ইরাকে বিজয় দিবস উদযাপিত
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
১৬ ডিসেম্বর সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত মো. ফজলুল বারী। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরাকে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রশান্ত পিসে।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধে সব শহিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নীরবতা পালন শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীও পাঠ করা হয়েছে।
পরে দূতাবাস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা সবাই স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয় অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐন্দ্রাজালিক নেতৃত্ব, কর্মময় জীবন, ত্যাগ ও অবদানের কথা স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত মো. ফজলুল বারী তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বছরে বিজয় দিবস পালনে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা ও তাৎপর্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি অর্জিত হয়েছে। দেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে এবং উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। রূপকল্প ২০২১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা এবং রূপকল্প ২০৪১ এর উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই অর্জিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ওপর নির্মিত একটি প্রাম্যণ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।
এ ছাড়া পিলো পাসিং, হাড়িভাঙা, কাবাডি, ডার্ট গেইম ও বল নিক্ষেপ ইত্যাদি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খেলা অনুষ্ঠানকে বেশ উপভোগ্য করে তুলে। রাষ্ট্রদূত বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ ছাড়াও দূতাবাসের দু’জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়।
এসএন