘাটতি আছে দীর্ঘ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। যদিও অসুস্থতার কারণে সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে রয়েছেন। তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তার অবর্তমানে লন্ডনে নির্বাসিত বড় ছেলে তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দল পরিচালনা করছেন। কাজেই বলতে গেলে দলের একক ক্ষমতার অধিকারী এখন তারেক রহমান। নিজেই দলের সব বিষয়ে তদারকি করছেন। কোথাও সফল হচ্ছেন, কোথাও ব্যর্থ হচ্ছেন। আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপি রাজনীতি নিয়ে কাজ করছেন এমন কয়েকজন নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে এসব কথা জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি অনেক কিছুতেই সিদ্ধান্তহীন। আন্দোলন নাকি নির্বাচনের প্রস্তুতি-এ বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতার দুই ছকে আটকে গেছে দলটির বৈদেশিক রাজনৈতিক দৌড়ঝাঁপ। নীতি-কৌশলসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও এই বিষয়ে দলটির নেতাদের অভিযোগ-সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আটকে আছে খালেদা জিয়ার রাজনীতি। এই অবস্থায় সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপে অনেকটাই ঘুরে দাড়ানোর পথ খুঁজছে বিএনপি। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলে দলটির পক্ষ থেকে জোরালো যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছে দলটির দায়িত্বশীল নেতারা। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ অংশ নেন। বৈঠক সূত্রের দাবি, আগামী নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা হয়েছে।

কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে কাজ করছেন বিএনপির এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিগত দিনে কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল, তাই এখন এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলার সময় না। তবে এতটুকু বলতে পারি কূটনৈতিক অঙ্গনে বিএনপি তার অবস্থান গুরুত্ব তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বার বার বলে আসছে-শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই নয়, পৃথিবীর সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সংস্থা চায় বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় নির্দলীয় সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচন গ্রহণেযাগ্য হবে না।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে শুধু আন্দোলনেই সীমিত থাকছে না। মাঠের আন্দোলনের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক তৎপরতা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি পুনর্গঠন করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেক্ষেত্রে বিগত নির্বাচনি ইতিহাস, দলীয় সরকার এবং নির্দলীয় সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হবে। এ লক্ষ্যে বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির নেতারা কাজ করে যাচ্ছেন।

বিদেশীদের কাছে বিএনপির এই দৌড়ঝাঁপকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন না আওয়ামী লীগ নেতারা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি সব সময় বিদেশিদের কাছে ছুটে যায়। তাদের দৌড়-ঝাঁপ সব সময় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে, বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কাছে। অথচ এদেশের মালিক হচ্ছে এদেশের জনগণ। জনগণই হচ্ছেন ক্ষমতার মালিক। তারাই প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। এদেশে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রদূত বা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি কাউকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসানোর অধিকার রাখে না। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের নাক গলানো সমীচীন নয়। বিএনপির উচিত বিদেশিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ না করে জনগণের কাছে যাওয়া। এটা বিএনপির জন্য মঙ্গল হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচন করবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতসহ যত ক্ষমতাশালী দেশের হোক না কেন তারা বাংলাদেশের নির্বাচনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। পুরো পৃথিবী একটা গ্লোবাল ভিলেজ। বিএনপি তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারে। তবে আমরা চাই গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হোক। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

অবশ্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি একটা বড় রাজনৈতিক দল, তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনায় ছিল। স্বাভাবিকভাবেই দলটির সঙ্গে দেশি বিদেশি ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থার যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। ফলে বিদেশি যারাই দেশে নতুন আসেন, তারাই দেখা করতে আসেন।নর্মাল কার্টেসি কল। আমরা মিটিং করি। এটা সাধারণ
কূটনৈতিক রীতি।

 এমএইচ/এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে: প্রেসসচিব

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন শুল্কহার নিয়ে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জানানো হবে, মার্কিন প্রশাসনের কাছে কী বার্তা পাঠানো হবে, সেসব বিষয়েই বৈঠকে আলোচনা হবে।”

প্রেসসচিব আরও বলেন, “আমরা এমন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছি, যাতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি বর্তমানের তুলনায় আরও বাড়ে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, রপ্তানি কমবে না বরং বাড়বে। এই উদ্দেশ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আজকের বৈঠক থেকে খুবই ইতিবাচক কিছু সিদ্ধান্ত আসবে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অত্যন্ত ভালো বন্ধু। রপ্তানিবিষয়ক এই ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেই আমরা আশা করছি।”

বিশ্লেষকদের মতে, রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক কৌশল ও কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে এ বাজারে আরও প্রবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে ধান ক্ষেতে মিলল ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মরদেহ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান ক্ষেত থেকে ফজিলা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার আউলিয়াবাদ গ্রামের মাঝিপাড়ার ধান ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফজিলা বেগম ওই গ্রামের মৃত চান মাহমুদের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার ৪ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে মেয়েরা ফজিলা বেগমকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ পায়নি। এ সময় বৃদ্ধার বসত ঘরটির দরজা ও জানালা বন্ধ ছিল।

শনিবার সকাল ৮টার দিকে ঘরে না পেয়ে মেয়েরা ওই বৃদ্ধাকে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের বোরো ধানের জমির পাশে ফজিলা বেগমেরব মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। ফজিলা বেগমের মুখে কাঁদা মাখানো ছিল। তাদের চিৎকারে আশপপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

ফজিলা বেগমের স্বজনদের ধারণা, কোনো সংঘবদ্ধ চক্র ফজিলাকে হত্যা করে তার গলা, কান ও হাতে থাকা স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া জানান, ওই বৃদ্ধা নারীর মুখে কাঁদা মাখানো ছিল। তার একটি কান কাটা ও নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। ধারণা, তাকে হত্যা করে গুম করার উদ্দেশ্যে মরদেহটি লুকিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বগুড়ার সাতটি আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী, সাথী ও সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক প্রীতিসভায় এসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, দেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে সৎ, আদর্শবান ও ইসলামপন্থী প্রার্থীদের জয়ী করে জাতিকে সুশাসনের পথে ফিরিয়ে আনতে হবে।

ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন— বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান, বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদিঘি) আসনে নূর মোহাম্মদ আবু তাহের, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে আলহাজ দবিবুর রহমান, বগুড়া-৬ (সদর) আসনে আবিদুর রহমান সোহেল এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে গোলাম রব্বানী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি গোলাম রব্বানী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এবং আন্তর্জাতিক ছাত্র ও যুব ফেডারেশন (ইফসু)’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ। এছাড়া জামায়াতের বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা আব্দুর রহীম ও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ শেষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে ছাত্রশিবিরের দুই হাজারেরও বেশি সাবেক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। এরপর অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে দেশের খ্যাতনামা শিল্পীরা পরিবেশনা করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই আয়োজনের মাধ্যমে জামায়াত নির্বাচনী মাঠে নিজেদের পুনরায় সক্রিয় ও প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চাইছে। ছাত্রশিবিরের সাবেকদের অংশগ্রহণ দলটির সাংগঠনিক শক্তি ও মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতির একটি ইঙ্গিত বলেও মনে করছেন অনেকে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে: প্রেসসচিব
টাঙ্গাইলে ধান ক্ষেতে মিলল ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মরদেহ
বগুড়ার সাতটি আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
রংপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণহানি, আহত অন্তত ২০
গত ২৫ বছর ‘জয় বাংলা’ বলিনি, এখন থেকে বলব: কাদের সিদ্দিকী
বিরামপুরে ভয়াবহ আগুনে সনাতন পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই
রাতেই ঢাকাসহ ৭ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে
মোদির প্রতিক্রিয়া শেখ হাসিনার ফেরত নিয়ে নেতিবাচক ছিল না: প্রেস সচিব
নওগাঁ হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ও সমন্বয়ের বিষয়ে অসোন্তোষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে চাকরি, পদ ২৫৫
‘বিদেশি কিছু গণমাধ্যম অর্থ উপার্জনের উদ্দেশে বাংলাদেশকে নিয়ে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার করছে’
সারা দেশে ৩২৯ উপজেলায় হচ্ছে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ: মহাপরিচালক
২৭৭ জনকে নিয়োগ দেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এইচএসসি পাসেও আবেদন
ভূমিকম্পে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৫৪
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবালো নিউজিল্যান্ড
স্বর্ণভর্তি ব্যাগ ফেরত দিয়ে সততার দৃষ্টান্ত গড়লেন অটোরিকশাচালক খায়রুল
ঈদের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছেন ১ কোটি ৭ লাখ সিম ব্যবহারকারী
যারা ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দিয়েছে, তারা রাজনীতি করার অধিকার রাখে না
লৌহজংয়ে কার্টনে পাওয়া মরদেহের টুকরোগুলো সাভারের সবুজ মোল্যার