শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সিলেটে বন্যা, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা

যুক্তরাজ্যের গ্লসটারশায়ারে বসবাস করেন তোফায়েল আহমদ মাছুম। বাড়ি বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘরে। বৃহস্পতিবার থেকে উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন। বন্যায় তার বাড়িও তলিয়ে গেছে। সুনামগঞ্জে বন্যার কারণে বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় দেশের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছেন না তিনি।

তোফায়েল আহমদ মাছুম বলেন, আমাদের বাসায় বন্যার পানি হাটু সমান, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় ইন্টারনেটও নেই। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।

শুধু মাছুম না যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী সিলেট অঞ্চলের মানুষ দুশ্চিন্তায়, উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। প্রতি মুহূর্তে ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত সিলেট, সুনামগঞ্জের স্বজনদের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।

নর্থাম্পটনের বাসিন্দা সাংবাদিক ফাত্তাহ চৌধুরী ফয়সাল বলেন, চার দিন ধরে উৎকণ্ঠায় কাটছে প্রতিটি মুহূর্ত। দেশে আমার বাসাবাড়ি সব বন্যার পানিতে নিমজ্জিত, অনেক চেষ্টা করে পরিবারের কারো কোনো খবর পাচ্ছি না। দেশের সরকারের কাছে দাবি জানাই, যারা বন্যায় আক্রান্ত তাদের যেন আশ্রয়, খাবারের ব্যবস্থা করেন। মোবাইল নেটওয়ার্কটা সচল করেন, যাতে আমরা দুশ্চিন্তায় থাকা স্বজনরা যোগাযোগ করতে পারি। আমরা প্রবাসীরা বন্যা দুর্গতদের সহায়তার জন্য প্রস্তুত আছি।

পূর্ব লন্ডনের বাসিন্দা আরিফুর রহমান লিমন বলেন, আমাদের সিলেট শহরের বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে গেছে। আমার বৃদ্ধ মা আর এক ছোট ভাই পানিবন্দি অবস্থায় রাত পার করছেন। আর পানি বাড়লে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হবে।

এদিকে বন্যায় আক্রান্তদের সহযোগিতারও উদ্যোগ নিচ্ছেন যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী প্রবাসীরা। ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এমডি নাজমুল ইসলাম সিলেট বিভাগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, যুক্তরাজ্য তথা ইউরোপের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সিলেট অঞ্চলের মানুষের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তা ছাড়া যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের মানুষের যে দূরাবস্থা তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের। সমগ্র ইউরোপে বসবাসরত সিলোটি এবং ইউরোপের বিশেষ করে যুক্তরাজ্য সরকারকে এ বন্যা কবলিত ভাগ্য তাড়িত মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানাই। আমরা বারমিংহ্যাম থেকে এ বিষয়ে কাল থেকেই ক্যাম্পেইন শুরু করছি। আশেপাশে যারা আছেন আওয়াজ দিন। বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সরকার, বাংলাদেশের জনগণের পাশে থেকে বিদেশ থেকেও আমরা কিছু করতে চাই।

যুক্তরাজ্য থেকে মাহমুদুর রহমান তারেক

এসএন

Header Ad
Header Ad

জামায়াতে ইসলামীকে নাম পরিবর্তনের পরামর্শ ফরহাদ মজহারের  

লেখক, কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীকে ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে বাংলাদেশের রাজনীতি করা উচিত নয় বলে মনে করেন লেখক, কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার। কেন তাদের এ নামে রাজনীতি করা উচিত নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকা, দলটির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন এই বিশ্লেষক।

ফরহাদ মজহার বলেন, জামায়াতে ইসলামীর চিন্তাধারাটা কী? আধুনিক ইসলামী জাতিবাদী চিন্তা এই তো? এটা গড়ে উঠছে জাতিবাদীর সময়; ঠিক আছে। আর বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে তারা কী চান? তারা কিন্তু গণতন্ত্র চান। তারা কিন্তু বলছেন জামায়াতে ইসলামী, তারা কিন্তু আমাদের যে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন যেটা বা যে নির্বাচন সংক্রান্ত যে আইন আছে, সেখানে তো তারা দাখিল করেছেন তাদের কর্মসূচি ও গঠনতন্ত্র।

তিনি আরও বলেন, সেখানে তারা কী চাইছেন গণতন্ত্র, গণতন্ত্র চাইছেন তো? তারা যদি গণতন্ত্র চায়, আমার তো কোনো বিরোধ নাই। তবে এখানে কিন্তু আছে। আমি মনে করি, জামায়াতে ইসলামীকে ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে বাংলাদেশের রাজনীতি করা উচিত নয়। এটা আমাদের এই বাংলাদেশের তার যে জাতিগত সত্তা বাংলাদেশের যে ইতিহাস, এটা কিন্তু তার বিরোধী। কেন? কারণ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইকে সমর্থন করেনি। এই নামে তারা করেনি ফলে আমি জামায়াতে ইসলামীর যারা নেতা আছেন, তাদের যারা সদস্য আছেন, বিনয়ের সঙ্গে তাদের বলব, অবিলম্বে তারা যেন এই নামটা বদলান।

এই লেখক ও চিন্তক বলেন, বাংলাদেশে বাঙালি জনগোষ্ঠী যারা ৭১ সালের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রটা কায়েম করেছে, এটা কিন্তু এটার সঙ্গে অসংগতি। ফলে আমি মনে করি যে এই নামটা বাদ দেওয়া উচিত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই। তারা রাজনীতি অবশ্যই করবে এবং তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। কিন্তু এটা তো এর বাইরে। আমি কখনো দেখিনি তারা আমাকে কিছু বলেছে, যেটা আমার জন্য আপত্তিকর হতে পারে। ইসলাম তো আমার সংস্কৃতির অংশ, ইসলাম আমার দার্শনিক চিন্তায় ভূমিকা রাখবে। আমি যেহেতু একটা মুসলিম পরিবার জন্মগ্রহণ করেছি।

ফরহাদ মজহার বলেন, ইসলাম আমার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম, ফলে ইসলামের দার্শনিক দিকের ইসলামের যে তত্ত্বগত দিক ইসলামের যে ইতিহাস এটা তো আমাকে প্রভাবিত করবে; হ্যাঁ এটা তো আপনি পার্থক্য করতে পারবেন না কৃত্রিমভাবে।

Header Ad
Header Ad

দুদকের জালে খোদ দুদকের সদ্য সাবেক কমিশনার

দুর্নীতি দমন কমিশনের সদ্য পদত্যাগ করা কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সংস্থারেই একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ধরা পড়ছেন দুর্নীতির অভিযোগে। সদ্য পদত্যাগ করা কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধে উঠেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতি, অনিয়ম, সরকারি প্লট জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সরকারি গাড়ি ও ড্রাইভারকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার মতো একাধিক অভিযোগ।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে শিগগিরই তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান দল গঠন করবে দুদক। ইতোমধ্যে দৈনন্দিন অভিযোগ যাচাই-বাছাই সেল (যাবাক) থেকে তার সংশ্লিষ্ট নথি কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিশনের সভায় তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

দুদকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে কমিশন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এই ঘটনা দুদকের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে।

ওই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের বিরুদ্ধে দুদকে যে অভিযোগ জমা হয়েছে, সেটি অত্যন্ত কনক্রিট অভিযোগ। তাই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, জহুরুল হক বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনের তরঙ্গ বরাদ্দে জালিয়াতি, ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানিকে তার অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও বহু পুরোনো। সাবেক মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হক গত ২৯ অক্টোবর দুদক কমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০২১ সালের ২ মার্চ তিনি দুদক কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

এদিকে জহুরুল হকের পাসপোর্ট বাতিল করে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পাসপোর্ট অর্ডার, ১৯৭৩-এর ৭(২) (সি) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিম্নোক্ত ছকে বর্ণিত ব্যক্তির পাসপোর্ট বাতিলপূর্বক তিনি যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে জহুরুল হকের নামপরিচয়, ঠিকানা, বাবার নাম, ন্যাশনাল আইডি নম্বর ও পাসপোর্ট নম্বর দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বিডিআর হত্যা মামলার বিচারক ছিলেন মো. জহুরুল হক। বিডিআর হত্যা মামলার রায় নিয়ে একটি পক্ষ অসন্তুষ্ট। তাদের দাবি, পতিত সরকার আদালতের বিচারকদের প্রভাবিত করে মামলায় পক্ষপাতমূলক রায় করিয়েছে। এরই মধ্যে বিডিআর হত্যা পুনর্তদন্তে নতুন করে কমিশন গঠন করেছে সরকার। এ কারণে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দুদক কমিশনার (তদন্ত) হিসেবে জহুরুল হক দায়িত্ব নেওয়ার দেড় বছরে ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট তার নিজের নামে বরাদ্দ দেওয়া পাঁচ কাঠার প্লটের পরিবর্তে ১০ কাঠা আয়তনের প্লট দিতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩ নভেম্বর গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে রাজউক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জহিরুল হকের পাঁচ কাঠা ও তার স্ত্রী মাছুদা বেগমের নামে থাকা পাঁচ কাঠার প্লট দুটি সমর্পণ সাপেক্ষে একটি ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেওয়ার জন্য বলা হয়।

রাজউকের বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জহুরুল হককে ১৩/এ ধারায় ২৫ নম্বর সেক্টরের ২০৬ নম্বর সড়কের ১০ কাঠা আয়তনের ৪৭ নম্বর প্লটটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তিনি বাড়ি নির্মাণে নকশার অনুমোদন নিয়েছেন। আইন অনুযায়ী, স্বামী ও স্ত্রীর নামে আলাদা আলাদা প্লট বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। কোনো প্রকল্পে স্বামী ও স্ত্রীর নামে আলাদা প্লট বরাদ্দ পেলে একটি প্লট বহাল রেখে আরেকটি সমর্পণ করতে হবে। স্বামী-স্ত্রী আলাদা প্লট বরাদ্দ নিলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু জহুরুল হক ও তার স্ত্রী মাছুদা বেগম আলাদা আলাদা প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। অথচ তারা একটি প্লট সমর্পণ করেননি, রাজউকও তাদের একটি প্লটের বরাদ্দ বাতিল করেনি। উল্টো জহুরুল হক দুদক কমিশনার হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।

এ ছাড়া দুদক কমিশনার হিসেবে জহুরুল হকের নিজের জন্য একটি গাড়ি বরাদ্দ ছিল। কিন্তু বরাদ্দকৃত গাড়ির বাইরে স্ত্রী ও সন্তানদের সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য চালকসহ তিনি বেআইনিভাবে জন্য আরও একটি গাড়ি বরাদ্দ নেন। জহুরুল হকের একান্ত সচিব চালকসহ গাড়ি বরাদ্দে দুদকে আবেদন করেন। সেই আবেদনে তিনি বলেছিলেন, জহুরুল হক ধানমন্ডির সরকারি বাংলোতে বাস করেন। তিনি তার অনুকূলে চালকসহ অতিরিক্ত আরেকটি গাড়ি বরাদ্দ চান। গাড়ি ব্যবহার বাবদ সরকারি ফি তিনি পরিশোধ করবেন। তার বাসভবনে চালকের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গাড়ি বরাদ্দ দিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চিঠি ইস্যু করা হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, কমিশনার জহুরুল হকের অনুরোধে চালক সাদ্দাম হোসেন এবং ঢাকা মেট্রো-গ৪২-৭৬৩০ গাড়িটি সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে দুদকের অভ্যন্তরে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, কারণ সংস্থাটিতে গাড়ির সংকট দীর্ঘদিনের। এমনকি উপপরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদেরও শেয়ার করে গাড়ি ব্যবহার করতে হয়।

জহুরুল হকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি আর্থিক সুবিধা নিয়ে বহু দুর্নীতিবাজকে মামলা থেকে রেহাই দিয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীসহ পতিত সরকারের কয়েক ডজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও আমলা।

Header Ad
Header Ad

পুড়িয়ে দেওয়ার আগেই দুই ট্রাক নথিপত্র আটক করলো জনতা  

ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের পুরোনো নথিপত্র নিয়ে যাওয়া দুটি ট্রাক স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়ে পুলিশে সোপর্দ হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা বাজারে ঘটে। পরে, ট্রাক দুটি সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জিয়াউল ইসলাম সাবু জানান, সচিবালয়ে আগুন দিয়ে নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ হয় সেই ধরনের কোনও ঘটনা কিনা। এ কারণে তারা ট্রাক দুটি আটকে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানকে বিষয়টি জানায়। এরপর ঘটনাস্থলে এসে নির্বাহী প্রকৌশলী সবাইকে বলেন, এগুলো বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের পুরোনো কাগজ এবং আসবাবপত্র। পুড়িয়ে ফেলার জন্য পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার পর ট্রাক দুটি ছেড়ে দেয় স্থানীয় জনতা।

এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, প্রায় এক যুগের পুরোনো দাফতরিক নথিপত্র এগুলো। যার কার্যকারিতা শেষ হয়ে গেছে বিধায় পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ভাড়া করা দুটি ট্রাকে এসব নথিপত্র ও আসবাবপত্র ভর্তি করে তা নগরের ময়লা খোলার ভাগাড়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলার জন্য অফিসের দুই কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দু’দিন আগে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। শুক্রবার যখন দুই ট্রাকবোঝাই পুরাতন নথি এই এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখনই সবার মনে সন্দেহ জাগে। বাজারের মধ্য দিয়ে এত কাগজ এর আগে কখনো নদীর ধারে নিতে দেখেনি কেউ। ট্রাক আটক করার পর গাড়ির চালক এগুলো সরকারি নথি এবং পোড়ানো হবে জানালে জনতা পুলিশে খবর দেয়।

এ ধরনের ঘটনা অনেকের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষত সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামায়াতে ইসলামীকে নাম পরিবর্তনের পরামর্শ ফরহাদ মজহারের  
দুদকের জালে খোদ দুদকের সদ্য সাবেক কমিশনার
পুড়িয়ে দেওয়ার আগেই দুই ট্রাক নথিপত্র আটক করলো জনতা  
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই: উপাচার্য হাছানাত আলী
সচিবালয় ছিল দালালদের হাটবাজার: ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি
সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অর্থপাচারের ফাইল নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে: রিজভী
ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ, পরে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে প্রেম, অতঃপর বিয়ে
ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী
মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি
আজ বন্ধুকে কল করার দিন
নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি জেলে
সচিবালয়ের সকল বেসরকারি পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকেরাও
শেখ হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী
শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির