মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | ২ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে সারজিসের দ্বিমত

হাসনাতের সঙ্গে দ্বিমত করলেন সারজিস। ছবি: সংগৃহীত

সেনানিবাসে ১১ মার্চের বৈঠক নিয়ে নতুন করে কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ রোববার সকালে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে ‘১১ মার্চ সেনাপ্রধানের সাথে সাক্ষাৎ নিয়ে আমার জায়গা থেকে কিছু সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন’—শীর্ষক একটি স্ট্যাটাসের অবতারণা করেন তিনি। সেখানে হাসনাতের সঙ্গে কিছুটা দ্বিমত প্রকাশ করেন তিনি।

সারজিস বলেন, সেদিন আমি এবং হাসনাত সেনাপ্রধানের সাথে গিয়ে কথা বলি। আমাদের সাথে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ আরেকজন সদস্যেরও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি যেতে পারেননি। প্রথমেই স্পষ্ট করে জানিয়ে রাখি সেদিন সেনানিবাসে আমাদের ডেকে নেয়া হয়নি বরং সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইজারের সাথে যখন প্রয়োজন হতো তখন মেসেজের মাধ্যমে আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর আদান-প্রদান হতো।

সারজিস লেখেন, যেদিন সেনাপ্রধান পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসে অনেকটা কড়া ভাষায় বক্তব্য দিলেন এবং বললেন ‘এনাফ ইজ এনাফ’ তখন আমি সেনাপ্রধানের মিলিটারি এডভাইসরকে জিজ্ঞাসা করি আপনাদের দৃষ্টিতে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু দেখছেন কিনা? সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলনামূলক straight-forward এবং harsh মনে হচ্ছে। তিনি আমাকে বললেন, তোমরা কি এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে চাও? আমি বললাম- বলা যেতে পারে। এরপরে সেদিন সেনাপ্রধানের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয় । সেনাভবনে সেই রুমে আমরা তিনজনই ছিলাম। সেনাপ্রধান, হাসনাত এবং আমি।

মানুষ হিসেবে যেকোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তির অভিমতকে একেকজন একেকভাবে অবজার্ভ করে। হাসনাত সেদিন তার জায়গা থেকে যেভাবে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে অবজার্ভ ও রিসিভ করেছে এবং ফেসবুকে লিখেছে আমার সেক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিমত আছে।

সারজিসের ভাষ্য, আমার জায়গা থেকে আমি সেদিনের বক্তব্যকে সরাসরি ‘প্রস্তাব’ দেয়ার আঙ্গিকে দেখি না বরং ‘সরাসরি অভিমত প্রকাশের’ মতো করে দেখি। ‘অভিমত প্রকাশ’ এবং ‘প্রস্তাব দেওয়া’ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যদিও পূর্বের তুলনায় সেদিন সেনাপ্রধান অনেকটা স্ট্রেইথ-ফরোয়ার্ড ভাষায় কথা বলছিলেন । পাশাপাশি ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের জন্য ‘চাপ দেওয়ার’ যে বিষয়টি এসেছে সেখানে ‘চাপ দেয়া হয়েছে’ এমনটি আমার মনে হয়নি। বরং রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ না আসলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সমস্যার সৃষ্টি হবে সেটা তিনি অতি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলছিলেন।

সারজিস আরও লেখেন, হাসনাতের বক্তব্যে যে টপিকগুলো এসেছিল, যেমন- “রিফাইন্ড আওয়ামীলীগ, সাবের হোসেন, শিরিন শারমিন চৌধুরী, সোহেল তাজ; এসব নিয়ে কথা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে কিনা, এই ইলেকশনে আওয়ামী লীগ থাকলে কী হবে, না থাকলে কী হবে, আওয়ামীলীগ এই ইলেকশন না করলে কবে ফিরে আসতে পারে কিংবা আদৌ আসবে কিনা এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছিল। এসব সমীকরণে দেশের উপরে কী প্রভাব পড়তে পারে, স্থিতিশীলতা কিংবা অস্থিতিশীলতা কোন পর্যায়ে যেতে পারে সেসব নিয়ে কথা হয়েছিল।

কিন্তু যেই টোনে হাসনাতের ফেসবুক লেখা উপস্থাপন করা হয়েছে আমি মনে করি- কনভারসেশন ততটা এক্সট্রিম ছিল না। তবে অন্য কোনো একদিনের চেয়ে অবশ্যই স্ট্রেইথ-ফরওয়ার্ড এবং সো-কনফিডেন্ট ছিল। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের ইলেকশনে অংশগ্রহণ করা যে প্রয়োজনীয় সেই বিষয়ে সরাসরি অভিমত ছিল।

সারজিস সেদিনের বৈঠকের ব্যাপারে বলেন, আলোচনার একপর্যায়ে বলি- যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কীভাবে ক্ষমা করে দিবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে,’ ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডোম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। তোমার বয়সের থেকে বেশি।

সারজিসের কথায়, এই কনভারসেশনটা হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু আমাদের রুমে বসে হওয়া কনভারসেশন হঠাৎ এককভাবে শেষ করে যখন সেনাপ্রধান উঠে দাঁড়ালেন এবং রুম থেকে কথা বলতে বলতে বের হয়ে এসে যখন আমরা গাড়িতে করে ফিরবো তার পূর্বে বিদায় নেয়ার সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই কনভারসেশন হয়েছে। সেনাপ্রধান রেগে যাওয়ার সুরে এই কথা বলেছেন বলে আমার মনে হয়নি বরং বয়সে তুলনামূলক বেশ সিনিয়র কেউ জুনিয়রদেরকে যেভাবে অভিজ্ঞতার ভারের কথা ব্যক্ত করে সেই টোন এবং এক্সপ্রেশনে বলেছেন।

‘হাসনাত না ওয়াকার’ এই ন্যারেটিভ এবং স্লোগানকে সারজিস প্রত্যাশা করেন না বলেও স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, হাসনাতের জায়গা ভিন্ন এবং সেনাপ্রধান জনাব ওয়াকারুজ্জামানের জায়গাও ভিন্ন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টি অন্যান্য রাজনৈতিক দল কিংবা জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করানো কখনও প্রাসঙ্গিক নয়। পাশাপাশি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ নিয়ে যে কথা দুই-এক জায়গায় আসছে সেটিও আমাদের বক্তব্য নয়।

এরপর স্ট্যাটাসের একপর্যায়ে নিজের অভিমত প্রকাশ করেন সারজিস। তিনি বলেন, আমি ভুল হতে পারি কিন্তু এই মুহূর্তে আমার এটিই সঠিক মনে হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কেউ না কেউ যোগাযোগ রক্ষা করে। সেই প্রাইভেসি তারা বজায় রাখে। আমাদের সাথে সেনাপ্রধানের যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে সেগুলোর সাথে আমাদের সরাসরি দ্বিমত থাকলেও আমরা সেগুলো নিয়ে আমাদের দলের ফোরামে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারতাম, সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম, সে অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারতাম। কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সনের বিরুদ্ধে এখনকার মতই রাজপথে নামতে পারতাম। অথবা অন্য রাজনৈতিক দলগুলো সরাসরি আমাদের সাথে ঐক্যমতে না পৌঁছালে আমরা শুধুমাত্র আমাদের দলের পক্ষ থেকেই এই দাবি নিয়ে রাজপথে নামতে পারতাম।

কিন্তু যেভাবে এই কথাগুলো ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি বরং এর ফলে পরবর্তীতে যেকোনো স্টেকহোল্ডারের সাথে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আস্থার সংকটে পড়তে পারে।

আমার এই বক্তব্যে আমার সহযোদ্ধা হাসনাতের বক্তব্যের সাথে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দ্বিমত এসেছে। এটার জন্য অনেকে আমার সমালোচনা করতে পারেন কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমাদের ব্যক্তিত্ব স্রোতে গা ভাসানোর মত কখনোই ছিল না। ছিল না বলেই আমরা হাসিনা রেজিমের বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম।

আজও কেউ হাসনাতের দিকে বন্দুক তাক করলে তার সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার কমিটমেন্ট আমাদের আছে। কিন্তু সহযোদ্ধার কোনো বিষয় যখন নিজের জায়গা থেকে সংশোধন দেয়ার প্রয়োজন মনে করি তখন সেটাও আমি করব। সেই বিবেকবোধটুকু ছিল বলেই ৬ জুন প্রথম যেদিন শহীদ মিনারে কয়েকজন কোটা প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় তাদের মধ্যে সামনের সারিতে আমরা ছিলাম।

একদম শেষে সারজিস বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের এই বিবেকবোধের জায়গাটুকুই আমাদেরকে সঠিক পথে রাখবে।আত্মসমালোচনা করার এই মানসিকতাই আমাদেরকে আমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নিয়ে যাবে। জুলাই গণহত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটানো ‘আওয়ামীলীগের যেকোনো ভার্সন’ ও তাদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

 

Header Ad
Header Ad

কস্টিউমের ভেতরে আরো দুইটা জামা পরেছিলাম: সামিরা খান মাহি

অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি একটি মোটরসাইকেল কোম্পানির ইভেন্টে খোলামেলা পোশাক পরিধান করে নাচের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন ছোট পর্দার অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। তার বডি ফিটিং পোশাকের কারণে নাচটি অনেকের কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়, এবং সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক।

এই বিষয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন মাহি। তিনি জানান, ভিডিওটি ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়ানো হয়েছে এবং তার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপমান করা হয়েছে। মাহি বলেন, "আমি ইভেন্টে এক ঘণ্টা পারফর্ম করেছি, সেখানে অনেক ধরনের মুদ্রা ছিল। কিন্তু কিছু অংশ জুম করে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত খারাপভাবে ফুটে উঠেছে। এটা সঠিক কাজ হয়নি।"

অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া, অভিনেত্রী আরও জানান, "অনেকের মনে হয়েছে, আমি কস্টিউমের ভেতরে কিছুই পরিনি। কিন্তু সেটা সত্য নয়। কস্টিউমের ভেতরে আমি আরো দুটি জামা পরেছিলাম। যেহেতু কস্টিউমটি পুরোপুরি বডি ফিটিং ছিল, তাই এমনটি মনে হতে পারে।"

মাহি কিছুটা আক্ষেপের সুরে বলেন, "আমাদের কাছে নিজের কস্টিউম ডিজাইনার বা মেকআপ আর্টিস্ট নেই, তাই অনেক সময় আমরা চাইলেও সবকিছু পরিবর্তন বা প্রস্তুত করতে পারি না। আর এই কস্টিউমটি পেয়েছিলাম পারফরম্যান্সের একদিন আগে, তাই পরিবর্তন করারও সুযোগ ছিল না।"

Header Ad
Header Ad

বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএনপি

বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএনপি। ছবি: সংগৃহীত

আগামী বুধবার (১৬ এপ্রিল), নির্বাচন সংশ্লিষ্ট রোডম্যাপসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। এই বৈঠকটি দুপুর ১২টায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি মহাসচিবসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা এতে অংশ নিবেন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সাক্ষাৎ করবেন।

এছাড়াও বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ৩টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিএনপি সময় চেয়েছে বলে জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছে বিএনপি। ড. ইউনূসের সঙ্গে আলোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দল। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা কাটাতে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা জরুরি।

Header Ad
Header Ad

১ কিমি পিচ ঢালাই তুলে ফেলার পর ঠিকাদার বুঝলেন, ভুল সড়কে কাজ করছেন

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সড়ক সংস্কারের জন্য নির্ধারিত সড়কে কাজ না করে ভুল সড়ক খুঁড়ে ফেলার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার পাকা সড়কের পিচ ঢালাই তুলে ফেলার পর ঠিকাদার ও তার লোকজন বুঝতে পারেন, তারা ভুল সড়কে কাজ করছেন।

এই ঘটনা ঘটেছে চর আমান উল্লাহ ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া গ্রাম থেকে মোল্লা মার্কেট সংযোগ সড়কে। সড়কটির পিচ তুলে ফেলার পর, স্থানীয় বাসিন্দারা ঠিকাদারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ভুল রাস্তা চিহ্নিত করার কথা স্বীকার করেন। এরপর স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানালে, ঠিকাদার দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার কথা বলে স্থান ত্যাগ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলজিইডি থেকে অর্থ বরাদ্দের পর গত রোববার সকালে ঠিকাদারের লোকজন কাজ শুরু করেন। তারা এক কিলোমিটার সড়কের দুই পাশ খুঁড়ে ফেলার পরই ভুল সড়কে কাজ করছেন বলে বুঝতে পারেন। এই ভুলের কারণে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি দাখিল মাদ্রাসা এবং অন্যান্য এলাকার পথচারীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

মোল্লা মার্কেট যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, "এলজিইডি অফিসের লোকজনের দায়িত্বহীনতা এত বড় ভুলের জন্ম দিয়েছে।"

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী শরীফ মোহাম্মদ নুর ইসলাম ভুলে কাজ শুরু করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেস গ্রামের কুকিজ মার্কেট-ছিদ্দিক মার্কেট সড়কটির কাজের জন্য টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার ভুলক্রমে অন্য রাস্তা চিহ্নিত করে কাজ শুরু করেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে কাজ বন্ধ করে দিয়ে তারা চলে যান।"

এদিকে, সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আসফার সায়মা জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়টি সম্পর্কে একটি অভিযোগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, "এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন সড়কটি পরিদর্শন করেছেন এবং ঠিকাদার ও এলজিইডিকে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করার নির্দেশনা দিয়েছেন।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কস্টিউমের ভেতরে আরো দুইটা জামা পরেছিলাম: সামিরা খান মাহি
বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএনপি
১ কিমি পিচ ঢালাই তুলে ফেলার পর ঠিকাদার বুঝলেন, ভুল সড়কে কাজ করছেন
পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা আমি বলিনি, জনগণ বলেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ইসরায়েলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ
লিটারে ১৪ টাকা বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম
মুজিব শতবর্ষে বিসিবির খরচ ৭ কোটি, দেখানো হয়েছে ২৫ কোটি!
ইঞ্জিন-কোচ সংকটে বিপর্যস্ত রেল: সারাদেশে বন্ধ ৭৯টি ট্রেন
চাকরির প্রথম দিনেই দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
দোহার উপজেলায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৩৩ ভরি স্বর্ণসহ ৫৫ লাখ টাকা লুট
হঠাৎ বিসিবিতে দুদকের অভিযান, আর্থিক হিসাবে অসঙ্গতির অভিযোগ
ভারতে ইসলামকে অবমাননা করে ‘জি বাংলা’ চ্যানেলে নতুন ধারাবাহিক
প্লট দুর্নীতি: হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মার্কিন পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় উমামাকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সম্মাননা
আজ ড্রোন আর লেজার শোতে ঝলমলে হবে ঢাকার আকাশ
রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি, গাজায় নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা
মিয়ানমারে আটক ২০ বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন
পহেলা বৈশাখে রাজধানীতে যান চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা
সন্ধ্যায় দেশে ফিরছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
বর্ষবরণ শোভাযাত্রায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’, প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’