রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে নির্মাণ সামগ্রীর দাম

দুই সপ্তাহ আগেও রহিম স্টিল রডের দাম ছিলো ৭৯ হাজার টাকা টন। এখন তা ৯০ হাজার টাকা টন ছাড়িয়েছে। আবার টাকা দিয়েও সময় মতো পাওয়া যাচ্ছে না। একই দশা সিমেন্টের। প্রতি বস্তা নির্দিষ্ট কোম্পানির সিমেন্ট আগে ৪১০ টাকায় পাওয়া যেত। বর্তমানে তা ৫০০ টাকা। ইটের দামও হাজারে বেড়েছে দুই হাজার টাকা। নির্মাণ খাতের প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ রেখেছে বেশিরভাগ আসাবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। আর যারা নিজেরা মাথা গোঁজার ঠায় নির্মাণ করছেন, তারা পড়েছেন বিপাকে।

আবাসন প্রতিষ্ঠান এসডি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল বলেন, ‘আগের রেটে কাজ ধরেছি, কিন্তু ইট, রড, সিমেন্টের দাম বেড়েছে। ফলে জায়গা জমি বিক্রি করতে প্রজেক্ট শেষ করতে হবে।

শুধু তিনিই নন, অনেক নামি-দামি বড় বড় ডেভলপার কোম্পনিও তাদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন, ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে নির্মাণ ব্যয়। এভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাইতো স্থবির হয়ে গেছে আবাসন খাত।

সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেছেন, করোনার আগে থেকেই কাঁচামাল সংকট চলছে। যে কারণে রডের দাম আকাশছোঁয়া। ইউক্রেন যুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাজারে রডের কাঁচামালের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। আর কয়লার দামও লাগামহীন হয়ে যাচ্ছে। ৭ হাজার টাকা টনের কয়লা ২৫ হাজার টাকা হয়েছে। তাই ইটের দামও হুহু করে বাড়ছে।

জানতে চাইলে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের সেমার্স একতা ব্রিকসের জাহাঙ্গীর আলম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ ইটের গাড়ি ৩৫ হাজার টাকা মানে প্রায় ১২ হাজার টাকা প্রতি হাজার ইটের দাম। আরও বাড়বে দাম। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু কয়লার দাম কমছে না। তাই ইটের দামও বাড়বে। কোথায় ঠেকবে তা বলা মুশকিল। কারণ গত বছরে এক নম্বর ও পিক ইট ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে।’

শুধু রড, সিমেন্ট ও ইটের দামই নয়, নির্মাণ সামগ্রীর মধ্যে হার্ডওয়ারী থেকে শুরু করে থাই গ্লাস, সিরামিক, টাইসের দামও বাড়ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। মোহাম্মদপুরের মেসার্স আয়েশা হার্ডওয়ারের মালিক শরীফ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘মূল্যছাড় দিয়ে বার্জার পেইন্টের সিলার আগে ৩ হাজার টাকা ড্রাম বিক্রি করেছি। আর ওয়াল পুটিং ১ হাজার ৫০০ টাকা ড্রাম। কিন্তু আজ থেকে কোম্পানির সুর পাল্টে গেছে। ড্রামে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। এভাবে অন্যান্য হার্ডওয়ারের দামও বাড়তি।

এদিকে ফার্মগেটের শাহ আলম ট্রেডার্সের শাহ আলমও বলেন, ‘থাই গ্লাসের খুব খারাপ অবস্থা। সবমিলে আগে ৩২০ টাকা বর্গফুট বিক্রি করা হলেও বর্তমানে ৫০০ টাকার নিচে পাওয়া কঠিন। এভাবে চলতে থাকলে আরও বাড়বে দাম।’

মোহাম্মদপুরের মদিনা করপোরেশনের মেহেদী হাসান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘মিল থেকে সহজে রড পাওয়া যায় না রড, সিমেন্ট। প্রতিনিয়ত বাড়ছে দাম। প্রায় একমাস ধরে ৬০ গ্রেডের রড ৮০ হাজার টাকা ছিলো। বর্তমানে তা ৯০ হাজার টাকার বেশি। বিএসআরএম ও রহিম স্টিলের রড ৯০ হাজার ৫০০ টাকা এবং একেএস রড টনপ্রতি ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাও আবার অর্ডার দিলে সহজে পাওয়া যায় না। আর ৪১০ টাকার সিমেন্ট বর্তমানে ৫০০ টাকারও বেশি। এক মাস আগে ৪২০ টাকা প্যাকেট বিক্রি করা হলেও বর্তমানে সুপারক্রিট ৫১০ টাকা, স্ক্যান সিমেন্ট ৫২৫ টাকা, ফ্রেশ ৪৮০ টাকা প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে। মেঘনাসহ অন্যান্য সিমেন্টও এভাবে বাড়তি দামে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ঢাকা স্টিলের রিয়াদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আগে সপ্তাহে ২৫ থেকে ৪০ টন রড বিক্রি করা হতো। বিক্রি কমতে কমতে এখন এক টনে নেমে এসেছে।

মোহাম্মদপুরের অপর এক রড সিমেন্টের বিক্রেতা জানান, ক্রেতারা রড না পেয়ে বাড়ি-ঘর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। মিলমালিকরা রড দেয় না। ফলে আমরাও চাহিদা মোতাবেক ক্রেতাদের রড সরবরাহ করতে পারছি না।

মিলমালিকদের মতে, দেশে বার্ষিক রডের চাহিদা ৫৫ থেকে ৬০ লাখ টন। এর মধ্যে সরকারি উন্নয়নকাজে ব্যবহার হয় ৬০শতাংশ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ বেসরকারি খাতে। সম্প্রতি হুহু করে রডের দাম বাড়তে থাকায় সরকারি বেসরকারি সব খাতই স্থবির হয়ে গেছে।


এদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) থেকেও বলা হয়েছে বর্তমানে ৬০ গ্রেড রডের দাম বেড়েছে।

রডের প্রধান কাঁচামাল পুরোনো লোহালক্কড় বা আমদানি স্ক্র্যাপ। এসব দিয়ে রি-রোলিং মিলে গলিয়ে রড তৈরি করা হয়। ৩০ শতাংশ স্ক্র্যাপ সংগ্রহ করা হয় অভ্যন্তরীণভাবে। ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী ও পুরাতন জাহাজ কেটে তা থেকে স্ক্র্যাপ সংগ্রহ করা হয়। আর বাকি ৭০ শতাংশ স্ক্র্যাপ আমদানি করা হয়।

চট্রগ্রাম থেকে নারায়নগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএসআরএম, একেএস, রহিম স্টিলসহ রি-রোলিং মিলের সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১৩০টি। এরমধ্যে বড় আকারের ৫০টি। বাকিগুলো ছোট ও মাঝারি।

উল্লেখ্য, রডের প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপ আমদানি করা হয় মূলত ইউরোপ ও রাশিয়া থেকে। ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে স্ক্র্যাপের দাম আরও বেড়ে যায়।

রি-রোলিং মিলের মালিকরা বলেছেন, যুদ্ধের আগে বিশ্ববাজারে প্রতি টন স্ক্র্যাপের দাম ছিল ৫৭০ থেকে ৬০০ ডলার। সেই স্ক্র্যাপের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে এখন ৬৫০ থেকে ৭০০ ডলার। হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধির কারণে স্ক্র্যাপ সরবরাহ ব্যহত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশীয় বাজারে।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং মিলস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি ও শাহরিয়ার স্টিল মিলের মালিক মাসাদুল আলম মাসুদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বর্তমানে যেভাবে দাম বাড়ছে কিছু বলার নেই। কারণ রড তৈরির প্রধান কাঁচামাল পুরোনো লোহা, যা স্ক্র্যাপ নামে পরিচিত। এই স্ক্র্যাপ আমদানি করে আমরা কারখানায় বিলেট তৈরি করে রড উৎপাদন করি। কিন্তু এই কাঁচামাল নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে। বেশির ভাগ ফ্যাক্টরি কাঁচামাল সংকটে ভুগছে, যে কারণে রডের সংকট তৈরি হয়েছে। বর্তমানে মিলমালিকদের কাছে কোনো স্টক নেই। ফলে নিয়মিত এলসি খুলে কাঁচামাল আনতে হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান নগদ অর্থসংকটে ভুগছে। ফলে তারা এলসি খুলতে পারছে না।

কিভাবে কমতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অস্থির রডের বাজার সহনীয় করতে হলে এর কাঁচামাল স্ক্র্যাপ সহজলভ্য করতে হবে। এ জন্য কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক-কর রেয়াত দেয়ার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বাজারে কাঁচামালের সরবরাহ বাড়াতে হবে। তা না হলে বাড়তে থাকবে রডের দাম। এর প্রভাব পড়বে আবাসন নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজে।

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে সাবেক সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূইয়া ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘কিছু দিন আগে থেকে বাড়তেই আছে নির্মাণ সামগ্রীর দাম। এরফলে আবাসন খাতে ধস নেমে গেছে। এছাড়া পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ সরকারের উন্নয়ন কাজেও প্রভাব পড়েছে। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের উচিৎ অতি দ্রুত সভা করে করণীয় নির্ধারণ করা। কারণ এভাবে সব জিনিসের দাম বাড়তে থাকলে সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’ অনেক কোম্পানি গ্রাহককে ফ্লাট বুঝিয়ে দিচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা এ কাজ করছে ঠিক করছে না। কারো অভিযোগ থাকলে আর্বিটেশন বোর্ড রয়েছে। সেখানে অভিযোগ করলে তা আমলে নেওয়া হবে।’

জেডএ/

 

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি