রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মেডিকেলে ভর্তির পরেও পাপ্পুর কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

পাপ্পু হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাবা পেশায় দিনমজুর। মা গৃহিনী। তারপরেও নিজের স্বপ্নের পরিধি কখনও ছোট করেনি নওগাঁর ছেলে পাপ্পু হোসেন। স্বপ্ন তাঁর চিকিৎসক হবেন। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলেছেন তিনি। সর্বশেষ ভর্তি পরীক্ষা নামের কঠিন জয়ী হয়ে মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। তবে এমন বহুল প্রত্যাশিত আনন্দের খবরের পর দুশ্চিন্তাও ভর করেছে পাপ্পু ও তাঁর পরিবারের ওপর।

নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় মেডিকেলে ভর্তির টাকা জোগাড় হলেও পড়ালেখার খরচ আসবে কোথা থেকে, সেই চিন্তায় দিন কাটছে তাঁদের। পাপ্পুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে। ফিরোজ হোসেন ও রেখা বেগমের সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে পাপ্পু ছোট। এসএসসি পাশের পর বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায়। এরপর আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি। বাবা ফিরোজ হোসেন কখনও অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিক, আবার কখনও চালকলের চাতালে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। মা রেখা বেগম গৃহিনী। সম্বল বলতে বসতবাড়ি আর আবাদি মিলে দেড় বিঘা জমি।

পাপ্পুর পরিবারে একমাত্র বাবা ছাড়া উপার্জনক্ষম আর কেউ নেই। আর্থিক টানা-পোড়েন ও নানা সমস্যার মধ্যেও পড়াশোনায় থেমে যাননি পাপ্পু। সবস্তরের পাবলিক পরীক্ষায় পেয়েছে জিপিএ-৫। ঝিকড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ ও মেধাবৃত্তি পান পাপ্পু। চক-আতিথা উচ্চবিদ্যালয় থেকে জেএসসিতে জিপিএ-৫ ও সাধারণ বিভাগে বৃত্তি পান তিনি। একই প্রতিষ্ঠানে এসএসসিতে পান জিপিএ-৫। সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন এসএসসিতেও। নওগাঁ সরকারি কলেজ থেকে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পান জিপিএ-৫।

সাফল্যের ধারাবাহিকতায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ২ হাজার ৮১৫তম স্থান অধিকার করে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন পাপ্পু। মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরপরই ভর্তির টাকা জোগাড় করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পাপ্পু ও তাঁর পরিবার। মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও পড়ালেখায় আর্থিক সহযোগিতার জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন পাপ্পু।

আবেদন পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পাপ্পুকে মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেন। এখন তাঁর সব চিন্তা মেডিকেলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার খরচ জোগানো নিয়ে।

পাপ্পুর বাবা ফিরোজ হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বসতবাড়ি আর আবাদি মিলে দেড় বিঘা জমি হামার সম্বল। এইটুকু জোতজমা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। তাই কখনও অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিক আবার কৃষিকাজ না থাকলে চালকলের চাতালে দিনমজুর হিসেবে কাজ করে সংসারের খরচ জোগাই। দিনমজুর কাজ করেই সংসারের খরচ জোগানোর পাশাপাশি ছেলেটার পড়ালেখার খরচ জোগাতে হয়। আগে তো বাড়ি থেকে স্কুল কলেজে গিয়ে পড়ালেখা করিছে। ওর স্কুল কলেজের শিক্ষকেরা অনেক সহযোগিতা করিছে। অ্যাখন তো সেই ম্যালাদূর খুলনাত গিয়ে পড়ালেখা করতে হবে। মাসে নাকি কম করে হলেও ৮-৯ হাজার টাকা খরচ লাগবে। আগে তো দুই-তিন হাজার টাকার জোগান দিতেই কষ্ট হতো। অ্যাখন অ্যাত টাকা কোথায় পামু সেই চিন্তাই আছি।’

চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন কীভাবে হলো জানতে চাইলে পাপ্পু হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে জানান, ‘এটা একটা সেবামূলক পেশা। এই পেশায় অনেক মানুষের সেবার পাশাপাশি নিজের আর্থিক উন্নয়নও করা সম্ভব। আমার বাবা-মা ও শিক্ষকেরাও আমাকে চিকিৎসক হওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। ডাক্তার হয়ে আমি নিজ এলাকাতেই কাজ করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, “আমি পড়াশোনায় ভালো দেখে বাবা কখনও আমাকে নিজের জমিতে কৃষি কাজ করতে দেইনি। দিনমজুর কাজ করতেও দেইনি। বাবা সব সময় বলতো, ‘তোর কোনো কাজ করতে হবে না। তোর কাজ শুধু পড়ালেখা করা।’ মা-ও অনেক কষ্ট করেছে। আমাকে বড় করার পিছনে বাবা-মা অবদানই বেশি। পাশাপাশি আমার স্কুল ও কলেজের শিক্ষকেরাও আমাকে অনেকভাবে সহযোগিতা করেছেন।”

Header Ad
Header Ad

দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে ভটভটির ধাক্কায় জায়েদা বিবি (৬৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের বিজয়পুর মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জায়েদা বিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজীগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মনসুর রহমানের স্ত্রী।

নিহতের ছেলে আল মামুন বলেন, তাঁর বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রহিদুল ইসলাম রোববার সকালে উপজেলা সদরের প্রসাদপুর বাজার থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ভাইয়ের দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে তাঁর মা জায়েদা বিবি ভটভটিতে চড়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথে বিজয়পুর মোড় এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় একটি ভটভটি ধাক্কায় তিনি পাকা রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান জানান, অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত জায়েদা বিবির মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!

ছবি: সংগৃহীত

নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্রমাগত দুশ্চিন্তা শরীরের স্ট্রেস-রেসপন্স সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্রনিক স্ট্রেসের জন্ম দেয় এবং এমনকি অকাল মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, ফলে সংক্রমণ ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো মারাত্মক কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার সঙ্গেও এটি সরাসরি সম্পর্কিত।

বিশেষজ্ঞরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে কর্টিসলসহ বিভিন্ন স্ট্রেস হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণ হজমজনিত সমস্যা, পেশির টান, অনিদ্রা ও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

এছাড়া, অনিয়ন্ত্রিত বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ ধূমপান, অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ বা মাদকাসক্তির মতো ক্ষতিকর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে, যা আরও ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।

তবে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমানোর জন্য সচেতনতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসরণ করলে এ সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, মেডিটেশন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পেশাদার সহায়তা নেওয়া এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর হতে পারে।

সূত্র: আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন

Header Ad
Header Ad

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না।

রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, "জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে।"

তিনি আরও লিখেছেন, "এই সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নাই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।"

 

তরুণ এই বিএনপি নেতা তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনায় স্থানীয় নির্বাচন থাকতে পারে। কিছু নতুন দল বা ছোট দল নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করতে পারে। তবে তার মতে, "এই মার্কাবিহীন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে এই ব্যাপারে। এর বাইরে, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী বা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে, বা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, যে অবস্থানেই বিবেচনা করা হোক না কেন, আমি জানিয়ে দিচ্ছি—ঢাকার অলিগলির রাজনীতি কীভাবে চলে তা আমি জানি।"

ইশরাক হোসেন তার পোস্টের শেষ অংশে বলেন, "ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে। হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কিভাবে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটাও আমাদের মুখস্থ।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি