শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আয়-ব্যয় ভারসাম্যহীন, বাড়ছে দুশ্চিন্তা

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণ করে দেখো গেছে একটি পরিবারের প্রতি মাসে যেসব পণ্য কেনার প্রয়োজন হয় তার প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই গত তিন মাসে বেড়েছে। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষদের পড়তে হচ্ছে সংকটে। বাড়তি খরচ মেটাতে অনেকেই লাগাম টানতে হচ্ছে বাজার খরচে। কিন্তু তাতে কি পরিত্রাণ মিলবে?

হাশেম সাহেব মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মাসিক আয় ৪৫ হাজার টাকা। এক ছেলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকেন মিরপুরের ভাড়া বাসায়। তার কাছে মাসিক বাজার খরচের হিসাব জানতে চাইলে একটি হিসেবের তালিকা ধরিয়ে দেন। এতে দেখা যায় স্বাভাবিকভাবে এতদিন ধরে প্রতি মাসে তিনি যেসব পণ্য কিনতেন, বর্তমান বাজার দর অনুসারে এর পরিমান ২৩ হাজার ৩২৩ টাকা। অথচ ছয় মাস আগে এই খরচ ছিল ১৫ হাজারের মধ্যে।



এ খরচের সঙ্গে আছে বাড়িভাড়া ১৮ হাজার টাকা, ইন্টারনেট বিল, পত্রিকার বিল, ডিস বিল, বুয়ার বেতন। এ ছাড়া ছেলের পড়াশুনা ও অন্যান্য খরচ প্রায় ১০ হাজার টাকা। আছে ডাক্তার, পোশাক পরিচ্ছেদের খরচ ও অফিসের যাতায়াত খরচ তো আছেই। হাশেম সাহেব আক্ষেপ করে বলেন, খরচ যে হারে বেড়েছে আয় তো বাড়েনি। আগে তো কোনো রকম চলে যেত। এখন কোন খরচ কমাব ভেবে পাচ্ছি না।

আবুল বাশার একটি কলেজের সিনিয়র শিক্ষক। তার মাসে আয় ৩০ হাজার টাকা। তিনি জানান, যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে তাতে চলা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। করোনার সময় কলেজ বন্ধ ছিল। তখন ঠিকমতো বেতন হতো না। এখন করোনা নেই, কিন্তু দ্রব্যমূল্যের বাজার যে অবস্থায় পৌঁছেছে তাতে তো জীবনযাপন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। খরচের লাগাম তো আর টানা যায় না।

 

তিন মাসে বাজার দরের পার্থক্য

 

 

পণ্যের নাম

আগের দর

বর্তমান দর

চাল (কেজি)

৫৬

৭০

ডাল (কেজি)

১১০

১৩০

তেল (লিটার)

১৪০

১৯৮

মুরগি (কেজি)

২৫০

৩১০

গরু (কেজি)

৫৫০

৭০০

মরিচ গুড়া (কেজি)

২৩৫

৪৭০

হলুদ গুড়া (কেজি)

৩৭০

৪০০

আদা (কেজি)

৮০

১১০

রসুন (কেজি)

১৪০

১৮০

১০

পেঁয়াজ (কেজি)

২৫

৪০

১১

আটা (২ কেজি)

৬৫

১১৫

১২

ডিম (ডজন)

৯০

১৩০

১৩

গুড়া দুধ (৫০০ গ্রাম)

২৫০

৩৫০

১৪

গায়ের সাবান

৫০

৬৫

১৫

কাপর কাচার সাবান

২০

২৭

১৬

গুড়া সাবান

১২০

১৫০

১৭

টুথপেস্ট

১১০

১৩০

১৮

টয়লেট পেপার

২৫

৩০

১৯

হারপিক

১২৫

১৩৫

২০

মাজনি

২০

২৫

২১

ভিমবার

৬৪

৭০

২২

ঘড়ির ব্যাটারি

১৫

১৮

 

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার পর থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা বলছে। সরকারের পক্ষ থেকে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রিসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু কার্যত যা হচ্ছে তা হলো খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণেরও চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু একটি পরিবারে প্রতিদিন আরও কিছু ব্যবহার্য্য পণ্য আছে যেগুলোর প্রতিটিরই দাম বেড়েছে গত ছয় মাসে। ফলে শুধু খাদ্যপণ্যই নয় বেড়েছে একটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যাত্রার সামগ্রিক খরচ।

রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার এক দোকানি লিয়াকত হোসেনের দোকানে গেলে দেখা যায় অনেক ক্রেতার ভিড়। ক্রেতারা বিভিন্ন পণ্য কিনছে আর হাপিত্যেশ করছে। এত দাম বাড়ল। কীভাবে চলবে। এসব। লিয়াকত জানান, কিছু দিন আগেও ১০০ টাকা ডজন ডিম বিক্রি করেছি। এখন ১২০ টাকা। প্যকেট আটা ব্র্যান্ড ভেদে দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। ঈদের আগে ছিল ৯০ টাকা। এখন ১১০ টাকা। আগামী সপ্তাহে হবে ১১৫ টাকা। লিয়াকত বলেন, সবাই শুধু কাঁচা বাজারের কথা বলে। কাাঁচা বাজার ছাড়াও তো অনেক জিনিস লাগে প্রতিদিন। এগুলোর প্রত্যেকটার দামই বেড়েছে। আমাদের তো কিছু করার নেই। কিন্তু মানুষের অবস্থা কি তা তো বুঝতে পারছি। আমাদেরও তো কিনে খেতে হয়। আমরা কীভাবে চলব।

 

    একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের এক মাসের আনুমানিক বাজার খরচ

 

পণ্যের নাম

পরিমান

দর

চাল (মিনকেট৫০ কেজি)

৩১৫০

৩৪০০

ডাল (২ কেজি)

২০০

২৬০

তেল(৫ লিটার)

৭০০

৯৯০

মাছ

৪০০০

৬০০০

মুরগি

২৪০০

৩০০০

গরু

১৬৫০

২১০০

মরিচ গুড়া (আধা কেজি)

১১৭

২৩৫

হলুদ গুড়া(কেজি)

১১৭

২৩৫

আদা (কেজি)

           ১০০

১৪০

১০

রসুন(কেজি)

১৪০

১৮০

১১

পেঁয়াজ

১২৫

২০০

১২

আটা

১৯৫

৩৩০

১৩

লবন

৩৫

৩৫

১৪

ডিম (ডজন)

৮১০

১০৮৩

১৫

মুড়ি

৭০

৭০

১৬

চানাচুর

৬৫

১২০

১৭

চা

২০০

২০০

১৮

গুড়া দুধ

৫০০

৭০০

১৯

গায়ের সাবান

১৩৫

১৯৫

২০

কাপর কাচার সাবান

১২০

১৬২

২১

গুড়া সাবান

২০০

৩০০

২২

টুথপেষ্ট

১১০

১৫০

২৩

টয়লেট পেপার

২৪০

৩৬০

২৪

হারপিক

১২৫

১৩৫

২৫

মাজনি

৬০

৭৫

২৬

ভিমবার বড়

৩২০

৩৫০

২৭

ঘড়ির ব্যাটারি

৪৫

৫৪

      মোট                                       ১৬, ৪২৯

২০, ৯৫৯

 

লিয়াকত আরও জানান, গত তিন মাসে ডাল বেড়েছে ৩০ টাকা, গুড়া মরিচ কেজিতে ৪০ টাকা, গুড়া হলুদে ৩০ টাকা, জিরায় ৩০ টাকা। আর তেলে তো জানেনই। তেল নিয়ে কতকিছু হয়ে গেল। এগুলো ছাড়া কি একটি পরিবারে রান্না চলে? সকালের ঘুম থেকে জেগে যে টুথপেস্ট ব্যবহার করেন সেটার দামও তো বেড়েছে ৩০ টাকা। টয়লেট পেপার, গায়ে মাখার সাবানে ১৫ টাকা, কাপড় কাচার সাবানে ৭ টাকা, কাপড় কাচার ডিটারজেন্ট পাওডারে ৩০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া কিচেন ‌ন্যাপকিনে ২৫ টাকা, মাজনি ৫ টাকা, ভিমবার ৭ টাকা বেড়েছে।

হারপিক টয়লেট ক্লিনার এর দামেও ১০ টাকা বেড়েছে। টয়লেট পেপার ছাড়া তো এখন চলে না। সেটার দাও বেড়েছে ৫ টাকা। ফুল ঝাড়ু যেটা প্রতিটি ঘরেই থাকে তার দামও বেড়েছে ২০ টাকা।

জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির ধারা থেকে বাদ যায়নি ইউটিলিটি বিলের বাড়তি খরচ। এলপিজি গ্যসের দাম করোনাকালে ছিল এক হাজার টাকার মধ্যে। এরপর বেশ কয়েকদফা দাম বাড়িয়ে কমিয়ে বর্তমানে ১৪৫০ টাকা। এদিকে বিদ্যুতের দাম ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, পানির দাম ২০ শতাংশ বাড়নোর প্রস্তাব, গ্যাসের দাম ১০০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা আছে। প্রস্তাব অনুসারে এই সেবাখাতের দাম বাড়লে জীবনযাত্রার ব্যয় কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা ধারণা করা কঠিন। শিশু খাদ্যের দাম ৪০০ গ্রামের দুধের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা বেড়েছে যা আগে ছিল ৮৭৫ টাকা।

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে যে সংকটে আছে তা থেকে মুক্তি দিতে না পারলে আরও সংকট তৈরি হবে। তাই বাজার মনিটরিংয়ে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে৷
জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ইএনডিপি) কান্ট্রি ইকনোমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো যাবে দুইভাবে। ভর্তূকি দিয়ে ও ভোক্তা পর্যায়ে। ভোক্তা পর্যায়ে টিসিবিসহ বিভিন্নভাবে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে হবে। দরিদ্র ও অতি দরিদ্রদের জন্য ভোজ্যতেলও খাদ্য সহায়তার অংশ হিসেবে বাড়াতে হবে।

আসন্ন বাজেটে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানার জন্য ভর্তুকি দিতে হবে উল্লেখ করে ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, কৃষি উৎপাদনে জোর নজর দিতে হবে। সেচে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দরিদ্রদের জন্যই এই ভর্তুকি দিতে হবে।

ড. নাজনীন আহমেদ আরও বলেন, সাধারণ মানুষের দৈনিন্দিন ব্যয় বৃদ্ধির তালিকার লাগাম টানার জন্য মজুতদারের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। কোনোক্রমেই যাতে তারা বেশি মুনাফার লোভে এ কাজটা করতে না পারে। তাহলে কিছুটা হলেও সহনীয় থাকতে পারে ব্যয় বৃদ্ধির তালিকা।
বাজার গবেষণা পদ্ধতি কি আমাদের আছে? থাকলে কতটা কার্যকর? না থাকলে এটা দরকার কি না।

ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস, পরিসংখ্যান ব্যুরো বাজার গবেষণা করে থাকে। কিন্তু তথ্যের বড়ই সংকট। তাই তথ্য সংগ্রহে দক্ষ জনশক্তির দরকার। আরও গবেষণার জোগান দিতে হবে।

অপরদিকে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব এর সভাপতি গোলাম রহমান নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্ভব না হওয়া কারণ সম্পর্কে বলেন, যে সব কারণে বাজারে অস্থিরতা তা অনেক কারণে নিয়ন্ত্রণে নেই সরকারের। কারণ আন্তজাতিক বাজারে কারো পক্ষে নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে সরকারকে। সহনশীল থাকতে হবে ব্যবসায়ীদের। অতি মুনাফার লোভ পরিহার করতে হবে।  

ক্যাব বাজার নিয়ে গবেষণা করে না। তবে বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বছর শেষে কোন কোন পণ্যের দাম বাড়ে ও কমে তা সবাইকে জানানো হয় বলে জানান গোলাম রহমান।

গোলাম রহমান বলেন, আগামী বাজেটে নতুন করে কোনো ধরনের পণ্যে কোনো শুল্ক কর আরোপ করা যাবে না। বাজাটে শুল্কের হার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। তবে বিলাসী পণ্যের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না, এক্ষেত্রে বাড়াতে হবে।  

 
Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত