রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ | ৩০ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বেনাপোল কাস্টমসের সময় উপযোগী পদক্ষেপ, বেড়েছে রাজস্ব আয়

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানি রপ্তানি কমলেও বেড়েছে রাজস্ব আদায়ের হার আর এই কাজটি সম্পন্ন সম্ভব হয়েছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সময় উপযোগী পদক্ষেপের কারণে। সে কারণে গত ৯ মাসে বিগত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৩৬৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এরপর থেকে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানি ও রফতানি কমলেও বেড়েছে রাজস্ব আদায়।

কাস্টমস অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বেনাপোলে যোগদানের পর কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বন্দরের প্রত্যেকটি শেডে নিজে যেতেন। এর ফলে ওই মাসেই ১৭ নম্বর শেড পরিদর্শনকালে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আনা কোটি টাকার পণ্য আটক করেন। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি তার নেতৃত্বে ট্রাকসহ অর্ধ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য আটক করা হয়। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ’র লাইসেন্স বাতিলসহ মোটা অঙ্কের অর্থ জরিমানা আদায় করেন।

তার কারণে আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট সক্রিয় হয়ে ওঠে। তার সময়কালে এই চেকপোস্টে ১২ হাজার ৩৪২টি পণ্যের (ডিএম) চালান আটক করা হয়। যা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের অভিমত, দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর দু’দেশের সম্পর্কের টানাপড়েনের প্রভাব পড়ে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই থেকে মার্চ ) ভারতে প্রায় ২৮ লাখ ৪০ হাজার ৯৯ টন পণ্য রফতানি হয়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে  প্রায় ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭১ টন পণ্য রফতানি হয়েছিল। হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরের তুলনায় ১০ হাজার ২৭২ টন পণ্য কম রফতানি হয়েছে।

একই সময় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাসে ভারত থেকে প্রায় ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৬ দশমিক ২৯ টন পণ্য আমদানি হয়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে প্রায় ১২ লাখ ৫২ হাজার ৭৬৭ দশমিক ২৯ টন পণ্য আমদানি হয়েছিল। গত অর্থবছরের তুলনায় একই সময়ে ১৯ হাজার ২০ দশমিক ৮২ টন কম পণ্য আমদানি হয়েছে।

সূত্র জানায়, পণ্য আমদানি কিছুটা কমলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৩৬৬ দশমিক ১৫ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। বেনাপোল কাস্টম হাউসে চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। সেই আলোকে অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৪৩২ দশমিক ৩ কোটি টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৭৯৭ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা।

যার মধ্যে জুলাই মাসে ৪১৩ দশমিক ২২ কোটি টাকা, আগস্ট মাসে ৪০১ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা সেপ্টেম্বর মাসে ৪৮৯ দশমিক ১১ কোটি টাকা, অক্টোবর মাসে ৫২৪ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা, নভেম্বর মাসে ৬১৪ দশমিক ৭১, ডিসেম্বর মাসে ৭৭৮ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা, জানুয়ারি মাসে ৬২১ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ৮১৮ দশমিক ৫ কোটি টাকা এবং মার্চ মাসে ৭৭০ দশমিক ১১ কোটি রাজস্ব আদায় হয়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘দেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরে দু’দেশের রাজনৈতিক টানাপড়েন থাকায় ভারত থেকে আমদানি কিছুটা কমলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেশিরভাগ আমদানিকারক বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারের যেকোনো বিষয়ে তড়িৎ সিদ্ধান্তের কারণে কাস্টমসের বাড়তি রাজস্ব আদায়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে ।তবে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রাজস্ব ফাঁকি রোধে কড়াকড়ি আরোপ করায় অসাধু ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব শামছুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বর্তমান কাস্টমস কমিশনার বাণিজ্য সম্প্রসারণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। গত তিন মাস বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল চালু ও বসানো হয় স্ক্যানিং মেশিন। দ্রুত পণ্য খালাস ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রাজস্ব ফাঁকি রোধ ও বাণিজ্য সহজীকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এতে বর্তমানে বাণিজ্যে অনেকটা গতি ফিরেছে, কমেছে হয়রানি। যা সামনের দিনে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমদানি-রফতানি বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও জানান, বিগত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের শেষ সময়ে পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী ডলার পাওয়া যাচ্ছিল না। এ কারণে সে সময় পর্যাপ্ত এলসি খোলা সম্ভব ছিল না। কিন্তু বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ধীরে ধীরে ডলার সংকট কেটে গেছে। এখন আর আমদানিকারকদের এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে না।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, বৈধ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সহজীকরণে সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এতে বেনাপোলে সার্বিক আমদানি কমলেও রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৩৬৬ দশমিক ১৫ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ শতাংশের মতো।

এ বন্দরে আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্প কারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, গার্মেন্টস, শিশু খাদ্য, মাছ, কেমিকেলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। আর রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাট, পাটের তৈরি পণ্য, গার্মেন্টস, তৈরি পোশাক, কেমিকেল, টিস্যু পেপার, মেলামাইন ও মাছ উল্লেখযোগ্য।

Header Ad
Header Ad

চারুকলায় ফের তৈরি হচ্ছে ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’

ছবি: সংগৃহীত

চারুকলায় নববর্ষ আনন্দ শোভাযাত্রার মূল মোটিফ ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’ ফের তৈরি করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জানিয়েছেন, নতুন করে এ দায়িত্ব শিল্পীদের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

এবার নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রায় ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’ রাখার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে এসে দুষ্কৃতকারীরা তা পুড়িয়ে দেয়।

গতকাল শনিবার ঢাবি উপাচার্য চারুকলা অনুষদে গিয়ে সেখানে আনন্দ শোভাযাত্রার প্রস্তুতির অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। তখনই তিনি এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেখানে বাঁধা এসেছে। এ ধরনের কাজে কিছু বাঁধা আসেই, ষড়যন্ত্র থাকবেই। মানুষের পরিশ্রম, আল্লাহর উপর ভরসা করে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। এতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা এই মুহূর্তে একটি জাতীয় দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমরা সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানাই।’

মোটিফ তৈরির যাবতীয় সরঞ্জাম ইতোমধ্যেই চারুকলা প্রাঙ্গনে নিয়ে আসা হয়েছে। শিল্পীরা দ্রুততম সময়ে মোটিফ বানানোর কাজে লেগে পড়েছেন।

আগের মোটিফটি প্রায় এক মাস সময় নিয়ে গড়া হয়েছিল। সেটা ১ দিনে কীভাবে গড়া সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১ মাস ধরে বানানো একটা প্রতিকৃতি তো ১ দিনে বানানো সম্ভব না। দেখা যাক, শিল্পীরা কি করেন। তারা অনেক ভেবে, চিন্তা করে কি করেন সেটা পরে দেখা যাবে।’

পুরো বিষয়টির দেখভাল এখন শিল্পীদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা পরিকল্পনা করছেন। কীভাবে কাজটা সারা যায়, সেটি দেখছেন তারা।

তবে এ বিষয়ে শিল্পী ও শিক্ষকদের দাবি তারা যদি ২৪ ঘন্টাও কাজ করেন তাহলে ন্যূনতম ৫ দিন সময় লাগবে এমন প্রতিকৃতি তৈরি করতে। এখন যেটা সম্ভব তা হচ্ছে- আলোচনার মাধ্যমে ভিন্নভাবে কিছু তৈরি করা।

এর আগে আনন্দ শোভাযাত্রার প্রস্তুতি দেখতে চারুকলায় গিয়েছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সেখানে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এই আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আমি স্যালুট জানাই। তারা গত ১ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। “ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি” নাশকতার মাধ্যমে পুড়িয়ে ফেলে শিল্পীদের স্পিরিট দমানোর চেষ্টা করলেও আমি এসে দেখছি শিল্পীদের স্পিরিট দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আশা করবো দেশবাসী দারুণ একটি শোভাযাত্রা করবে। দেশবাসীকে আহ্বান জানাই শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য।’

প্রসঙ্গত, দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

শিল্পে গ্যাসের নতুন দরের ঘোষণা বিকেলে

ছবি: সংগৃহীত

শিল্পক্ষেত্রে গ্যাসের নতুন দরের ঘোষণা দেওয়া হবে আজ রোববার (১৩ এপ্রিল)। এদিন নতুন শিল্প গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের বাড়তি দর চেয়ে পেট্রোবাংলার করা আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিইআরসি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা হবে।

বিইআরসির তথ্যমতে, শিল্প গ্রাহকরা বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের বিল দিচ্ছে ৩০ টাকা দরে। এখন যে সব শিল্প চালু রয়েছে, তারা এই দরেই গ্যাস পাবে। আর নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে বিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা হতে পারে।

বিদ্যমান গ্রাহকদের দর (শিল্প ও ক্যাপটিভে গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১.৭৫ টাকা) অপরিবর্তিত রেখে নতুন ও প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল পেট্রোবাংলা। প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের (ইতোমধ্যে অনুমোদিত) অর্ধেক বিল বিদ্যমান দরে, অর্ধেক ৭৫.৭২ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। অন্যদিকে নতুন শিল্প ও ক্যাপটিভে গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১ দশমিক ৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ দশমিক ৭২ টাকা করা।

পেট্রোবাংলার দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি গ্রহণ করে বিইআরসি। পেট্রোবাংলা তাদের প্রস্তাবে বলেছে, দাম না বাড়ালে বছরে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে। পেট্রোবাংলার সেই প্রস্তাব নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শুনানিতেও ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা তীব্র আপত্তি তোলেন। বিশেষ করে শিল্পে দুই ধরনের দর করার বিরোধিতা করেন সবাই।

শুনানিতে অনেকেই শিল্পে দুই ধরনের দরের বিষয়ে আপত্তি করেন। তারা বলেছেন, বিদ্যমান শিল্পের জন্য গ্যাসের দর অপরিবর্তিত রেখে নতুন শিল্পের জন্য বাড়তি দাম নির্ধারণ করা হলে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে।

 

Header Ad
Header Ad

গাজায় যুদ্ধ থামাতে নেতানিয়াহুকে চাপ দিলেন ট্রাম্প!

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘমেয়াদি গাজা যুদ্ধ বন্ধে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—এমনটাই জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে শুরু হওয়া সংঘাতে গাজা পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। যদিও নভেম্বর মাসে এক সপ্তাহ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৫০ দিন যুদ্ধবিরতি ছিল, তবে বাকি সময়জুড়ে ইসরায়েল চালিয়ে গেছে অবিরাম হামলা। আর এতে অস্ত্র ও রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে পাশে থেকেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে সম্প্রতি পরিস্থিতিতে ভিন্ন সুর। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটির দাবি, গাজা যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙতে চলেছে। তার চাওয়া, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসরায়েল যেন হামাসের সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছায়—যার ফলে মুক্তি পাবে গাজায় আটকে থাকা ৫৯ জন ইসরায়েলি জিম্মি, জীবিত ও মৃত উভয়ই।

গত সপ্তাহেই ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন ট্রাম্প। বাইরে থেকে দেখা গেছে হাসিমুখে নেতানিয়াহুর প্রশংসা। কিন্তু পর্দার আড়ালে পরিস্থিতি ভিন্ন—ত্রাণবিরতি ও জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে ৩ সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ট্রাম্প, এমনটাই জানায় ইয়েদিওথ আহরোনোথ।

এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। ওইদিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে দুই জিম্মির পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আশ্বস্ত করেছেন—চেষ্টা চলছে।

ইয়েদিওথ আহরোনোথ আরও জানায়, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ট্রাম্পের বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য কৌশলের অংশ। তিনি চান, যুদ্ধ থেমে যাক এবং ইসরায়েল-সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হোক। একইসঙ্গে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক আলোচনাকেও এই পরিকল্পনার অংশ বলে দাবি করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চারুকলায় ফের তৈরি হচ্ছে ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’
শিল্পে গ্যাসের নতুন দরের ঘোষণা বিকেলে
গাজায় যুদ্ধ থামাতে নেতানিয়াহুকে চাপ দিলেন ট্রাম্প!
ভারত থেকে এলো আরও ৩৬ হাজার টন চাল
শাকিব জাতিকে কী শেখাল? বরবাদে কোকেন সেবনের দৃশ্য নিয়ে ক্ষুব্ধ ইকবাল
আম্পায়ারের প্রতি ‘আগ্রাসী’ আচরণ, নিষিদ্ধ তাওহীদ হৃদয়
ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার দ্রুত এগিয়ে নেয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো রেকর্ড ৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা
পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ লেনদেন, বিজিবি সদস্যসহ ২ প্রতারক আটক
বেনাপোল কাস্টমসের সময় উপযোগী পদক্ষেপ, বেড়েছে রাজস্ব আয়
রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে ২ মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, আহত ১২
ফিলিস্তিনিদের মুক্তি কামনায় মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো 'মার্চ ফর গাজা'
আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে বাস করে একটি করে ফিলিস্তিন: আজহারী (ভিডিও)
নওগাঁয় বিলের খাস জমিতে পুকুর খননের প্রতিবাদে কৃষকদের মানববন্ধন
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন মাহমুদুর রহমান
৩ বছরে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিধান বাতিল করছে জার্মানি
কোরআন তেলাওয়াতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরু
সাকিবের বিচার এই দেশের মাটিতেই হবে: আমিনুল হক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেফতারে লাগবে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি: ডিএমপি