মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ | ১০ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে সারজিসের দ্বিমত

হাসনাতের সঙ্গে দ্বিমত করলেন সারজিস। ছবি: সংগৃহীত

সেনানিবাসে ১১ মার্চের বৈঠক নিয়ে নতুন করে কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ রোববার সকালে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে ‘১১ মার্চ সেনাপ্রধানের সাথে সাক্ষাৎ নিয়ে আমার জায়গা থেকে কিছু সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন’—শীর্ষক একটি স্ট্যাটাসের অবতারণা করেন তিনি। সেখানে হাসনাতের সঙ্গে কিছুটা দ্বিমত প্রকাশ করেন তিনি।

সারজিস বলেন, সেদিন আমি এবং হাসনাত সেনাপ্রধানের সাথে গিয়ে কথা বলি। আমাদের সাথে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ আরেকজন সদস্যেরও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি যেতে পারেননি। প্রথমেই স্পষ্ট করে জানিয়ে রাখি সেদিন সেনানিবাসে আমাদের ডেকে নেয়া হয়নি বরং সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইজারের সাথে যখন প্রয়োজন হতো তখন মেসেজের মাধ্যমে আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর আদান-প্রদান হতো।

সারজিস লেখেন, যেদিন সেনাপ্রধান পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসে অনেকটা কড়া ভাষায় বক্তব্য দিলেন এবং বললেন ‘এনাফ ইজ এনাফ’ তখন আমি সেনাপ্রধানের মিলিটারি এডভাইসরকে জিজ্ঞাসা করি আপনাদের দৃষ্টিতে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু দেখছেন কিনা? সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলনামূলক straight-forward এবং harsh মনে হচ্ছে। তিনি আমাকে বললেন, তোমরা কি এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে চাও? আমি বললাম- বলা যেতে পারে। এরপরে সেদিন সেনাপ্রধানের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয় । সেনাভবনে সেই রুমে আমরা তিনজনই ছিলাম। সেনাপ্রধান, হাসনাত এবং আমি।

মানুষ হিসেবে যেকোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তির অভিমতকে একেকজন একেকভাবে অবজার্ভ করে। হাসনাত সেদিন তার জায়গা থেকে যেভাবে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে অবজার্ভ ও রিসিভ করেছে এবং ফেসবুকে লিখেছে আমার সেক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিমত আছে।

সারজিসের ভাষ্য, আমার জায়গা থেকে আমি সেদিনের বক্তব্যকে সরাসরি ‘প্রস্তাব’ দেয়ার আঙ্গিকে দেখি না বরং ‘সরাসরি অভিমত প্রকাশের’ মতো করে দেখি। ‘অভিমত প্রকাশ’ এবং ‘প্রস্তাব দেওয়া’ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যদিও পূর্বের তুলনায় সেদিন সেনাপ্রধান অনেকটা স্ট্রেইথ-ফরোয়ার্ড ভাষায় কথা বলছিলেন । পাশাপাশি ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের জন্য ‘চাপ দেওয়ার’ যে বিষয়টি এসেছে সেখানে ‘চাপ দেয়া হয়েছে’ এমনটি আমার মনে হয়নি। বরং রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ না আসলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সমস্যার সৃষ্টি হবে সেটা তিনি অতি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলছিলেন।

সারজিস আরও লেখেন, হাসনাতের বক্তব্যে যে টপিকগুলো এসেছিল, যেমন- “রিফাইন্ড আওয়ামীলীগ, সাবের হোসেন, শিরিন শারমিন চৌধুরী, সোহেল তাজ; এসব নিয়ে কথা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে কিনা, এই ইলেকশনে আওয়ামী লীগ থাকলে কী হবে, না থাকলে কী হবে, আওয়ামীলীগ এই ইলেকশন না করলে কবে ফিরে আসতে পারে কিংবা আদৌ আসবে কিনা এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছিল। এসব সমীকরণে দেশের উপরে কী প্রভাব পড়তে পারে, স্থিতিশীলতা কিংবা অস্থিতিশীলতা কোন পর্যায়ে যেতে পারে সেসব নিয়ে কথা হয়েছিল।

কিন্তু যেই টোনে হাসনাতের ফেসবুক লেখা উপস্থাপন করা হয়েছে আমি মনে করি- কনভারসেশন ততটা এক্সট্রিম ছিল না। তবে অন্য কোনো একদিনের চেয়ে অবশ্যই স্ট্রেইথ-ফরওয়ার্ড এবং সো-কনফিডেন্ট ছিল। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের ইলেকশনে অংশগ্রহণ করা যে প্রয়োজনীয় সেই বিষয়ে সরাসরি অভিমত ছিল।

সারজিস সেদিনের বৈঠকের ব্যাপারে বলেন, আলোচনার একপর্যায়ে বলি- যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কীভাবে ক্ষমা করে দিবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে,’ ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডোম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। তোমার বয়সের থেকে বেশি।

সারজিসের কথায়, এই কনভারসেশনটা হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু আমাদের রুমে বসে হওয়া কনভারসেশন হঠাৎ এককভাবে শেষ করে যখন সেনাপ্রধান উঠে দাঁড়ালেন এবং রুম থেকে কথা বলতে বলতে বের হয়ে এসে যখন আমরা গাড়িতে করে ফিরবো তার পূর্বে বিদায় নেয়ার সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই কনভারসেশন হয়েছে। সেনাপ্রধান রেগে যাওয়ার সুরে এই কথা বলেছেন বলে আমার মনে হয়নি বরং বয়সে তুলনামূলক বেশ সিনিয়র কেউ জুনিয়রদেরকে যেভাবে অভিজ্ঞতার ভারের কথা ব্যক্ত করে সেই টোন এবং এক্সপ্রেশনে বলেছেন।

‘হাসনাত না ওয়াকার’ এই ন্যারেটিভ এবং স্লোগানকে সারজিস প্রত্যাশা করেন না বলেও স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, হাসনাতের জায়গা ভিন্ন এবং সেনাপ্রধান জনাব ওয়াকারুজ্জামানের জায়গাও ভিন্ন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টি অন্যান্য রাজনৈতিক দল কিংবা জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করানো কখনও প্রাসঙ্গিক নয়। পাশাপাশি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ নিয়ে যে কথা দুই-এক জায়গায় আসছে সেটিও আমাদের বক্তব্য নয়।

এরপর স্ট্যাটাসের একপর্যায়ে নিজের অভিমত প্রকাশ করেন সারজিস। তিনি বলেন, আমি ভুল হতে পারি কিন্তু এই মুহূর্তে আমার এটিই সঠিক মনে হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কেউ না কেউ যোগাযোগ রক্ষা করে। সেই প্রাইভেসি তারা বজায় রাখে। আমাদের সাথে সেনাপ্রধানের যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে সেগুলোর সাথে আমাদের সরাসরি দ্বিমত থাকলেও আমরা সেগুলো নিয়ে আমাদের দলের ফোরামে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারতাম, সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম, সে অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারতাম। কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সনের বিরুদ্ধে এখনকার মতই রাজপথে নামতে পারতাম। অথবা অন্য রাজনৈতিক দলগুলো সরাসরি আমাদের সাথে ঐক্যমতে না পৌঁছালে আমরা শুধুমাত্র আমাদের দলের পক্ষ থেকেই এই দাবি নিয়ে রাজপথে নামতে পারতাম।

কিন্তু যেভাবে এই কথাগুলো ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি বরং এর ফলে পরবর্তীতে যেকোনো স্টেকহোল্ডারের সাথে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আস্থার সংকটে পড়তে পারে।

আমার এই বক্তব্যে আমার সহযোদ্ধা হাসনাতের বক্তব্যের সাথে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দ্বিমত এসেছে। এটার জন্য অনেকে আমার সমালোচনা করতে পারেন কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমাদের ব্যক্তিত্ব স্রোতে গা ভাসানোর মত কখনোই ছিল না। ছিল না বলেই আমরা হাসিনা রেজিমের বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলাম।

আজও কেউ হাসনাতের দিকে বন্দুক তাক করলে তার সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার কমিটমেন্ট আমাদের আছে। কিন্তু সহযোদ্ধার কোনো বিষয় যখন নিজের জায়গা থেকে সংশোধন দেয়ার প্রয়োজন মনে করি তখন সেটাও আমি করব। সেই বিবেকবোধটুকু ছিল বলেই ৬ জুন প্রথম যেদিন শহীদ মিনারে কয়েকজন কোটা প্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় তাদের মধ্যে সামনের সারিতে আমরা ছিলাম।

একদম শেষে সারজিস বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের এই বিবেকবোধের জায়গাটুকুই আমাদেরকে সঠিক পথে রাখবে।আত্মসমালোচনা করার এই মানসিকতাই আমাদেরকে আমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নিয়ে যাবে। জুলাই গণহত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটানো ‘আওয়ামীলীগের যেকোনো ভার্সন’ ও তাদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

 

Header Ad
Header Ad

‘১৭ বছরে আওয়ামী লীগ শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি’

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিগত ১৭ বছরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি। শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে, এটাই সঠিক ইতিহাস নয় বলে মন্তব্য করেছেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যথানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি জানিয়ে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সহ আরো অনেকের অবদানও কম ছিল না। এসব বিষয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জানতে দেওয়া হয়নি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন বলেন, তিনি আরও বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু এক রাতের হত্যাকান্ডই ছিল না, এটা ছিল মূলতঃ বিশ্ব সভ্যতার জন্য এক কলংকজনক জঘন্যতম গণহত্যার সূচনা মাত্র। ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা।

এ সময় বিন্দুবাসিনী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার সভাপতিত্বে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, আ.ন.ম বজলুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Header Ad
Header Ad

ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধে সরকারের হস্তক্ষেপ চান বাংলাদেশি কৃষকরা

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশি কৃষকরা। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা বিনা শুল্কে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন। তবে বাংলাদেশে এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে দাম কম থাকার কারণে স্থানীয় কৃষকরা ইতোমধ্যেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, ভারতের শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে পেঁয়াজ আমদানি বাড়লে স্থানীয় বাজারে দাম আরও কমে যাবে, যা তাদের আর্থিক ক্ষতি বাড়িয়ে তুলবে।

ফরিদপুরের সালথা বাজারের পেঁয়াজ চাষি এনামুল জানান, “পেঁয়াজের দাম এতটাই কম যে, উৎপাদন খরচও উঠছে না। ভারতের এই সিদ্ধান্তে বাজার আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে বহু কৃষক পথে বসে যাবে।” তিনি সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা হলে কৃষকরা কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে।”

অন্যদিকে, আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে এবং এখন আমদানির প্রয়োজন নেই। শ্যামবাজারের পেঁয়াজ আমদানিকারক আব্দুল মাজেদ বলেন, “বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের দাম কম। শুল্ক কমলেও ভারত থেকে পেঁয়াজ এনে লাভ হবে না। তাই প্রচুর পেঁয়াজ আমদানির সম্ভাবনা নেই।”

ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগ শনিবার (২২ মার্চ) পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। দেশটির মজুত বেড়ে যাওয়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশি কৃষকরা দাবি করছেন, তাদের রক্ষার জন্য সরকারের উচিত ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

Header Ad
Header Ad

ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা রুখে দিবে এনসিপি: নাহিদ ইসলাম

ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা রুখে দিবে এনসিপি: নাহিদ ইসলাম । ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের যেকোনো ষড়যন্ত্র এনসিপি প্রতিহত করবে। সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় নাগরিক পার্টির নারায়ণগঞ্জ কমিটির আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, "সম্প্রতি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। ১৫ বছর আগে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছিল এবং সেই সময়ের নির্যাতন-জুলুমের কথা সবাই জানে। আওয়ামী লীগ কখনো রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই যে, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করে তার নিবন্ধন বাতিল করা হোক।”

তিনি আরো বলেন, “জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের অনেক ভাই ও বোন শহীদ ও আহত হয়েছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি জনগণের সমর্থনে নতুন রাজনৈতিক ধারা গড়ে তুলতে চায়, যা আগামীর বাংলাদেশকে নতুনভাবে তৈরি করবে। আমরা গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকারীদের বিচার, রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।”

নাহিদ ইসলাম সতর্ক করেন, “যদি আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের বিচার সুনিশ্চিত না হয়, তাহলে দেশে আরেকটি ফ্যাসিবাদ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের অন্যতম দাবি।”

তিনি নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা জনগণের পাশে দাঁড়াবো, তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব এবং চাঁদাবাজি ও দখলদারির বিরুদ্ধে অবস্থান নেবো।”

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘১৭ বছরে আওয়ামী লীগ শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি’
ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধে সরকারের হস্তক্ষেপ চান বাংলাদেশি কৃষকরা
ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা রুখে দিবে এনসিপি: নাহিদ ইসলাম
শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিল সেনাবাহিনী
তামিমের সুস্থতা কামনায় তারেক রহমানের দোয়া
মেহেরপুরে কর্মচারীর বাসা থেকে সাবেক এমপি আফজাল হোসেন গ্রেফতার
ট্রাম্পের পুত্রবধূর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেন টাইগার উডস
হামজার আসা কেবল বাংলাদেশ নয়, এশিয়ান ফুটবলের জন্য ভালো: ভারত কোচ
ঝোপ থেকে ৯৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার, ৪ মাদক ব্যবসায়ী পলাতক
হাইকোর্টে ২ আওয়ামী লীগ নেত্রীর জামিন
দেশে জরুরি অবস্থা জারির প্রসঙ্গে যা বললেন স্বরাষ্ট্রের সিনিয়র সচিব
মুক্তিযুদ্ধ-জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় এগোতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ এবং প্রতিরোধে যেসব করণীয়
‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে পূর্বের নামেই এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা  
কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফির একমাসে আয় ৩৯ লাখ টাকা!
৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
পঞ্চগড়ের মানুষের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাইলেন সারজিস আলম  
টাঙ্গাইলে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
টাঙ্গাইলে ১ হাজার কৃষক বিনামূল্যে পাচ্ছে সার তিল বীজ
আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস