সাগরে নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

বিজিবি সিপাহী মো. বিল্লাল হাসানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় সাগরে নিখোঁজ থাকা বিজিবি সিপাহী মো. বিল্লাল হাসানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ গোলারচর এলাকা বঙ্গোপসাগর থেকে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
মৃত বিল্লাল কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিরতলা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে। শাহপরীর দ্বীপ বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়িতে কর্মরত সিপাহী ছিলেন।
এদিকে নিহত বিজিবি সদস্যের ভাই আবু বকর বলেন, ‘ভাইকে খোঁজার জন্য টেকনাফের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিল। এর মধ্য খবর আসে, সাগরে চরের মধ্য ভাইয়ের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সাগরে রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকা উদ্ধার অভিযানে গেলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ছিল ভাই। ওই সময় আমাদের জানানো হয়েছিল, তিনিসহ ৩৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ নিয়ে আমাদের ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল।’
নিখোঁজ বিজিবির সদস্যর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।
ইউএনও বলেন, এর আগে রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুসহ চার রোহিঙ্গার মৃতদেহ ভাসমান পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও বেশ কিছু রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে। তাদের বিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ২২ মার্চ শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া এলাকায় সাগরে ভাসতে দেখেন বিজিবি সদস্যরা। পরে মাঝিমাল্লারা রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাটি থামানোর সংকেত দেন সমুদ্রে। পরে ওই নৌকাতে ওঠেন বিজিবি সদস্য। এ সময় উত্তাল সাগরের ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে নারী-শিশুসহ ২৫ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলে ও বিজিবি। পরে নিখোঁজ বিজিবির সদস্যসহ রোহিঙ্গাদের সন্ধানে সাগরে তল্লাশি চালানো হয়। ডুবে যাওয়া নৌকায় অর্ধশতাধিক লোকজন ছিলেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধার রোহিঙ্গারা। স্থানীয় মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য ঈমান হোসাইন ও আবুল মনছুর মিলে মিয়ানমারের থেকে রোহিঙ্গা পারাপারে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
