ঈদে সক্রিয় হচ্ছে জাল টাকা চক্রের সদস্যরা
উৎসব আসলেই সক্রিয় হয় জাল টাকা চক্রের কারবারিরা। সারাদেশে এ জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এই চক্রটি। সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ফের সক্রিয় হচ্ছে এ চক্রের সদস্যরা। তবে এই চক্রের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি এ চক্রের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা জাল টাকা বিক্রি করার জন্য সামাজিক প্ল্যাটফর্ম থেকে শুরু করে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে ঈদকে সামনে রেখে। গোয়েন্দারা বলছে, টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে সবাই সচেতন না হলে এ চক্রের দ্বারা অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি রাজধানীর লালবাগের নবাবগঞ্জ বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মানের জাল বাংলাদেশি টাকা ও ভারতীয় রুপি তৈরির কারখানার সন্ধান পায় ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবি জানায়, ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকা মার্কেটে ছড়িয়ে দেওয়ার টার্গেট করে লালবাগে ৫ থেকে ৬ মাস আগে একটি বাসা ভাড়া নেয় জাল মুদ্রার কারবারি চক্র। উদ্দেশ্য ছিল রমজানের মধ্যে ও ঈদ উপলক্ষে বিপুল পরিমাণে জালটাকা তৈরি করে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, এই চক্রের অন্যতম সদস্য লিটন। এই কারখানার মূল পরিচালক অষ্টম শ্রেণি পাস লিটন। সে নিজেই এই টাকার কারিগর। বিশেষ কাগজ, নিরাপত্তা সুতা তৈরির জন্য ডায়াস কিনে জলছাপ দিয়ে প্রিন্ট করে তৈরি হয় জাল নোট। এক লাখ টাকার জাল নোট ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করত সে। লিটনের কাছ থেকে জাহাঙ্গীর ও মহসিন জাল টাকা ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজারে কিনে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা লাভে বিক্রি করত।
ডিবি জানায়, সম্প্রতি এক অভিযানে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো–জাহাঙ্গীর আলম, আলী হায়দার, তাইজুল ইসলাম লিটন ও মহসিন ইসলাম মিয়া। পুলিশ বলছে গ্রেপ্তারকৃত সবাই প্রতারণা ও জাল টাকার অভিযোগে কয়েকবার কারাবরণ করেছেন। কারাগার থেকে বের হয়ে তারা আবারও একই কাজে লিপ্ত হন।
গ্রেপ্তারের সময় জাল টাকা ও রুপি তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, বিভিন্ন রকমের কালি, স্ক্রিন ফ্রেম, বিশেষ ধরনের কাগজ, কেমিক্যালস, স্ক্যানার মেশিন, কাটার ও স্কেল জব্দ করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, জাল টাকা ও রুপির একটি চালান সংগ্রহের জন্য নাটোর থেকে ঢাকায় এসেছিল জাহাঙ্গীর আলম। তাকে অনুসরণ করে গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নবাবগঞ্জ বেড়িবাঁধ এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ছয়তলা বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ওই চার জনকে গ্রেপ্তার করে। জব্দ করা হয় জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম।
এ চক্রের বিষয়ে ডিএমপির গুলশান গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, পবিত্র রমজানের মধ্যে ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে করোনা মহামারি পরবর্তী সুষ্ঠু পরিবেশে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্যের সঙ্গে অর্থনৈতিক মহাযজ্ঞ চলছে। রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে জালনোট কারবারিরা বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দিচ্ছে এমন গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যায়। ওই তথ্য যাচাই বাছাই ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং জাল মুদ্রা কারবারি চক্রের বেশ কিছু সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তিনি বলেন ইতোমধ্যে আমরা জাল টাকা তৈরি চক্রের সদস্যদের অবস্থান শনাক্ত করে কাজ করছি।
এদিকে জাল টাকার কারবার এখন অনলাইনেও দেখা যায়। বিভিন্ন পেজ খুলে জাল টাকার বিজ্ঞাপন করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে দেশের যে কোনো স্থানে নিরাপত্তার সঙ্গে পৌঁছে দেওয়া হবে। আবার ইনবক্সে যোগাযোগের জন্যও বলা হচ্ছে। কারবারি চক্রের সদস্যরা বলছে, কুরিয়ার সার্ভিস অথবা তাদের দেওয়া নির্দিষ্ট জায়গায় গেলেই মিলবে জাল নোট। এ সময় তারা হুঁশিয়ার করে বলছে, আমাদের নির্দিষ্ট জায়গায় না আসলে জালনোট দেওয়া হবে না।
তা ছাড়া পুলিশকে বললে ভয়াবহ পরিণতি হবে এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ভাবে বিজ্ঞাপন করছে জাল টাকা চক্রের সদস্যরা। তবে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট অপরাধ দমন সংস্থা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইন প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধী চক্র যেমন সক্রিয় হচ্ছে তেমনি জাল টাকার কারবারিরা ও বসে নেই। জাল টাকার কারবারিরা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তারা তাদের কারবার চালাচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকার কারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। গ্রাহক পেতে তারা অনলাইন প্লাটফর্মকে বেছে নিচ্ছে। আবার প্রতারনার কাজেও এ পেজগুলোকে অনলাইন প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
কর্মকর্তারা বলছেন, সাইবার টিম এগুলো মনিটরিং করছে। সময়মত এ চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হবে।
জানতে চাইলে ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, এরা এখন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তা গোয়েন্দা বিভাগ অবগত। এ বিষয়ে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ঈদকে টার্গেট করে প্রতিবারের মত এবারও চক্রটি সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তাদের প্রতিহত করতে আমরা সজাগ রয়েছি।
তিনি বলেন, যারা জাল টাকার কারবারি করে, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের একই কাজ শুরু করে। তাদের ভালো পথে আনা যাচ্ছে না। এরা সাধারণত ঢাকার উপকণ্ঠে বেশি সক্রিয় থাকে। খুবই নিখুঁতভাবে তারা জাল টাকার নোট তৈরি করছে। এসব জাল টাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক সময় ৪০০ টাকার কালি ও ২০০ টাকার কাগজ দিয়ে জাল টাকা বানিয়ে তা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করত তারা। ফলে অন্য পেশায় থাকলেও বেশি লাভের আশায় অনেকে এ পেশায় জড়িয়ে পড়ছে। তবে বর্তমানে জাল টাকা তৈরির কালি ও কাগজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং আমাদের হাতে অনেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের তৎপরতা কিছুটা কমেছে। এসব টাকা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি করলে জাল টাকা তৈরি অনেকটাই কমে যাবে।
যেভাবে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে জাল টাকা
সম্প্রতি ঢাকাপ্রকাশ-এর এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, জাল টাকা চক্রের সদস্যরা সম্প্রতি ফেসবুকে নানা ধরনের জাল টাকা সংক্রান্ত পেজ খুলেছে। সেখানে তারা বিজ্ঞাপণ দিয়েছে। কম রেটে জাল টাকা সরবরাহ করা হয়। যোগাযোগের জন্য ইনবক্স এবং মোবাইল নম্বরও (হোয়াটসঅ্যাপ) দিচ্ছে। কারবারিরা বলছে, নির্দিষ্ট জায়গায় গেলেই পাবেন জাল টাকা। তবে সাবধান পুলিশকে জানালে আপনি নিজেই ঝামেলায় পড়বেন। এ বিষয়ে জালটাকা চক্রের কারবারিদের সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশ-এর এই প্রতিবেদকের সঙ্গে। এ সময় তারা জানায়, উক্ত নম্বরে যোগাযোগ করলেই মিলবে জাল টাকা। তবে এক লক্ষ জাল টাকা ১৫ হাজার টাকার নিচে দেওয়া হবে না। যদি এ প্রস্তাবে রাজি থাকেন তাহলে উক্ত নম্বরটিতে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট জায়গায় আসতে পারেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ‘জাল টাকা কম দামে বিক্রি করি’ একটি পেজ রয়েছে। সেখানে জাল টাকার বিষয়ে নানা ধরনের তথ্যও দেওয়া হয়েছে। এ রকম অন্তত বেশ কয়েকটি পেজের খোঁজ পাওয়া গেছে। সেখানে ঈদকে সামনে রেখে বলা হচ্ছে যে কোন নোট তারা সরবরাহ করতে পারবে। দেশের যে কোনো জেলা হলেও সমস্যা নাই।
যা বলছে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার টিম
এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার মনিটরিংয়ের টিমের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে নানা ধরনের অপরাধীরা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে এতে পিছিয়ে নেই জাল টাকার কারবারীরা। বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে ডিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, জাল টাকা তৈরিতে সারাদেশে সক্রিয় চক্রের বিষয়ে বেশ কয়েকটি তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে মূল হোতাদের নামও পাওয়া উঠে এসেছে। এই মূল হোতারা হলো- ইমন, জামান, জাকির, সেলিম, হামির, সিহাব, হুমায়ন কবির, বিহারি সুমন, আমজাদ, কাওসার, সেলিম বেপারি, সাইফুল ওরফে রিকশা সাইফুল, খশরু ও সাগর। পুলিশ বলছে, এরা সবাই গোয়েন্দা নজরে রয়েছে।
জেল থেকে বের হয়ে জাল চক্র সক্রিয় হয়
বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার জাল টাকার কারবারিদের জিজ্ঞাসাবাদেই তাদের বিষয়ে তথ্য মিলে। এসব চক্র আগে উৎসবকে ঘিরে জাল টাকা তৈরি করত। এখন তারা সারাবছরই জাল টাকা তৈরি করে বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে। চক্রের হোতাদের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মামলাও রয়েছে। প্রায় সবাই কোনো না কোনো সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে তিন থেকে ছয় মাসের বেশি কেউ জেল খাটেনি বলে ডিবি পুলিশের একটি তথ্যে জানা গেছে।
ওই তথ্য বলছে, এরা জামিনে বেরিয়ে আবার একই অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। কারণ তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ জন্য আবারো অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়।
সচেতনতাই একমাত্র রক্ষাকবচ
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার কেএম হাফিজ আক্তার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ঈদ বা বড় বড় উৎসব গুলোতে জাল টাকা প্রস্তুতকারক ও কারবারিদের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। সম্প্রতি বেশ কিছু কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা বাইরে আছে তাদের নজরে রাখা হয়েছে। প্রতিদিনই অভিযান চলছে। পুলিশ রোজার আগ থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে কেউ জাল নোট বাজারে ছাড়তে না পারে।
উদ্ধার হওয়া জাল টাকা আগের টাকার চেয়ে অনেক বেশি নিখুঁত উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাল টাকা সাধারণ চোখে বোঝা খুবই কঠিন যে এটা জাল। তবে অরজিনাল টাকা কিছুটা খসখসে এবং জাল টাকা বেশি মসৃণ হয়। এক্ষেত্রে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার আহবান করছি সাথে কাউকে সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ রইলো।
জানতে চাইলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক জাল চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছি। চলতি বছরেও বাণিজ্যমেলা থেকে কোটি টাকার বেশি জাল নোট বাজারে ছাড়ার চক্রকে ধরা হয়েছে। ধরার পর আমরা জানতে পেরেছি তারা ১০ বছর ধরে এমন জাল টাকা তৈরি করে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতো।
তিনি বলেন, এ সব জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডিলার রয়েছে তারা কৌশলে কাজ করে। সবাই টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে একটু সচেতন হলে এসব থেকে রেহাই পেতে পারে।
জানতে চাইলে র্যাব-১০-এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে কোটি টাকার বেশি জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে এ চক্রগুলো। সম্প্রতি আমরা অনেক চক্রকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারী চলমান রয়েছে। আশাকরি ঈদের আগে জালনোট সরিয়ে দেওয়া চক্রদের আমরা আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, যারা জাল টাকা বাজারে ছাড়ে তারা একটি সংঘবদ্ধচক্র। এরা জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে অর্থনৈতিক খাত ধ্বংস হচ্ছে। এদের ধরার জন্য অতিরিক্ত গোয়েন্দা নজরদারি রাখলেই এ চক্রের হাত থেকে সাধারণ মানুষ কিছটা রক্ষা পেতে পারে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো দৈনন্দিন টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে সবাই সচেতন হলে অনেকে অর্থনৈতিকভাবে জালনোট থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
কেএম/এমএমএ/এএস