শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিএনপির কাঁধে সওয়ার হতে চায় জামায়াত

বিএনপির দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত রাজনৈতিক মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী নির্বাচনেও সওয়ার হতে চায় বিএনপির কাঁধেই। চার দলীয় জোটের শরিক হিসেবে দলটি এখনও বিএনপির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে। তাদের এ মাখামাখি সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান গুঞ্জন থাকলেও জামায়াত নেতারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আগের মতোই আছে। কেউ কেউ এ সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চাইলেও কোনো লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধন না থাকায় আগামী নির্বাচনে তারা সরাসরি অংশ নিতে পারবে না। তাই বিএনপিই হচ্ছে তাদের একমাত্র ভরসা।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে চারদলীয় জোটের (পরে ২০ দলীয় জোট) অন্যতম প্রধান শরিক জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব বেড়েছে বিএনপির। কিন্তু জামায়াত এই দূরত্বের কথা বরাবরই অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে বিএনপির সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক কোনো দূরত্ব নেই। কৌশলগত কারণে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলই নিজেদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

জামায়াতের দাবি, জোট ও রাজনৈতিক বিষয়ে এখনো তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। অনেকেই বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কের মধ্যে চিড় ধরাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ নেই। জামায়াতে ইসলামীর বেশকয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশ্য তেমন কোনো তৎপরতা নেই। তবে ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী ফ্যাক্টর। সংগঠনটির সাংগঠনিক শক্তি যেমন আছে তেমনি আর্থিকভাবেও সংগঠনের অবস্থান জোরালো। মাঠ পর্যায়েও দলের সাংগঠনিক অবস্থান বেশ শক্ত এবং জনসমর্থনও আছে বলে দাবি জামায়াত নেতাদের। তবে তারা বলছেন, রাজনৈতিক মহলের সমালোচনা এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন মহলের চাপ রয়েছে জামায়াতের উপর। যাতে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কটা না থাকে। তারপরও তারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত কেউ কাউকে ছাড়বে না, ছাড়ার কথাও ভাবে না।

এদিকে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ২৪ মে থেকে সমমনা ছোটবড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে বিএনপি। সেই সংলাপে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপ করলেও জামায়াতের বিষয়ে বিএনপি নিরব রয়েছে।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, জামায়াতের সঙ্গে সংলাপ করছেন কি না? জবাবে তিনি বলেছিলেন, কেন নয়? বৃহত্তর ঐক্য গড়তে সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ধারাবাহিকতায় আমরা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও আলোচনা করব, দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

জামায়াতও চায় একটা সুযোগ। কারণ নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দলের রাজনৈতিক মোড় ঘোরানোর একটা সুযোগ হিসেবে দেখছেন দলটির নেতারা। সেজন্য তারা বার বার বলছে, বিএনপির সঙ্গে তাদের সখ্যতা আগের মতোই আছে।

এদিকে বর্তমানে জামায়াতের কার্যক্রম চলছে গোপনে ও প্রকাশ্য দুইভাবেই। এতে করে জামায়াত আরও শক্তিশালী হচ্ছে।

যদিও ঢাকায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও মহানগর কার্যালয় দুটিই গত এক দশক ধরে বন্ধ রয়েছে। ২০১১ সালের পর থেকে দলের কোনো নেতা অফিসমুখী হননি। তবে রাজধানীতে দলীয় পোস্টার লাগানো ছাড়াও দলটির অধিকাংশ সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও অনলাইনে।

জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা গেছে, দলটির পক্ষ থেকে একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। এ বিশেষ সেল তিন ধরনের কাজ করবে- প্রথমত, আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী দলের নেতা-কর্মী ও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখা, দ্বিতীয়ত, নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা কারাগারে রয়েছে তাদের জামিনসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তৃতীয়টি, আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে সরকারের রোষানলে পড়ে পালিয়ে বেড়ানো দলের নেতা-কর্মীদের পরিবারকে যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় সেই বিষয়ে খোঁজখবর রাখা।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। মিটিং, মিছিল, সমাবেশ করা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রতিহিংসায় জামায়াতের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আদায়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে আন্দোলন করতে হবে। তিনি বলেন, সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপে জামায়াত ইস্যুতে বিএনপিকে নতুন করে অস্বস্তিতে থাকার কোনো কারণ নেই। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। কাউকে না কাউকে তো কিছু ছাড় দিতেই হবে। কারণ আজকে যারা আওয়ামী লীগ সরকারে বিরুদ্ধে ঐক্যে পৌঁছাতে যাচ্ছেন তাদের অনেকের জীবনের বেশি সময় কেটেছে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলে। তারাই যখন জামায়াত নিয়ে কথা বলে তখন বিষয়টা ভুতের মুখে রাম নাম ছাড়া অন্য কিছু নয়।

তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে রাজনীতিতে নানামুখী অস্থিরতা সৃষ্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সেটা আংশিক সত্য হলেও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বিবেচনায় রেখে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে শরিক হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা দরকার।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজপথ এখন অনেকটাই ঠান্ডা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি নেই। ইস্যুভিত্তিক বেশকিছু কর্মসূচি বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হলেও জোটগতভাবে কবে শেষ কর্মসূচি পালন করেছে সেটি মনে করা কঠিন। জামায়াতে ইসলামী অতীতে এদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছিল, এখনো আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে।

তিনি বলেন, স্বাভাবিক দৃষ্টিতে ভাবলে মনে হবে- বর্তমান সরকারকে মেনে নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট। কিন্তু বাস্তবে কি তাই? সেক্ষেত্রে যদি সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তাহলে রাজনীতিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের নির্দলীয় সরকারের দাবিতে শেষ পর্যন্ত অনড় থাকবে বলেও আমি মনে করি।

অবশ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর একজন দায়িত্বশীল নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দল গোছাতে বিএনপি দীর্ঘ সময় নিলেও জামায়াতে ইসলামী খুব একটা সময় নিচ্ছে না। দলটির অধিকাংশ সাংগঠনিক কার্যক্রম গোছানো। রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে যেসব সাংগঠনিক শাখা কমিটি করতে পারেনি সেগুলোর কমিটি দ্রুতই গঠনের কাজ শেষ হবে।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। তাদের ভাষ্য, জামায়াত কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। আইনি জটিলতায় তাদের নিবন্ধন আটকে আছে। বিএনপির এক নেতা বলেন, ক্ষমতাসীনরা যদি এতো কিছু করতে পারে তাহলে জামায়াত কে নিষিদ্ধ করছে না কেন?

এনএইচবি/এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত