শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ লাবু-জলিলরা গরু নিয়ে আর ঢাকা আসবে না

একটু লাভের আশায় যশোরের বেনাপোল থেকে গরু নিয়ে ঢাকায় এসেছেন লাবু মিয়া। গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে জেনেছেন গরু ঢাকায় নিয়ে গেলে বেশি দাম পাওয়া যায়। তাই সাহস করে ছোট একটা ট্রাক ভাড়া করে একটা গরু নিয়ে ঢাকায় আসেন। কিন্তু বেনাপোল থেকে দৌলতদিয়া-আরিচা ঘাট হয়ে গাবতলী হাটে পৌঁছাতে তাকে গুণতে হয়েছে অনেকগুলো টাকা।

সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে পথে । শুধু তাই নয়, চাঁদা না দিলে পথেই গরু নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এমন চাঁদাবাজির কবলে পড়ে ত্যক্ত বিরক্ত লাবু বলছেন, আর কখনো তিনি গরু নিয়ে ঢাকায় আসবেন না।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে গরু আসছে ঢাকার পথে। লাবুর মতো আরও অনেকেই গরু ঢাকার বাজারে নিয়ে আসতে পথে চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন। পুলিশও এই চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করছে।

অথচ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী গত সপ্তাহেই কোরবানির পশু নিয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বলেছিলেন, বাজারে গরু আনতে গিয়ে যেন কেউ চাঁদাবাজির শিকার না হন। এ ব্যাপারে পুলিশকে সতর্ক থাকার কথাও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু কে শোনে কার কথা।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীতে মোট ১৮টি পশুর হাট বসছে। ইতিমধ্যে এসব হাটের প্রায় সব কয়টির প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। হাটের কিছু কিছু কাজ বাকি থাকলেও দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছেন ইজারাদার কর্তৃপক্ষ।

রাজধানীর এসব হাটকে ঘিরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসতে শুরু করেছে। কিন্তু সেই গরু নিয়ে হাটে এসে বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়ছেন বেপারিরা। একে তো পথে পথে দিতে হচ্ছে অনেক চাঁদা। তার উপর আবার হাটের যে স্থানে পশু রাখা হবে সেসব স্থানে গরু রাখার জন্য ভালো জায়গা পেতে একটি গরুতে ১২ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে।

অতিরিক্ত এসব টাকা রীতিমত অত্যাচার বলে জানাচ্ছেন গরুর বেপারিরা। তবে, হাট কর্তৃপক্ষ বলছে বিক্রেতারা একটু বাড়িয়ে বলছে।

গরুর বেপারি ও বিক্রেতারা বলছেন, আমিন বাজারে গরুর ট্রাক এলেই ১০ থেকে ১৫ জন যুবক ট্রাকে হামলা করে। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছোট ছোট লাঠি। বেশ কয়েকজনের গায়ে ইজারাদার গাবতলী লেখা এবং হলুদ পোশাক পরিহিত। তারা ট্রাক আটকে ঈদের খরচ দাবি করেন। তবে তাদের ভাষ্য এটা চাঁদা না, ঈদের বোনাস! ট্রাকচালককে ওই যুবকেরা হুমকি দিয়ে বলেন, টাকা দেওয়া ছাড়া ট্রাক চালাতে পারবি না।

এদিকে সাভার মডেল থানা পুলিশ বলছে, হাটের লোক, গরু বিক্রেতা এবং ব্যবসায়ীরা আমাদের বলেছে আমিন বাজারে গরু নিয়ে ঢাকায় প্রবেশের পথে বেশ কিছু যুবক চাঁদা বা কিছু সমস্যা তৈরি করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তাদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছি।

সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মঈনুল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা গরু ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের নিকট থেকে চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু হয়রানীর অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলো আমরা তদন্ত করছি এবং এসব আমলে নিয়েই কাজ করছি।

তিনি বলেন, আমাদের থানা এলাকায় পশুর হাটে বা গরুর ট্রাক নিয়ে কেউ কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে সাভার থানা পুলিশকে জানালেই এর সমাধান হবে।

অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি গরু নিয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে গাবতলী হাটে এসেছেন আবু জলিল মিয়া। রবিবার তিনি ঢাকায় আসেন। শাহেনশা নামের ওই গরু নিয়ে তিনি ঢাকার গাবতলী হাটে প্রবেশ করেন।

তিনি বলেন, গরু আর কখনো ঢাকার হাটে আনব না। কারণ, যা লাভ হয় তা রাস্তায় (চাঁদা) খরচ হয়ে যায়। তা ছাড়া এত বড় গরু আনতেও ভয় লাগে।

গাবতলী হাটে কথা হয় আরেক গরুর মালিক মমিনুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার গরুটি একটি স্থানে রাখার জন্য এই জায়গার ২০-২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। অর্ধেক টাকা জমা দেওয়া আছে। এবার হাটের লোক অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। ডাকাতি চলছে। গরু বিক্রি করতে না পারলেও এই টাকা আমার পকেট থেকে যাবে।

গাবতলী হাটে গরুর গোসল করানোর কষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ময়মনসিংহের গরুর বেপারি আবুল তাহের। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় এক সঙ্গে গরু গোসলের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এখানে নেই। এবার ঢাকায় গরু নিয়ে আসার পথে মহাসড়কে ব্যাপক চাঁদাবাজি হচ্ছে যা দেখার কেউ নেই।

পাবনা থেকে গরু নিয়ে আসা মো. সেলিম মিয়া বলেন, সাড়ে ৩ বছর গরুটি লালনপালন করেছি। গতকাল রাতে এসেছি গাবতলী হাটে। এখানে আসতে রাস্তায় ১০-১৫ জায়গায় চাঁদা দিতে হয়েছে। এজন্য বেশি দামে গরু বিক্রি করতে হবে।

ঝিনাইদহ থেকে গরু নিয়ে আসা আবুল হোসেন বলেন, পশু নিয়ে বের হলেই হাটে ঘাটে ব্যাপক চাঁদা দিতে হয়। এই চাঁদা কবে বন্ধ হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাবতলী হাট পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক (সদস্য) ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমরা গরু রাখার জন্য সামান্য টাকা রাখছি। একটা গরুর পেছনে অনেক খরচ আছে। তারা সেটা বলছে ওটা মিথ্যা কথা। অতিরিক্ত টাকা কারো কাছ থেকে নিচ্ছি না। সবাইকে আমরা সমান ভাবে দেখছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজ আল আসাদ বলেন, যে সব এলাকায় গরুর হাট রয়েছে সেসব জায়গায় আমাদের মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে যাতে গরু ব্যবসায়ী বা বিক্রেতদের কোনো সমস্যা না হয়। তা ছাড়া কোরবানির পশু নিয়ে কেউ ঝামেলায় পড়লে আমাদের পুলিশের সদস্যরা তাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছেন। তবে, চাঁদাবাজির বিষয়টি এখনো আমাদের নজরে আসেনি। এসব বিষয়ে অভিযোগ পেলে অবশ্যই আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মহাসড়কে কেউ চাঁদাবাজি করলে সে যেই হোক তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

তিনি বলেন, বিশেষ করে যারা গ্রাম থেকে গরু নিয়ে আসবে তাদেরকে কোনো চক্র বিরক্ত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনতগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মহাসড়কে র‌্যাবের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত টহল বাড়ানো হয়েছে।

কেএম/এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত