বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রেলওয়ের ‘ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর’, উদ্বোধন ২৭ এপ্রিল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তার জীবনের নানান গল্প নিয়ে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর স্থাপন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মিটারগেজ ও ব্রডগেজ এই দুই ধরনের দুটি কোচে এই জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।

আগামী বুধবার (২৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রেল কোচে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর তৈরির এ উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছর। ১৯২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে শুরু করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ও বেদনাবিধুর ঘটনার দিন পর্যন্ত নানা চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই জাদুঘরে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম, তার শৈশব, কৈশোর থেকে শুরু করে ছাত্র রাজনীতি, ১৯৫৪ এর নির্বাচন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, সর্বোপরি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক সাড়া জাগানো কাব্যিক ভাষণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেওয়া থেকে শুরু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং তার ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে উঠা-এর সবই তুলে ধরা হয়েছে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে।

দৃষ্টিনন্দন ইন্টিরিয়রের মাধ্যমে মিটার গেজ ও ব্রডগেজ এর দুটি কোচের ভেতর সাজানো হয়েছে। প্রত্যেক কোচের ভেতরে মধ্যের অংশ খালি রেখে চারপাশ সাজানো হয়েছে সাদাকালো ও রঙ্গিন ছবিতে।

নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী এবং প্রত্যন্ত জনপদের সাধারণ মানুষ যেন সহজেই খুব স্বল্প সময়ে বঙ্গবন্ধুকে পাঠ করতে পারেন তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

ভ্রাম্যমাণ এই রেলওয়ে জাদুঘরের ভেতরে প্রবেশ করা যাবে দুই পাশের চারটি দরজা দিয়েই। তবে যে পাশে প্লাটফর্ম থাকবে সেই পাশের দরজা দুটিই শুধু খোলা থাকবে।

ভিতরে ঢুকে প্রথমেই দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যেখানে বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল সেই গ্রামের চিত্র। এই অংশে ১৯২০ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত একে একে তুলে ধরা হয়েছে তার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য, যৌবনকাল।

এরপর আছে ১৯৪৩ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তার জীবনের নানা ঘটনার স্থির চিত্র। আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৪ সালকে। বড় ফ্রেমে বাঁধাই করা এসব স্থির চিত্র একেবারেই দৃষ্টিনন্দন।

১৯৫৫ থেকে ১৯৬০ সাল, ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫, ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮ সাল, ৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ সালের গণঅভূত্থান ও নির্বাচনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৭ মার্চের ভাষণ, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণ, তার শাসনামল তুলে ধরা হয়েছে পৃথক পৃথক চিত্রে।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের পর টুঙ্গিপাড়ায় গড়ে উঠা বঙ্গবন্ধুর মাজারের একটি স্থির চিত্র তুলে ধরার মাধ্যমে শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের অধ্যায়।

রেলওয়ে জাদুঘরের প্রতিটি স্থির চিত্রের নিচে লেখা রয়েছে বঙ্গবন্ধু কখন কার কার সঙ্গে কোথায় কি কাজ করেছেন, কোন কোন আন্দোলনে তিনি যুক্ত ছিলেন। আছে শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীসহ বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ ছবি।

প্রতিটি চিত্রে ভাগ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান জীবন বৃত্তান্ত।

এই জাদুঘরে রয়েছে একটি ছোট বুক কর্ণার। যেখানে বঙ্গবন্ধুর লেখা আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচাসহ বিভিন্ন বই ও প্রকাশনা। আছে বঙ্গবন্ধুর হাতের লেখার কিছু পোট্রেট। এ ছাড়া ৭ মার্চের ভাষণের ভিজ্যুয়ালও রয়েছে।

এই জাদুঘর সম্পর্কে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গত রবিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমাদের অনেকগুলো কর্মসূচীর মধ্যে এই ভ্রাম্যমান রেলওয়ে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা হচ্ছে অন্যতম। আমরা চেয়েছি বঙ্গবন্ধুকে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে। নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনেক কাজ হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই জাদুঘরটা হচ্ছে স্থায়ী একটা কাজ। মিটারগেজ ও ব্রডগেজ দু্টি কোচে আমরা এই জাদুঘর তৈরি করেছি। সারাদেশের প্রতিটি স্টেশনে এই জাদুঘর নিয়ে যাওয়া হবে। সেসব স্টেশনে রেখে প্রচারণা চালানো হবে। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী, শিশু-কিশোররা এবং গ্রামের সাধারণ মানুষ এই জাদুঘর বিনা পয়সায় দর্শন করে বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারবেন। এটিই হচ্ছে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য।

রেলপথমন্ত্রী জানান, এটি মুজিববর্ষে তৈরি করা হলেও কোভিডের অভিঘাতের কারণে আমরা সেটি উদ্বোধন এবং চালু করতে পারিনি। আগামী ২৭ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ের এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর উদ্বোধন করার জন্য সম্মতি দিয়েছেন। আশা করছি ওই দিন থেকেই এই জাদুঘরের কার্যক্রম শুরু হবে।

এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে যেসব কাজ হয়েছে সেগুলোর সবই ক্ষণস্থায়ী, মুজিববর্ষ শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবই শেষ হয়ে যাবে। তখনই আমার মাথায় একটা চিন্তা এলো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী কোনো কাজ করা যায় কি না। এরই অংশ হিসেবে আমাদের রেলওয়ের এই ব্যতিক্রমী চিন্তা। বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে জাদুঘর করা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ৮০ শতাংশ স্টেশন হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। আমরা যদি এই জাদুঘর সেই স্টেশনগুলোতে নিয়ে যেতে পারি তাহলে প্রান্তিক মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী অনেক সুন্দর ও সহজভাবে উপস্থাপন করা যাবে। সাধারণত আমরা শহরকেন্দ্রিক আলোচনা বেশি করে থাকি। আয়োজনও সেরকমই হয়ে থাকে।

রেলওয়ের একই কর্মকর্তা বলেন, এসব চিন্তা থেকেই রেলপথ মন্ত্রীর সক্রিয় সহযোগিতা এবং নির্দেশনায় আমরা রেলপথ জাদুঘর গড়ে তোলার কাজ শুরু করি। প্রায় এক বছর সময় নিয়ে করোনাকালীন সময়ে আমরা এই জাদুঘর তৈরির কাজ করি রেলওয়ের দুটি কোচে।

এই জাদুঘরে ১২টি এলইডি আছে। সেগুলোতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ১৯২০ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তুলে ধরা হয়েছে। তার জীবনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ এবং অডিও, ভিজ্যুয়াল এবং স্থির চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী জানান, জাদুঘর দেখতে আসা দর্শকরা যেমন স্থির চিত্র দেখতে পাবেন, তেমনি কানে হেডফোন লাগিয়ে অডিও-ভিজ্যুয়াল শুনতে পারবেন।

বঙ্গবন্ধুর মুজিব কোট, চশমা, পাইপ এগুলোর রেপ্লিকাও আমরা তৈরি করে জাদুঘরে স্থান দিয়েছি। একইভাবে শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং বঙ্গবন্ধুর মাজারের রেপ্লিকাও রাখা হয়েছে।

একটি বড় এলইডিতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ অন্যান্য ভাষণও এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর মানুষের কাছে স্বল্প পরিসরে চিত্তাকর্ষকভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবন তুলে ধরতে সম্ভব হবে। দেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে পৌঁছে দিতে একটা বিশেষ ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ রেলওয়ের এই উদ্যোগ।

তিনি আরও জানান, আমরা এই দুটি কোচের বাহিরের অংশ সাজিয়েছি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যেসব ধারাবাহিক ঘটনা রয়েছে সেগুলোর ম্যুরাল দিয়ে।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ের এই চেষ্টা বছরের পর বছর দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে বেড়াবে। বিভিন্ন স্টেশনে প্রচারণা চালাবে।

 

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত