বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

অনলাইনে জাল টাকার কারবার করছে ১৬ চক্রের সদস্যরা

উৎসব আসলেই সক্রিয় হয় জাল টাকা চক্রের সক্রিয় কারবারীরা। সারাদেশে এ জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এই চক্রটি। সামনে রোজা এবং ঈদ এটাকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হচ্ছে এ চক্রটি। তবে এই চক্রের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

জাল টাকার কারবার এখন অনলাইনেও দেখা যায়। বিভিন্ন পেজ খুলে জাল টাকার বিজ্ঞাপন করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে দেশের যে কোন স্থানে নিরাপত্তার সাথে পৌঁছে দেওয়া হবে। আবার ইনবক্সে যোগাযোগের জন্যও বলা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইন প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধী চক্র যেমন সক্রিয় হচ্ছে তেমনি জাল টাকার কারবারীরাও বসে নেই। জাল টাকার কারবারীও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তারা তাদের কারবার চালাচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে দেশ জুড়ে জাল চক্র সক্রিয় হচ্ছে

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে আসন্ন রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকার কারবারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গ্রাহক পেতে তারা অনলাইন প্লাটফর্মকে বেছে নিতে পারে । আবার প্রতারনার কাজেও এ পেজগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সাইবার টিম এগুলো মনিটরিং করছে। সময়মত এ চক্রগুলোও আইনের আওতায় আসবে।

জানতে চাইলে ডিবির উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান বলেন, জাল চক্রগুলো এখন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সে সম্পর্কে গোয়েন্দা বিভাগ অবগত আছে। এ বিষয়ে কাজ চলছে। তিনি বলেন, সামনে রোজা এবং ঈদকে টার্গেট করে প্রতিবারের মতো এবারও চক্রটি সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তাদের প্রতিহত করতে আমরা সজাগ রয়েছি।

তিনি বলেন, যারা জাল টাকার কারবারি করে, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের একই কাজ শুরু করে। তাদের ভালো পথে আনা যাচ্ছে না। এরা সাধারণত ঢাকার উপকণ্ঠে বেশি সক্রিয় থাকে। খুবই নিখুঁতভাবে তারা জাল টাকার নোট তৈরি করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক সময় ৪০০ টাকার কালি ও ২০০ টাকার কাগজ দিয়ে জাল টাকা বানিয়ে তা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করত তারা। ফলে অন্য পেশায় থাকলেও বেশি লাভের আশায় অনেকে এ পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। তবে বর্তমানে জাল টাকা তৈরির কালি ও কাগজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং আমাদের হাতে অনেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের তৎপরতা কিছুটা কমেছে। এসব টাকা তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি করলে জাল টাকা তৈরি অনেকটাই কমে যাবে।

অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে জাল টাকা

সাম্প্রতিক ঢাকা প্রকাশের এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, জাল টাকার চক্র সম্প্রতি ফেসবুকে নানা ধরনের জাল টাকা সংক্রান্ত পেজ খুলেছে। সেখানে তারা বিজ্ঞাপণ দিয়েছে। কম রেটে জাল টাকা সরবরাহ করা হয়। যোগাযোগের জন্য ইনবক্স এবং মোবাইল নম্বরও (হোয়াটস অ্যপ) দেওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ‘জাল টাকা কম দামে বিক্রি করি’ নামে একটি পেজ রয়েছে। সেখানে জাল টাকার বিষয়ে নানা ধরনের তথ্যও দেওয়া হয়েছে। এ রকম অন্তত তিনটি পেজের খোঁজ পাওয়া যায়। সেখানে আসন্ন রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে বলা হয়েছে যে কোন নোট তারা সরবরাহ করতে পারবেন। দেশের যে কোন জেলা হলেও সমস্যা নাই।

যা বলছে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার টিম

এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার মনিটরিংয়ের টিমের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে নানা ধরনের অপরাধী যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জাল টাকার কারবারীরাও এ থেকে বাদ যায়নি। বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দ্রুত এ বিষয়ে অভিযানও পরিচালনা করা হবে।

ডিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, জাল টাকা তৈরিতে সারাদেশে সক্রিয় ১৬টি চক্রের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলোর মূল হোতাদের নামও পাওয়া গেছে। তারা হলো- ইমন, জামান, জাকির, সেলিম, হামির, সিহাব, হুমায়ন কবির, বিহারি সুমন, আমজাদ, কাওসার, সেলিম বেপারি, সাইফুল ওরফে রিকশা সাইফুল, খশরু ও সাগর।

জেল থেকে বের হয়ে আবারো জল চক্র সক্রিয় হয়

বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তারকৃত জাল টাকার কারবারিদের জিজ্ঞাসাবাদেই তাদের বিষয়ে তথ্য মিলে। এসব চক্র আগে উৎসবকে ঘিরে জাল টাকা তৈরি করত। এখন তারা সারাবছরই জাল টাকা তৈরি করে বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে। চক্রের হোতাদের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তিন থেকে ১০টি করে মামলাও রয়েছে। প্রায় সবাই কোনো না কোনো সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে তিন থেকে ছয় মাসের বেশি কেউ জেল খাটেনি। জামিনে বেরিয়ে আবার একই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে তারা।

জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি সংগ্রহের বিষয়ে ডিবির এক কর্মকর্তা জানান, যে কাগজ ব্যবহার হয়, সেগুলো নীলক্ষেত থেকে সংগ্রহ করা। অন্যান্য উপাদানের সোর্স বিশেষ করে কেমিক্যাল পুরান ঢাকা থেকে নেয়। আর জাল টাকা বাজারে ছড়ানো হয় তিন ধাপে। প্রতিটি চক্রের রয়েছে ২০ থেকে ২৫ সদস্য। তারা বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কাজ করে। মূলহোতাদের কাছ থেকে তারা ১ লাখ জাল টাকা ১৫ হাজার টাকায় কেনে।

জাল এক লাখ টাকা তৈরিতে খরচ হয় ৭-১০ হাজার টাকা

জানা গেছে, উৎপাদকের এক লাখ টাকা তৈরি করতে খরচ হয় ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা। তারা পাইকারি বিক্রেতার কাছে ১ লাখ টাকা ১৪-১৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করে। পাইকারি বিক্রেতা ১ম খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করে ২০-২৫ হাজার টাকা, ১ম খুচরা বিক্রেতা ২য় খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করে ৪০-৫০ হাজার টাকায় এবং ২য় খুচরা বিক্রেতা মাঠ পর্যায়ে সেই টাকা আসল এক লাখ টাকায় বিক্রয় করে।

গ্রেপ্তার জাল নোট কারবারী ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জাল নোট তৈরির জন্য প্রথমে টিস্যু কাগজের এক পার্শ্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি স্ক্রিনের নিচে রেখে গাম দিয়ে ছাপ দেয়। এরপর ১০০০ লেখা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রামের ছাপ দেয়। অতপর অপর একটি টিস্যু পেপার নিয়ে তার সাথে ফয়েল পেপার থেকে টাকার পরিমাপ অনুযায়ী নিরাপত্তা সূতা কেটে তাতে লাগিয়ে সেই টিস্যুটি ইতোপূর্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি জলছাপ দেয়া টিস্যু পেপারের সাথে গাম দিয়ে সংযুক্ত করে দেয়।

এভাবে টিস্যু পেপার প্রস্তুত করে বিশেষ ডট কালার প্রিন্টারের মাধ্যমে ল্যাপটপে সেভ করে রাখা টাকার ছাপ অনুযায়ী প্রিন্ট করা হয়। ওই টিস্যু পেপারের উভয় সাইট প্রিন্ট করা হয় এবং প্রতিটি টিস্যু পেপারে মোট ৪টি জাল টাকার নোট প্রিন্ট করা হয়। এরপর প্রিন্টকৃত টিস্যু পেপারগুলো কাটিং গ্লাসের উপরে রেখে নিখুঁতভাবে কাটিং করা হয়। পরবর্তীতে কাটিংকৃত জাল টাকাগুলো বিশেষভাবে বান্ডিল করে এটি চক্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।

যা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার কেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ঈদ বা বড় বড় উৎসব গুলোতে জাল টাকা প্রস্তুতকারক ও কারবারীদের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কারবারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা বাইরে আছে তাদের গ্রেপ্তারে প্রতিদিনই অভিযান চলছে। পুলিশ রোজার আগ থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে কেউ জাল নোট বাজারে ছাড়তে না পারে।

উদ্ধার হওয়া জাল টাকা আগের টাকার চেয়ে অনেক বেশি নিখুঁত উল্লেখ করে তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া জাল টাকায়ও নিরাপত্তা সুতা স্থাপন করা হয়েছে। এসব নিরাপত্তা সুতা তারা কিভাবে যোগাড় করেছে সেই ব্যাপারে গ্রেপ্তাকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সাধারণ চোখে বোঝা খুবই কঠিন যে এটা জাল টাকা। তবে অরজিনাল টাকা কিছুটা খসখসে এবং জাল টাকা বেশি মসৃণ বলে তিনি জানান। এক্ষেত্রে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার আহবান জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

জানতে চাইলে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক জাল চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছি। চলতি বছরেও বাণিজ্যমেলা থেকে কোটি টাকার বেশি জাল নোট বাজারে ছাড়ার চক্রকে ধরা হয়েছে। ধরার পর আমরা জানতে পেরেছি তারা ১০ বছর ধরে এমন জাল টাকা তৈরি করত এবং সারাদেশে ছড়িয়ে দিতো। তিনি বলেন, এ সব জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডিলার রয়েছে তারা কৌশলে কাজ করে। তিনি আরো বলেন, সবাইকে সচেতন হলে এসব অপরাধ হয় তো কমে আসবে।

জানতে চাইলে র‌্যাব-১০-এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, রোজা এবং ঈদকে সামনে রেখে কোটি টাকার বেশি জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে এ চক্রগুলো। সাম্প্রতি আমরা অনেক চক্রকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারী চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, যারা জাল টাকা বাজারে ছাড়ে তারা একটি সংঘবদ্ধচক্র। অতিরিক্ত গোয়েন্দা নজরদারি রাখলেই এ চক্রের হাত থেকে সাধারণ মানুষ রক্ষা পেতে পারে। এবং টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে সবাই সচেতন হলে অনেকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

কেএম

Header Ad
Header Ad

পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামকে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

নিয়োগের শর্ত হিসেবে জানানো হয়েছে, ময়নুল ইসলামকে তার সুবিধাসহ অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) স্থগিত করে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনের আগে তাকে অন্য কোনো পেশা, ব্যবসা বা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। নিয়োগের অন্যান্য শর্ত পরবর্তীতে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ঠিক পরদিন, গত বছরের ৬ আগস্ট রাতে মো. ময়নুল ইসলামকে আইজিপি পদে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। তবে মাত্র তিন মাসের মাথায়, ২০ নভেম্বর তাকে সরিয়ে সেই পদে নিয়োগ দেওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহারুল আলমকে।

রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত বছরের ২৬ নভেম্বর ময়নুল ইসলামের চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।

পোল্যান্ডে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ১০ এপ্রিল থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন মো. ময়নুল ইসলাম।

Header Ad
Header Ad

জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ

কাঁচা আম। ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মকাল মানেই কাঁচা আমের মৌসুম। ঝাল-টক স্বাদের এই ফল শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। অনেকেই কাঁচা আম খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু জানেন কি, এই টক-মিষ্টি ফলটির রয়েছে দেহের জন্য একাধিক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা? এতে থাকা ভিটামিন সি, এ, কে, বি৬ ও ফোলেট শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সহায়তা করে। হজম, রক্তচাপ, ত্বক কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা—সবক্ষেত্রেই কাঁচা আম কাজ করে নিঃশব্দ সহায়কের মতো।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আম খাওয়ার ১১টি দারুণ উপকারিতা-

১. গরমে শরীর রাখে ঠান্ডা ও সতেজ

প্রচণ্ড গরমে শরীর যখন পানিশূন্যতায় ভোগে, তখন কাঁচা আমের রস হতে পারে নিখুঁত সমাধান। এটি শরীরে সোডিয়াম ও অন্যান্য ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রেখে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করে।

২. হজম শক্তি বাড়ায়

কাঁচা আম পাচক রসের নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া এমনকি বমি ভাব দূর করতেও এটি কার্যকর।

৩. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক

এতে থাকা নিয়াসিন ও ফাইবার হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

৪. লিভারকে রাখে সুস্থ

কাঁচা আম পিত্ত নিঃসরণ বাড়িয়ে লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিয়ে এটি লিভারের কর্মক্ষমতা উন্নত করে।

৫. দাঁতের যত্নে দারুণ

মাড়ি থেকে রক্তপাত, মুখে দুর্গন্ধ বা দাঁতের ক্ষয়—এসব সমস্যায় কাঁচা আম বেশ কার্যকর। এটি মুখগহ্বরের ব্যাকটেরিয়া দমন করে।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন সি ও এ-তে ভরপুর কাঁচা আম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করে। সর্দি, কাশি ও মৌসুমি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

৭. রক্তের স্বাস্থ্য উন্নত করে

কাঁচা আম রক্তস্বল্পতা দূর করে, হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতাও বজায় রাখে।

৮. ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর

এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ ও সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা প্রতিরোধ করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমায়।

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

যথোপযুক্ত পরিমাণে কাঁচা আম খাওয়া রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে, তবে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।

১০. মেজাজ ভালো করে ও ক্লান্তি দূর করে

কাঁচা আমের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা মেজাজ ভালো রাখে ও গরমে সৃষ্ট অতিরিক্ত ক্লান্তি কমায়।

১১. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

কাঁচা আমে থাকা আঁশ ও পানি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

Header Ad
Header Ad

এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক দাখিল পরীক্ষার্থী। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার মহিষকাটা এলাকার দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের আরিফ মৃধার প্রেমের সম্পর্ক হয়।

গত তিন বছর ধরে তারা প্রেম করছে, এমন দাবি ওই পরীক্ষার্থীর।

প্রেমিক কলেজপড়ুয়া আরিফ মৃধা তাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ৩ এপ্রিল আরিফের বাড়ি আসে ওই পরীক্ষার্থী। পরে আরিফের পরিবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে আমতলী থানায় পাঠায়। পুলিশ তাকে স্থানীয় মনির প্যাদার হেফাজতে দেন। কিন্তু আরিফ তাঁকে বিয়ে করেননি।

আজ তার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সে পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে আরিফ মৃধার বাড়িতে অনশনে বসেছে। পরে সে ঘোষণা দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরিফ তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে। অপর দিকে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন।

ওই দাখিল পরীক্ষার্থী বলে, ‘আরিফ মৃধা আমার সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেম করছেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এখন তাঁর পরিবারের কথামতো আমাকে বিয়ে করতে রাজি না। তাই আমি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে বিয়ের দাবিতে আরিফের বাড়িতে অনশনে বসেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। আমি তো আমার সবই হারিয়েছি। এখন আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।’

ওই পরীক্ষার্থী বলে, ‘৩ এপ্রিল আমি এ বাড়িতে আসার পর আরিফের মা আমাকে তাঁর ছেলের সঙ্গে রাতে থাকতে দিয়েছেন, এখন তাঁরা পালিয়ে গেছেন।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ‘দুই পরিবার বসে সমাধান করতে বলেছি। সমাধান হয়েছে কি না, আমি জানি না।’ এ বিষয়ে কথা বলতে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বিষয়টি জানি। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই আমি একজনের জিম্মায় দিয়েছিলাম।’

ওসি বলেন, মেয়ের পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তাঁরা মেয়েকে নিতে রাজি নন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না