শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ | ২২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাৎকার

বেগম রোকেয়া পদক ও নারীর অগ্রযাত্রা

ঢাকাপ্রকাশের স্টুডিওতে ডা. সারিয়া সুলতানা

প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্মদিনে পালন করা হয় বেগম রোকেয়া দিবস। এদিন নারীর উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য বিশিষ্ট নারীদের বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করা হয়।

২০২১ সালে অন্যান্যদের মধ্যে বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন কুষ্টিয়া জেলার গবেষক ড. সারিয়া সুলতানা। পুরস্কার গ্রহণের পরে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন ঢাকাপ্রকাশের স্টুডিওতে। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান নিয়ে ঢাকাপ্রকাশের সারা জেরিন তাসপিয়া কথা বলেছেন এই গবেষকের সঙ্গে।

-আপনাকে অভিনন্দন। সম্প্রতি আপনি বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত হয়েছেন, এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি জানতে চাচ্ছি–

-বেগম রোকেয়া পদক একটি রাষ্ট্রীয় পদক এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কমিটির আহ্বায়ক। এ পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিটির সদস্যগণ খুবই বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। আমি ছাড়া আরও যে চারজন এ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই এ পদক পাওয়ার যোগ্যতা রাখে এবং এদেশের নারী উন্নয়নে অনেক কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সম্ভবত আমি সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে পদকটি পেয়েছি। আমার বয়স ৪০-এর কোটায়। এ বয়সে এমন একটি পদক পাব কখনও ভাবিনি। আমি খুবই আনন্দিত। প্রথমে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, আমার মতো একজন গবেষককে পল্লী উন্নয়নে মনোনয়ন দিয়েছেন বলে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের যারা এ কমিটিতে আছেন তাদেরও আমি ধন্যবাদ জানাতে চাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কারণ পল্লী উন্নয়নে আমার গবেষণা যথাযথ মূল্যায়ন পেয়েছে। এ পদক গ্রহণ করে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।

-পল্লী উন্নয়নে আপনার ব্যাপক গবেষণা ও তৎপরতা রয়েছে । এ বিষয়ে যদি কিছু বলতেন–

আমার গবেষনার বিষয় 'Role of Link Model on sustainable rural development in Bangladesh.' আমি গবেষণা করছি, কীভাবে ইউনিয়ন পরিষদকে আরও শক্তিশালী করে পল্লী উন্নয়ন করা সম্ভব লিংক মডেল পদ্ধতির মাধ্যমে। ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন ছাড়া কখনওই পল্লীকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয় এবং পল্লীর জনগনের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তবে সেটি যদি একটি পদ্ধতির মাধ্যমে করা যায় তবে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বাড়বে। এর ফলে টেকসই পল্লী উন্নয়ন হবে। এ ক্ষেত্রে লিংক মডেল পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর। যেমন- ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকবেন সভাপতি। প্রতিটি গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদে জাতি গঠনের জন্য যে ১৬টি ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধিরা কাজ করে, এ প্রতিনিধিরা প্রতি মাসে ইউনিয়ন সমন্বয়ে মিটিং করবেন। সেখানে প্রত্যেক গ্রামের প্রতিনিধি থাকবেন এবং এখানে চেয়ারম্যান সভাপতি থাকবেন ও ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য উপস্থিত থাকবেন। সেখানে একধরনের মিনি পার্লামেন্ট সৃষ্টি হবে। তখন তারা গ্রামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এবং এখানে সবাই তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য হবে। এর ফলে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা সৃষ্টি হবে।

-পল্লী উন্নয়নে নারীর ভূমিকা কী?

-পুরুষ-নারী উভয়ের অবদান রয়েছে। তবে বর্তমানে পল্লী উন্নয়নে নারীরা যথেষ্ট কাজ করছে। আমি ফিল্ড ওয়ার্ক করতে গিয়ে দেখেছি পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমান তালে কাজ করার চেষ্টা করছে। একসময় নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ছিল না। এখন নারী সে সুযোগটি পাচ্ছে এবং গ্রাম ইউনিয়নের মিটিং-এ এক তৃতীয়াংশ নারী অংশগ্রহণ করছে। তাদের প্রিতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পল্লী উন্নয়নে নারীর ক্ষমতায়ন লক্ষ্যণীয়। টেকসই পল্লী উন্নয়নের এইচডিজি-এর ৫ নম্বর লক্ষ্যের একটি অংশ women empowerment। নারীরা পল্লী উন্নয়নে অবশ্যই অবদান রাখছে, আশা করছি আরও অবদান রাখবে।

-আমাদের দেশে নারীরা কি তাদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন পাচ্ছে?

-নারীরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। আমরা নারীরা নারীদের দ্বারাও নির্যাতিত। একটি কর্মস্থলে একজন নারী আরেকজন নারীর সফলতা দেখতে পারছেন না। এ ধারণায় পরিবর্তন আনতে হবে। এখনও নারীরা পরিপূর্ণ স্বাধীনতা পায়নি, সেটি না পরিবারে আর না কর্মস্থলে। নারীর পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দরকার, যেটি শুধু পল্লী উন্নয়ন নয়, রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

-নারীর ক্ষমতায়ন করতে আমাদের কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন?

-আমার মনে হয় সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। মানুষের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন ছাড়া কখনও উন্নয়ন সম্ভব না। উন্নয়নের প্রথম শর্ত হচ্ছে মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন। আমাদের ‘আমি’ চিন্তা না করে সামষ্টিকভাবে ‘আমাদের’ চিন্তা করতে হবে।

-গ্রামীণ নারীসমাজ এখনও অবহেলিত। তাদের উত্তরণের জন্য আমাদের কী করণীয়?

-প্রথমেই নারীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। নারীশিক্ষায় সরকার অনেক ব্যয় করছে এবং বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে। শিক্ষা গ্রহণের পথটি আমাদের জন্য এখন সহজ। তাছাড়া বাল্যবিবাহ রোধে আমাদের সকলের সতর্ক হতে হবে। সরকারের একার পক্ষে সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের সকলের সমষ্টিগত সহযোগিতা এবং সচেতনতা প্রয়োজন।

-নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন?

-নারীদের নিজেদের স্পৃহা প্রয়োজন। আমার নিজের স্পৃহা না থাকলে কেউ আমাকে তুলে ধরবে না। অন্যরা অনুপ্রেরণা দিয়ে সাহায্য করবে তবে নারীর নিজেকে নিজের তুলে ধরতে হবে। অবশ্যই নিজের চেষ্টা থাকতে হবে। করোনাকালীন এ প্রতিকূলতার মধ্যেও অনেক নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়টি খুবই ভালো লেগেছে। নারীরা এখন বুঝতে পারছে এবং তারা স্বাবলম্বী হচ্ছে। প্রতিটি কাজেরই বাধা থাকবে তবে বাধা পেরিয়েই নারীকে এগিয়ে যেতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান

পদক গ্রহণ করছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনালের ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট পদে ভূষিত করা হয়েছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে, বিশেষ করে চিকিৎসা খাতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করেই তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান। সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহ ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এ সময় তিনি তাঁর মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সেনাবাহিনী প্রধান স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ অব দ্য সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেন্টাইন রুগাবিজা এবং ফোর্স কমান্ডার লে. জেনারেল হামফ্রে নায়নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক্যান ফোর্স (এফএসিএ) এর প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফসটিন আরচেঞ্জ তৌদেরার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রেসিডেন্ট সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনী প্রধানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেন।

এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে যান।

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?

অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন ও তার স্ত্রী শিপা। ছবি: সংগৃহীত

আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। প্রায় এক মাস আগেই ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে সারেন এ অভিনেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। মিলন ও তার স্ত্রীকে দেখতে অভিনেতার বাড়ি থেকে ৫টি ছবি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে বিবাহিত জীবনের জন্য শুভকামনাও জানান চয়নিকা। শুধু যে চয়নিকা নব দম্পতিকে দেখতে গিয়েছিলেন এমন নয়। ছোট পর্দার অনেক অভিনয়শিল্পীই আজ মিলনের বাড়ি হাজির হন নতুন বউ দেখতে।

জানা যায়, মিলনের স্ত্রীর নাম শিপা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগামে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল লুসি গোমেজ। ১৯৯৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী পলির সঙ্গে মিলনের বিয়ে ও চার বছরের সংসার জীবনের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা অস্বীকার করে আসছিলেন অভিনেতা।

তবে ২০১৩ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় স্ত্রী-পুত্র সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেন আনিসুর রহমান মিলন। সেই ছবি থেকে জানা যায়, তার স্ত্রীর নাম পলি আহমেদ এবং সন্তানের নাম মিহ্রান।

এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পলি আহমেদকে বিয়ে করেন। যিনি ২০২২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

Header Ad
Header Ad

ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা

ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও প্রায় ৫৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এদিন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সোহানুর রহমান বাদি হয়ে লাক মিয়ার নামে মামলা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখে।

তার নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে। যার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে একই অভিযোগে লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধেও মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।

মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজহারে বলা হয়, স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং ১৪টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৬১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান
তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?
ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা
লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক
যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
অনেক কো-আর্টিস্ট, ডিরেক্টর তখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না: প্রভা
ভয়াবহ দাবানলের কবলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ২০ স্থানে ছড়িয়েছে আগুন (ভিডিও)
নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা
অস্থিরতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে: রয়টার্সকে নাহিদ ইসলাম
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে বরের মৃত্যু
মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না: মুশফিকের স্ত্রী
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো উন্নতি বাংলাদেশের
ছাত্র-জনতা কোথাও অভিযান চালাতে পারে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
রাবিতে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি