সরকার অর্থকষ্টে ভুগছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম কাদের) বলেছেন, সরকার অর্থকষ্টে ভুগছে। সরকার স্বীকার করুক আর না করুক আমরা মনে করি সরকারের হাতে টাকাও নেই, বিদেশি ডলারও নেই।
তিনি বলেন, মেগা প্রজেক্ট বন্ধ করে মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে। আমরা হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট করতে পারি আর দেশের মানুষকে বাঁচাতে কোনো উদ্যোগ নিতে পারব না এটা হতে পারে না। কেননা মানুষ না বাঁচলে দেশের উন্নয়ন করে কী হবে। মেগা প্রজেক্ট বন্ধ করে মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে। আমার মনে হয় সরকার সেটা করতে পারবে। সরকার যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয় সামনের দিকে আরও খারাপ দিন আসতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রংপুর নগরীর স্কাইভিউয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, সরকার যা করছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা দেখছি একটি ট্রাকের পেছনে হাজার হাজার মানুষ ছুটছে, অনেক মানুষ ছুটছে, মধ্যবিত্ত ঘরের অনেকেই সেখানে যেতে পারছেন না। দেশের মানুষ কষ্টে আছে, সেই কষ্ট লাঘবে রেশনিং কার্ডের মাধ্যমে পণ্য দেওয়া দরকার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং ৩০০ আসনের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইভিএমের নির্বাচন জনগণ ভালোভাবে নেয়নি। আমরা সেটা সব সময় বলে আসছি। ইভিএমের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্ভব নয়। আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। ব্যালটের মাধ্যমে স্বচ্ছ নির্বাচন।
তিনি আরও বলেন, একটা পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে দেশের ৮০ শতাংশ ভোটার নিশ্চিত করতে পারছেন না তারা কোথায় ভোট দেবেন। আমরা সেই ভোটারদের লক্ষ্য করেই কাজ করছি, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা রাজনীতি করতে চাচ্ছি এবং করছি। আমরা দলকে গোছাচ্ছি, বিভিন্ন জেলা সফর করছি। যেখানে দলের মধ্যে সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। আমরা মানুষের রাজনীতি বোঝার চেষ্টা করছি। মানুষের রাজনীতি অতীতেও করেছি, বর্তমানে করছি।
এসময় রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেনসহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসজি