সিসি ক্যামেরাও থামাতে পারেনি দালাল দৌরাত্ম্য
খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের ভেতরে বাইরে দালাল চক্রের প্রকাশ্যে আনাগোনা এখানে আগতদের চিরচেনা রূপ। অভিযোগ রয়েছে, শুধু দালান নয়, নগরীর নূরনগর এলাকায় অবস্থিত অফিসটির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর দৌরাত্ম্যে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সেবা প্রার্থীদের। কিন্তু বর্তমানে পাসপোর্ট অফিস চত্বরে সিসি ক্যামেরাসহ নিরাপত্তা বাড়ানোর কারণে ওই চক্রের সদস্যদের আনাগোনা কমেছে দাবি করেছেন পাসপোর্ট অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তবে ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ বলছেন, আগে পাসপোর্ট করতে এলে আরো বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হতো। তার থেকে এখন অনেকটাই ভালো সেবা মিলছে। কিন্তু তারপরও থেমে নেই দালালদের দৌরাত্ম্য। সরোজমিনে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় গিয়ে দেখা যায়, সেবাপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন।
ভুক্তভোগীদের কয়েকজন জানান, দালাল চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে খুব কম সময়ে কাজ মিটিয়ে তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন। আর যারা তা না করছেন তাদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের এমনই একজন খুলনার ডুমুরিয়ার সাহাপুর এলাকার অসীম কুমার জানান, দালাল চক্র নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে। তারা নগরীর বিভিন্ন ছবি তোলার স্টুডিও, যেসব ব্যাংকে পাসপোর্টের ফি জমা নেয়া হয় তার বাইরে, বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের আশপাশে ও কম্পিউটারের দোকানগুলোতে অবস্থান নিয়ে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
অসীম আরও বলেন, নতুন পাসপোর্ট তৈরি, নবায়ন, সংশোধন, ডেলিভারি, কাগজ যাচাই, পুলিশ ভেরিফিকেশন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই দালালদের টাকা দিতে হয়। এমনকি পাসপোর্ট অফিসের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ও আনসার ভিডিপির সদস্যরাও দালাল চক্রের সাথে জড়িত।
একই রকম অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আরো কয়েকজন। সার্বিক বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক পারভিন আক্তার নুপুর এর কাছে ঢাকা প্রকাশের প্রতিবেদক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এএজেড