ড. রেজা কিবরিয়ার মুখোমুখি: শেষ পর্ব
আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাব না
রাজনীতির মাঠে নতুন দল গণঅধিকার আন্দোলন আত্মপ্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে দলের কাঠামো ও পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন দলের নীতি নির্ধারকগণ। কোন আদর্শকে ধারণ করে আগাতে চায় দলটি? আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাদের অবস্থান কী হবে এসব বিষয় নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার মুখোমুখি হয়েছে ঢাকাপ্রকাশ । আজ প্রকাশিত হলো সাক্ষাৎতকারের শেষ পর্ব।
ঢাকাপ্রকাশ: বিদ্যমান অবস্থায় যদি নির্বাচন হয়, তাহলে আপনারা কি করবেন?
ড. রেজা কিবরিয়া: আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাব না। আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে প্রমাণ করেছে তারা ভোট চোর। কোনো সুষ্ঠ নির্বাচন তাদের অধীনে হতে পারে না। তারা জনগণকে ভয় পায়। এই ধরণের সরকার বা এই ধরণের দল যারা জনগণকে ভয় পায় তাদের অধিনে কোনো সুষ্ঠ নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন কমিশন কে হবে সেটা অনেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। কিন্তু একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে, নির্বাচন কমিশন খুব বেশি কিছু করতে পারে না।
আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা সেটাতে যাবো না। নতুন প্রক্রিয়াও আছে, একটা জাতীয় সরকার করা যেতে পারে। আর একটা হচ্ছে জাতিসংঘের অধিনে নির্বাচন চাওয়া। সব চেয়ে নিরাপদ হচ্ছে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। তত্ত্ববাধায়ক সরকারের অধীনে আগে একটা সুষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে, তাদের অধীনে আগামীতেও হবে। আওয়ামী লীগ এই ধরণের নির্বাচন ভয় পায়। আমরা সেটা বুঝি তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন। আমার মনে হয় তারা ১০ থেকে ১৫ শতাংশের ভোট পাবে।
ঢাকাপ্রকাশ: গণ অধিকার পরিষদ কি কোন দলের বা জোটের ক্ষমতার সিঁড়ি হতে চায়?
ড. রেজা কিবরিয়া: আওয়ামী লীগ নিজেদের অনেক শক্তিশালী মনে করে। তাদের পুলিশ আছে, তাদের ছাত্রলীগ এবং গুণ্ডা বাহিনী আছে। সামরিক বাহিনী চুপচাপ আছে। তারা মনে করে তারা এটা করতে পারবে। আমার বিশ্বাস হল বাংলাদেশের জনগণের ওপর। এই দেশে স্বৈরাচার শাসকও জনগণের আন্দোলনে হার মেনেছে। তাদেরও হার মানতে হবে। আর ক্ষমতায় সিঁড়ি হব কি-না? সে বিষয়ে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। নির্বাচন কাছাকাছি যখন আসবে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কার সঙ্গে নির্বাচন করব। দুই বছরের দূরের কথা ঠিক বলা মুশকিল। পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন হয়ে যেতে পারে। এক সপ্তাহে সব কিছু পাল্টে যেতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে।
ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. রেজা কিবরিয়া: আপনাকেও ধন্যবাদ।