এ কে এম আরিফুর রহমান
আবরার হত্যা: শিক্ষার্থীরা অপরাজনীতির শিকার
বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে আজ।আমি মনে করি রায়টি যথাযথ হয়েছে। বিচারক কোনো রকম প্রভাবিত না হয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগের মধ্য দিয়েই স্বচ্ছ রায় দিয়েছেন। আমি বিষয়টিকে যদি দুইভাবে বিশ্লেষণ করি তাহলে বলবো, বিচারিক দিক থেকে এই রায়কে একটি মাইল ফলক হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে ।
এ রকম একটি রায় প্রত্যাশিত ছিল। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজে যে বার্তা দেয়া হয়েছে, মানুষ অন্তত বুঝবে দেশে এখনো আইনের শাসন শেষ হয়ে যায়নি। অপরাধীরা অপরাধ প্রবণতা থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকবে।
রাজনৈতিক দিক বিশ্লেষণ করলে বলা যায়, এইসব মেধাবি শিক্ষার্থীরা [অপরাধী এবং ভিক্টিম] উভয়েই অপরাজনীতির শিকার। যাকে হত্যা করা হয়েছে,এবং যাদের শাস্তি হয়েছে তারা সবাই খুব মেধাবি। বাবা মা উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে [বুয়েট] পাঠিয়েছিলেন। তাদের আশা ছিল সন্তান বড় হয়ে মা-বাবার পাশাপাশি দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। কিন্তু দূর্ভাগ্য দেশের এই অপরাজনীতি তাদেরকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে । এর দায় কে নিবে?
আজকে বাবা-মা তাদের মেধাবি সন্তানদের হারাচ্ছেন, চোখের পানি ফেলছেন তার মূল্য কে দিবে? এ থেকে বেরুতে হলে রাজনীতিকে তার সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। ছাত্র সমাজকে এই অপরাজনীতি থেকে বাঁচাতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। বুয়েট ছাত্র আবরারের রক্তের বিনিময়ে বুয়েট যদি সুস্থ শিক্ষার পরিবেশ ফিরে পায় তাহলেও হয়তো আবরারের আত্না শান্তি পাবে।
লেখক: সাবেক সিনিয়র জেলা জজ