শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ সাক্ষাৎকার

বেগম রোকেয়া পদক ও নারীর অগ্রযাত্রা

ঢাকাপ্রকাশের স্টুডিওতে ডা. সারিয়া সুলতানা

প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্মদিনে পালন করা হয় বেগম রোকেয়া দিবস। এদিন নারীর উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য বিশিষ্ট নারীদের বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করা হয়।

২০২১ সালে অন্যান্যদের মধ্যে বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন কুষ্টিয়া জেলার গবেষক ড. সারিয়া সুলতানা। পুরস্কার গ্রহণের পরে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন ঢাকাপ্রকাশের স্টুডিওতে। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান নিয়ে ঢাকাপ্রকাশের সারা জেরিন তাসপিয়া কথা বলেছেন এই গবেষকের সঙ্গে।

-আপনাকে অভিনন্দন। সম্প্রতি আপনি বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত হয়েছেন, এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি জানতে চাচ্ছি–

-বেগম রোকেয়া পদক একটি রাষ্ট্রীয় পদক এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কমিটির আহ্বায়ক। এ পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিটির সদস্যগণ খুবই বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। আমি ছাড়া আরও যে চারজন এ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই এ পদক পাওয়ার যোগ্যতা রাখে এবং এদেশের নারী উন্নয়নে অনেক কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সম্ভবত আমি সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে পদকটি পেয়েছি। আমার বয়স ৪০-এর কোটায়। এ বয়সে এমন একটি পদক পাব কখনও ভাবিনি। আমি খুবই আনন্দিত। প্রথমে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, আমার মতো একজন গবেষককে পল্লী উন্নয়নে মনোনয়ন দিয়েছেন বলে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের যারা এ কমিটিতে আছেন তাদেরও আমি ধন্যবাদ জানাতে চাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কারণ পল্লী উন্নয়নে আমার গবেষণা যথাযথ মূল্যায়ন পেয়েছে। এ পদক গ্রহণ করে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।

-পল্লী উন্নয়নে আপনার ব্যাপক গবেষণা ও তৎপরতা রয়েছে । এ বিষয়ে যদি কিছু বলতেন–

আমার গবেষনার বিষয় 'Role of Link Model on sustainable rural development in Bangladesh.' আমি গবেষণা করছি, কীভাবে ইউনিয়ন পরিষদকে আরও শক্তিশালী করে পল্লী উন্নয়ন করা সম্ভব লিংক মডেল পদ্ধতির মাধ্যমে। ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন ছাড়া কখনওই পল্লীকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয় এবং পল্লীর জনগনের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তবে সেটি যদি একটি পদ্ধতির মাধ্যমে করা যায় তবে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বাড়বে। এর ফলে টেকসই পল্লী উন্নয়ন হবে। এ ক্ষেত্রে লিংক মডেল পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর। যেমন- ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকবেন সভাপতি। প্রতিটি গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদে জাতি গঠনের জন্য যে ১৬টি ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধিরা কাজ করে, এ প্রতিনিধিরা প্রতি মাসে ইউনিয়ন সমন্বয়ে মিটিং করবেন। সেখানে প্রত্যেক গ্রামের প্রতিনিধি থাকবেন এবং এখানে চেয়ারম্যান সভাপতি থাকবেন ও ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য উপস্থিত থাকবেন। সেখানে একধরনের মিনি পার্লামেন্ট সৃষ্টি হবে। তখন তারা গ্রামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এবং এখানে সবাই তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য হবে। এর ফলে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা সৃষ্টি হবে।

-পল্লী উন্নয়নে নারীর ভূমিকা কী?

-পুরুষ-নারী উভয়ের অবদান রয়েছে। তবে বর্তমানে পল্লী উন্নয়নে নারীরা যথেষ্ট কাজ করছে। আমি ফিল্ড ওয়ার্ক করতে গিয়ে দেখেছি পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমান তালে কাজ করার চেষ্টা করছে। একসময় নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ছিল না। এখন নারী সে সুযোগটি পাচ্ছে এবং গ্রাম ইউনিয়নের মিটিং-এ এক তৃতীয়াংশ নারী অংশগ্রহণ করছে। তাদের প্রিতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পল্লী উন্নয়নে নারীর ক্ষমতায়ন লক্ষ্যণীয়। টেকসই পল্লী উন্নয়নের এইচডিজি-এর ৫ নম্বর লক্ষ্যের একটি অংশ women empowerment। নারীরা পল্লী উন্নয়নে অবশ্যই অবদান রাখছে, আশা করছি আরও অবদান রাখবে।

-আমাদের দেশে নারীরা কি তাদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন পাচ্ছে?

-নারীরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। আমরা নারীরা নারীদের দ্বারাও নির্যাতিত। একটি কর্মস্থলে একজন নারী আরেকজন নারীর সফলতা দেখতে পারছেন না। এ ধারণায় পরিবর্তন আনতে হবে। এখনও নারীরা পরিপূর্ণ স্বাধীনতা পায়নি, সেটি না পরিবারে আর না কর্মস্থলে। নারীর পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দরকার, যেটি শুধু পল্লী উন্নয়ন নয়, রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

-নারীর ক্ষমতায়ন করতে আমাদের কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন?

-আমার মনে হয় সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। মানুষের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন ছাড়া কখনও উন্নয়ন সম্ভব না। উন্নয়নের প্রথম শর্ত হচ্ছে মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন। আমাদের ‘আমি’ চিন্তা না করে সামষ্টিকভাবে ‘আমাদের’ চিন্তা করতে হবে।

-গ্রামীণ নারীসমাজ এখনও অবহেলিত। তাদের উত্তরণের জন্য আমাদের কী করণীয়?

-প্রথমেই নারীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। নারীশিক্ষায় সরকার অনেক ব্যয় করছে এবং বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে। শিক্ষা গ্রহণের পথটি আমাদের জন্য এখন সহজ। তাছাড়া বাল্যবিবাহ রোধে আমাদের সকলের সতর্ক হতে হবে। সরকারের একার পক্ষে সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের সকলের সমষ্টিগত সহযোগিতা এবং সচেতনতা প্রয়োজন।

-নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন?

-নারীদের নিজেদের স্পৃহা প্রয়োজন। আমার নিজের স্পৃহা না থাকলে কেউ আমাকে তুলে ধরবে না। অন্যরা অনুপ্রেরণা দিয়ে সাহায্য করবে তবে নারীর নিজেকে নিজের তুলে ধরতে হবে। অবশ্যই নিজের চেষ্টা থাকতে হবে। করোনাকালীন এ প্রতিকূলতার মধ্যেও অনেক নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়টি খুবই ভালো লেগেছে। নারীরা এখন বুঝতে পারছে এবং তারা স্বাবলম্বী হচ্ছে। প্রতিটি কাজেরই বাধা থাকবে তবে বাধা পেরিয়েই নারীকে এগিয়ে যেতে হবে।

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের