জঙ্গিসহ ৯১ ফাঁসির আসামি নিয়ে বিশেষ সতর্কতায় সিলেট কারাগার
জঙ্গিসহ ৯১ জন ফাঁসির আসামি নিয়ে কড়া সতর্কতায় সিলেট কারগার। কারাগারের কনডেম সেলে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে তিনজনকে ইতিমধ্যে সিলেট কারাগার থেকে অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকায় আদালত থেকে পুলিশের চোখে প্রিপার স্প্রে ছিটিয়ে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর জঙ্গিদের হাজির করার ক্ষেত্রে যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। এ কারণে কারাগারগুলোতেও বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সিলেট কারাগার কর্তৃপক্ষও বিশেষ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কারারক্ষীদের দায়িত্ব পালনেও আনা হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। কারাবন্দিরা যাতে কোনও গোপন বৈঠক, শলাপরামর্শ করতে না পারে সেজন্যও বাড়তি নজর রাখা হয়েছে।
কারা অধিদপ্তর জানায়, জঙ্গিদের থাকা, খাওয়া, চলাফেরায় নজরদারি আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা জঙ্গিসহ ফাঁসির আসামিদের শিকল (ডান্ডাবেড়ি) পরিয়ে রাখা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, কারাগারে বসেই বাইরের জগত নিয়ন্ত্রণ করতে সচেষ্ট রয়েছে জঙ্গিরা। বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বর্তমানে তারা ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। এসব প্রযুক্তি অতি সহজে বহনযোগ্য ও কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে কারাভ্যন্তরে নেওয়া যায়। ফলে জঙ্গিরা মেমোরি কার্ড, পেন ড্রাইভ, ইউএসবি পোর্টসহ আধুনিক ও ক্ষুদ্রাকৃতির প্রযুক্তি যন্ত্র ব্যবহার করছে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়াতে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে এসব জঙ্গি। যে কারণে কারাগারে বন্দিদের জন্য দেওয়া খাদ্য সামগ্রী তদারকিতে আরো কঠোর নীতি অবলম্বন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মুহম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, বর্তমানে কারাগারে ২ হাজার ৬৫০ জন বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গিসহ ৯১ জন ফাঁসির আসামি রাখা হয়েছে নতুন এই কারাগারের কনডেম সেলে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় মামলার হাজিরা দেওয়ার জন্য জঙ্গিদের মধ্যে তিনজনকে ইতিমধ্যে এই কারাগার থেকে অন্যত্রে নেওয়া হয়েছে। তবে অধিক নিরাপত্তায় এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে জঙ্গিদের আনা হয়ে থাকে। ঢাকার ঘটনার পর জঙ্গিদের হাজির করার ক্ষেত্রে অন্যত্রে যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্পর্শকাতর মামলার আসামিদের বহনের বিষয়টির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তা ছাড়া খাবার সরবরাহসহ সব বিষয়ে তল্লাশি কার্যক্রম কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। কারাগারের নিরাপত্তায় কারারক্ষীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
এসআইএইচ