শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নকশা না পেয়ে ঝুলে গেছে ডিএনসিসির সিভিক সেন্টারের কাজ

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে গুলশান-২ এ একটি আধুনিক সিভিক সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। যেখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। উন্নত বিশ্বে যেভাবে একটি সিভিক সেন্টার থেকে অনেকগুলো সুবিধা পাওয়া যায় তার আদলেই নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল এ বহুতল সিভিক সেন্টার। এটি নির্মাণে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

কিন্তু ডিএনসিসির সেই উদ্যোগ এখন ভেস্তে যেতে বসেছে। আড়াই বছরেও একটি পূর্ণাঙ্গ নকশা দিতে পারেনি স্থপতি ইনস্টিটিউট। উল্টো তারা দায়ী করছে সিটি করপোরেশনকে। বলছে, আমরা তো চিঠি দিয়েছি। আর মেয়র বলছেন, তারা চিঠি দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু অনেক দেরি করে ফেলছেন।

উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে একটি অত্যাধুনিক সিভিক সেন্টার করার উদ্যোগ নিয়েছিল সিটি করপোরেশন। এজন্য সব ধাপ অতিক্রম করে একটি মানসম্মত নকশার মাধ্যমে এ সিভিক সেন্টার নির্মাণ করার লক্ষ্য ছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের। সে লক্ষ্যে ও মেয়রের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

এ সমঝোতা স্মারকের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের খ্যাতিমান ডিজাইনারদের দিয়ে একটি উন্নতমানের ডিজাইন বের করে আনা। তারপর সেই ডিজাইনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মূল কাজের চুক্তি করবে ডিএনসিসি। স্থপতি ইনস্টিটিউট এই কাজ করলেও এর সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করবে ডিএনসিসি।

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ডিএনসিসির চুক্তি হয় ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর। চুক্তি অনুযায়ী ডিজাইন প্রতিযোগিতাও ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর। সেদিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে প্রতিযোগীদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। কথা ছিল চূড়ান্তভাবে বিজয়ীদের নাম ও তথ্য লিখিতভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে দেবে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট।

কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান অধিকারীদের নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য আর দেয়নি স্থপতি ইনস্টিটিউট। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একাধিকবার জরুরি চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি স্থপতি ইনস্টিটিউটের। ফলে নগরবাসীর কাছে মেয়রের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার কাজ আর আগাতে পারেনি ডিএনসিসি। আটকে আছে ডিএনসিসির সিভিক সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প।

সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু নগরবাসীর কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি নয়, আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। কেননা এ সিভিক সেন্টার নির্মাণ হলে সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আসত ডিএনসিসির।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-এর কাছে ডিজাইন প্রযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মেধাক্রমের চূড়ান্ত তালিকা ডিএনসিসিকে দিতে দেরি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি তো জুন মাসে চিঠি দিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে মেয়রে সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমি চিঠি দিয়েছি বলেছি, দ্বিতীয় বা তৃতীয় যারা হয়েছেন তাদের মধ্যে কারো সঙ্গে চুক্তি করতে পারে সিটি করপোরেশন অথবা পুরাটা বাতিল করে নতুন করে কম্পিটিশনের আয়োজন করতে পারে। আবার আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিষ্ঠান দিয়েও করতে পারে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে সিটি করপোরেশনকে।’

তিনি বলেন, যিনি প্রথম হয়েছিল সে আইন অমান্য করে অনেকগুলো কাজ করেছে। যার জন্য তাকে প্রায় ৫ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। সে কোনো জায়গায় আর ডিজাইন করতে পারবে না।’

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি বলেন, শুধু আমাদের দোষ দিলে তো হবে না। আমরা যদি দিতেও পারতাম সিটি করপোরেশন যদি সেখানে সিভিক সেন্টার করতে চায় তাহলে সেখানে যেসব দোকান আছে সেগুলোকে অপসারণ করতে হবে।এ বিষয়ে কি দোকান মালিকদের জানানো হয়েছে? চাইলেই কি একদিনে দোকান ভেঙে গুড়িয়ে দিতে পারবে? আমাদের দেরির কারণে সব কাজ আটকে থাকবে কথাটা ঠিক না।

এবিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চিঠি তো দিয়েছে। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। এখন চিঠি দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা যদি নতুন করে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে যাই তাহলে আরও কত সময় দরকার?

চুক্তি হয়েছিল যেভাবে
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন গুলশান-২ মার্কেট উন্নয়ন কাজের ডিজাইন প্রতিযোগিতার আয়োজন করার নিমিত্তে ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত এমওইউ সইয়ের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রিকোয়েস্ট অব এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (আরইওআই) আহ্বান করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর মেয়র উপস্থিতিতে ডিজাইন প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করেন স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি। পিপিআর ২০০৮ এর সংশ্লিষ্ট বিধি মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে উক্ত ডিজাইন প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তথ্য, লিস্ট অব পার্টিসিপেন্টস, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় উইনার, স্পেশাল প্রাইজ উইনার ইত্যাদি সিটি করপোরেশনকে দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি সময়মতো পায়নি সিটি করপোরেশন।

এজন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে স্থপতি ইনস্টিটিউটকে চিঠি দিয়ে বলা হয়- ডিজাইন প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়েছে। বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট কর্তৃক ডিজাইন প্রতিযোগিতা সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি ডিএনসিসিতে অদ্যাবধি প্রেরণ না করার এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে জনগণের কাছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে একইসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে বিদ্যমান মার্কেট ভবনের কিছু স্থাপনা বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যা ভবিষ্যতে জনসাধারণের ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

এনএইচবি/এসএন

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত