শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৪ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অভিজাত রূপে ফিরলো ঐতিহাসিক ‘বাংলাদেশ সেন্টার’

সংস্কারের অভাবে লন্ডনে ‘বাংলাদেশ সেন্টার’ খ্যাত ঐতিহাসিক ভবনটির মালিকানা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিলো বাংলাদেশিদের। সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাড়িয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অবদানের স্মারক বহন করা এই ভবন। স্থানীয় কাউন্সিলের সঙ্গে দেন-দরবার এবং আইন-আদালত পাড়ি দিয়ে সেন্টারটি এখন স্ব-গৌরবে ফিরেছে চোখ ধাঁধালো অভিজাত রূপে।

রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মাধ্যমে পুনঃউদ্বোধন হয় ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সেন্টারের। বাংলাদেশ সেন্টারের সদস্য ও বাংলাদেশি কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে মুখোরিত ছিলো এই জমজমাট আয়োজন। দৃষ্টিনন্দন চারতলা ভবনটি উপস্থিত সকলের জন্যই ছিলো এক বিরাট চমক। কাউন্সিলের সঙ্গে মামলা মোকাবেলা, বিশাল অর্থের সংস্থান এবং সংস্কারকাজের বিরাট ঝক্কি সামাল দিয়ে বাংলাদেশ সেন্টারের ব্যবস্থাপনা কমিটি এক অসাধ্য সাধন করেছে বলে প্রশংসা করেন অতিথিরা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে লন্ডনের ঐতিহাসিক ‘বাংলাদেশ সেন্টার’। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা। তখন যুক্তরাজ্য প্রবাসীরাই স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে বৈশ্বিক সমন্বয়কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন ‘বাংলাদেশ সেন্টার’। এই সেন্টারেই ভারতের পর বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম কোনো দূতাবাস চালু হয়। দ্য রয়্যাল লন্ডন বারা অব কেনজিংটন অ্যান্ড চেলসি এলাকার নটিংহিল গেইট টিউব স্টেশনের কাছেই ২৪ পেমব্রিজ গার্ডেন্সে অবস্থিত ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সেন্টার।

১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম ফিতা কেটে বাংলাদেশ সেন্টারের পুনঃউদ্বোধন করেন। তিনি পদাধিকার বলে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ‘বাংলাদেশ সেন্টার’ এর সভাপতি।

আলোচনাপর্ব সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্যে তিনি সেন্টারের প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনার সাথে যুক্ত সকলকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে মুক্তিসংগ্রামে দেশে-বিদেশে অবদান রাখা সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

তিনি বলেন, ভবনের সংস্কার কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। কেবল স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে বেশ পরিশ্রম করে ভবনের নিচতলার কাজ শেষ করা হয়েছে।

প্রধান অতিধির বক্তব্যে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, হেরিটেজ বিল্ডিং হিসেবে বাংলাদেশ সেন্টারের জন্য ব্লু প্লাকের আবেদন করা হয়েছে। সেটি শিঘ্রই আসবে। আর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে এই সেন্টারের যে অবদান তার স্বীকৃতির জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে লিখবেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেন্টার ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার’ খ্যাতি পাওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশ সেন্টারের নতুন উদ্যমে পথচলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, এই সেন্টার নিজের ঐতিহ্য ধরে রাখুক। অতীতে বাংলাদেশি কমিউনিটির সেবায় সেসব কাজ করেছে সেগুলো অব্যাহত রাখুক। সেন্টারটি যেন সকল প্রবাসীর সেন্টার হিসেবে টিকে থাকে।

তিনি সেন্টারের ইতিহাস তুলে ধরে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশের পরামর্শ দেন ও হাইকমিশনার সেন্টারের জন্য বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা বেশকিছু বই উপহার দেয়ার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ছবি প্রদানের প্রস্তাব করেন। তিনি সেন্টারের অগ্রযাত্রার সহযোগী হয়ে সবসময় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সেন্টারে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশিদের জন্য নানা সেবা চালু ছিলো। যেমন, বাংলা শিক্ষা ও বাংলা সংস্কৃতি চর্চা, অনুবাদ সেবা, অভিবাসন, বেনিফিট, পুলিশ ও আইনী বিষয়ে সহায়তা। আবার বাংলাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা নামমাত্র খরচ দিয়ে আপতকালীন এই সেন্টারে অবস্থানের সুযোগ পেতেন। কিন্তু সংস্কারের অভাবে সেন্টারটি এক সময় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যে কারণে স্থানীয় কাউন্সিল এটি নিজেদের দখলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। বিষয়টি এক পর্যায়ে মামলায়ও গড়ায়। কিন্তু সেন্টারের ম্যানেজমেন্ট কমিটির ঐকান্তিক চেষ্টায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ সেন্টার। তারা জেকফ্রুট লন্ডন লিমিটেড কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে সেন্টারটি সংস্কারে উদ্যোগ নেন। চুক্তি অনুযয়ী সংস্কারের পুরো খরচ বহন করবে ওই কোম্পানি। বিনিময়ে তারা ১৪ বছর সেন্টারের ওপরের তিনটি ফ্লোর লিজ হিসেবে ব্যবহার করবে। তবে সেন্টারকে নির্ধারিত হারে মাসিক ভাড়াও প্রদান করবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেন্টারের সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব, সহ সভাপতি শাহানুর খান, ভাইস চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন, মানিক মিয়া, গুলনাহার খান, চীফ ট্রেজারার মামুন রশীদ, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পীকার আহবাব হোসেন, স্থানীয় কাউন্সিলর ডোরি স্কেমেটারলিং, শতবর্ষী ব্যক্তিত্ব দবিরুল ইসলাম চৌধুরী ওবিই, দ্য রয়্যাল বারা অব উইনসরের কাউন্সিলার সামসুল ইসলাম সেলিম, কমিউনিটি নেতা হেলাল উদ্দিন আব্বাস, মারুপ চৌধুরী, টিভি ব্যক্তিত্ব ডাঃ জাকি রেজওয়ানা আনোয়ার, এশিয়ান ক্যাটারিং ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ইয়াউর খান, বাংলাদেশ সেন্টারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুবায়ের, জেকফ্রুট লন্ডন লিমিটেডের পরিচালক আমিরুল চৌধুরী ও আতিক চৌধুরী , নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এভারার্ডের পরিচালক জুনায়েদ চৌধুরী, ডঃ সানোয়ার চৌধুরী,আবদুল মতিন ও তফজ্জুল মিয়া। সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্য দেন সেন্টারের প্রধান নির্বাহী এস এম মুস্তাফিজুর রহমান।

সকল বক্তা বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বাংলাদেশ সেন্টার তার ঐতিহ্য ধরে রেখে আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিলো সাংস্কৃতিক আয়োজন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করেন মিসবাহ জামাল। এতে সংঙ্গীত পরিবেশ করেন গৌরী চৌধুরী ও নাজমুন নাহার তন্নী।

এপি/এএস

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের ‘হাত-পা বেঁধে’ ফেরত, তোপের মুখে মোদি সরকার

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের ‘হাত-পা বেঁধে’ ফেরত, তোপের মুখে মোদি সরকার । ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর সময় অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরানোর অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০৪ জন ভারতীয়কে সামরিক পণ্যবাহী বিমানে করে দেশে ফেরত পাঠানো হয় এবং তাদের নামানো হয় অমৃতসর বিমানবন্দরে। তবে যাত্রাপথে অভিবাসীদের হাত-পা বাঁধার ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন অভিবাসীর পায়ে শিকল পরানো রয়েছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

দেশে ফেরত আসা অভিবাসীরা গণমাধ্যমকে জানান, তাদের প্রতি অবমাননাকর আচরণ করা হয়েছে। এক ভুক্তভোগী বলেন, "আমাদের হাত-পা বেঁধে বন্দিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হঠাৎ জানানো হয় যে আমাদের ভারতে পাঠানো হচ্ছে। দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টার যাত্রার পর অমৃতসরে নামানোর পরই আমাদের হাতকড়া ও শিকল খোলা হয়।"

অন্য এক ব্যক্তি বলেন, "শিশুদের ছাড়া নারীসহ সবাইকে হাত-পা বেঁধে রাখা হয়। খাবার বা ওয়াশরুমে যাওয়ার সুযোগও ঠিকভাবে দেওয়া হয়নি।"

এমন ঘটনায় ভারতের বিরোধী দলগুলো পার্লামেন্টে আলোচনা চাইলেও তা নাকচ করা হয়। এর প্রতিবাদে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ বিরোধী দলের নেতারা পার্লামেন্ট চত্বরে বিক্ষোভ করেন।

বিরোধীদের চাপের মুখে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পার্লামেন্টে বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, "বিমানে নিরাপত্তার স্বার্থে অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাতকড়া ও পায়ে বেড়ি পরানো হয়। শুধু ভারতীয়দেরই নয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও একইভাবে আনা হয়।"

তবে বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, ভারত সরকার এই অবমাননাকর আচরণের নিন্দাও জানায়নি। তারা প্রশ্ন তুলেছে, কেন কলম্বিয়া সরকারের মতো ভারত নিজস্ব বিমান পাঠিয়ে নাগরিকদের সম্মানজনকভাবে ফিরিয়ে আনেনি। অনেকে মনে করছেন, মোদির আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে ভারত সরকার এই ইস্যুতে বিতর্ক এড়াতে চাইছে।

Header Ad
Header Ad

নিজের কেনা বুলডোজারেই গুঁড়িয়ে গেল সাদিক আবদুল্লাহর পারিবারিক বাড়ি

বরিশালে সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

বরিশালে সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর কালীবাড়ি রোডের পারিবারিক বাসভবন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর বরিশালে সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের বাসভবন ভাঙার উদ্যোগ নেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সেনা সদস্যরা হাসানাত আব্দুল্লাহর বাসভবনের প্রবেশপথে অবস্থান নেন।

রাত পৌনে ১২টার দিকে ছাত্র-জনতা সেখানে পৌঁছে। প্রথমে সেনাবাহিনী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে পিছু হটে। এরপর বিক্ষোভকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে বাড়ি ভাঙতে শুরু করে। রাত ১২টার দিকে একটি বুলডোজার এসে পৌঁছালে সেনা সদস্যরা এর চাবি নিয়ে নেয়। তবে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর ছাত্রদের কাছে সেটি ফেরত দেওয়া হয়। পরে মাত্র ৪০-৪৫ মিনিটের মধ্যেই বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, পারিবারিক কোটায় মনোনয়ন পাওয়া এবং বিতর্কিত নির্বাচনে মেয়র হওয়া হাসানাত আব্দুল্লাহর বড় ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের জন্য যে বুলডোজার এনেছিলেন, সেই একই বুলডোজারেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তার পৈতৃক বাড়ি। একইসঙ্গে তার মা সাহান আরা বেগমের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি শিশু পার্কও ধ্বংস করা হয়।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে মেয়র হওয়ার পর সাদিক আবদুল্লাহ নগরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য এই বুলডোজার সংগ্রহ করেছিলেন। যদিও অভিযোগ রয়েছে, এটি মূলত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে, যেখানে বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের নগর সভাপতি জসিমউদ্দিনও ছিলেন। সবশেষ সেই একই বুলডোজারেই নিজের পারিবারিক বাড়ি এবং মায়ের নামে গড়া পার্ক ভাঙার নজির সৃষ্টি হলো।

Header Ad
Header Ad

‘ছাগলের ঘর’ থেকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদক। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদকে তার নিজ বাড়ির ছাগলের ঘর থেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আব্দুস সামাদ বাড়ির ভেতরে ছাগলের ঘরে লুকিয়ে পড়েন। পরে তল্লাশির সময় তাকে সেখান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ আরও জানায়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারার ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত আব্দুস সামাদ দীর্ঘদিন ধরে পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া, তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও অপকর্মের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ দাবি করেছে। নিয়োগ বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংগঠিত করছিলেন আব্দুস সামাদ। এ কারণেই তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের ‘হাত-পা বেঁধে’ ফেরত, তোপের মুখে মোদি সরকার
নিজের কেনা বুলডোজারেই গুঁড়িয়ে গেল সাদিক আবদুল্লাহর পারিবারিক বাড়ি
‘ছাগলের ঘর’ থেকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
নতুন রূপে সেজেছে মিরপুর, চিটাগংয়ের প্রথম নাকি বরিশালের দ্বিতীয়
চলতি বছরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
টাঙ্গাইলে নসিমন কেড়ে নিল মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক শিশুর প্রাণ
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচু্রের ঘটনায় ভারতের তীব্র নিন্দা
চুয়াডাঙ্গায় আবারও বাড়ছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১০ ডিগ্রিতে
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়
নারায়ণগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত
আ.লীগ কর্মীদের বিশেষ ট্রেনিং, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ফোনালাপ ফাঁস!
দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল বিএনপি
আন্তর্জাতিক আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেন ট্রাম্প
বনানীতে শেখ সেলিমের বাসায় অগ্নিসংযোগ, বিক্ষুব্ধ জনতার তাণ্ডব
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকসহ ৭ কিশোর আটক
এবার অভিনেত্রী সোহানা সাবা গ্রেপ্তার, নেওয়া হয়েছে ডিবি কার্যালয়ে
নওগাঁয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়কে গণশৌচাগার ঘোষণা, খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর
সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ
যুক্তরাষ্ট্রে প্রার্থনা প্রাতরাশে যোগ দিলেন ফখরুল-খসরু-জাইমা