বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঢাকায় বেড়েছে চুরি-ছিনতাই

হঠাৎ ঢাকাতে বেড়েছে চুরি-ছিনতাই। আর এই চুরি-ছিনতাই রোধে বিশেষ নির্দেশনায় কাজ করছে পুলিশ। বাড়ানো হয়েছে টহল-তল্লাশি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এসব ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার পাশপাশি ঘটছে প্রাণহানিও। এ ঘটনায় ফেব্রুয়ারি মাসে রাজাধানীতে প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। তা ছাড়া এসব চুরি ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে ২ মাসে আহত হয়েছেন ৫০ জন। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের পুলিশী সূত্র এসব তথ্য নিশ্চত করেছেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগীদের অনেকের অভিযোগ- ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রতিকারও মেলে কম। কারণ ঘটনার পর ভুক্তভোগীদের অভিযোগ বা মামলা না করা।

এদিকে ডিএমপি কমিশনার বলছেন, পুলিশকে চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘ সময় ধরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একাধিক ছিনতাইয়ের পর নির্বিঘ্নে এলাকা ত্যাগ করে ছিনতাইকারী দল। পরে চক্রটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করছে গোয়েন্দারা।

মোহাম্মদপুরেই ভিন্ন কায়দায় দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের শিকার হন এক যুবক। আহত হওয়ার পর কয়েকদিন হাসপাতালেও থাকতে হয়েছে। ঘটনায় জড়িতরাও আটক হয়েছে।

ভুক্তভোগী মো. রুমান খান জানান, ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে সবকিছু ছিনিয়ে নিতে গেলে তিনি বাধা দেন। তখন চাপাতি দিয়ে তার হাত ও মাথায় আঘাত করে।

গত মাসে রাত ১১টার দিকে কারওরান বাজার বাংলাভিশনের অফিস ভবনের বিপরীতে পার্শ্বে ছিনতায়ের শিকান হন আনিসুর রহমান। তার কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেয় তারা। এরপর আনিসকে ছুরি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে পুলিশ আনিসকে ঢাকা মেডেকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

উত্তরার সানজিদা রাফসান জনি নামে এক নারী ভুক্তভোগী জানান, ছিনতাইকারী তার হাতের ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে গেলে তার হাতে আটকে যায়। তখন সেই ছিনতাইকারীদের প্রাইভেটকারটি তাকে টেনে হিঁচড়ে কয়েকশ মিটার দূরে নিয়ে যায়।

ছিনতাইয়ের ঘটনায় গেল কয়েক বছরের পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে—২০২১ সালে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঢাকা মহানগরীতে মামলা হয় ১৪৫টি, ২০২০ সালে ১৭৬টি, ২০১৯ সালে ১৫৫টি, ২০১৮ সালে ২১৬টি, ২০১৭ সালে ১০৩টি, ২০১৬ সালে ১৩২টি, ২০১৫ সালে ২০৫টি ও ২০১৪ সালে ২৬৫টি মামলা দায়ের হয়। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে মামলা হয়েছে ১৩টি। এ ছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে ১০টি।

তবে এসব ঘটনায় শুধু থানার মামলার হিসাব এগুলো। বাস্তবে ছিনতাইয়ের ঘটনা আরও বেশি।

এদিকে অভিযোগ দিতে গিয়েও ভুক্তভোগীদের আছে নানান অভিজ্ঞতা। ভুক্তভোগীরা জানান, পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই ছিনতাইয়ের ঘটনা হারিয়ে যাওয়ার নামে সাধারণ ডায়েরি করে এবং এর আর কোনো আপডেট পাওয়া যায় না।

গেল মাসে রাজধানীর তিনটি এলাকায় ছিনতাইকারীর হাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। সবগুলো ঘটনার ধরন একই। টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিতে বাধা দিলে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত রাজধানী ঢাকায় সুযোগ পেলেই ছিনতাইকারী চক্র ছোঁ মেরে জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নগরীতে ছিনতাইয়ের অনেক ঘটনা ঘটে। পথে পথে ওঁৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা দিনে-দুপুরেও ছিনতাই করে। গত মাসে হঠাৎ ছিনতাই চক্রের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করেছে পুলিশ।

ওই সূত্রটি নিশ্চিত করে বলেন, রাজধানীতে ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠার কারণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেন তাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না। একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। দিন-রাতের যেকোনো সময়েই ছিনতাইয়ের শিকার হতে হচ্ছে তাদের। এসব ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।

রাজধানী ঢাকায় গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি দুর্ধর্ষ ছিনতাই সংঘটিত হয়েছে, যা খুবই ভয়ঙ্কর প্রকৃতির। আলিমুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ী সম্প্রতি ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে আদাবর থেকে রিকশায় ধানমন্ডি যাচ্ছিলেন। রিকশাটি মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ রোডের ব্যাংক এশিয়ার সামনে পৌঁছলে একটি সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেলে করে আসা তিনজন ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে। তারা জোর করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। পোশাক ও কাগজের ব্যবসায়ী আলিমুজ্জামান এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা মহানগরীর তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি জানার পর থেকেই কাজ শুরু করেছি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই ঘটনার তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

অপর এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজধানীর মিরপুর বাউনিয়াবাদ ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রায়হান (২৫) নামে এক পোশাককর্মী নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় পল্লবী থানা পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মোশারফ হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী রাজধানীর শ্যামবাজারে মালামাল কিনতে যাচ্ছিলেন। সায়েদাবাদ ফ্লাইওভার ঢাল থেকে দয়াগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় সড়কে ছিনতাইকারীর পাল্লায় পড়েন তিনি। তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ জানিয়েছেন, মোশারফ একজন ভ্রাম্যমাণ হলুদ, মরিচ ও মসলা বিক্রেতা ছিলেন। শ্যামবাজারে মালামাল কিনতে যাওয়ার পথেই ছিনতাইয়ের শিকার হন। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে। ওই রাতেই যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ মোশারফের হত্যাকারী দুই ছিনতাইকারী সজীব (২০) ও শাকিলকে (২০) গ্রেপ্তার করে। তারা এর আগেও যাত্রাবাড়ীতে একটি ছিনতাইয়ে হত্যা মামলার আসামি ছিল। আদালত থেকে জামিনে তারা বের হয়ে ফের ছিনতাই কাজে নেমেছে। এর পেছনে আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

একই দিনে মিরপুরে এক বিদেশি নাগরিক ছিনতাইয়ের শিকার হন। তার কাছ থেকে ছিনতাইকারীরা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ১০ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া, গত এক সপ্তাহের মধ্যেই তেজগাঁও, তুরাগ, দক্ষিণ খান, ডেমরা, খিলগাঁও, হাজারীবাগ ও বাবু বাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলছেন, হঠাৎ করে ছিনতাই বেড়ে গেলেও কর্তব্যরত মাঠ পর্যায়ের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে যথাযথ সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানী ঢাকার ৫০ থানা এলাকার বেশিরভাগ স্থানেই রাত ১০টার পর সড়কে কোনো পুলিশ থাকে না। টহল পুলিশের গাড়িও চোখে পড়ে না বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। ফলে অরক্ষিত সড়কে রিকশা আরোহীসহ চলাচলরত সাধারণ মানুষ ছিনতাইকারীর কবলে পড়ছেন। এসব ছিনতাই ঘটনার শিকার বড় একটি অংশ থানা পুলিশের কাছে যাচ্ছেন না।

মো. জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একজন ভুক্তভোগী বলেন, রাত ১টার দিকে মোটরসাইকেলে করে মিরপুর থেকে সূত্রাপুর যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময়ে সড়কে কোনো পুলিশকে দেখতে পাননি তিনি। মিরপুর থেকে সূত্রাপুরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। এই বিশাল দূরত্বে কোনো টহল পুলিশ না দেখতে পেয়ে অনেকটা ভয়ও পেয়েছিলেন তিনি। সূত্রাপুরে দু’জন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেল থামিয়ে ফোন আর মানিব্যাগে থাকা টাকা নিয়ে চলে যায়। ‘পুলিশের বাড়তি ঝামেলা এড়াতে’ মামলা করেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) হাফিজ আল আসাদ বলেন, ছিনতাই চক্রের বিরুদ্ধে আমাদের পুলিশের বিভিন্ন অভিযান চলমান রয়েছে। এসব অপরাধ দমনে পুলিশ সবসময় সোচ্চার।

জানতে চাইলে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা পুলিশকে জানান না। কী কারণে এসব ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে তা প্রায় পুলিশের অজানা। তবে এসব রোধে আমরা কাজ করছি।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানিয়েছেন, সচেতন নাগরিকদের ছিনতাইয়ের ঘটনা অবশ্যই পুলিশকে জানানো উচিত। তিনি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেছেন, ছিনতাই প্রতিরোধে গোয়েন্দা পুলিশের প্রায় ৭০টির মতো টিম পুরো ঢাকা শহরে দায়িত্ব পালন করছে। এর মধ্যেও দুয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। তবে বেশিরভাগ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুয়েকটি ঘটনায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা শীঘ্রই তাদেরও গ্রেপ্তার করতে পারব। পুলিশের দাবি ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়লেও তা এখনও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেনি। তবে সম্প্রতি ছিনতাইয়ের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ ঘটনায় আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি দুয়েকটি ঘটনায় তদন্তের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, সম্প্রতি আমরা কয়েকটি ছিনতাই চক্রকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। তারা মূলত অটো রিকশা, ভ্যান, ট্যাক্সি, বাসাবাড়িসহ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই করত। দীর্ঘদিন ছিনতাই করতে করতে তারা খুনের সঙ্গে জড়িত হয়। সম্প্রতি সাভার-আশুলিয়ায় এক চালককে তারা খুন করে। ওই ঘটনার সূত্র ধরে এ চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আমরা আইনের আওতায় এনেছি।

তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি।

র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, র‍্যাব সব সময় বিভিন্ন অপরাধ দমনে তৎপর রয়েছে। আমরা ভিকটিমদের অভিযোগের ভিত্তিতে চুরি ছিনতাই ও এ ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি অনেক চুরি ছিনতাই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি।

এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ব্যস্ত শহরে ছিনতাই ঠেকানো একেবারে সম্ভব নয়। এজন্য নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। সবাই সচেতন হলে এসব অপরাধ কমে আসবে।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, রাজধানীসহ ঢাকার আশেপাশে হঠাৎ করে ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। এসব ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রাণহানিও ঘটছে এবং মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে।

তিনি বলেন, ঘটনাগুলোর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। সেসব বিষয় চিহ্নিত করে কাজ করতে হবে। এই বেপরোয়া ছিনতাইকারী চক্রদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযান চলমান রাখলে হয়তো এসব অপরাধ কমে আসবে।

তবে সাধারণ মানুষকে এসব বিষয়ে অতিরিক্ত সচেতন হতে হবে বলে জানান এই অপরাধ বিশেষজ্ঞ।

কেএম/টিটি

Header Ad
Header Ad

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা কী করলাম বা করলাম না- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটি দিয়ে আমাদের বিচার করবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং এর ভিত্তিতেই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, "এটি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। আমি জাতির পক্ষ থেকে কমিশনের দুই চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই দুটি প্রতিবেদন দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। আপনি দরিদ্র, মধ্যবিত্ত বা ধনী যেই হোন না কেন, এই সংস্কারের প্রভাব থেকে কেউই বাদ যাবেন না।"

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকরা তাদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পাবেন। আমরা যেন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাই, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।"

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "যাতে সবাই মনে করতে পারে, এখানে প্রকৃত সত্য বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। আমাদের তো পণ্ডিত হতে হবে না এটি বোঝার জন্য, কারণ প্রতিদিনই আমরা নানা অবিচারের শিকার হই।"

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সংস্কার কমিশনের কাজ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্বের দরবারে এটি তুলে ধরতে হলে এর ইংরেজি অনুবাদ করা প্রয়োজন।"

কমিশনের সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "আপনাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও গবেষণার সংমিশ্রণে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দলিল হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কী করলাম বা করলাম না, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের সেই কাজের জন্যই বিচার করবে। তারা প্রশ্ন করতে পারে, আপনারা তো পেয়েছিলেন, তাহলে বাস্তবায়ন করেননি কেন? কারণ, সবকিছু তো বইয়ের পাতায় লেখা আছে। এই কাজ জাতির জন্য এক মূল্যবান স্মারক হয়ে থাকবে।"

Header Ad
Header Ad

হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান

সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বিএনপি নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষকে গুম ও খুন করে স্বৈরাচার ভারতে পালিয়ে গেছে। যে কোন মূল্যে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে। এই প্রশ্ন গণতান্ত্রিক সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে 'আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় জুলাই আগস্ট বিপ্লবে নিহত ৪৫ শহীদ পরিবারকে আর্থিক অনুদান এবং ‌র‌্যাবের গুলিতে নিহত যুবদল নেতা মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ঘর উপহার উপলক্ষ্যে সোনাগাজী সরকারি ছাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের কথা বলে যে সময়ক্ষেপণ করছে এবং সংস্কার কাজ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করছে, তা কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি-না সে ব্যাপরে সবাই সজাগ থাকতে হবে।

এ সময় তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার বিগত ১৭ বছর মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল । সে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে লড়াই করে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিগত ১৭ বছরের লড়াই এবং ২৪এর জুলাই আগস্টের বিপ্লবের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে সবাইকে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। এখন দেশে যে সংস্কারের আলোচনা চলছে সেই সংস্কার প্রস্তাব বিগত আড়াই বছর পূ্র্বে আমরাই দিয়েছিলাম। স্বৈরাচার আমাদের সংস্কার প্রস্তাব আমলে নেয়নি। আর সেই বিশ্বাস থেকেই আমরা জাতির সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছি। কারণ বিএনপি দেশ ও জনগণ নিয়ে ভাবে। দেশের কল্যাণে কাজ করতে চায়।

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে এবং শহীদদের স্বপ্নের দেশ বিনির্মাণ হবে।

বিএনপি দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে প্রস্তুত উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি সব সময়ই দেশ ও জনগণের কল্যাণ নিয়ে ভাবে। এর বড় কারণ হলো- দেশের জনগণ বিএনপির উপর আস্থা রাখতে চায়। কীভাবে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে আসবে নেতাকর্মীদের সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

আমরা বিএনপি পরিবার কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে ও ফেনী পৌর বিএনপি'র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ও আমরা বিএনপি পরিবার কেন্দ্রীয় কমটির সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুনের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভেকেট রুহুল কবির রেজভী, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক,জয়নাল আবেদীন ভিপি জয়নাল, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন, সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদ, অ্যাডভোকেট শাহানা আক্তার শানু, আবদুল লতিফ জনি, জালাল আহমদ মজুমদার, মামুনুর রশিদ মামুন, মশিউর রহমান বিপ্লব, ফেনী জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম আহবায়ক গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন সেন্টু, সদস্য সচিব সৈয়দ আলম ভূঞা, শহীদ ছাত্রদল নেতা কাওছার উদ্দিনের পিতা ফিরোজ আলম, শহীদ মেহাম্মদ মাসুদের কন্যা মুনতাহা বিনতে মাসুদ ও শহীদ জাফর আহমদের কন্যা জাহানারা বেগম প্রমুখ।

এসময় ২০১৬ সালের ২৫ জুন র‌্যাবের গুলিতে নিহত মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ঘর এবং ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে নিহত ৪৫ শহীদ পরিবারসহ আহতদের প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর বদলগাছীতে মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়েছে স্থানীয় আ'লীগের কর্মিরা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের কটকবাড়ি এলাকায় তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। আহত অবস্থায় তাঁকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত সিহাব নওগাঁ নামাজগড় গাউসুল আজম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য ও একই এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বদলগাছী সদর এলাকার রাসেল ও সাথী নামে দুই যুবক-যুবতী গতকাল বিকালে নওগাঁ থেকে মার্কেট করে ফেরার পথে কটকবাড়ী এলাকায় মোটরসাইকেল থামিয়ে নদীর ধারে ঘোরাঘুরি করছিল। সন্দেহ হলে ঐ এলাকার আওয়ামী লীগের কর্মি প্লাবন,অনিক,আশিক, রাকিব,ইয়াজুলসহ ১০-১৫ জন কর্মি তাদের আটক করে মারধর করে। পরে তাদের নদীর ধারে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে দশ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রদল কর্মী সিহাব সহ গ্রামবাসি ঐ ছেলে মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগের কর্মি কয়েকজন অতর্কিতভাবে তাঁর ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ধারালো কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে সিহাব কে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখানে গিয়ে সিহাব কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন।

বদলগাছি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাহিদ রানা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতা কর্মি। মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় তার ওপরে হামলা করেছে।’

বদলগাছী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুমন হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘দলের দুঃসময়ের কর্মী সিহাব। ন্যাক্কারজনক এ হামলার ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।’

তবে অভিযোগ ওঠা যুবকদের সাথে যোগাযোগ করা না গেলেও তাদের মধ্যে রিয়াজুল নামের এক অভিভাবক দায়সারা জবাব দেন। তিনি বলেন, ওই দুই যুবক-যুবতী অনৈতিক কার্যকলাপ করার জন্য এসেছিল। তাদের সন্দেহ হলে এলাকার ছেলেরা ধরে বিচার করতে চেয়েছিল। সিহাব এখানে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে একটু হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি।

এ প্রসঙ্গে বুধবার (৫ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজাহান আলী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন , ‘ছাত্রদল কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এখনো অভিযোগ হাতে আসেনি। তবে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান
মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা
খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি
বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ