শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিক্ষার্থীদের অবক্ষয়, কে দায়ী!

ছবি: সংগৃহীত

সাভারে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তারই ছাত্র জিতু। নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সামনে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত ও অপদস্ত করেছে শিক্ষার্থীরা। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আরও অনেক জায়গায় মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকরা লাঞ্ছনা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

চলমান এসব ঘটনা শিক্ষক সমাজের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, কোনো একটি ঘটনার পর একজন বা দুইজন শিক্ষার্থীকে শাস্তি দিলেই এর সমাধান হবে না। খুঁজে বের করতে হবে শিক্ষার্থীরা মানুষ হতে এসে কেনো অমানুষ হচ্ছে?

এরজন্য শুধু শিক্ষার্থীদের দায়ী করতে চান না শিক্ষকরা। তারা মনে করেন এর পেছনে অনেকগুলো অনুসঙ্গ কাজ করে। শিক্ষার পরিবেশ, ক্ষমতার প্রভাব, খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকা। তাছাড়া তথ্য প্রযুক্তি আমাদের জন্য আর্শিবাদ হলেও পশ্চিমা সংস্কৃতি দেখে তরুণ শিক্ষার্থীরা অকেটাই বিপথে চলে যাচ্ছেন বলে মনে করেন দেশের বরণ্যে শিক্ষকরা।

এই অবস্থা থেকে এখনই তরুণ সমাজকে ফেরাতে না পারলে আমাদের জাতি মেধাশূন্য জাতিতে পরিণত হবে এমন আশঙ্কা শিক্ষকদের। তারা বলছেন, আগামীতে যারা দেশের নেতৃত্ব দেবেন বিভিন্ন জায়গায়, তারাই যদি নৈতিক অবক্ষয়ে তলিয়ে যান তাহলে তো দেশের সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে।

একটি দেশের মেধাবী তরুণ সমাজই সেই দেশের স্তম্ভ ধরা হয়। সেই স্তম্ভ যদি ভেঙে পড়ে তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কোথায় দাঁড়াবে। গত দুই বছরে করোনার কারণে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ব্যাহত হওয়ার প্রভাবও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার পতন ঘটিয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।

গত কয়েক দিনের ঘটনা সারাদেশের শিক্ষক সমাজ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নাড়া দিয়েছে। এর প্রভাবে শিক্ষাঙ্গনে একধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। অতি সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে শিক্ষার্থীদের হাতে লাঞ্ছিত শিক্ষকরা সামাজিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

গত ২৫ জুন দুপুরে আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্কুলমাঠে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ওই প্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জিতু। দুদিন পর সেই শিক্ষক মারা যান।

তার আগে নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী দ্বারা লাঞ্ছিত হন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক স্বপন কুমার বিশ্বাস।

সম্প্রতি ফেসবুকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নূপুর শর্মার সমর্থনে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষার্থীর পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুন বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এরপর গুজব ছড়িয়ে পড়ে পোস্ট দেওয়া ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। এ ঘটনার পর পুলিশ পাহারায় তাকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তাকে দাঁড় করিয়ে পুলিশের সামনেই গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করা হয়। পরে তাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের ক্লাস চলাকালীন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে একই বিভাগের মাস্টার্সের আসিক উল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. বেগম আসমা সিদ্দিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক।

গত শুক্রবার (১জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় নিজের বাসার গেটে অপদস্থ করা হয় অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীকে।

শুধু এ কয়েকটি নয়, আরও অনেক ঘটনা ঘটছে যেগুলো হয়ত মান সম্মানের ভয়ে গণমাধ্যমে সেভাবে তুলে ধরছেন না শিক্ষকরা। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

শিক্ষকদের লাঞ্ছনা ও শিক্ষার্থীদের নৈতিক অবক্ষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, একটা ঘটনা আর একটা ঘটনার জন্ম দেয় সেটা যেমন ঠিক। পাশাপাশি শিক্ষকদের সামাজিক অবস্থান খুব দুর্বল। তাছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য। অনেক প্রতিষ্ঠানের সভাপতির আত্মীয়রা যখন ওই প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে থাকে তখন তাদের মধ্যে একটা ‘পাওয়ার’ চর্চার প্রবণতা দেখা যায়।

তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা হাতে পায়ে চোখে হয়ত মানুষের আকার ধারণ করেছে কিন্তু অন্তরে তারা মানুষের আকার নিতে পারেনি। এরজন্য শিক্ষার্থীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। সমাজের বিভিন্ন স্তরে মানুষরূপী অমানুষের দেখা পাওয়া যায়। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য মানবাত্মার উৎকর্ষের উপর গুরুত্বারোপ প্রয়োজন।

এরজন্য কি শুধু ছাত্র-ছাত্রী দায়ী এমন প্রশ্নের জবাবে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, না, শিক্ষক-অভিভাবকরাও দায়ী। আমরা অভিবাবকরা চাই ছেলে-মেয়ে যেন জিপিএ-৫ পায়। আর শিক্ষকরাও চান তার প্রতিষ্ঠানে বেশি সংখ্যক জিপিএ-৫ আসুক। এই প্রতিযোগিতায় নেমে মানবিক গুণসম্পন্ন শিক্ষার্থী হারিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনে যারা আছেন তারাও জিপিএ-৫ শিক্ষার্থী খোঁজেন। এখানে শুধু শিক্ষার্থীদের শাস্তি দিলেই সমাধান হবে না। এর পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। মানবাত্মার বিকাশ ঘটাতে হবে।

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ইউনির্ভাসিটির উপাচার্য ও সমাজ বিজ্ঞানি ড.অনুপম সেন ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, করোনার কারণে দুই বছর শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে যে একটা সম্পর্ক সেটাকে নষ্ট করেছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা ঘরবন্দি থেকে মানসিক ভাবে যন্ত্রণায় ভুগছে। আর শহরগুলোতে খেলাধুলার মাঠ কমে যাওয়াও বড় কারণ। শিক্ষার্থীরা ক্লাসের পর দিনের বড় একটা সময় মোবাইল ফোনে ডুবে থাকে, এতে নৈতিক শিক্ষা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া দেশে সাংস্কৃতিক চর্চা কমে যাচ্ছে। এই অবস্থাগুলোর যত অবক্ষয় হবে ততই শিক্ষিত সমাজ বিপথে যাবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত